part - 8

355 12 4
                                    

8/অভীক মেঘলার পায়ের পাতা থেকে চুম্বন করতে করতে ওপরে উঠতে থাকে । হাত দিয়ে মেঘলার নিম্নাঙ্গ স্পর্শ করতে বুঝতে পারে নিম্নাঙ্গ ভিজে গিয়েছে। অভীক মেঘলার চোখের দিকে তাকায় মেঘলা হাঁপাচ্ছে । অভীক হাঁপাতে হাঁপাতে বলে "মেঘা ... আমি তোর ভেতরে প্রবেশ করতে চাই প্লিজ...."
মেঘলা কিছু বলতে পারেনা। চোখের পাতা বন্ধ করে নিয়ে অভীক এর গলা  জড়িয়ে ধরে অভিক এর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দেয় । অভীক জানে এটা মেঘলার প্রথম বার । মেঘলার কষ্ট হবে খুব । তাই  সে মেঘলার সাথে চুম্বন আরো গভীর করে তোলে  । মেঘলার জিভটাকে নিজের মুখের মধ্যে নিয়ে চুষতে চুষতে নিজের  পুরুষাঙ্গটিকে ধীরে ধীরে মেঘলার মধ্যে প্রবেশ করতে থাকে । হঠাৎ  নিম্নাঙ্গে এক  অজানা যন্ত্রণায় মেঘলা কাঁকিয়ে  ওঠে।  অভীক তার যন্ত্রণা লাঘব করার জন্য তাকে বুকের সাথে জাপটে ধরে   মেঘলা খামচে ধরে অভীকের পিঠ । অভীক এর পুরুষাঙ্গ অনেকটাই প্রবেশ করে যায় মেঘলার ভেতরে , অভীক সেটাকে ধীরে ধীরে নাড়াতে থাকে । চুম্বনরত  অবস্থাতেই  মেঘলার দুচোখের  কোন দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ে ।

ভোরের দিকে ঘুম ভাঙ্গে অভীকের । মেঘলা ওর বুকের সাথে সেঁটে ঘুমিয়ে আছে । অভীক মেঘলার মুখের ওপর থেকে চুল গুলো সরিয়ে দেয় । ওর কপালে আলতো চুম্বন করে । সকালে মেঘলার ঘুম  ভাঙতেই ও দেখে পাশে অভীক নেই । অজানা ভয় ঘুরে ধরে ওকে। বুকের সাথে চাদরটা জড়িয়ে নিয়ে উঠে বসে "অভী....."
অভীক রান্নাঘর থেকে হন্তদন্ত হয়ে  ছুটে আসে "কি হয়েছে , এভাবে চিৎকার করলি কেনো ? "
মেঘলা  করুন স্বরে জিজ্ঞেস করে "কোথায় গিয়েছিলে তুমি ? "
অভীক বুঝতে পারে , ঘুম ভাঙ্গার পরে ওকে না দেখতে পেয়ে মেঘলার মনে অজানা আতঙ্ক কাজ করছে । অভীক এগিয়ে এসে মেঘলা কে জড়িয়ে ধরে ওর কপালে চুম্বন করে বলে  "আমি তোকে ছেড়ে কোথাও যায়নি ,আর ভবিষ্যতেও কোথাও যাবো না । কাল রাতের পর থেকে আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে সেটার পরে তো তোকে ছেড়ে যাওয়ার কথা আমি ভাবতেও পারিনা ।"
মেঘলা বাচ্চার মত অভীকের বুকের সাথে লেপ্টে যায় । অভীক শান্ত গলায় বলে "বাথরুমে গিজার অন করে দিয়ে এসেছি , একা যেতে পারবি তো ?"
মেঘলা ডানদিকে আলতো মাথা নাড়ে । অভীক ওর গায়ে চাদরটা ভালো করে জড়িয়ে দিয়ে বলে "ধীরে ধীরে যা, কষ্ট হলে আমায় বলবি । "
খাটের নিচে পা দিয়ে উঠে দাঁড়াতেই  মেঘলার কোমর থেকে পায়ের পাতা অবধি  যন্ত্রণা করে ওঠে । মেঘলা "আহহ বলে চিৎকার করে ওঠে "।
অভীক ওকে দুই হাতে আগলে নেয় "কষ্ট হচ্ছে তো .... আমি রেখে আসছি তোকে । "
এই বলে মেঘলাকে চাদরে মুড়িয়ে অভীক পাঁজাকোলা করে তুলে নেয় । মেঘলা আড়চোখে তাকায় বিছানাটার দিকে । ওই বিছানায় এখনও লেগে রয়েছে ওর সতীত্বের চিহ্ন । অভীক টের পেয়ে বলে "তোকে ওদিকে তাকাতে হবে না । আমি ধুয়ে নেবো ... তুই আগে উষ্ণ জলে ভালো করে স্নান করবি । দেখবি একটু আরাম লাগবে ।আমার ফ্ল্যাটে বাথটাব নেই থাকলে ভালো হতো । "
অভীক পাঁজাকোলা করে মেঘলাকে বাথরুমে নিয়ে আসে । মেঘলা গভীরভাবে চুম্বন করে অভীকের গালে । অভীক ওকে সাবধানে কল থেকে নামিয়ে একটা টুল দিয়ে যায় ।
"সব হাতের কাছে দিয়ে গেলাম , আরামসে স্নান কর তুই । যতক্ষণ সময় লাগে কর । "
মেঘলা মৃদু হেসে বলে "আচ্ছা ।"।

