ঐদিন তুরানীর সাথে কথা বলার পরেই আমি ওকে খানিকটা এড়িয়ে চলা শুরু করি। যদিও ঐদিনই প্রথম ওর সাথে আমার কথা হয়েছিল। তবে একই অফিসে চাকরি করার জন্য আমাদের দেখা হত প্রায়ই।
আমি এখন সেটাও কমানোর চেষ্টা করতে লাগলাম। সব সময় এই চেষ্টা করতে লাগলাম যাতে ওর সাথে আমার দেখা কমকম দেয়৷ ওকে কথা দিয়েছিলাম যে আমার কারনে ওকে মোটেই অস্বস্তিতে পড়তে হবে না। সেই চেষ্টাই করছিলাম।
কিন্তু তুরানী যখন নিজ থেকেই আমার সামনে এসে হাজির হল তখন আমি অবাক না হয়ে পারলাম না। লাঞ্চ আওয়ারের কিছু সময় আগে এসে আমাকে বলল
-কেমন আছেন অপু সাহেব?
আমি খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে বললাম,
-ভাল।
-আমি কেমন আছি জানতে চাইবেন না?
আমি তুরানীর আচরনে খানিকটা অবাকই হলাম বলা চলে। আমার সাথে তুরানীর সম্পর্ক এই রকম না। আমাকে পাত্তা দেওয়ার কোন কারন নেই ওর। আমরা একই অফিসে চাকরি করলেও আমার থেকে বেশ ভাল পজিশনে চাকরি করে ও। আমি সাধারন এইচ আরে চাকরি করি, অন্য দিকে সে বুয়েট থেকে পাশ করা আর্কিটেক্ট। আমাদের এই অফিস চলেই ওদের মত কয়েকজন আর্কিটেক্ট আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে। অফিসে ওদের ওদের দামই আলাদা। আমার কত ইমপ্লোয়িদের সাথে ওদের একটা দুরুত্ব সব সময় থাকে।
আমি বললাম, কেমন আছেন আপনি?
তুরানী বলল, ভাল নেই। আসলে একটু বিপদে পড়েছি। আপনার সাহায্য দরকার৷
আমি আরও খানিকটা অবাক হয়ে বললাম
-আমি?
-হুম। আপনি। হাতের কাজ শেষ হলে আসুন ক্যাফেটেরিয়াতে। এক সাথে লাঞ্চ করি।
আর কিছু না বলে তুরানী হাটা দিল। আমি আরও খানিকটা সময় অবাক হয়ে ওখানেই দাঁড়িয়ে রইলাম। তুরানীর আমাকে কি এমন দরকার হতে পারে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।
মাস আগে আমি তুরানীকে নিজের মনের কথাটা সাহস করে বলে ফেলেছি৷ ওকে যখন প্রথম দেখি তখন থেকেই পছন্দ করি। প্রথম প্রথম ভেবেছিলাম যে সাধারন ভাললাগা। দিন গেলেই কেটে যাবে। কিন্তু একটা সময় বুঝতে পারি যে ব্যাপারটা স্বাভাবিক না। আমি সত্যিই তুরানীর প্রেমে পড়েছি।
ESTÁS LEYENDO
ভালবাসার অনু-গল্প সমগ্র
Romanceআমি সব সময় ভালবাসার গল্প লিখতেই পছন্দ করি । ছোট ছোট এক দুই দৃশ্যের গল্প গুলো পড়তে এবং লিখতে খুবই ভাল লাগে । এইখানে তেমন গল্প গুলোই পোস্ট হবে । প্রত্যেক পর্বে আসবে নতুন নতুন গল্প । ছোট ছোট ভালবাসার গল্প । যখনই লিখবো তখনই পোস্ট করা হবে ! ছোট ছোট গল্প...