-ম্যাডাম আপনার বিয়ের ব্যাপারে কিছু বলুন...
নায়রা চৌধুরীর চেহারা দেখেই পুরো হল রুমে নিরবতা নেমে এল। আমি স্টেজের কাছেই বসে ছিলাম তাই তার চেহারাটা পরিস্কার দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার সাথে সাথে অনেকেই দেখতে সেটা দেখতে পাচ্ছিলো ।
দেশের ব্যবসায়ীদের সব থেকে বড় সংগঠনটা হচ্ছে এই সংগঠনটা। মোটামুটি বিশ পঁচিশটা বড় বড় বিজনেস ফার্ম দেশের এই পুরো ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রন করে। নিয়ন্ত্রন করে শেয়ার বাজারকেও। আর সেই সংগঠনের চেয়ারম্যান হচ্ছে নায়রা চৌধুরী। এতো কম বয়সী কেউ যে এমন একটা সংগঠনের চেয়ারম্যান হতে পারে সেটা কারো ধারনা ছিল না, তবে সে যে এই পদের যোগ্য গত এক বছরে সেটা খুব ভাল করেই বুঝিয়ে দিয়েছে। তার বাবার থেকেও ব্যবসাটা ভাল আর শক্ত হাতে এগিয়ে নিচ্ছে।
পুরো দেশের মানুষ তাকে চিনে। একজন ব্যবসায়ী হয়েও টিভি স্টারদের মত জনপ্রিয়তা তার। ফেসবুকে তার প্রোফাইলে প্রায় পাঁচ লক্ষ্যের উপর ফলোয়ার। সেখান থেকেই আমরা জানতে পেরেছি যে নায়রা চৌধুরী বিয়ে করেছে। কিন্তু কাকে বিয়ে করেছে সেই ব্যাপারে কিছুই বলে নি সে। আর আজকে এই সাংবাদিক এই প্রশ্ন করে বসলো।
নায়রা চৌধুরীর মুখ দেখেই বুঝতে পারছিলাম যে সে রেগে যাচ্ছে। তবুও নিজেকে খানিকটা নিয়ন্ত্রন করে বলল
-আমরা এখানে কথা বলছি দেশের ব্যবসায়ীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এটা একটা বিজনেস কনফারেন্স। এর আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করা কি যুক্তিযুক্ত?
সাংবাদিক এবার খানিকটা আমতা আমতা করে বলল
-না মানে আসলে আপনি বিয়ে করেছেন....
-তো? ওটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আপনাদের কি কাণ্ডজ্ঞান কোনদিনই হবে না?
তারপর কয়েক মুহুর্ত চুপ করে থেকে বলল
-এই সিকিউরিটি কে আছেন, এই ছাগলটাকে এখান থেকে বের করেন। আজকের যত ফুটেজ সে নিয়েছে সে গুলো সব সব ডিলিট করবেন, প্লাস এর পরের আমাদের আয়োজিত কোন অনুষ্ঠানে এই ছাগল কিংবা এই ছাগল যে মিডিয়া থেকে এসেছে সেই মিডিয়া যেন ঢুকতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
YOU ARE READING
ভালবাসার অনু-গল্প সমগ্র
Romanceআমি সব সময় ভালবাসার গল্প লিখতেই পছন্দ করি । ছোট ছোট এক দুই দৃশ্যের গল্প গুলো পড়তে এবং লিখতে খুবই ভাল লাগে । এইখানে তেমন গল্প গুলোই পোস্ট হবে । প্রত্যেক পর্বে আসবে নতুন নতুন গল্প । ছোট ছোট ভালবাসার গল্প । যখনই লিখবো তখনই পোস্ট করা হবে ! ছোট ছোট গল্প...