আবির দাদিমার ছবিটার সামনে আরেকটু দাঁড়িয়ে হাতদুটো পিছনে নিয়ে হাটা শুরু করলো। ওর গাড়িটা সাজানো হয়েছে কিন্তু আবির তো কাউকে গাড়ি সাজাতে বলে নী! হয়তো বাবা সাজিয়েছে।আবির দেখলো গাড়িতে ওর ড্রাইভার বসা, ও ড্রাইভারকে নামিয়ে নিজে চালানো শুরু করলো।ও হর্ন দিলেই সামনের গাড়িগুলো স্টার্ট দিয়ে চলা শুরু করে তারপর আবির ও গাড়ি স্টার্ট করে চালানো শুরু করে ওর পিছনের গার্ডসদের গাড়িও চলা শুরু করলো। আবির একদমই আস্তে-ধিরে গাড়ি চালাচ্ছে, বিকেল বেলার হালকা রোদ আর স্নিগ্ধতামাখা বাতাস আবিরের হৃদয়ের মধ্যে অনুভুতির সৃষ্টি করছে। আবির এক হাতে স্টেয়ারিং ধরে আরেকহাত দরজায় এলিয়ে মাথার চুলে হাত বুলাচ্ছিলো বেশ অদ্ভুত একধরনের অনুভুতি কাজ করছে আবিরের।একটু পরে আবিরের গাড়িটা ঠিক হিমদ্রিদের বাড়ির সামনে আসলো, আবির নিজেই দরজা খুললে নিচে নামলো। জয় আঙ্কেলের বাড়িতে আবির বেশ কয়েকবার এসেছে। আজ বাড়িটা হালকাভাবে সাজানো হয়েছে কারন আবির ই বলেছিলো ও বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি আর সাধা-মাটা ভাবে সম্পন্ন করতে চায়। আবির নামার পরেই জামিল এসে ওর মাথায় টুপি পড়িয়ে দেয় আবির ভেতরের দিকে হাটা শুরু করে বেশি কিছু অল্পবয়সী কিশোরি আবিরকে উল্লেখ করে গোলাপের পাপড়ি নিক্ষেপ করে। আবির হালকা মুচকি হেসে ভেতরে চলে যায়। ভেতরে যাবার সাথে সাথে জয় আঙ্কেল আর তার স্ত্রী এসে আবিরের সাথে হাসিমুখে কুষলবিনিময় করে আবিরকে নিয়ে চেয়ারে বসায়। তারপর আর আবির তেমন কিছু নিয়ে ভাবে নিয়ে শুধু ও ভাবতে থাকে বিয়ের পরে কীভাবে স্বাভাবিক ভাবে সবটা গুছিয়ে নিবে।এগুলো ভাবতে ভাবতেই কাজি চলে আসে। একটু পরে হিমাদ্রি তার মায়ের সাথে সিড়ি দিয়ে নিচে নামে আবির হিমাদ্রির দিকে একপলক দিয়ে পলক সড়াতে যাচ্ছিলো কিন্তু আবার তাকালো হিমাদ্রির দিকে যেনো কোনো অপ্সরা দেখছে আবির। বেশ মায়াভরা একটা মুখ, যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটা ফর্সা। আবির ঘোরে চলে যাচ্ছিলো তখন আবিরের বাবা বলে উঠে এইতো আমার বৌমা চলে আসছে কাজি সাহেব শুরু করুন। আবির নিজেকে স্বাভাবিক করে নিচের দিকে তাকালো।হিমাদ্রি এসে আবিরের পাশে বসতেই আবির হালকা একটু মিষ্টি গন্ধ পেলো, আবির বুঝে নিলো এটা হিমাদ্রির গায়ের লেপন ঘ্রান। কাজি সাহেব শুরু করলো একটু পরে আবিরের দিকে উদ্দেশ্য করে বললো, _"বলো বাবা কবুল"_! আবির খানিক মূহুর্ত সময় নিয়ে মুচকি হেসে বললো কবুল! আবিরের মা-বাবার চোখে আনন্দ অশ্রু ছিলো কথাটা শুনে। তারপর হিমাদ্রি কে বলা হলো বলো মা কবুল! হিমাদ্রির কন্ঠ্যে প্রথম বাক্য শুনে আবির। আর সে বাক্যটা আবিরকে জানিয়ে দেয় আজ থেকে হিমাদ্রি তার।হিমাদ্রি কোমল কন্ঠে বলে ওঠে কবুল!তারপর কাজি সাহেব বলেন আজ থেকে তোমরা স্বামি-স্ত্রি!শুভ হোক তোমাদের দাম্পত্য জীবন! কথাগুলো বলে কাজিসাহেব আবিরের বাবার কাছ থেকে অনুমুতি নিয়ে চলে যায়। তারপর আশফাক চৌধুরি তার প্রিয়বন্ধু জয়ের দিকে বেয়াইসাহেব বলে হাত বাড়িয়ে দেয়। তারপর কোলা-কুলি করে বলে আমি বাড়ি যাচ্ছি ওদিকে একটু কাজ আছে। তারপর আবিরকে বলে তুই বৌমাকে নিয়ে আয় এদিকের সব রিচুয়াল শেষ করে আমি আর তোর মা যাচ্ছি। আবির বলে আচ্ছা! ওনারা যেতেই, জয় আর তার বউ ও চলে যায় আত্মীয়দের সাথে কুষলবিনিময় এর জন্য! আবির আর হিমাদ্রি এক বসে আছে। আবির ভাবতেসে কোনো কথা বলবে নাকি!তারপর আবার ভাবলো না কী কথা বলবো। আবির ভাবতে থাকে ও কী একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে লজ্বা পাচ্ছে?কই আবির তো আগে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করতো না। এর মধ্যেই আবির আর হিমাদ্রিকে অভিনন্দন জানানোর জন্য কিছু মানুষ আসে। আবির তাদের সাথে হাসিমুখে কথা বলে। তারপর জয় আঙ্কেল আবির সামনে এসে একটা টুল টেনে বসে বলে। আবির বাবা আমার মেয়েটাকে দেখো রেখো কখনো অযত্ন করি নী ওর। আবির জয় সাহেবের হাত ধরে বলে আঙ্কেল আপনি নিশ্চিত থাকুন ওর আমার কাছে কোনো অসুবিধা হবে না!
চলবে!
#thetanvirtuhin
STAI LEGGENDO
ভালোবাসার নীড়
Storie d'amoreউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...