-কি ব্যাপার তোমার শরীর খারাপ নাকি? অফিস যাবে না?
আমাকে চা হাতে বসার রুমে বসতে দেখে মীরা প্রশ্ন করলো। অন্যান্য দিন এই সময়ে আমার অফিস যাওয়ার তাড়া থাকে। আমি তাড়াহুড়া করি। অথচ আজকে আমি নিশ্চিন্তে বসে টিভি দেখা শুরু করতেছি।
আমি টুকুনকে খাওয়াতে খাওয়াতে বললাম
-না। তোমাকে সেদিন বললাম না! হয় তুমি চাকরি ছাড়বে নয়তো আমি! তুমি যেহেতু ছাড়বে না তাই আমিই গত সপ্তাহে চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। গতকাল ছিল আমার শেষ অফিস। এখন থেকে তুমি আর্ন করবে আর আমি ঘর সামলাবো। আর টুকুনকে দেখবো ।
এই কথা বলেই আমি হাসলাম। এমন একটা ভাব যেন খুব মজার কথা বলেছি। তারপর আবারও টুকুনের মুখ থেকে ফিডারটা সরিয়ে নিলাম । ও আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো । আমি মুখের উপর বিভিন্ন ভঙ্গি করে ওকে হাসাতে লাগলাম ।
মীরা আমার দিকে অবিশ্বাসের চোখে তাকিয়ে রইলো। বোঝার চেষ্টা করছে আমি সত্যি বলছি নাকি ওর সাথে ঠোট্টা করছি। যখন বুঝলো যে আমি ইয়ার্কি মারছি না তখন ও খানিকটা সময় কোন কথাই বলতে পারলো না।। আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-তুমি কি সিরিয়াস?
-আমাকে দেখে মনে হচ্ছে যে আমি ইয়ার্কি মারছি? দেখ এই নিয়ে আগেও তোমার সাথে আমি কথা বলেছি। আমাদের অফিসটা চট্টগ্রামে সিফট হয়ে যাচ্ছে । এখানে বলতে গেলে কিছু থাকবে না । আমাকে চাকরি করতে হলে সেখানে যেতে হবে । আর তোমার অফিস চট্টগ্রামে বদলি করা সম্ভব না ।
-বদলি করা সম্ভব না তো কি হয়েছে, কটা দিন তুমি ওখানে গিয়ে থাকতে পারবে না ? এতো ভাল একটা চাকরি তুমি ছেড়ে দিবে ?
আমি মীরার দিকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে বললাম
-আমার চাকরি আমার মেয়ের থেকে বড় নয় । আমি কোন ভাবেই আমার মেয়ের থেকে দুরে থাকতে পারবো না ।
-তাহলে এখানে ট্রাই কর কিছু !
-দেখি । এখানেই ট্রাই করছি আর যতদিন না পাই ততদিন ঘর সামলাচ্ছি আমি । তুমি বাইরেরটা সামলাও । আর এই সময়ে টুকুনের দেখা শুনা করা জরুরী । অন্তত কয়েক টা বছর ! ও যতদিন স্কুলে না ভর্তি হয়ে যাচ্ছে ।
YOU ARE READING
ভালবাসার অনু-গল্প সমগ্র
Romanceআমি সব সময় ভালবাসার গল্প লিখতেই পছন্দ করি । ছোট ছোট এক দুই দৃশ্যের গল্প গুলো পড়তে এবং লিখতে খুবই ভাল লাগে । এইখানে তেমন গল্প গুলোই পোস্ট হবে । প্রত্যেক পর্বে আসবে নতুন নতুন গল্প । ছোট ছোট ভালবাসার গল্প । যখনই লিখবো তখনই পোস্ট করা হবে ! ছোট ছোট গল্প...