সকাল প্রায় সাড়ে নয়টা বাজে। আবির হিমাদ্রি ঘুমাচ্ছিল।
আবিরের ফোনে ফোন আসা শুরু হয়। টানা ৩ বার রিং হবার পরে ফোন রিসিভ করে আবির। স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়েই ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে " হ্যালো, হু ইজ দিস? আবির স্পিকিং "। ওপাশ থেকে অস্থির আর অসহায় স্বরে উত্তর আসে " স্যার আমি এলিন "। আবির ফোনটা কান থেকে নামিয়ে স্ক্রিনে নামটা আর সময়টা দেখে নেয়।
- কী ব্যাপার এলিন? মাত্র সাড়ে নয়টা বাজতেছে, কোথায় তুমি? কন্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেনো?
- স্যার যা বলার জন্য আপনাকে ফোন দিয়েছি তা বলার সাহস আমার নেই। ইভেন পুরো " গ্রে লিমিটেড " এর কারো নেই।
- ঘুম ভেঙে, কী নাটক শুরু করলা?
- স্যার প্লিয উঠে একটু নিউজ চ্যানেল গুলো দেখেন!আবির এবার বেশ চিন্তায় পড়ে গেলো। নিউজ চ্যানেল দেখতে বলছে কেনো? এর মধ্যেই ফোনের ওপাশ থেকে আওয়াজ আসে,
- স্যার আমরা সারারাত চেষ্টা করেছি। আপনার মতো ভেবে সব এসেন্সিয়াল ফর্মুলা এপ্লাই করার চেষ্টা করেছি। সারাটারাত পুরো স্ট্যাফ অফিসেই ছিলো।কিন্তু আমরা পারি নী স্যার!
- হোয়াট? সবাই অফিসে মানে? ব্লাডি ড্যাম,ক্যান ইউ প্লিজ টেল মী হোয়াট একচুয়ালি হ্যাপেনড!
ইলিনের কন্ঠ আরো ভয়ার্ত হয়ে গেলো।
- স্যার প্লিয আমায় জোর করবেন না। আপনি নিউজচ্যানেলগুলো ঘুরলেই বুঝে যাবেন। সব চ্যানেল এর ব্রেকিং ব্রডকাস্ট হচ্ছে।
- ওকে হোল্ড!এতোক্ষন আবিরের চিল্লাচিল্লিতে হিমাদ্রির ঘুম ভেঙে গেছে। কিন্তু, হিমাদ্রি এখনো আবিরের বুকেই মাথা রেখে আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে। আর এক হাত দিয়ে আবিরে টি-শার্ট খামচে ধরা। আবির উঠতে যাবে তখনই হিমাদ্রির দিকে লক্ষ্য করলো,
- গুড মর্নিং হিমাদ্রি!
হিমাদ্রি উঠে বসে আড়মোড়া ভেঙে বললো,
- মর্নিং গুড কীভাবে হয় এতো চিল্লাচিল্লি করলে।
আবির রিমোর্ট নিতে নিতেই বললো,
- আরে এলিন ছিলো, টিভি ছেড়ে কী খবর দেখতে বলতেছে। ঘুমটার সর্বনাশ করে দিলো!
- ওহ,তা দেখো না। ইম্পর্ট্যান্ট কিছুই হবে নিশ্চই!আবির টিভি অন করে খবরের চ্যানেলে দিতেই দেখতে পেলো। ব্রেকিং ব্রডকাস্টে দেখানো হচ্ছে,
" গত তিনবছর ধরে কর্পোরেট বিজনেসে শীর্ষে থাকা আবরার আবিরের কোম্পানি দ্যা গ্রে লিমিটেড কিছু কর্পোরেট শেয়ার এর ভ্যালু হারিয়ে এখন দিত্বিয় অবস্থানে অবস্থান করছে। বর্তমানে দেশের কর্পোরেট বিজনেসে শীর্ষে অবস্থান করছে ইউনাইটেড মাল্টিন্যাশনালস! "
ŞİMDİ OKUDUĞUN
ভালোবাসার নীড়
Romantizmউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...