আমার এক বেডরুমের পুরনো একটা ‘ফ্ল্যাট’। ড্রইং স্পেস আছে নামকাওয়াস্তে, বসাও যায়না ঠিকমতো। তবে একটা বেলকুনি আছে, মাঝে মাঝে ভাল বাতাস আসে। রুমে ঢুকে বেলকুনির দরজা খুলে দিলাম। খুব বাতাস না এলেও দাঁড়িয়ে থাকলে ভাল লাগে।
রুমের ফ্যানটা কদিন যাবৎ কম ঘুরছে। বাসায় কম থাকা হয় বলে ঠিক করানোর প্রয়োজন বোধ করিনি। এখন তো লজ্জ্বাজনক হয়ে গেল, মেয়েটির নিশ্চই গরম লাগছে।
– স্যরি, একা মানুষ তো। কোনকিছু গোছানো নেই, ফ্যানটাও প্রায় নষ্ট।
কাঁচুমাচুভাবে বলি মুখ রক্ষায়। রিকশায় ওঠা থেকে এখন পর্যন্ত সোহানীর সঙ্গে কোন কথা হয়নি। সে রুমে ঢুকে কিছুক্ষণ বিছানায় ঠায় বসেছিল। তারপর একটু পায়চারি করে বেলকুনিতে গিয়ে স্থির হয়েছে।
– হ্যাঁ, একা থাকলে এমনি হয়। আল্লাহর দেয়া বাতাস আসছে তো, ফ্যান দিয়ে কি হবে?
খুশি খুশি গলায় বাসায় ঢোকার পর প্রথম কথা বলল। আমার মনে হল আমি কথা বললে সে-ও আলাপ করবে। মনে হয়না রাগ দেখাবে, অন্তত তা-ই মনে হচ্ছে।
– কি খাবেন? খাবার আনাই।
জিজ্ঞেস করলাম। আমার ঘরে দুপ্যাকেট এনার্জি প্লাস বিস্কুট ছাড়া কিছু থাকার কথা না। কিচেন ছোটখাট আছে, কিন্ত আজ তো রান্না করা হয়নি রাতে।
– এখন? না, রাতে আর খাবোনা কিছু। মাদ্রাসায় খাইয়ে দিল তো আমাকে। আপনার ক্ষুধা লাগলে আনান খাবার, লজ্জ্বা করবেন না।
– না, আমিও তো ডিনার করেছি মাদ্রাসায়। তার আগে সন্ধ্যায় নাস্তা করেছি।
তাহলে আর আর খাবারের বন্দোবোস্ত করতে হচ্ছেনা।
সোহানী বেলকুনির গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে। আরো বাতাস গায়ে মাখতে চাইছে ধারণা করলাম।
বিয়ে পড়ানোর সময় থেকে এখন পর্যন্ত আমার সাময়িক স্ত্রীর মুখ দেখা সম্ভব হয়নি। বাসায় এসে নিকাবটিও খোলেনি। চোখাচোখি হয়েছে কয়েকবার। টানাটানা চোখ, হালকা করে কাজল মাখা মনে হলো। মনের ভুলও হতে পারে। আগে কয়েকবার শুনেছি দানিয়েল ভাইয়ের বৌ বেশ সুন্দরী।
– আপাতত মুখ খোলা রাখতে পারেন। যতক্ষণ আমার বিবি হিসেবে আছেন এই ঘরে।
মহিলার চোখে হাসি দেখি জবাবে। কিন্ত হ্যাঁ না কিছু বলেনা।
– স্যরি, মাইন্ড করবেন না।
জবাব না পেয়ে বলি।
– আরেহ না না। অল্পতে মাইন্ড করে করেই তো আজ এত গ্যাঞ্জামে পড়লাম।
মিনিটখানেক চুপচাপ দুজনে। আমি বিছানার কিনারে বসে দেখছি কালো অবয়বটিকে বারান্দার আঁধারিতে।
– ওয়াশরুম কি বাইরে?
জিজ্ঞেস করল সোহানী।
– না, ওইযে, দরজা আছে..
