মুক্তি নেই

932 24 4
                                    

নোভার বাবা আমাকে কিছু বলতে গিয়েও যেন বলতে পারলো না । আমার কন্ঠে এমন একটা তীব্রতা ছিল যে উনি নিজেই খানিকটা ভড়কে গেছে । কেবল কি উনি ? আমি নিজেই আমার নিজের কন্ঠস্বর শুনে চমকে গেছি !

আমি আবারও নোভার বাবার দিকে তাকিয়ে বললাম, আপনার মেয়েকে ডাকুন ! সে আমার সামনে এসে বলুক যা আপনাদের বলেছে । যদি একবার আমার চোখের দিকে তাকিয়ে সে বলে যে হ্যা আমি তাকে শরীরে হাত দিয়েছি তাকে মলেস্টার করার চেষ্টা করেছি আমি নিজে পুলিশকে ফোন দিবো নিজের দোষ স্বীকার করবো ! ডাকুন ওকে !

নোভার মা কিছু বলতে যাচ্ছিলেন কিন্তু নোভার বাবার তাকে থামিয়ে দিল । তারপর তাকে বলল, নোভাকে ডাক দাও !

ভদ্রমহিলা কোন কথা না বলে ঘরের দিকে চলে গেল । আমি সেদিকে তাকিয়ে রইলাম !

গত কয়েক মাসে এই বাসাতে আমি কতবার এসেছি । কিন্তু আজকে সব কেমন যেন লাগছে । সব কিছু অপরিচিত মনে হচ্ছে ! আমি কোন দিন ভাবতেও আমার নামে কেউ কোন এই অভিযোগ করতে পারে ।

নোভাকে পড়ানোর শুরু করেছিলাম এই বছরের প্রায় প্রথম থেকেই । প্রথমে ঠিক ওর মনভাব আমি বুঝতে পারি নি । কিন্তু কদিন পরেই আমি বুঝতে পারলাম যে নোভা হচ্ছে চরম জেদি একটা মেয়ে । যা সে চায় সেটা যদি সে না পায় তাহলে তার মাথা খারাপ হয়ে যায় । অবশ্য অনেক দিন থেকেই আমি টিউশনী করিয়ে আসতেছি । তাই আমি ঠিকই জানি কার সাথে কেমন আচরন করতে হবে ।

সব কিছু ঠিকই চলছিল । কিন্তু মাঝের একদিন একটা কান্ড ঘটে গেল । সেদিন পড়াতে এসে দেখি নোভা খানিকটা স্কার্ট পরে পড়তে এসেছে । এবং স্কার্ট লং নয়, সর্ট স্কার্ট ! আমাদের দেশে এই স্কার্ট অনেকেই এখন পরে তবে তখন নিচে একটা লেগিংস জাতীয় কিছু একটা মেয়ে পরে । কিন্তু এই বদ মেয়ে কিছুই পরে নি । আমি কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলাম না ।

নোভারা সমাজের উচু শ্রেনীর বাসিন্দা । এখানে পোশাকের ব্যাপারে খুব স্বাধীনতা আছে । ওর পরিবার থেকেই যখন ছাড় দিয়ে রেখেছে তাই আমার এখানে কিছু বলার নেই । আমি নিজেকে সংযত করে পরাতে থাকলাম । তারপর থেকে মাঝে মধ্যেই ও এরকম পোশাক পরে পড়তে আসতো ।

ভালবাসার অনু-গল্প সমগ্রNơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