আবির রুমে গিয়ে ব্লেজারটা খুলে ফেললো।শার্টের ইন খুলে ফেললো, মৌজা খুলে ফেললো। তারপর আলমারি থেকে একটা টি-শার্ট নিয়ে পড়ে ফেললো!
খাটে বসে আছে আবির।চোখে ঘুমের অস্তিত্ব নেই। ভাবছে কী করবে? ফোন হাতে নিয়ে কিছুক্ষন ফেসবুক স্ক্রল করলো। না ভালো লাগছে না।
"ধুর, হিমাদ্রির কথা না শুনে অফিস চলে গেলেই হতো"এসব ভাবতে ভাবতেই ভাবনা এলো গান শুনলে মন্দ হয় না। স্পিকারে গান চালিয়ে দিলো। তারপর আবার কিছুক্ষন বসে আছে আবার আবির।
মাথা একদমই কাজ করছেনা। বডি ড্রাগ চাচ্ছে সেটা বুঝতে পারছে আবির। এসব ছাড়তে হলে তাকে তো ব্যাস্ত থাকতে হবে নাকি। কিন্তু হিমাদ্রি সঙ এর মতো ঘরে বসায় রাখছে।না আর সম্ভব না আবিরের পক্ষে, উঠে দাড়ালো। ড্রয়ার থেকে এক প্যাকেট সিগারেট নিয়ে দুইটা একসাথে জ্বালালো। টানা শুরু করলো। কিন্তু ওর কাছে মনে হচ্ছে খালি ধোয়াই উড়াচ্ছে। আগের মতো ঠিক ফীল আসছে না। আবির আর ভাবতে পারলো না কিছু, শিরা, উপশিরা ড্রাগ আর মদ চাচ্ছে। একটা সিরিঞ্জ,লিকুইড ড্রাগস, পাউডার, আর একবোতোল উইস্কি নিয়ে বসে পড়লো।
ভাবলো দরজা দিয়ে বসবে কীনা?
"রুমে আসলাম ২০ মিনিটও হচ্ছে না। হিমাদ্রি নিশ্চই রান্না নিয়ে ব্যাস্ত থাকবে। আর আমি ঘোরে চলে গেলে আবার উঠে দরজা কে খুলবে? "
তাই দরজা না দিয়েই শুরু হয়ে গেলো আবির। প্রথমেই সিরিঞ্জটা লোড করে নিলো। তারপর বসিয়ে দিলো বাম হাতে। হ্যা,মাথা কাজ করা শুরু করছে।এবার পাউডার হাতের তালুতে নিয়ে নাক দিয়ে শোকা শুরু করলো, নাক দিয়ে সুড়সুড় করে ভিতরে যাচ্ছে পাউডার আর আবিরের চোখ লাল হয়ে আসছে। এক পৈচাশিক আনন্দে চোখ বন্ধ করে থাকে আবির। বেশ কিছুক্ষন এভাবে পড়ে থাকে আবির। চোখগুলো রক্তবর্ন হয়ে গেছে, না এখোনো ঘুমিয়ে যায় নী আবির। এখনো যে উইস্কি-র বোতল বাকি! এটা পুরোটা শেষ করতে হবে।হাতে নিলো বোতল, ছিপিটা খুলতেই। আবিরের ঠোট আর বোতলের ঠোট প্রেমে উন্মাদ হয়ে গেলো। আবির কখনোই মদের সাথে সোডা,পানি মিশায় না। আজও মিশায় নী! পরম সুখে মদ পান করছে আবির। কোনো প্রতিজ্ঞাই মনে নেই তার।বোতলটা শেষ, আবিরের চোখ বন্ধ হয়ে আসছে।
YOU ARE READING
ভালোবাসার নীড়
Romanceউপরওয়ালা সবার জন্যই সর্বোত্তম কিছু ঠিক করে রেখেছেন। কিন্তু আমরা খানিক মরীচিকার পেছনে ছুটে জীবিনের রঙ হারিয়ে ফেলি। তারজন্য কিন্তু আমরা নিজেরাই দায়ী অধিকাংশে। তাই নিজের জীবন নিজের, নিজের জীবনের রঙ এর দায়িত্ব নিজের। নিজের জীবনকে রঙিন রাখার দায়িত্বও আমা...