Part - 34

169 7 1
                                    

34/দরজায় কলিং বেল বাজতেই  মেঘলা দরজা খুলতে যায় , অভীক বাড়িতে নেই তাই একবার কী হোল দিয়ে উঁকি মেরে দেখে বাইরের মানুষটাকে । বাইরে অঞ্জনাকে  দেখে তারাতারি দরজা খোলে ।
"অঞ্জু তুই? এই সময় এখানে ? "
অঞ্জনা দেওয়াল ধরে দাড়িয়ে আছে  । বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে ওকে । ঠোঁটটা ফুলে লাল হয়ে আছে ।মেঘলা ওকে ভেতরে আসতে বলে । অঞ্জনা ভেতরে এসে সোফায় বসে । মেঘলা ওর পাশে বসে ।
"আসলে পরশু দিন কলেজে তোর সাথে ওরকম কথা কাটাকাটি  হলো তাই ভাবলাম একটু দেখা করে আসি । কিছু মনে করিস না প্লিজ মেঘা । "
মেঘলা বলে "আরে না না ঠিক আছে । সুজয়দা চলে গেলো ? "
অঞ্জনা বলে "হ্যাঁ একটু আগেই ট্রেন ছিল । "
মেঘলার চোখ যায় অঞ্জনার গলার দিকে , জায়গায় জায়গায় লাল লাল দাগ হয়ে আছে । মেঘলা জানে ওগুলো কিসের দাগ , তবে অঞ্জনার অস্বাভাবিক ভাবে ফুলে থাকা ঠোঁটটা দেখে জিজ্ঞেস করে "তোর ঠোঁটে ওরকম রক্ত জমাট বেঁধে আছে কেনো ? "
অঞ্জনা ঠোঁট হাত দিয়ে বলে "রুম থেকে বেরোনোর সময় সুজয় এত লং একটা কিস করলো যে ঠোঁটটা এমন ভাবে ফুলে গেলো এখনও কমেনি । "
মেঘলা ভ্রু কুঞ্চিত করে তাকিয়ে থাকে। শুকনো ঢোক গিলে বলে "দেখে বোঝাই যাচ্ছে সুজয়দা কিভাবে কিস করেছে । গলায় এতগুলো দাগ নিয়ে বাড়ি কি করে যাবি তুই ? "
অঞ্জনা হাঁপাতে হাঁপাতে বলে "সে ঠিক ম্যানেজ হয়ে যাবে । "
কথা বলার সময় অঞ্জনার হ্যাঁপানো দেখে  মেঘলার সন্দেহ হয় । মেঘলা ভ্রু কুঞ্চিত করে বলে "don't tell me তুই সিঁড়ি দিয়ে এসেছিস... "
অঞ্জনা বলে "পাগল নাকি ..  "
"তাহলে তোকে এরকম বিধ্বস্ত কেনো দেখাচ্ছে ? এইভাবে হাঁপাচ্ছিস কেনো ?  সত্যি করে বল অঞ্জনা ... আমার কিন্তু খটকা লাগছে । "
অঞ্জনা ভয়ে ভয়ে বলে "একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবো মেঘা? "
মেঘলা সন্দেহজনক  দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে "কি ? "
অঞ্জনা আমতা আমতা করতে করতে বলে "না মানে... করার সময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়া টা কি নরমাল? "
মেঘলা একটা ভ্রু তুলে বলে "কি করার সময় ? আর কোনোভাবেই অজ্ঞান হওয়া নরমাল নয় ? কি করার কথা বলছিস তুই অঞ্জনা ... ক্লিয়ারলি বল আমায়? "
মেঘলার আওয়াজ জোরে হচ্ছিল দেখে অঞ্জনা ওর হাত ধরে বলে "আস্তে কথা বল মেঘা প্লিজ... আমি বলতে চাইছি মিলন এর সময় টায়ার্ড  হয়ে যদি কেউ অজ্ঞান হয়ে যায় সেটা কি নরমাল ? "।
মেঘলা চিৎকার করে বলে "what... Are you kidding me anjana...  তুই . তুই কি সেই সময় কোনোভাবে অজ্ঞান...? "
অঞ্জনা ভয়ে ভয়ে বলে "আমার প্রথমবার ছিল তো, তাই কষ্ট হয়েছিল খুব কিন্তু ফার্স্ট টাইম আমি অজ্ঞান হয়নি । কিন্তু সকাল বেলা টায়ার্ড শরীরে সুজয় যখন আবার ... তখন  আমার মাথাটা ঘুরে যায় ।  তখন ঐ অবস্থাতেই আমি জ্ঞান হারায় । সুজয় আমাকে বললো এটা নরমাল , টায়ার্ড হলে নাকি মানুষ এই সময় অজ্ঞান হয়ে যায় ।  "
মেঘলা পুরো থ । মুখে হাত দিয়ে বলে "ওহ মাই গুডনেস.... সুজয়দা তোর শরীরের সাথে যাচ্ছেতাই করেছে আর তুই ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে করতে দিয়েছিস ... এটা তোর ফার্স্ট টাইম জানার পরেও একবার হয়ে যাওয়ার পরেও কিছুক্ষনের ব্যবধানে তুই আবার ওর চাহিদা পূরণের জন্য নিজের ক্লান্ত শরীরটাকে ওর হতে তুলে দিয়েছিস , আর নিজে সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরেও ও তোকে বুঝিয়েছে যে এটা নরমাল আর তুই মেনে গেলি ?"
