ভালোবাসার নীড় : ১৯

64 5 0
                                    

আবির বেশ কিছুক্ষন ধরে ড্রয়িং রুমে পায়চারি করছে আর অপেক্ষা করছে হিমাদ্রির জন্য!

হিমাদ্রি স্যুট পরে সিড়ি দিয়ে নিচে নামছিলো। আবির তাকাতেই স্ট্যাচু, হিমাদ্রির চুলগুলো খোলা ছিলো, ডান হাতে একটা কালো হিজাব, বাম হাতে একটা হেয়ার ব্যান নিয়ে নিচে নেমে এলো। এসেই আবিরের হাতে হিজাব আর ব্যান ধরিয়ে চুল বাধতে ব্যাস্ত হয়ে পরলো। আবির ঠিক বুঝতেই পারছে না ঠিক কীভাবে রিয়েক্ট করবে। এর আগেও তো কত মেয়েকে দেখেছে সে এরকম স্যুটে, কই কখনও তো এমন লাগে নী তার। তাহলে আজ এমন কেনো হচ্ছে?

হিমাদ্রি আবিরের হাত থেকে একে একে হেয়ারক্লিপ এবং হিজাব নিলো কিন্তু আবিরের কোনো হুশ নেই। একদম ক্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে হিমাদ্রির দিকে। হিমাদ্রি আবিরের সামনে একটা তুড়ি মেরে বললো।

- এখন কী লেট হচ্ছে না?

আবির কিছুটা অপ্রস্তুত বোধ করলো। তারপর বললো
- লেট হচ্ছ মানে? প্রচুর লেট হচ্ছে চলো চলো!

আবির আর হিমাদ্রি গাড়ির কাছে আসতেই একটা গার্ড গাড়ির দর্জা খুলে দিলো।জামিল গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে ছিলো। হিমাদ্রি দেখে বললো, " ম্যাম ইউ আর লুকিং সো প্রেটি এন্ড গর্জিয়াস!"

হিমাদ্রি মুচকি হেসে উত্তর দিলো, " থ্যাংক ইউ, জামিল। তবুও তোমার চোখে পড়লো অন্যকেউ তো গায়েই মাখে না! "

আবির বেশ বুঝতে পারছে যে হিমাদ্রি ওকেই পিঞ্চ করে কথাটা বলেছে। গাড়ি চলা শুরু করলো। আপন নিবাস থেকে আবিরের অফিসে যেতে প্রায় ২০-২৫ মিনিট সময় লাগে। আবির গাড়িতে বসে ফোনটা হাতে নিলো। হিমাদ্রির রাগ হচ্ছে খুব ও পাশে বসে আছে কোথায় একটু কথা বলবে না ফোন নিয়ে ব্যাস্ত। হিমাদ্রি স্বাভাবিক হয়ে আবিরকে বললো।

- ফোন রাখো!
- হুহ?
- ফোন রাখতে বললাম!
- ওহ আচ্ছা, বলো কী বলবা।
- কী বলবো মানে? না মানে তুমি এতোটা নিরামিষ ঠিক কীভাবে হতে পারো? আমি এখানে বসে আছি কোথায় একটু প্রেম করবা, কথা বলবা না তুমি ফোন নিয়ে ব্যাস্ত!
- অফিস প্রেম করতে দিচ্ছে কই বলো। জানি অন্যায় হচ্ছে তোমার সাথে। কিন্তু কী করবো বলো? অফিসের ঝামেলাটা মিটে যাক তারপর আমিষ হয়েই প্রেম করবো।

ভালোবাসার নীড়Donde viven las historias. Descúbrelo ahora