ভালোবাসার নীড় : ২৪

77 5 0
                                    

হিমাদ্রির ঘুম ভাঙলো।সারা শরীর ব্যাথা করছে হিমাদ্রির কারন রাতে আবির কামড়েছে ইচ্ছামতো। হিমাদ্রি একটু মুচকি হাসলো কাল রাত্রের কথা ভেবে।দুজনের শরীরে একটা সুতা পরিমান বস্ত্রও নেই। গায়ে অবশ্য লেপ টানা। হিমাদ্রি ভাবলো এই সুযোগ আবির এখন ঘুমে, আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নেই। হিমাদ্রি যখনই উঠতে চেষ্টা করলো আবির টান মেরে আবার বুকে নিয়ে এলো " কই যাচ্ছো?"। হিমাদ্রি ভাবছিলো আবির ঘুমোচ্ছে কিন্তু হিমাদ্রি যখন উঠছিলো আবিরের তখন ঘুম ভেঙে যায়। কারন হিমাদ্রি আবিরের বুকে শুয়ে ছিলো। আর আবির হিমাদ্রিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছিলো। হিমাদ্রি খানিক লজ্বা পেয়ে বললো,"গোসল করবো!"।আবির র‍্যাপিডলি জিজ্ঞেস করলো "বাজে কয়টা?"।হিমাদ্রি বললো, " ৮ টা বাজে! "। আবির আবার র‍্যাপিডলি জিজ্ঞেস করলো, " এতো সকালে গোসল কেনো করবা? ঠান্ডা লেগে যাবো"।আবির চোখ বন্ধ করেই কথা বলছিলো হিমাদ্রি আবিরের কথা শুনে ভেঙচি কেটে বললো, " জানে না। সকালবেলা কেনো গোসল করছি!"।আবির চোখ মেলে হিমাদ্রিকে আরো কাছে টেনে নিয়ে কপালে ঠোট ছুইয়ে বললো, "হ্যা জানি তো,কিন্তু এতো সকালে গোসল করবা যে বাইরে টেম্পারেচার ১০ ডিগ্রির নিচে।যতই গরম পানি দিয়ে গোসল করো না কেনো। ঠান্ডা লেগে যাবে। আর ঠান্ডা লেগে গেলে আমি কালকে রাতের ওসব আর রিপিট করতে পারবো না। কারন এখানে ঠান্ডা লাগানো মানেই নিউমোনিয়া! " হিমাদ্রি আর কিছু না বলে আবিরের বুকে মাথা রেখে আছে। " আমার ঘুম আসবে না আর ক্ষুধাও লেগেছে। তোমার লাগে নী?" আবির কিছুটা রসিকিতা করে বললো, " না কাল রাতে বহু চুমু খেয়েছি তো!"। হিমাদ্রি লজ্বা পেয়ে বললো," আমার ক্ষুদা লেগেছে। খাবার আনাও!"

আবির খাবার অর্ডার করে দিলো।

- " এভাবে ফ্রেশ না হয়েই খাবার খাবো নাকি? "
- "শোনো একসাথে শাওয়ার নিতে ঢুকবো। একসাথে বের হবো। আর বের হওয়ার সাথে সাথেই লেপের নিচে ঢুকে যাবা। ঠিক আছে?"

হিমাদ্রি আহাম্মক বনে গেলো," একসাথে শাওয়ার নিতে ঢুকবো মানে?"
- "হুম একসাথেই ঢুকবো!"

আবির হিমাদ্রিকে কোলে তুলে নিলো। বাথরুম ঢুকে ঝরনা চালু করে দিলো।আবির হিমাদ্রিকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে। গহাড়ে মূখ গূজে নাক ঘষছে। পানি যথেষ্ট গরম হওয়া স্বত্তেও শীত করছে দুজনার। হিমাদ্রি আবিরের হাতদুটো খামচে আছে। আবির হিমাদ্রিকে সামনে ঘুরিয়ে ঠোটে ঠোট মিশিয়ে দিলো। হিমাদ্রি আবিরের ঘাড় খামচে ধরলো।

ভালোবাসার নীড়Where stories live. Discover now