হিমাদ্রি আবিরের হাতটা জড়িয়ে ধরে কাধে মাথা রাখে জানালা দিয়ে বাইরে মেঘ দেখছে। ওরা এখন প্লেনে। ক্যালিফোর্নিয়া যাচ্ছে হানিমুনে। হিমাদ্রি নিরবতা ভেঙে বলে উঠলো।
- " দেশে ফিরে আমায় তোমার সাথে অফিস জয়েন করতে দিবা আবির প্লিয!"
- " তুমি অফিস জয়েন করে কী করবে?"
- " বাসায় একদম একঘেয়ে লাগে।না তোমার সমস্যা থাকলে আমি যাবো না। থাক!"
- " তুমি কোম্পানির একজন ম্যানেজিং ডিরেক্টর এখানে সমস্যা কেনো থাকবে? "হিমাদ্রি আর কিছু বললো না। হিমাদ্রি বাইরে মেঘ দেখছে আর আবির হিমাদ্রিকে দেখছে। মাত্র কয়েকটাদিনে ওর জীবনে কী আমুল পরিবর্তনটাই না ঘটিয়ে দিলো মেয়েটা। এই পরিবর্তনটার জন্যই আবিরের আত্মাটা কাতরাচ্ছিলো। সেটা হয়তো আবিরও বুঝতে পারে নী।
ওরা আমেরিকার এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করেছে। তেমন গার্ড বা স্কট ওদের সাথে আসে নী। কিন্তু আমেরিকান একটা সিকিউরিটি এজেন্সির থেকে কিছু বডিগার্ড আর আমেরিকান পুলিশ আবিরদের হোটেল অবধি নিয়ে গেলো। হিমাদ্রির একদমই ভালো লাগছিলো না এসব। তাই আর দ্বিধা না রেখে আবিরকে বলেই দিলো।
- "আবির, এখানে যতদিন আছি। প্লিয আমরা নিজেদের মতো করে সময় কাটাই এই বডিগার্ড আর স্কট ছাড়া!"
- " কিন্তু হিম.."
- " প্লিয আবির, আমার ভালো লাগছে না এসব। আমি শুধু তোমার সাথেই ঘুরতে চাই! "
- " আচ্ছা ঠিক আছে! "আবির সব গার্ডস আর পুলিশদের বলে দিলো যে ওর এখন সিকিউরিটি-র প্রয়োজন নেই। ও ওর স্ত্রীর সাথে কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ট করতে চায়। কোনো সমস্যা হলে ও ইনফর্ম করে দেবে। হিমাদ্রি মুচকি হেসে বললো " থ্যাংকস আ লট! "
ওরা রিসেপশনের ফর্মালিটি সেরে রুমে চলে এলো। আবির বসে বসে ফোন টিপছিলো। রুমে দুটো এটাচড বাথরুম থাকায় দুজন দুটোয় ঢুকে গেছিলো ফ্রেশ হবার জন্য। আবির আগে বেরিয়ে ফোন টিপছে। হিমাদ্রি এসে পাশে দাড়ালো। আবির হিমাদ্রির দিকে তাকাতেই ঘোর লাগা শুরু হলো। হিমাদ্রি একটা টি-শার্ট আর একটা ব্ল্যাক ট্রাউজার পরেছে। চুলগুলোতে মনে হয় পানি লাগিয়েছে হালকা সেগুলো সামনে বুকের উপরে ফালানো। মুখের পানি এখনো মোছেনী হিমাদ্রি। মনে হয় ভুলে টাওয়েল ছাড়া ফ্রেশ হতে ঢুকেছিলো। মুখের পানিগুলো ফোটা আকারে হিমাদ্রির নাক বেয়ে ঠোট হয়ে গলায় নামছে। আবির একদম সিমেন্টের পিলার এর মতো সোজা হয়ে হিমাদ্রির দিকে তাকিয়ে আছে। আবিরের এমন তাকিয়ে থাকা দেখে হিমাদ্রির লজ্বায় মরে যেতে ইচ্ছা করছে। একেতো টি-শার্ট এর উপরের বোতামটা ছুটে গিয়েছে তারউপরে টাওয়েল না নেওয়ায় এমন এক কান্ড। আর আবিরের এ অবস্থা দেখে হিমাদ্রি আবিরকে বলতেও পারছে না যে আবির তুমি টাওয়েল এর উপরে বসে আছো। আমায় টাওয়েল টা দাও। হঠাৎ আবির হিমাদ্রিকে টান মেরে নিজের উপরে নিয়ে এলো। হিমাদ্রি স্পষ্ট বুঝতে পারছে আবির এখন কী চাচ্ছে! হিমাদ্রি স্পষ্ট আবিরের চোখে হিমাদ্রি নামক নেশার ছাপ দেখছে। হিমাদ্রির নিজেরও যে একই নেশা কাজ করছে। আবির হিমাদ্রি আদ্র ভেজা চুলগুলো হাত দিয়ে পেছনে গুজে দিয়ে হিমাদ্রির আলতো ভেজা গলায় মুখ ডুবিয়ে নাক ঘষছে। হিমাদ্রির হৃদস্পন্দন যেনো আকাশচুম্বী হয়ে গেছে। শরীরে কাপন ধরে গেছে হিমাদ্রির। কোনো মতে আবিরের ঘাড় জড়িয়ে ধরে টিকে আছে সে। আবির এবার নাক ঘষা বাদ দিয়ে হিমাদ্রির গলা আর ঘাড়ে আলতো করে কামড় দিচ্ছে। আর হিমাদ্রি আবিরের ঘাড় জড়িয়ে ধরে চুল খামচে রেখেছে। আর এতো জোড়েই খামচে আছে যে আবিরের গোটাকয়েক চুল ছিড়েও গেছে। আবির এবার হিমাদ্রির গোলাপি ভেজা ঠোট দুটোর দিকে এগোচ্ছে। আবির ঠোটে ঠোট চেপে হিমাদ্রির পিঠ খামচে ধরেছে। হিমাদ্রির পুরো শরীরে যেনো ভুমিকম্প লেগে গেছে। এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে হিমাদ্রির। হিমাদ্রির শ্বাস আটকে আসছে। আবিরের গরম নিঃশ্বাসটা আরো উন্মাদ করে দিচ্ছে ওকে!
YOU ARE READING
ভালোবাসার নীড়
Romanceউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...