Part - 39

213 11 2
                                    

39
মেঘলা টেবিলে খাবার রেডি করছিল । অভীক চুলে চিরুনি করে বাইরে বেরিয়ে আসে। মেঘলা ওর দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলে " এখন আর কফি টফি খেতে হবে না অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে ব্রেকফাস্ট করে নাও । অভীক বলে  "ওকে ..."
তার পরে গালে হাত দিয়ে বলে " দাড়ি ঠিক আছে?"
মেঘলা ওর থুতনি ধরে গালটা একবার এদিক একবার ওদিক ঘুরিয়ে বলে " ঠিক আছে কিন্তু..." " কিন্তু কি?"
" দু একটা বড়ো থেকে গিয়েছে , বুঝতে পারোনি হয়তো । তুমি বসো আমি ওই গুলো সেফ করে দিচ্ছি ।"
অভীককে সোফাতে বসিয়ে মেঘলা কাঁচি নিয়ে আসে । অভীক মেঘলার কোমর ধরতেই মেঘলা বলে " দুষ্টুমি করলে কিন্তু দাড়ির কাটিং খাপছাড়া হয়ে যাবে ।"
" দুষ্টুমি কোথায় করলাম ? সর্পোট নিচ্ছি তো... আর হলে হবে ক্লিন সেভ করে নেবো । এমনিতেও এইভাবে বসে আমার আই লেভেলটা যেখানে পড়ছে সেই দৃশ্য দেখার পরে, আমার দ্বারা কোন প্রকার দুষ্টুমি হয়ে গেলে আমার কোনো দোষ নেই।" মেঘলা সামনে ঝুকে অভীক এর লম্বা হয়ে থাকে গিয়েছিল যেই দু একটা দাড়ি সেগুলো সেভ করছিল । হঠাং অভিকের কথায় ভ্রু কুঞ্চিত করে নিচে তাকিয়ে দেখে ওর টি শর্ট আভার সাইজ হওয়ায় কলার অনেকটা নেমে গিয়েছে । মেঘলা তাড়াতাড়ি করে টি শার্টটা পেছন দিকে টেনে নেয় খনিকক্ষণ  পরে মেঘলা বলে " হয়ে গিয়েছে" অভীক দাড়িতে হাত বুলিয়ে বলে " তুই টেবিলে বোস আমি অঞ্জনাকে ডেকে আনি ।" মেঘলা একটু ভেবে বলে " তুমি বসো আমি ডাকছি ওকে..."  অভীক মৃদু হেসে বলে " আচ্ছা..." খেতে খেতে মেঘলা বলে " অভি... কাল রিভাদির জন্মদিন মনে আছে তো ?"
অভীক কিছু বলার আগেই অঞ্জনা বলে ওঠে " হ্যাঁ তো.... আর পরের সপ্তাহে তো অভিক্দার ও জন্মদিন..."
মেঘলা খেতে খেতে বিষম খায় ।অভীক ওর দিকে জল এগিয়ে দেয় । অঞ্জনা বলে" সরি..."। বিষম খাওয়ার জ্ন্য মেঘলার চোখ মুখ দিয়ে জল বেরিয়ে এসেছে নাক জ্বালা করছে। অভীক ওকে জল খাইয়ে দেয় । মেঘলা রগান্বিত দৃষ্টিতে অঞ্জনার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে " একে মাঝখানে কথা বলতেই হতো । আমি কত প্ল্যান করেছিলাম যে অভির জন্মদিন আমার মনে আছে সেটা ওকে বুঝতে দেবো না । তা না ও মাঝখান থেকে বলে বসলো ।" মেঘলার চোখের ইশারায় অঞ্জনাকে চুপ করতে বলে । অঞ্জনা ইশারায় মেঘলাকে সরি জানায় । অভীক টিসু দিয়ে মেঘলার মুখ মুছিয়ে বলে " আস্তে খাবি তো ... নাক মুখ জ্বালা করছে নিশ্চয় ।"
মেঘলা বলে " না আমি ঠিক আছি । রিভাদির জন্মদিন নিয়ে কিছু ভাবলে ?" " ভেবেছি ওর জন্মদিনটা ইউনিয়ন রুমে সেলিব্রেট করবো ।" " ভালো আইডিয়া আর গিফট ..." অভীক একটু ভাবুক হয়ে বলে " গিফট তো ভাবিনি...." মেঘলা বলে " ও চাপ নেই , রাতে ঘুমানোর আগে ডিসকাস করে নেবো ।" অভীক মুখ ব্যাজার করে বলে " রাতে গিফট ডিসকাস ?"
