ছেলেকে এমন প্রানবন্ত দেখে আসলেই সে কৃতজ্ঞ হিমাদ্রির কাছে। সে কৃতজ্ঞ তার মায়ের কাছে, তার মা যাবার আগে তার ছেলের সুস্থ জীবনের উপায় বলে গেছে। তার মায়ের সিদ্ধান্ত একদম নিখুত এবং নির্ভুল ছিলো।আবিরের জীবনসঙ্গিনী হিসেবে হিমাদ্রির আসলেই তুলনা হয় না!
হিমাদ্রি বলছে নিচে যেয়ে যা বাজার লাগবে তা জানবে। তারপরে সেগুলো বাজার থেকে নিয়ে আসবে। আবির হা করে কথা শুনছিলো, কী বলছে ও? আমি বাজারের পাশ দিয়ে আমার গাড়িও নেই না। আর আজ আমি বাজারে যাবো তাও সাংসারিক বাজার করতে? মিডিয়ার কেউ যদি জানতে পারে,আমায় তো ধুয়ে দিবে একদম। বলবে বিয়ের পরে আর আমার ড্যাম কেয়ার এটিটিউড নেই ব্লা ব্লা ব্লা।না কিছুতেই বাজারে যাওয়া যাবে না, কিছুতেই না।
এতো ভাবনা কীসের? কোনো অযুহাত শুনবো না। তুমি যা ভাবছো আমি জানি। এই যে কোনোদিন বাজারে যাও নি। আমিও রান্না করি নী কোনোদিন। তুমি আজ বাজার করবে আর আমি রান্না করবো দ্যাটস ইট!
' এই হিমাদ্রি শোনো না, তুমি যেটা বলছো এটা একদম ই পসিবল না। আমি তোমাকে একটা না ঠিক তিনটা সমস্যা বলছি। প্রথমত আমি বাজারে গেছি বাজার করতে এটা প্রেস জানলে, আমায় ধুয়ে ফেলবে।দিত্বীয়ত, আমি গার্ড ছাড়া বাজারে যেতে পারবো না আমার সাথে গার্ডস আর গাড়িবহর যাবে, তো ভাবো ঐ ছোট বাজারে যদি আমি ৮ টা গাড়ি আর ৩০ টা গার্ড নিয়ে ঢুকি। তাহলে মানুষজন সব প্যানিক হবে না? এবার সর্বশেষ সমস্যা যেটাতে তোমারও সমস্যা হবে, আমি বাজারে গেলে ফ্রেশ কিছুই আনতে পারবো না। কারন আমার কোজো এক্সপেরিয়েন্স ই নেই। এতে তোমার রান্নাও হবে না।তাই বলছি, আমায় বাজারে যেতে বইলো না'
তুমি বাজারে যাবা, ব্যাস সেস।
একটু বোঝো,হিমাদ্রি।আবির হিমাদ্রিকে বোঝাচ্ছিলো। এমন সময় আবিরের পিএ এলিন আসলো। দরজায় টোকা দিয়ে বললো, মে আই কাম ইন স্যার? আবির একটু হকচকিয়ে উঠলো। এলিন আজ বাসায়? ওতো বাসায় আসে না! হ্যা এলিন এসো। হিমাদ্রি একটু ফিশী লুক দিচ্ছে ওদের দিকে।এই নাকি উনি মেয়েদের দিকে তাকায় না? ছয়বছর ধরে ইলিজেবল ব্যাচেলর উনি,আর পকেটে সুন্দরী পিএ নিয়ে ঘুরছে! আবার পিএ বাসায় আসে।সোজা বেডরুমে আসে,বাহ বাহ! হিমাদ্রি হাত দুটে সামনে এনে দাড়িয়ে এসব মনে মনে আওড়াচ্ছিলো।হঠাৎ ই এলিন হিমাদ্রির দিকে উদ্দেশ্য করে বললো,হ্যালো ম্যাম। কেমন আছেন? যদিও হিমাদ্রির হাসি আসতে চাচ্ছিলো না তবুও বহু কষ্টে একটু হেসে জবাব দিলো, হ্যা ভালো তুমি? ভালো আছি মানে? আপনি জানেন না ম্যাম আমি প্রথম বসের বাড়িতে আসছি। আর সেটা আপনার জাদুর কারনে! আবির হিমাদ্রি একসাথে আহাম্মক। এই জাদুর ফর্মুলা এলিন জানলো কীভাবে? আসলে ম্যাম আমি একটু আগে ল্যান্ডলাইনে ফোন দিয়েছিলাম। বসের ফোনে ফোন দেইনি কারন আমি মনে করেছিলাম, বস প্রতিদিন এর মতো আজও ঘুমাচ্ছে। কিন্তু আঙ্কেল আমায় যা যা বললো,আমি আর জামিল শুনে তো পুরাই থ! আজ বস ১০ টার আগে ঘুম থেকে উঠসে যেখানে বস ১২ টার আগে চোখ খুলে না।আবার আজ নাকি বস বাজারেও যাবে এসব অসম্ভব কাজ জাদু ছাড়া সম্ভব না ম্যাম।
YOU ARE READING
ভালোবাসার নীড়
Romanceউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...