প্রাচীর প্রথম ভালবাসা

875 30 8
                                    

প্রাচীর খুব রাগ হচ্ছে । রীতিমত কষ্ট হচ্ছে ওর রাগ সামলাতে । চোখের সামনে যা আছে সব কিছু ভেঙ্গে ফেলতে ইচ্ছে করছে । রাগ বেশি উঠলেই ওর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় । তখন দম বন্ধ হয়ে আসে । ও যখন বুঝতে পারলো যে রাগটা ঐদিকেই যাচ্ছে তখন নিজেকে শান্ত করার সর্বাত্ত্বক চেষ্টা চালিয়ে গেল । কিন্তু কোন লাভ হল না । ও জানে একটু পরেই ওকে ইনহেলার নিতে হবে ঠিক মত নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য ।

প্রাচী চাচ্ছে না রাগটা সেদিকে যাক । কিন্তু চাইলেও সেটা নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না । বারবার মনে হচ্ছে যখন সব কিছু ঠিক হতে যাচ্ছিলো তখন কেন তার আবার যোগাযোগ করতে হবে ?

কেন হ্যালো বলতে হবে ?

কেন ?

কিছুটা সময় যে নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলো । এটা হচ্ছে ওর রাগ নিয়ন্ত্রনের একটা উপায় । কোন কিছু না করা । সব কিছুর উপর থেকে নিজে চিন্তা দুরে টেনে নিয়ে গিয়ে কেবল যে কারনে রাগটা হচ্ছে সেটা নিয়ে ভাবা । এবং রাগের পেছনের কারন গুলোর একটা যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দাড় কড়ানো । কিন্তু আজকে সেই কাজ করতে গিয়ে যেন হিতে বিপরীত হল । তার রাগ যেন আরও বাড়তে লাগলো ।

বারবার কেবল তার একটা কথাই মনে হচ্ছে । সে নিজে কেন তাকে নিয়ে এতো ভাবছে ? কেন ভাবছে ? রাগটা কি তার নিজের উপর নাকি ঐ মানুষটার উপর সেটাই ঠিক মত ধরতে পারছে না । একবার মনে হচ্ছে রাগটা ঐ মানুষটা উপর । এতোদিন পরে সে কেন আবার নক দিল আবার মনে হচ্ছে রাগটা হচ্ছে নিজের উপর । সে নিজেক কেন মানুষটা কে নিয়ে এতো ভাবছে । সে ভাবার মত কেউ না ।

তারপরই মনে হল আসলেই কি কেউ না ?

ফোন বাজছে অনেক সময় ধরে । প্রাচীর ধরতে ইচ্ছে করছে না । ও জানে ফোনটা কে করেছে । এই জন্যই ফোনটা ধরতে ইচ্ছে করছে না । কিন্তু এও জানে যে যত সময় ফোনটা ধরবে না তত সময়ে রাফান ফোন করেই যাবে । এই ছেলেটার মাঝে কেন এতো ধৈর্য্য কে জানে ? অবশ্য রাফানের ধৈর্য্য আছে বলেই ও এখনও প্রাচীর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে । অন্য কেউ হলে কবেই অন্য রাস্তায় চলে যেত ।

শেষে ফোনটা রিসিভই করলো । একটু কঠিন কন্ঠে বলল

-কি হল ? এতো বারবার ফোন কেন দিচ্ছো ? একদিন না বলেছি ফোন ধরলে দুইবারের মধ্যেই ধরবো । নয়তো ধরবো না । এতো বারবার ফোন দেওয়ার কি হল ?

ভালবাসার অনু-গল্প সমগ্রWhere stories live. Discover now