মেঘলা ওর কথা বুঝতে পেরে হাসি চেপে চোখের ইশারায় ওকে চুপ করতে বলে । অঞ্জনা ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। অভীক খাবার নাড়াচাড়া করতে করতে বলে " আমার কপালটাই খারাপ ।" মেঘলা ঠোঁট চেপে হাসে।
ডিনারের পড়ে  অভীক আর মেঘলা বড়ো সোফাটায় বসে টিভি দেখ্ছে । সোফা শুধু নয়, সোফা কাম বেড । সোফাটা আনফল্ড করলে অনেকটা চওড়া হ্য় , পা তুলে বা পা ছড়িয়ে বেশ ভালোভাবে বসা যায় , শোয়াও যায় । অভীক পা ছড়িয়ে বসে ছিল আর মেঘলা ওর দুই পায়ের মাঝে বসে অর্থাৎ ওর বুকে হেলান দিয়ে বসে ছিল টিভি দেখছিল । মাঝে জায়গা ফাঁকা দিয়ে অপর প্রান্তে অঞ্জনাও বসে ছিল । যেটা মেঘলার পছন্দ হচ্ছিল না কিন্তু অঞ্জনাকে চলেও যেতে বলতে পারছিল না । মেঘলা আসার আগে ঘর থেকে দুটো চাদর এনেছিল। একটা অঞ্জনাকে দিয়ে আরেকটা ওর আর অভীকের গায়ে জড়িয়ে নেয় । অভীকের তো মজায় হলো ।
মুচকি হেসে মেঘলার কানে কানে বলে " থ্যাঙ্ক ইউ ..."
মেঘলা ভ্রু কুঞ্চিত করে বলে " কেনো ?" অভীক ঠোঁট কামড়ে বলে " একটু পরে বুঝতে পারবি।" বারান্দার সব লাইট বন্ধ করে অন্ধকার করে দিয়ে টিভিতে সিনেমা চলছে । মেঘলা হা করে সিনেমা দেখ্ছে , আর অভীক থেকে থেকে মেঘলার গালে চুম্বন করছে । অঞ্জনা সিনেমার থেকে বেশি মেঘলা আর অভীককে দেখ্ছে । কোথাও না কোথাও ওর মনে ঈর্ষার জন্ম হচ্ছে । অভীক আবার মেঘলার গালে সশব্দে চুম্বন করলে মেঘলা বলে " কি সুন্দর সিনেমা চলছে দেখো না ।" অভীক হিসহিস্ গলায় বলে " তুই তো আমার সিনেমা .... তুই আমার সব ।" অভীক গায়ের চাদরটা একটু ঠিক করে নেয় । অঞ্জনার দিকে তাকিয়ে বলে " সিনেমা ভালো লাগছে তো ?" অঞ্জনা মাথা নেড়ে বলে হ্যাঁ ...
অভীক মনে মনে বলে " তুই সিনেমার দিকে মন দে সেই ভালো , এদিকে তাকাস না ।" অভীক চাদরের তলায় দিয়ে চুপিসারে মেঘলার ওভার সাইজ টি শার্টের ভেতর দিয়ে হাত ঢোকাতে থাকে । মেঘলা নিজের পেটে অভিকের হাতের স্পর্শ পেয়ে অভীকের চোখের দিকে তাকিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে " কি করছো তুমি ..." অভীক বাচ্চাদের মত বলে " জানিনা কি করছি , কিন্তু খুব ইচ্ছে করছে ।" অভীক ওর দুটো হাত মেঘলার টি শার্টের মধ্যে প্রবেশ করায় । মেঘলার সারা শরীর কেঁপে উঠছে । মেঘলা একবার করে অঞ্জনার দিকে তাকাচ্ছে । অঞ্জনা তখন টিভির দিকে তাকাচ্ছে । মেঘলা দাঁতে দাঁত চেপে বলে " অভি প্লিজ এখন না , ও আছে ..." অভীক মেঘলার কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে বলে " ও কিছুবুঝতে পারবে না । তুই সিনেমা দেখ , আমি তোকে একটু আদর করি ।" মেঘলা টিভির দিকে তাকিয়ে আছে ঠিকই কিন্তু অভির হাত যত ওর টি শার্টের ভেতর প্রবেশ করছে ওর সারা শরীরে শিহরণ সৃষ্টি হচ্ছে । অভীক নিজের দু হাতে মেঘলার বুকের দুই নরম অংশকে আদর করতে শুরু করে । মেঘলার সারা শরীরে কাঁপুনি দিচ্ছে । পাশেই অঞ্জনা বসে আছে আর অভীক সেদিকে পাত্তা না দিয়ে চাদরের আড়ালে প্রেয়সীর দুই স্তন কে আদর করছে । মেঘলা মাঝে মাঝে নড়ে উঠছে । অভীক উত্তেজনা সামলাতে না পেরে দুই হাতে চেপে ধরছে প্রেয়সীর দুটি স্তনকে । দুই আঙুলে টিপে ধরছে দুটি স্তনবৃন্ত। মেঘলা প্রেমিকের এই মিষ্টি অত্যাচারে নিজেকে সামলাতে না পেরে বারবার নড়ে উঠছে । হিসহিস গলায় বলে " অভী প্লিজ ...এখন নয়  আমি সামলাতে পারবো না এইভাবে ..." অভীক এর কণ্ঠে নেশা স্পষ্ট " একটু আদর করে নিয়ে ছেড়ে দেবো ..." অভীক প্রেয়সীর দুটি নরম সম্পদের ওপরে হাত বোলাতে থাকে । মেঘলা দাঁতে দাঁত চেপে সবটা সহ্য করছে বেচারি নড়তেও পারছে না । অভীক এবার হাতটা মেঘলার বুক থেকে নিচে নামতে থাকে । মেঘলা সন্দেহের দৃষ্টিতে অভীকের দিকে তাকায় । অভীক মৃদু হেসে ওর হাতটা মেঘলার হট প্যান্টের মধ্যে ডুকিয়ে দেয় । মেঘলা ফিসফিস করে বলে " কি করছো তুমি ... পাগল নাকি... এখানে এইসব " অভীক মৃদু হেসে বলে " ইয়েস ডালিং তোমার প্রেমে..."  অভিকের হাত পৌঁছে গিয়েছে মেঘলার নিন্মাঙ্গের কাছে । অভীক একটা আঙুল মেঘলার নিন্মাঙ্গের প্রথম পর্দা ভেদ করে ভেতরে ঢোকাতেই অভীক বুঝতে পারে তার প্রেয়সীয় বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েছে । অভীক আঙুলটা খানিক্ষন সেখানে নাড়াচাড়া করতে থাকে । অভীক প্রেয়সীর গোপন খনির পথ খুঁজে পেতেই নিজের মাঝের আঙুলটি নিন্মাঙ্গের গভীরতায় প্রবেশ করানোর চেষ্টা করতেই মেঘলা উত্তেজনায় অভীকের উরু চেপে ধরে " আহ্হ " করে শীৎকার দিয়ে ওঠে । অঞ্জনা অবাক হয়ে ওদের দিকে তাকায় । অভীক তড়িঘড়ি হাত বের করে নেয় । অঞ্জনা ভ্রু কুঞ্চিত করে বলে " কি হলো" মেঘলা চমকে গিয়ে বলে " না ... মানে মশা ... কামড়াচ্ছে ..." অভীক পরিস্থিতি সামলানোর জ্ন্য বলে "হ্যাঁ ওই মশা...খুব মশা বাপরে " অঞ্জনা বলে " আমাকে তো মশা লাগছে  না ..." মেঘলা জোর পূর্বক হাসার চেষ্টা করে বলে " আমাকে লাগছে । তোরা টিভি দেখ আমি রুমে যাই ... অভীকের দিকে চেয়ে বলে সিনেমা শেষ হলে শুয়ে পড়ো কাল রিভাদির জন্ম দিন মনে আছে তো " মেঘলা চাদরের মধ্যে নিজের জামাকাপড় ঠিক করে নিয়ে ভেতরে চলে যায় । অভিক হ্ত্ভ্ম্বের ন্যায় ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে মনে মনে বলে " ওর কি ব্যথা লাগলো খুব ? আমি কেনো যে পাগলমিটা করলাম.... বুঝতে পারি নি ওর ব্যথা লাগবে । মেঘ কি আমার ওপর রাগ করলো...?"
অঞ্জনা অবাক হয়ে একবার মেঘলার দিকে তাকায় একবার অভীকের দিকে তাকায়।

প্রেমিকা Where stories live. Discover now