ঘটনা এদিকে চলে যাবে আমি ভাবতেই পারি নি । নীষা যখন লাইনটা বলল আমার সব কিছু একেবারে উল্টিয়ে গেল । কি ঠিক করে এসেছিলাম কি বলবো সব কিছু । অনুভব করতে পারছিলাম যে আমি রেগে যাচ্ছি । রেগে গেলে আমার মাথা ঠিক থাকে না । অনেক কিছু বলে ফেলতে পারি । নিজেকে খানিকটা শান্ত রাখা দরকার !
পরে মনে হল কি দরকার শান্ত থাকার ?
খানিকটা সময় স্থির হয়ে থাকা পানির গ্লাসের দিকে তাকিয়ে রইলাম । নীষা তখন কথা বলেই যাচ্ছে । কিন্তু ঠিক কি কথা বলছে আমার মাথাতে যাচ্ছে না । শেষে মাথাটা একটু শান্ত হলে আমি আবারও ওর কথা শুনতে পেলাম ।
-দেখুন আমি বলছি যে আমি আপনাকে পছন্দ করি না কিন্তু আপনার কিছু কিছু জিনিস আমার ভাল লাগে না । আপনার সাথে কথার সময় আপনি কখনই আমার কথা মন দিয়ে শুনেন না ?
-আমি মন দিয়ে শুনি না ?
-তাহলে আপনার মনে থাকে না কেন ? ঐ দিন আমি আমার এক কাজিনের কথা বলেছিলাম আপনি তার নামই মনে রাখেন নি । এটা কেমন লাগে বলুন ?
আমি অনুভব করলাম আমার রাগ উঠা আবার শুরু হয়েছে । নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা যথা সম্ভব চেষ্টা করে বললাম
-আপনি ছয়জন কাজিনের কথা আমাকে বলেছিলাম । এখন ছয় জনের হাজব্যান্ড কি করে কি খায় সেই জিনিসও আমাকে মনে রাখতে হবে ? মনে না থাকা মানে আমি আপনার কথা মন দিয়ে শুনছি না ?
-আমার কাজিনরা আপনার কাছে ইম্পর্টেন্ট না ?
নিজেকে আর সামলাতে পারলাম না না । বললাম
-না, তোমার কাজিন কিংবা তাদের হাজব্যান্ডরা কি করে কি খায় সেই বিষয়ে আমার বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই । আমার আগ্রহ তোমাকে নিয়ে । তোমার কাজিনেরা কি করে না করে সেটা মনে রাখার দরকার দেখি না ।
-সি, এখানেই পার্থক্য, রাকিব আর আপনার ভেতরে । ও আমাকে ইম্পর্টেন্স তো দেয় সেই সাথে আমার সব কিছুতেই ওর আগ্রহ । ওর আমার ব্যাপারে সব কিছু মনে থাকে সব সময় । সাপোজ আমি যদি ওকে এখন বলি ঐ তারিখে আমাদের ভেতরে কি কথা হয়েছে ও ঠিক ঠিক বলে দিবে ।
YOU ARE READING
ভালবাসার অনু-গল্প সমগ্র
Romanceআমি সব সময় ভালবাসার গল্প লিখতেই পছন্দ করি । ছোট ছোট এক দুই দৃশ্যের গল্প গুলো পড়তে এবং লিখতে খুবই ভাল লাগে । এইখানে তেমন গল্প গুলোই পোস্ট হবে । প্রত্যেক পর্বে আসবে নতুন নতুন গল্প । ছোট ছোট ভালবাসার গল্প । যখনই লিখবো তখনই পোস্ট করা হবে ! ছোট ছোট গল্প...