নাদিয়ার হাতে টিকিট টা দিতেই ওর মুখটা আরও একটু গম্ভীর হয়ে উঠলো। আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি তোমার সিদ্ধান্ত বদলাবে না?
আমি যথা সম্ভব শান্ত কন্ঠে বললাম
-তুমি কি তোমার সিদ্ধান্ত বদলাচ্ছো? নিজে যেখানে তুমি নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছো না সেখানে আমি কেন বদলাবো?
নাদিয়া আরও অধৈর্য্য কন্ঠে বলল
-আমি কোন দিন আমার বাবা মা কে ছেড়ে ঈদ করি নি।
-তোমার কি মনে হয়, আমি করেছি? দেখো আমি সারাটা বছর বাইরে থাকি, বাবা মায়ের কাছে যাওয়া হয় না। ঈদের দুইটা দিন বাবা মায়ের সাথে কাটাতে চাই।
-আমিও তো তাই চাই।
-এই জন্যই তো বললাম। তুমি তোমার বাবা মায়ের সাথে কাটাও আর আমি আমার বাবা মায়ের সাথে। ব্যাস ঝামেলা শেষ।
-বিয়ের পর আমাদের প্রথম ঈদ। আলাদা আলাদা কাটালে লোকে কি বলবে।
-আমি ডোন্ট ফাকিং কেয়ার হোয়াট পিপল উইল সে। তোমাকে চয়েজ দিলাম। যদি আমার সাথে ঈদ করতে চাও তাহলে আমার সাথে চল। নয়তো কাল সকালে তোমার গাড়ি।
-কাজটা কিন্তু ভাল হল না।
-না হলে কিছু করার নেই।
আমি আর কথা বাড়ালাম না। এমনিতেও এই বিষয়টা নিয়ে কদিন থেকে নাদিয়া আর আমার ভেতরে কদিন থেকেই বেশ কটাকাটি হয়েছে। আমি খানিকটা ক্লান্ত আর বিরক্ত হয়েই এই কাজটা করেছি।
নাদিয়ার সাথে বিয়ে হয়েছে মাস ছয়ের মত।বউ হিসাবে নাদিয়া যে খারাপ আমি সেই কথা বলবো না। তবে ওর ভেতরে ডোমিনেটিং ভাব টা আমি বেশ ভাল করেই বুঝতে পারি। তবে আমি ব্যাপারটা গা করি নি। সংসারে প্রতিটা সিদ্ধান্ত তার মনে মত হওয়া চাই। নয়তো চলবে না। অশান্তি হবে ভেবে আমি কথা বাড়াই নি। কিন্তু যখন ও বলল এবার ঈদটা ও ওদের বাসায় কাটাতে চায় তখন কেন জানি মানতে পারলাম না। পরিস্কার করে বলে দিলাম যে ঈদ আমাদের বাসায় করতে হবে। প্রথমে ও একটু অবাক হয়েছিল যে আমি ওর কথা মত কাজ করছি না দেখে। কিন্তু ওর নিজের উপর ভরশা ছিল যে ও আমাকে রাজি করিয়ে ফেলবে কিন্তু যখন আমাকে রাজি করাতে পারলো না তখন ও আমাকে নানান ভাবে ব্ল্যাক মেইল করা শুরু করলো ।আমি আমার একটা কথাই ধরে রইলাম। শেষে ও রাগ করে বলল
YOU ARE READING
ভালবাসার অনু-গল্প সমগ্র
Romanceআমি সব সময় ভালবাসার গল্প লিখতেই পছন্দ করি । ছোট ছোট এক দুই দৃশ্যের গল্প গুলো পড়তে এবং লিখতে খুবই ভাল লাগে । এইখানে তেমন গল্প গুলোই পোস্ট হবে । প্রত্যেক পর্বে আসবে নতুন নতুন গল্প । ছোট ছোট ভালবাসার গল্প । যখনই লিখবো তখনই পোস্ট করা হবে ! ছোট ছোট গল্প...