লাগোয়া বাথরুমটা দেখিয়ে দিলাম।
– ধন্যবাদ। মাদ্রাসার মসজিদে অনেকক্ষণ বসে থেকে…
বলতে বলতে ভেতরে চলে গেল। ঠক করে ছিটকিনি লাগতে আমি বেলকুনিতে এসে দাঁড়ালাম। হ্যাঁ, ফ্যানের মরাটে বাতাস এর কাছে নস্যি।
– আমার জায়গা দখল করে ফেললেন?
আনমনে হয়ে গিয়েছিলাম। মেকি অভিযোগের সুর শুনে তাকালম আলোকিত রুমে।
– স্যরি, স্যরি। আসুন…
আমি বেরিয়ে এলাম বেলকুনি থেকে। সোহানী বোরকা খুলে নিয়েছে। পড়নে ফুলহাতা খয়েরি কামিজ। মাথায় গোলাপী একটা হিজাব। হিজাব দিয়ে আবার নেকাবের মতো মুখ ঢেকেছে। এটা বোরকার সঙ্গে পড়া হিজাব নয়। ওটা কালো ছিল।
কেন যেন এভাবে মুখ ঢাকা প্রচেষ্টায় খুব বিরক্ত বোধ করলাম। এমন অনুভূতি থাকার কোন যৌক্তিক কারণ নেই। নিজের অজান্তেই স্বামীসুলভ একটা অধিকার আদায়ী মনোভাব চলে এসেছে।
আমি এবার বেশ ক-সেকেন্ড তাকিয়ে আছি চোখে চোখে। সে যেন আমার মনের ভাষা পড়ে ফেলেছে। নিকাবটা সরিয়ে নিল।
– আপনি তো নিশ্চই রাগ করছেন নিকাব পড়ে আছি বলে।
মুচকি হাসি প্রাকৃতিকভাবে গোলপী ঠোঁটে। আমি চাপাভাবে না! বলে মুখটা দেখলাম ভালমতো। চোখে আসলেই কাজল দেয়া, ভুল দেখিনি। মুখটা আকর্ষণীয়। মাপা নাক-চোখ আর নম্র হাসি। দানিয়েল ভাইয়ের মতো ফর্সা গায়ের রং। হাতমোজা খুলে রাখায় সুন্দর আঙুলগুলোও দেখলাম। ভালো লাগার মত, না রোগা-না মোটা দেহাবয়ব।
– মুখ দেখাতে না চাইলে কোন জোরাজোরি নেই।
আমি জানিয়ে দিলাম।
– থাক, দেখুন। বিয়ে করেছেন, বৌয়ের মুখটাও যদি না দেখেন.. হিহিহহহ…
সাদা দাঁতের টগবগে হাসি। আমার বুকে উষ্ণ একটা শিহরণ ছড়িয়ে পড়ল।
বাবুল ভাইয়ের ফোন এল। জিজ্ঞেস করলেন আমরা ঠিকমত পৌঁছেছি কিনা, সোহানী শান্ত আছে কিনা, কোন সমস্যা হচ্ছে কিনা – এসব।
– কে? দানিয়েল?
ফোন রাখতে জিজ্ঞেস করে সোহানী উৎকন্ঠা নিয়ে।
– না, বাবুল ভাই। কথা বলবেন দানিয়েল ভাইয়ের সঙ্গে? কল দেবো?
– না নাহ, ফোন তো আছেই আমার কাছে, দিলে আমি দিতে পারব। এখন এত কথা বলা ঠিক হবেনা, উনি আপাতত কেউ না…
নিচু গলায় বলে যুবতী।
– আপনাকে তো বাবুল ভাই বাসায় রাখতে পারত। শুধু শুধু আমার ভাঙা ঘরে এসে কষ্ট করছেন।
আমি বলি।
– কষ্ট তো আপনি করছেন। বাবুল ভাইয়েরা আপনাকে জোর করে ধরে এনেছে, তাইনা?
সোহানী উল্টো আমাকে ভিকটিম হিসেবে উপস্থান করছে!
