9.আজ অভীক ক্যাম্পাসে নেই । বাইরে কিছু কাজ আছে ওর , তাই আসেনি । ক্যাম্পাস জুড়ে হয় হট্টগোল চলছে সামনেই ইউনিয়ন ইলেকশন । মেঘলা ডিপার্টমেন্ট থেকে বেরোতেই ওর একজন সিনিয়র দিদি এসে ওকে বলে "একটু কথা আছে সাইডে যাবি ? "
মেঘলা শান্ত গলায় বলে "এখানেই বলো না দিদি... "
মেয়েটা রীতিমত মেঘলার হাত ধরে টানতে টানতে বলে "চলনা ব্রো , কথা আছে তো । "
এই বলে মেয়েটা মেঘলাকে টানতে টানতে একটা কর্নারে নিয়ে আসে । সেখানে তিনজন ছেলে ছিল আর যে মেঘলাকে নিয়ে এসেছে সেই মেয়েটা আছে । ওদের মধ্যে যেই ছেলেটা লাল জামা পড়েছিল সে বলে "যায় বল , অভীক মালটা ভালো পটিয়েছে । "
কথাটা শুনে এর পড়ে কি হবে এই আশঙ্কায় মেঘলার বুক কেঁপে ওঠে । মুখে সিগারেট নিয়ে থাকা ছেলেটা সিগারেটের ধোঁয়া উড়িয়ে বলে "36.. 24.. 36... "
এই বলে নোংরা ইঙ্গিত করে । মেঘলা ভয়ে ভয়ে বলে "আমি এখান থেকে যাবো প্লিজ ... আমার কাজ আছে । "
মেঘলা চলে যেতে চাইলে সেই মেয়েটা ওর হাত ধরে বলে "কোথায় যাচ্ছিস এখানে দাঁড়া। আরেকজন বলে " সামনে ইউনিয়ন ইলেকশন , ভোটটা যেনো আমাদের দিকেই পরে । "
মেয়েটা বলে "অভীকের পার্টি ছেড়ে কি আমাদের পার্টিতে ভোট দেবে ।"
লাল জামা পরা ছেলেটা বলে "আলবাত দেবে , দিতে হবে । অভীক তো এই কম্পাসের আর ক দিনের মেহেমান তারপরে তো ওকে আমাদের কাছে আসতে হবে । "
মেঘলা ভয়ে ভয়ে তাকায় । সিগারেট খাচ্ছিল যে ছেলেটা সে মেঘলার চিবুক এক হাতে ধরে , মেঘলা ব্যথা পায় । ছেলেটা একটা নোংরা হাসি হেসে বলে "শুনেছি তুই অভীকের বিছানা গরম করছিস , তা আমাদের ফ্ল্যাটে একদিন আসবি নাকি ? সত্যি বলছি অভীকের থেকেও ভালো তৃপ্তি দেবো । "
মেঘলা ভয়ে ঘেন্নায় কাঁদতে শুরু করেছে । একজন মেঘলার গাল টিপে ধরে ধরেছিল আরেকজন অশ্লীল ইঙ্গিতে মেঘলার কাঁধে হাত রাখে । ঘেন্নায় কেঁপে ওঠে মেঘলা । ছেলেটা দাঁত খিঁচিয়ে বলে "চাইলেই এখানে তোকে খেয়ে ফেলে রেখে যেতে পারতাম । কিন্তু অভীককে বলে দিস এবারের ইউনিয়ন ইলেকশন থেকে যেনো দূরে থাকে ।এবার ইউনিয়ন ইলেকশন আমরা জিতবো । এটা হুমকি ছিল "
ছেলগুলো আর মেয়েটা চলে যায় । মেঘলা ওখানে দাঁড়িয়ে দঁড়িয়ে কাঁপতে থাকে আর কাঁদতে থাকে ।
