ভালোবাসার নীড় : ১৫

60 4 0
                                    

আবির চোখ খুলেই বেশ মাথা ধরা অনুভব করলো। মাথাটা বেশ ভার হয়ে আছে। চুপ-চাপ বসে চোখ বন্ধ করে একটু স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছে আবির। হিমাদ্রি বারান্দায় এক ধ্যানে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে। হঠাৎ ই কী মনে করে পিছনে তাকাতেই দেখলো আবির মাথা ধরে বসে আছে!

হিমাদ্রি চটজলদি আবিরের কাছে গেলো।

' মাথা বেশি ব্যাথা করছে আবির? '
আবির মাথা উঠিয়ে হিমাদ্রিকে বললো
' না তেমন কিছু না, ওই ড্রয়ারে ট্যাবলেট এর পাতা আছে একটা দাও তো!'
- কিন্তু আবির তুমি দুপুরে খাও নী,আর সেই সকালে নাস্তা করছো। এভাবে ঔষধ খাওয়া যাবে না তো বরং তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসছি।
- আমার অভ্যেস আছে খালিপেটে ঔষধ নেবার, দাও।
হিমাদ্রি আর কিছুই বললো না উঠে একটা ট্যাবলেট নিয়ে। ট্যাবলেট আর পানির গ্লাসটা আবিরের দিকে এগিয়ে দিলো। আবির ঔষধ নেবার পরে আবার শুয়ে কিছুক্ষন চোখ বন্ধ করে রইল। আর হিমাদ্রি স্থির হয়ে বসে আছে!

কিছুক্ষন পর আবির উঠে বসলো। এখন একটু স্বাভাবিক লাগছে তার কাছে। হিমাদ্রির দিকে তাকাতেই হিমাদ্রি শুকনো মুখে একটা হাসি দিলো, দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে আবিরের কাজে ও বেশ ব্যাথিত হয়েছে। আবিরের খুব অপরাধবোধ হচ্ছে।অনুতপ্ত আবির!

- হিমাদ্রি, আসলে আমার মাথার ঠিক ছিলো না। আমি জানি আমার কাজটা একদমই ঠিক হয় নী। কিন্তু,বিশ্বাস করো আমি চাই নী তোমাকে এভাবে হার্ট করতে। আমি সব ছেরে দেবো। শুধু আমায় একটু সময় দাও প্লিজ!

- হুম,আচ্ছা!

আবির বুঝতে পারলো যে তার এ অপরাধের ক্ষমা সে পায় নী। কোন মেয়েই বা তার স্বামিকে ক্ষমা করবে এমন করলে? মাত্র বিয়ে হলো একটা রাত হলো তার মধ্যেই আমি পুরো একটা বেলা ড্রাগ নিয়ে বেহুশ ছিলাম!
নিজের প্রতি প্রচুর রাগ হচ্ছে আবিরের।

- খেয়েছো?
- না!
- এখোনো খাওনি কেনো?
- তুমি খাওনি তাই!
- আমার জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিলো না। খেয়ে নেওয়া উচিৎ ছিলো তোমার। দাড়াও আমি ফ্রেশ হয়ে আসি তারপর খেতে যাবো। বলেই আবির উঠে বাথরুমে চলে গেলো।

ভালোবাসার নীড়Onde histórias criam vida. Descubra agora