– ধরে এনেছে ঠিক নয়, তবে মানা করতে পারিনি।
মাথা চুলকে বলি।
– প্ল্যানমতো হয়নি তো কিছুই.. আমাদের জেলায় মাদ্রাসার স্টুডেন্টদের সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছে পুলিশের। কখন বড়সড় কিছু হয় বলা যায়না।
– প্ল্যানটা কি ছিল বলবেন কি আমাকে? আপনাদের এমন তাড়াহুড়োর মধ্যে আমি পড়ে গেলাম।
আমার জানতে চাওয়া শুনে সোহানী কয়েক মুহুর্ত চিন্তা করে। মনে হয় ঘটনাপ্রবাহ মাথায় সাজিয়ে নিচ্ছে।
– আপনার ভাই আমাকে ডিভোর্স বলে দেয়ার পর আমি বাড়ি চলে গেলাম রাগ করে, শুনেছেন তো?
– না। ইন ফ্যাক্ট আজই শুনলাম বাবুল ভাইয়ের কাছে।
আমি মাথা নেড়ে বলি।
– “দুজনেই চুপচাপ ছিলাম তাই হয়তো শোনেন নি। বাবুল ভাই আর ওনার ওয়াইফ জানতো। বাড়ি গিয়ে দেখি আব্বু বাসায় নেই, চল্লিশ দিনের তাবলীগে গেছে। এরমধ্যে আপনার ভাই কয়েকবার বলেছে ঢাকা ফিরে আসতে। আমার তখন খুব রাগ, ওর কোন কথা শুনছিলাম না। এরমধ্যে আব্বু চলে এল, আম্মুর কাছে ঘটনা শুনে রাগারাগি করল খুব।
আব্বুর সঙ্গে আবার আজিজুল হক সাহেবের খাতির আছে।”
– মওলানা সাহেব?
– হ্যাঁ। মাওলানা আজিজুল হক সাহেব। কমিউনিটির হাফেজি মাদ্রাসার ওস্তাদ। আমি নানা বলে ডাকি, অনেক আদর করেন।
– আচ্ছা..
আমি মাথা নাড়ি। মনে হচ্ছে মওলানা সাহেব আজকের প্রয়াসটাতে ভালমত জড়িত ছিলেন।
– হ্যাঁ। দেখেছেন ওনাকে? চুল-দাঁড়ি সাদা, ফর্সা করে লোকটা।
– উনিই তো বিয়ে পড়ালেন আমাদের। চিনি তো ওনাকে।
স্মিত হেসে বলি।
– “ওকে, গুড গুড! হয়েছে কি, আব্বু ফোন করেছে নানাজানকে। আব্বু চাইছিল আমাকে বুঝিয়ে যেন ঢাকা ফিরতে বলেন আপনাদের ভাইয়ের ঘরে। সবকিছু শুনে নানাজান বললেন, আপনার মেয়েকে হিল্লা দিতে হবে!”
– আঙ্কেল কি বলল?
মনযোগ দিয়ে শুনছি সোহানীর কাছে হিস্ট্রি। তাহলে এই ফালতু ঝামেলা মওলানা ব্যাটাই বাঁধিয়েছে।
– ” আব্বু তো একটু আমতা আমতা করছিল। নানাজানের খুব ভক্ত আব্বু, উনি পীর হলে আব্বু নির্ঘাৎ মুরীদ হয়ে যেতো। বুঝিয়ে সুঝিয়ে বলার পর আব্বুও কনভিন্সড হয়ে গেল। আব্বু হিল্লার জন্য পাত্র খোঁজা শুরু করে দিল নানাজানের গাইডলাইন মতো। ”
– আপনাকে বলা হয়নি?
– আমাকে যখন বলা হল, আমি তো কিছুতেই মানছিলাম না। আপনাদের ভাইকে ফোন দিলাম, নানাজান ওকেও জানিয়েছে হালালার কথা। বললাম, আমি ঢাকা চলে আসব। ও বলে – কমিউনিটির সবাই জেনে গেছে। আমি এখন চলে আসলে লোকজন ঝামেলা করবে।
– এত ভয় পাচ্ছিলেন যে তখন?
