ভালোবাসার নীড় : ১৮

65 4 0
                                    

বেলা ১২ টার মতো বাজছে। হিমাদ্রি কিচেনে শিরিন চৌধুরির সাথে রান্নায় ব্যাস্ত আর আবির ওদিকে মার্কেট শেয়ার এনালাইসিস এ ব্যাস্ত। হিমাদ্রি খুব খোশমেজাজে রান্না শিখে নিচ্ছে তার শাশুড়ির কাছ থেকে আর জেনেও নিচ্ছে যে আবিরের পছন্দের তরকারি পদ কোনগুলো।

ঘড়ির কাটা ২ টার কাছা-কাছি। হিমাদ্রি তার শশুর-শাশুড়িকে খাইয়ে ডাইনিং টেবিলেই আবিরের জন্য অপেক্ষা করছে। এমন সময় হিমাদ্রির ফোন বেজে উঠলো স্ক্রিনে "লাইফলাইন" লেখা উঠলো। তারমানে আবির ফোন দিয়েছে। হিমাদ্রি ফোন রিসিভ করে কানের কাছে নিতেই
" হ্যালো,হিমাদ্রি! "
" হুম "
" দুপুরে খেয়েছো? "
" না আমি ওয়েট করে আছি, তুমি আসলে একসাথে খাবো! "

আবির আসলে ফোন করেছিলো এটা বলতে যে ও এখন আসতে পারবেনা একেবারে রাতে আসবে।কারন অফিসে কাজ আছে। কিন্তু হিমাদ্রির কথা শুনে আর সেটা বললো না।

" আবির,তুমি কী আসবেনা? "
" এইতো আমি রাস্তায়, আসছি! "
" কই গাড়ির আওয়াজ পাচ্ছি না তো!"
আবির কিছুটা রসিকতা করে বললো আমি কী হকারি করতেসি যে তুমি গাড়ির আওয়াজ পাবে? আরে গাড়ির আওয়াজ পাচ্ছো না কারন গাড়ির কাচ তোলা!

" তা হকার সাহেব আপনার আর কতক্ষন লাগবে? আমার প্রচুর ক্ষুধা লাগছে! "

" তুমি সব বেড়ে নাও আমি আসছি, টাটা "

আবির দ্রুত গতিতে লিফটের দিকে আগালো। লিফটে উঠেই জামিলকে ফোন করলো," হ্যালো জামিল গাড়ি স্ট্যার্ট করো বাসায় যেতে হবে! "
ওপাশ থেকে জামিল বললো স্যার আর্জেন্ট কিছু? কারন জামিলের ধারনা আবির অফিসের এই কন্ডিশনে কিছুতেই রাতের আগে বাসায় ফিরবে না কিন্তু এখন বলছে গাড়ি স্ট্যার্ট করতে।কথা বলতে বলতে আবির নিচে চলে এসেছে। নিচে নামতেই ফোন পকেটে ঢুকিয়ে বললো " খুব আর্জেন্ট, জলদি গিয়ে জলদি আসতে হবে। হারি আপ!"

প্রায় ১৫ মিনিট পরে আবির বাড়ি এলো। এসেই দেখতে পেলো হিমাদ্রি ডাইনিং টেবিলে বসে মোবাইল ঘাটছদ।একটা পেষ্ট কালারের থ্রি-পিচ পড়া, চুলগুলো খোলা, ডান হাতে মোবাইল ঘাটছে, আর বাপ হাতটা ঠোটের কোনায় ঠেকানো দেখে মনে হচ্ছে যেনো মোবাইল ঘাটছে না বরং কী রাজকার্য যেনো করছে। আবির চোখ ফেরাতেই পারছিলো না কেনো যেনো পেষ্ট কালারটা এতো মানিয়েছে হিমাদ্রির সাথে যা বলার বাহিরে!

ভালোবাসার নীড়Where stories live. Discover now