ভোর পাচটা বাজে। আবিরের ফোনের এলার্ম বেজে উঠলো। আবির যতই ঘুমকাতুরে হোক না কেনো ওর কান সজাগ। আবির চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসে এলার্ম বন্ধ করলো। হিমাদ্রির দিকে তাকিয়ে দেখলো হিমাদ্রি ঘুমোচ্ছে। আবির গিয়ে জানালা খুলে দেখলো এখনও অন্ধকার আর বাইরে থেকে বেশ ঠান্ডা হাওয়া আসছে ভেতরে। আবির দেরি না করে সুটকেস খুলে আবির আর হিম্মাদ্রির জ্যাকেট বের করে নিলো। লাগেজগুলো এখনো আনপ্যাক করা হয় নী। আবির জ্যাকেটদুটো খাটের উপরে রেখে বাথরুমে চলে গেলো ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে এসে নিজের জ্যাকেটটা গায়ে জড়িয়ে নিলো। তারপর খেয়াল হলো যে এই খালি জ্যাকেটে বাইরে যাওয়া যাবে না। কানটুপি আর হাতমোজাগুলো বের করে নিলো। আবির এই যায়গাটার সাথে একদম পরিচিত। কারন গত ছয়বছরে ধরতে গেলে পুরো দের বছরের মতোই ও ক্যালিফোর্নিয়া ছিলো। এযায়গাটা ওর কাছে সবচেয়ে পছন্দের। আবির গায়ে জ্যাকেট জড়িয়ে, মাথায় কানটুপি পড়ে,হাতমোজা পড়ে একটা মাফলার গলায় জড়িয়ে নিলো। তারপর গিয়ে হিমাদ্রিকে ডাকা শুরু করলো। এই ঠান্ডায় হিমাদ্রির আরো ঘুমাতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু আবিরের ডাক-ডাকির তাড়নায় আর পেড়ে উঠলো না। চোখ ডলতে ডলতে উঠে বসলো। আবিরও খাটের পাশে বসা ছিলো।হিমাদ্রি উঠেই আবিরের বুকে ঢলে বসলো। হিমাদ্রি ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললো!
- " এতো সকাল বেলা উঠেগেছো কেনো? "
- " তোমায় একটা জিনিস দেখাবো বলে। তাড়াতাড়ি উঠে ফ্রেশ হয়ে নাও হিমুই। হারি আপ "আবির হিমাদ্রিকে আজ হিমাদ্রি না বরং "হিমুই" বলে ডেকেছে। নামটা হিমাদ্রির বেশ পছন্দ হয়েছে কিন্তু আবির হঠাৎ এ নামে ডাকলো কেনো? হিমাদ্রি জিজ্ঞেস করতে যাবে তার আগেই আবির হিমাদ্রিকে কোলে করে নিয়ে বাথরুমে নামিয়ে দিয়ে বললো!
- "তোমার কাছে ৫ মিনিট আছে আর্লি করো।নাহয় মিস করে যাবা!"
হিমাদ্রি ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে নিলো। আবির আর হিমাদ্রি এখন লিফটে। হিমাদ্রি বার বার জিজ্ঞেস করছে যে এই শীতে, এতো সকালে কই যাচ্ছে? আবির বললো!
- " চুপ-চাপ চলো, এটা সারপ্রাইজ! "হিমাদ্রি আর কিছু বললো না। কিন্তু চরম মাত্রায় এক্সাইটেড হয়ে আছে কোথায় যাচ্ছে সেটা নিয়ে। হোটেলের বাইরে বেরোতেই দেখলো। মাঝবয়সি একটা মানুষ জ্যাকেটে পুরো প্যাকেট হয়ে একটা এন্টিক গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে। গাড়িটা অনেক পুরোনো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু মডিফাইড করায় বেশ সুন্দর লাগছে। আবির গাড়িটার সামনে যেতেই হিমাদ্রি অবাক হয়ে গেলো। কারন লোকটা আবিরকে গাড়ির চাবি দিয়ে দিলো। আবির লোকটাকে উদ্দেশ্য করে বলছে।
YOU ARE READING
ভালোবাসার নীড়
Romanceউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...