অষ্টদশ পর্ব

4 0 0
                                    

নাস্তার টেবিলে আদ্রিকার পছন্দের পায়েস। আদ্রিকার চোখ চকচক করে উঠলো। চেয়ার টেনে বসে হামলে পরলো নাস্তার টেবিলে। মোকাররমকে যখন এক বাটি পায়েস এগিয়ে দেওয়া হলে সে চোখ মুখ কুচকে বললো,
- এগুলা আবার কি?
- পায়েস।
- সকালবেলা এতো মিষ্টি খাবার কে খায়! সরাও এগুলা সামনে থেকে।

বিনাবাক্যে বাটিটি সরিয়ে নিলো নীহার। কেউ কিছু না বললেও সবারই মন খারাপ হলো। তিক্ত অনুভূতি নিয়ে কলেজের উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরলো আদ্রিকা। পুরোটা সময় দু বোন-ই চুপচাপ ছিলো। ভূবনভোলা একাডেমির সামনে এসে ব্যাগ থেকে টাকা বের করে আদ্রিকার হাতে দিয়ে আদ্রতা বললো,
- ফ্রেন্ডরা জন্মদিনের ট্রিট চাইলে এটা দিয়ে ক্যান্টিন থেকে কিছু কিনে দিস।

জন্মদিনের কথা কাউকে জানাতে না চাইলেও মুখ ফসকে মেঘাকে বলে ফেলেছে। চুপচাপ থাকতে গিয়েও কীভাবে যেনো পাঁচজন বান্ধবীর কান পর্যন্ত চলে গেলো সে কথা। টিফিনের সময় ওরা চেপে ধরলো আদ্রিকাকে। বাধ্য হয়ে ক্যান্টিনের ডালপুরি,  সিঙ্গারা খাওয়াতে হলো ওদের। ফেরার পথে ওর হাত টেনে ধরে মেঘা ফিসফিসিয়ে বললো,
- বিল্ডিংয়ের পেছনে চলে যা। বিস্ময় ভাইয়া অপেক্ষা করছে। আমি এদের সামলে নিচ্ছি।

ফড়িং এর মতো ফুড়ুৎ করে উড়ে বিল্ডিংয়ের পেছনে চলে এলো আদ্রিকা। বিস্ময় দাঁড়িয়েছিলো চিরচেনা ভঙ্গিতে। ঠোঁট জুড়ে হৃদয় প্রলয়ংকরী হাসি। দ্রুত পায়ে আদ্রিকা এগিয়ে গেলো বিস্ময়ের কাছে। ওকে দেয়ালের দিকে পিঠ করে দাঁড় করিয়ে দিয়ে সামনে দাঁড়ালো বিস্ময়।

- চোখ বন্ধ কর।
- কেনো?
- প্রশ্ন না করে যা বলছি তাই কর।

আদ্রিকা চোখ বন্ধ করে নিলো। বিস্ময় যখন চোখ খুলতে বললো, সামনের দিকে তাকিয়ে হতবাক আদ্রিকা। বিস্ময়ের ডান হাতের তালুতে একটি ছোট্ট কেক। কাপকেক নয় বরং একটা বার্থডে কেক। চকলেট ফ্লেভারের কেকটি সাইজে খুবই ছোট। যার উপরে ছোট একটি ক্যান্ডেল জ্বলছে। আদ্রিকাকে অবাক চোখে চেয়ে থাকতে দেখে বিস্ময় বললো,
- হা করে তাকিয়ে না থেকে ক্যান্ডেলে ফুঁ দে। তার আগে চোখ বন্ধ করে একটা উইশ কর।

নোলককন্যাWhere stories live. Discover now