অভীক ঘরে এসে বিছানার চাদরটা পাল্টে ফেলে । নিজের মনেই বলে "আমি কি যে করে ফেললাম কাল । মেয়েটার কত কষ্ট হচ্ছে । কি করবো ওকে সামনে দেখলে নিজেকে কিছুতেই সামলে রাখতে পারিনা । "।
কিছুক্ষন পরে মেঘলা ধীর পায়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে । দুজনে মিলে একসাথে ব্রেকফাস্ট করে ।অভীক ওকে একটা painkiller দেয় । সেটা খাওয়া হয়ে গেলে অভীক মেঘলাকে কোলে তুলে ব্যালকনির বেতের দোলনাটায়  নিয়ে গিয়ে বসায় । 
"আর কত  করবে তুমি আমায় । "
মেঘলার প্রশ্নে অভীক মৃদু হেসে বলে "কোনোদিন তোকে কষ্ট পেতো না কথা দিয়েছিলাম । কিন্তু আজ যে তোর কষ্টের কারণ আমি নিজে .... "
মেঘলা বলে "এই কষ্ট তো একদিন না একদিন হওয়ার ছিলই ,এটাই তো সত্যি তাই না ।  আর এই কষ্টের কারণ তুমি নও , কষ্টটা যে কষ্ট বলে মনে হয়না তার কারণ হলে তুমি । "
অভীক ওর গাল টেনে দিয়ে বলে "খুব লকা পাকা কথা বলছিস । "
মেঘলা গাল ফুলিয়ে বলে "আমি কি এখনও কাঁচা আছি নাকি । "
নিমেষের  মধ্যে অভীকের মুখে যেনো মেঘ ঘনিয়ে আসে । মেঘলা ওর গালে হাত রেখে বলে "কি হলো ?"
অভীক মেঘলার দুইহাতে চুম্বন করে বলে "সবটা এত তাড়াতাড়ি হওয়া ঠিক হলো না মেঘা । তুই এখনও অনেক ছোট । এই যন্ত্রণা ,এই situation কি করে handle করতে হয় তোর কোনো ধারণাও নেই । আর আমি কি করে বসলাম "
মেঘলা অভীকের দুই গালে হাত রেখে কপালে কপাল ঠেকিয়ে বলে "একদম নিজেকে দোষ দেবে না । তুমি কি আমাকে রেপ করেছো নাকি জবরদস্তি করেছো ? আমাদের মধ্যে যা হয়েছে দুজনের ইচ্ছেতে হয়েছে । ভালোবাসার কারণে হয়েছে , এতে দুনিয়ার কারোর কিছু বলার নেই । দুজন ভালোবাসার মানুষ একসাথে থাকলে তারা একবার নয় দুইবার নয় বারবার ঘনিষ্ট হবে অভীক । তার জন্য তুমি কোনোভাবেই দোষী  নয় । অভীক বলে "ওই জন্যই তো আমি তোকে আমার কাছে রাখতে চাইনি কারণ আমি জানতাম  তুই আমার চোখের সামনে থাকলেই এরকম কিছু একটা হবে "
মেঘলা বলে "যা হয়েছে বেশ হয়েছে । এবার তুমি আমাকে একটু আদর করে দাও তো । সকাল থেকে কেবল কেয়ার করছো আদর তো করোনি একবারও । "
অভীক মৃদু হেসে বলে "আমি এখানে বসে তোকে আদর করলে দুপুরের রান্না কে করবে ?"
মেঘলা বলে "তুমি একা একা রান্না করবে আর আমি এখানে পায়ের ওপরে পা তুলে বসে থাকবো ? এটা তো হয় না । "
অভীক মেঘলার মাথায় হাত দিয়ে বলে "সোনা আমার ,এরকম বায়না করে না । তোর কষ্ট হবে আজকের দিনটা একটু রেস্ট নে । কাল থেকে যা ইচ্ছা করিস। "।
মেঘলা গাল ফুলিয়ে বলে "আচ্ছা "।"

প্রেমিকা Where stories live. Discover now