অঞ্জনা ভয়ে ভয়ে বলে "আমার তো ফার্স্ট টাইম না আমি কি করে জানবো । "
মেঘলা রাগান্বিত স্বরে বলে "তুই যখন জানিস তর ফার্স্ট টাইম তোর কিছু ব্যারিয়ার রাখা উচিত ছিল.. তা না করে বয়ফ্রেন্ড যা বললো তাই করলি । তুই একবার ভাব অঞ্জু, একটা মেয়ের শরীরের ওপরে মিলনের নামে ঠিক কতটা টর্চার হলে মেয়েটা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে । আর সে কেমন বয়ফ্রেন্ড যে প্রেমিকার এটা প্রথমবার জেনেও একবার নিজের চাহিদা মিটিয়ে নেওয়ার পড়ে আবার.... ইস আমার তো ভাবতেই ঘেন্না করছে ।  Look at you... একেবারে বিধ্বস্ত লাগছে তোকে অঞ্জনা , মনে হচ্ছে তোকে রেপ করা হয়েছে । ওই ছেলেটা তোর শরীরটাকে নিজে ইচ্ছে মত নিংড়ে , আজ এই অবস্থায় তোকে রেখে লিটেরালি পালিয়ে গেলো অঞ্জনা ... তুই আমাকে ভালো ভাব আর খারাপ আমার এখন মনে হচ্ছে সুজয়দা তোকে ভালইবাসেনি ।  ও এখানে এসেছিল শুধু শারীরিক চাহিদা মেটাতে..  "
অঞ্জনা করুন স্বরে বলে "এইভাবে বলিস না মেঘা প্লিজ... আমার নিজেকে অপরাধী লাগছে । "
মেঘলা রেগে বলে "ট্রেনে ওঠার পরে তোকে ফোন করেছিল ? "
অঞ্জনা বলে "হুমম... আর রাতেও করবে বলেছে । "
"তাও ভালো , আমি তো ভাবলাম আর ফোনই করবে না তোকে । "
অঞ্জনা মেঘলার হাত ধরে বলে "এমন করে বলিস না । ভয় লাগছে আমার । "
মেঘলা চোয়াল শক্ত করে বলে "তুই এখানে বস , আমি তোকে একটু  এনার্জি ড্রিংক এর ব্যবস্থা করে দি । কি অবস্থা হয়েছে তোর অঞ্জনা । অভীক এসে প্রশ্ন করলে আমি কি বলবো বলতো । আর অভী যা ছেলে তোর এই অবস্থা দেখে ও প্রশ্ন করবেই । অভী শুধু আমার বলে না , তোর,  রিভা দির , চন্দন দার, নিখিল দার সবার কেয়ার করে তাই তোদেরকে নিয়ে এত ভাবে । আর তুই ওর কথাটা  ভুল বুঝে পাত্তাই দিলি না । "অঞ্জনা অপরাধীর মতো মুখ করে বলে "সরি রে ভুল হয় গিয়েছে আমার । "
মেঘলা বলে "it's ok... তুই এখানে বস আমি তোর জন্য জুস বা এনার্জি ড্রিংক এর ব্যবস্থা করি । "
মেঘলা উঠতে গেলে অঞ্জনা ওর হাত ধরে বলে "তোর কাছে কাটা জায়গায় দেওয়ার মত ওষুধ হবে । "
মেঘলা  ভেবে বলে "হ্যাঁ আছে তো বোধ হয় ? কিন্তু কাটার ওষুধ তোর কেনো দরকার ? হাত পা কিছু কাটেনি তো ?  "
অঞ্জনা শুকনো ঢোক গিলে বলে "তুই নিয়ে আয় আমি বলছি । "
মেঘলা কাটার ওষুধটা ওকে এনে দিয়ে বলে "এই নে কাটার ওষুধ... এবার বলবি তো কি হয়েছে । "
অঞ্জনা ভয়ার্ত চোখে ওর দিকে তাকায় । মেঘলা ভ্রু কুঞ্চিত করে বলে "বলবি তো কি হয়েছে?"
অঞ্জনা বোতাম লাগানো শার্ট পড়েছিল । ওকে শার্টের বোতাম খুলতে দেখে মেঘলা খানিক অবাক হয় । বোতাম গুলো খোলার পরে অঞ্জনা জামাটা সরাতেই মেঘলার চোখের সামনে ভেসে ওঠে অঞ্জনার অর্ধ উম্মুক্ত দুটি স্তন । বৃন্ত দুটিকে অঞ্জনা কোনো রকমে জামা দিয়ে ঢেকে রেখেছে । সাদা ধবধবে দুটি স্তনের ওপরে লাল লাল আঁচড় কামড়ের দাগ দেখে মেঘলার গা শিউরে ওঠে । মেঘলার মুখের অভিব্যক্তি বদলে গিয়েছে ।  ভ্রু কুঞ্চিত এবং চোয়াল  শক্ত হয়ে এসেছে । অঞ্জনার বক্ষযুগলের আঁচড় আর দাঁতের দাগের সাথে সাথে জায়গায় জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে আছে । মেঘলার  লোম খাড়া হয়ে গিয়েছে,  দেখে মেঘলার মুখ দিয়ে শুধু একটায় কথা বের হয় "নিজের তুই কি অবস্থা করিয়েছিস অঞ্জু... এগুলো প্রেমিকে করতে পারে না ... এগুলো পশুর কাজ ... সুজয় প্রেমিক হতে পারে না । ও রেপিস্ট...  তুই কেনো এই পাগলামিটা করলি । নিজের শরীরটা নিয়ে ওই জানোয়ারটাকে কেনো খেলতে দিলি । কেনো নিজের ভালোটা বুঝলি না ।  "
অঞ্জনা করুন মুখে বলে "কি করতাম ? কি করে বাঁধা দিতাম । আমি যে ওকে ভালবাসি । "।

প্রেমিকা Where stories live. Discover now