কেটে গেছে দীর্ঘ ৫ বছর।
হিমাদ্রি-আর আবিরের এখন একটা ছেলে আছে। নাম " আবরার ইশতিয়াক শিশির চৌধুরি "। কাল শিশিরকে স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য স্কুলে নিয়ে যাবে। এসব নিয়ে প্ল্যানিং করে রাতে ঘুমিয়ে গেলো আবির আর হিমাদ্রি। মাঝখানে শিশির শোয়া।শিশিরের বুকে আবির আর হিমাদ্রির হাত রাখা। একে অপরের হাত ধরে আছে। সকালে সাতটার দিকে শিশিরের ঘুম ভাঙে। শিশির খুব দুষ্টু প্রকৃতির। ঘুম থেকে উঠেই আবিরের বুকের উপরে উঠে বসে পড়ে।তারপর আবিরের নাকে চাও দেওয়া থেকে শুরু করে, কান টান দেওয়া সব কিছু করে।
- " বাবাই, এই বাবাই উথো না। আমি ইত্তুলে দাবো না "
শিশিরের বয়স এই তিন কিংবা সাড়ে তিন বছর হবে। কথা এখনও স্পষ্ট না। শিশির এই পুরো ভুবনে একটা মানুষকেও ভয় পায় না শুধুমাত্র তার মা "হিমাদ্রি চৌধুরিকে" ছাড়া। কিন্তু তার দুষ্টামি থেকে হিমাদ্রিও রেহাই পায় না। বাবাই উঠছে না দেখে সে তার আম্মুই এর কাছে গেলো। আবির হিমাদ্রিকে "হিমুই" বলে ডাকে তাই শিশিরও "আম্মুই" বলে ডাকে।- " এই আম্মুই, উত্তেতনা কেনো? আদকে না আমার ইত্তুলে দাবো? "
হিমাদ্রি শিশিরকে কাছে টেনে চুমু খেয়ে বললো, " হ্যা আব্বু যাবো তো। এখন একটু ঘুমু ঘুমু করে নাও। একটু পরে উঠবো। "- " না আমার ধুমু ধুমু আত্তেতে না। "
- " না আসলে বাবাইকে উঠাও, তারপর আমি উঠবো। আমার অনেক ঘুমু ঘুমু আসতেসে। "
- " বাবাই উতে গেলে তুমি উতে দাবা তো? "
- " হুম উঠবো!"এবার শিশির গিয়ে ডাকা শুরু করলো।
- "বাবাই উতো না। এই বাবাই, বাবাই, বাবাই। "
আবির চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলো।
- " কী হইসে চ্যাম্প? " ( আবির শিশিরকে আদর করে চ্যাম্প ডাকে)
- " আমায় নিয়ে না আত্তে ইত্তুলে দাবা। উতো ইত্তুলে দাবো।"
- " আম্মুই, বাবাই উত্তে তো। এবার তুমি উতো। "আবির উঠে গিয়ে শিশিরকে কোলে তুলে নিয়ে বললো," ইত্তুল এখনো খুলে নাই,ইত্তুলে আরো পরে যাবো।"
- "হিমুই তুমি কখন উঠবা?"
- " সাড়ে আটটা নাগাদ উঠিয়ে দিও।"আবির আচ্ছা বলেই হিমাদ্রির কপালে চুমু দিলো। শিশিরও বললো, " বাবাই আমিও আম্মুইকে তুম্মি দিবো। আমায় নিতে নামাও। " আবির শিশিরিকে নিচে নামাতেই শিশির হিমাদ্রির গালে চুমু দিলো। হিমাদ্রিও মাথা উঠিয়ে শিশিরকে চুমু খেলো। তারপর আবিরকে বললো, " ওকে ব্রাশ তুমি করিয়ে দিও। ও ব্রাশ করে না ঠিক মতো। পেষ্ট নাকি তিতা লাগে পাজিটার কাছে! " শিশির আবিরের কোলে উঠে গিয়ে বললো " আম্মুই তুমি পাদি, বাবাই তলো তলো আম্মুই মাত্যে আতবে! "
ŞİMDİ OKUDUĞUN
ভালোবাসার নীড়
Romantizmউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...