22/কুড়ি দিন হয়ে গেল অভীক আর মেঘলা একে অপরের থেকে দূরে । হ্যাঁ কুড়ি দিনই ... পনেরো দিনের মধ্যে অভীক নিজের কাজ সম্পন্ন করে উঠতে পারেনি । রোজ ফোনও করতে পারেনি মেঘাকে । মেঘ নিশ্চিত খুব রেগে আছে । মাঝে রিভার থেকে খবর পেয়েছে মেঘলার ফোনটা নাকি হারিয়ে গিয়েছে আর ওর বাবা ওকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে , মেঘলা বাড়ি গেলে বাড়ি থেকে লোকজনের ভিড়ের মধ্যে অভিককে ফোন করতে পারে না । এটা জানে অভীক । অভীক অবশ্য মেঘলাকে জানায়নি আজ ও ফিরছে । ফ্লাইটেই ফিরছে , দমদম এয়ারপোর্টে চয়ন আর চন্দন অভীকের জন্য অপেক্ষা করছে। অভীক এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে এসে ওদের দুজনকে জড়িয়ে ধরে "কেমন আছিস তোরা ? মেঘ কবে ফিরবে জানিয়েছে কিছু ? রেগে আছে জানি আমি । "
চয়ন আর চন্দনের মুখটা চুপসে যায়। অভীক ওদের দিকে তাকিয়ে বলে "কি হলো তোরা চুপ যে । আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি তো । "
চয়ন আমতা আমতা করতে করতে বলে "আমরা কি করে জানবো বলো গুরু ... রিভাকে জিজ্ঞেস করতে হবে । "
অভীক হেসে বলে "ও হ্যাঁ তাইতো... আমিও পাগল হয়ে গিয়েছি... আচ্ছা চল বাড়ী চল । "
অভীক ফ্ল্যাটে ফেরে , চয়ন আর চন্দন ওকে ফ্ল্যাট গোছাতে সহায়তা করে । টেবিলের ধুলো ঝাড়তে ঝাড়তে টেবিলের ওপর থেকে অভীক আর মেঘলার একটা ফটোফ্রেম পরে ভেঙে যায় । অভীক সেটা দেখে বলে "এমনিতেই মহারানী আমার ওপরে রেগে আছে , এবার ওর প্রিয় ফটোটাও ভেঙে ফেললাম । আমাকে আর আস্ত রাখবে না। "
চয়ন আর চন্দন অভীকের মুখে মুখে তাকায় । সেদিন রাতটা কোনো মতে কেটে যায় । পরেরদিন অভীক ক্যাম্পাসে আসে। গেটের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল রিভার অপেক্ষায় । রিভা আসতেই অভীক ওর সামনে গিয়ে দাঁড়ায় "এই রিভা ক্লাস শেষে আমার সাথে একবার দেখা করিস তো একটা হেল্প লাগবে । "
রিভা যেনো ভয়ে ভয়ে বলে "কি হেল্প অভীকদা "
অভীক ভ্রু কুঞ্চিত করে বলে "তুই নিচের দিকে তাকিয়ে কথা বলছিস কেনো ? দিল্লি থেকে আমি কুৎসিত হয় এসেছি নাকি যে আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারছিস না । "
রিভা মাথা নেড়ে বলে "সেরকম টা না । "
অভীক বলে "বেশ বাদ দে । তোর ক্লাস হয় গেলে আমার সামনে মেঘাকে একটা ফোন করবি তো আমি কতদিন ওর গলাটা শুনিনি । আর শোন ওকে বলবি না আমি এসে গিয়েছি । বলবি তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে ফিরে আসে যেনো ,এলে সারপ্রাইজ দেবো । "
রিভা ডান দিকে মাথা নাড়িয়ে বলে আচ্ছা । তারপর আনমনে সামনের দিকে চলে যায় । রিভা চলে যেতেই অভীক মনে মনে বলে "সবাই এত অড বিহেভ করছে কেনো । কি হয়েছে ? সব ঠিক আছে তো ? "
