আবির হিমাদ্রিকে ওর পছন্দের যায়গাটায় নিয়ে এসেছে। এই নদীর পাড়ে ও প্রায়ই এসে নিজেকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে যায়। আবির আসলে সব দিক থেকে সফলতা পেলেও আত্মসফল হয়ে ওঠে নী এখনও। ওর নিজেকে খুব ব্যার্থ হয় কারন ও ওর প্রথম ভালোবাসার কাছে ঠকে গিয়েছিলো। মেয়েটা ওর দামই দেয় নী। কিন্তু যখন আবির হিমাদ্রি আর ছোয়ার মধ্যে তুলনা করে নিঃসন্দেহে সর্বোত্তম প্রমানিত হয় হিমাদ্রি!
- তা আবির সাহেব, এই শীতে নদির পাড়ে নিয়ে এলেন কী আমায় ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করাবেন তাই?
আবির হাসি মাখানো কন্ঠে বললো, " না তেমন কিছুনা। আসলে শহরের মধ্যে এটা আমার পছন্দের যায়গা। আর জায়গাটা বেশ নিরিবিলি "
- " ওহ আচ্ছা! "
- " চলো বসে কথা বলি! "আবির হিমাদ্রি পাশা-পাশি বসে আছে। কেউ কোনো কথা বলছে না। আবির নিরবতা ভেঙে বলা শুরু করলো। আজ আবিরের অনুভুতি আর মনের কথাগুলো বিদ্রোহ করতে চাচ্ছে।
- হিমাদ্রি? আমায় ছেড়ে যাবার জন্য কোনো কারন খুজে পাওনি তো তুমি?
হিমাদ্রি কিছুটা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়লো। কী বলছে এসব আবির? হিমাদ্রি ভেবেছিলো এই হালকা শীত, নির্জন পরিবেশ, এই রোমান্টিক আবহাওয়ায় আবির হয়তো তার সাথে রোমান্টিক কথা-বার্তা বলবে। তা না করে কী বলছে এসব?
- হঠাৎ এসব কেনো বলছো আবির?
আমি অনেক সাহস করে আবার তোমায় ভালোবাসতে শুরু করেছি হিমাদ্রি। তুমি অন্তত ছেড়ে যেয়ো না। আমি যখনই কাউকে কাছে টেনেছি সবাই ই ছেড়ে চলে গেছে। একা থাকতে থাকতে আমি জাস্ট এ হিউম্যান মেশিন হয়ে গেছিলাম। কিন্তু গত কয়েকদিন তোমার সাথে থেকে আমি আবার অনুভূতি ফিরে পাচ্ছি। আমার খুব ইচ্ছে করছে তোমায় ভালোবাসতে,খুব ইচ্ছে করছে তোমায় নিয়ে সারাটাজীবন কাটিয়ে দিতে এবার কী আমার ইচ্ছেগুলো পুরন হবে হিমাদ্রি?
- " আরে এভাবে বলছো কেনো? দেখো আবির তুমি যেভাবে ছিলে অন্যকেউ হলে হয়তো অনেক আগেই আত্মহত্যা করে জীবনযুদ্ধ থেকে অব্যাহতি নিয়ে নিতো। কিন্তু তুমি তা করো নী আবির। লড়ে গেছো। আর এখন থেকে মনে রাখবে জীবনের সব পদক্ষেপে সর্বপ্রথম সমর্থনটা আমার দিক থেকেই পাবে। তোমার জীবনে অনেক নারী এসেছে। কিন্তু আমার জীবনে শুধু তুমিই এসোছো আর আমার জীবনের প্রথম পুরুষ, প্রথম প্রেমও তুমি। হ্যা হয়তো আল্লাহ সবাইকে প্রথম প্রেম পাবার ভাগ্য দেয় না কিন্তু আল্লাহ আমায় ভাগ্য দিয়েছে প্রথম প্রেমকে আজিবন আখড়ে ধরার। এতো ভয় পেয়োনা আবির। যত ভয় পাবে জীবন তোমায় তত ভয় পাওয়া শেখাবে। আমি আছি আবির!
BẠN ĐANG ĐỌC
ভালোবাসার নীড়
Lãng mạnউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...