আজ আবিরদের রিসেপশন। বিয়েটা যেমন সাদামাটাভাবে করেছে, রিসেপশন টা ঠিক তেমনই এলাহিভাবে হচ্ছে।আবিরের সব বন্ধুরা,ওর ফ্যামিলির সব আত্মিয়রা এসেছে। হিমাদ্রির পরিবারের সবাই সহ ওর বন্ধুরাও এসেছে।আবির বহুদিন পরে এভাবে গেষ্ট রিসিভ করছে হাসিমুখে।
আবির বহুদিন পরে ওর বন্ধুদের সাথে কথা-বার্তা বলছে। এতো কার খোজ কে নেয়? এমন একটা ব্যাপার ছিল। আবিরও নিজেকে একা করে নিয়েছিল,আর কেউ খোজও নেয় নী। একে একে আবিরের সব বন্ধু হিমাদ্রির সাথে পরিচিত হলো। সবাই বেশ হাসি-খুশিই।
এমন সময়ই জামিল, ইলিন আর আবিরের জেনারেল ম্যানেজার আসলো। ওরা সবাই ফরমাল ড্রেসেই এসেছে যেটা আবির একদমই আশা করে নী। কারন,ওদের তো ইনভাইট করা হয়েছে। আবির জিজ্ঞেস করতে যাবে, তার আগেই ইলিন বললো।
- স্যার, একচুয়ালি উই আর এক্সট্রিমলি সরি।আজ আপনার রিসেপশন। বাট,স্যার উই আর গননা ফেসিং এ বিগেস্ট প্রব্লেম!
আবির কথা শুনতে শুনতেই জুস খাচ্ছিলো। কথা শুনেই, বিষম খেলো আবির!
- প্রব্লেম হবার কথা না। আর বলছো যে "বিগেস্ট প্রব্লেম"?
- স্যার, লেট মী এক্সপ্লেই...
এর মধ্যেই হিমাদ্রি আবিরকে ডাকতে ডাকতে এলো,
- "আবির,তোমার বন্ধুরা খুজছে তোমায়"
- এইতো ওদের সাথে কথা বলেই আসছি!
হিমাদ্রি ইলিন কে দেখেই বললো,
- আরে ইলিন যে, কখন এলে? দেখা করলে না তো আমার সাথে!
- আসলে, ম্যাম। দেখা করার সুযোগটাই হয়ে উঠে নী! আসলে আমরা এখানে সেলিব্রেট করতে আসি নী। অফিসের কাজে এসেছি!
- কিহ? আমি বলেছিলাম না আগামি এক সপ্তাহ অফিসের কোন কাজ না!
- আসলে, ম্যাম। আমরা স্যারকে বিরক্ত করতাম না। বাট উই কান্ট হ্যান্ডেল ইট উইথয়াউট আবির স্যার!
- সে যাই হোক। কাল শুনবে আবির এখন তোমরা সেলিব্রেট করো।কী সারাদিন কাজ কাজ নিয়ে পড়ে থাকো!
আবির হিমাদ্রিকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলো,
- আমি শুনেই আসছি। তুমি যাও আমার ৫ মিনিট লাগবে! কিন্তু হিমাদ্রি কোনো কথা না শুনেই আবিরকে নিয়ে চলে যায়!
YOU ARE READING
ভালোবাসার নীড়
Romanceউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...