মাথা নেড়ে হেসে জিজ্ঞেস করি।
– ভয় পাওয়ার মতোই তো ব্যপার.. তাছাড়া মাসআলা জানা ছিলনা বলে মানতে চাইছিলাম না। ইশ, আল্লাহ মাফ করুক। আব্বু একজন লোককে রেডী করেছিল, আমি মিসবিহেভ করেছি তার সঙ্গে।
গলায় অপরাধবোধ সোহানীর।
– আঙ্কেল কি বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিল নাকি?
– হ্যাঁ.. যাহোক, আমি কিছুতেই করবোনা বিয়ে। গত সপ্তাহে নানাজান আমাদের জেলা শহরের মাদ্রাসায় এসেছিলেন কি একটা অনুষ্ঠানে। আব্বুর কাছে আমার খবর শুনে উনি নিজে বাসায় এলেন আমাকে রাজি করাতে।
– গত সপ্তাহের কথা এটা?
– হ্যাঁ। বুঝিয়ে সুঝিয়ে বললেন হালালা কেন ইম্পোর্টেন্ট আমার জন্য। বললেন ঢাকায়-ই পাত্র খুঁজবেন উনি। যদি আমার কাওকে ভাল না লগে, কোন সমস্যা নেই। উনি নিজেই হালালা করে দিবেন!
– মওলানা সাহেব? ওনার তো বয়স হয়েছে অনেক।
আমি বেশ অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করি।
– তা হয়েছে.. বয়সে কি আসে যায়?
সোহানী স্বাভাবিকভাবে পাল্টা প্রশ্ন করে।
– বিয়েশাদী করার পক্ষে বয়সটা বেশি হয়ে যায়না তাই বলে?
– বেশি হবে কেন? পুরুষ মানুষের শরীরে কুলালেই বিয়ে করতে পারে। এমনিতেও হালালা বিয়ের জন্য সিক্সটি প্লাস পাত্র লাগে।
– কেন?
– ডিভোর্স পেতে সহজ হয়। আপনাদের বয়সী ছেলেরা অনেক সময় আটকে রাখে।
– তাহলে আমাকে যে বিয়ে করলেন?
– আপনি দানিয়েলের বন্ধু মানুষ, উনি খুব ভাল বলেন আপনাকে।
– হাহাহহ..
আমি প্রশংসা শুনে না হেসে পারিনা।
– আর তাছাড়াও বাচ্চা আসার রিস্ক কমানোর জন্য বয়সটা গুরুত্বপূর্ণ।
– কিহ? শুধু বিয়ে করলেই তো বাচ্চা আসেনা। জানা নেই আপনার?
সোহানীর কথাগুলো প্রায় মুখস্ত মনে হচ্ছে এখন আমার কাছে। রোবটিকভাবে পটপট করে বলে চলেছে।
– গায়েবি বিয়ে হলে হয়না জানি। কিন্ত বিয়ে পরিপূর্ণ হলে বাচ্চা তো আসতেই পারে।
আমি আর কথা বাড়ালামনা। সুন্দরীর কথাবার্তায় অতিধার্মিকতার ছাপ বাক্যে বাক্যে। দানিয়েল ভাইদের কমিউনিটির বেশরভাগেরই এই অবস্থা। অনেক সময় এটা বিরক্তি উদ্রেক করে।
সোহানীর বয়স আমার চেয়ে একটু কমই হবে আন্দাজ করলাম। দানিয়েল ভাই, আর সে দুজনই প্রাইভেট ভার্সিটির গ্রাজুয়েট। নিজেরা নিজেদের পরিচয়েই পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছে। শুরুতে কেউই এখনকার মতো ছিলনা, বেশ স্বাভাবিক। বাবুল ভাইদের সার্কেলে কিভাবে যেন ঢুকে গিয়ে আস্তে আস্তে অধিক সন্যাসে গাঁজন নষ্ট অবস্থা। যেমন আজকের এই অপ্রয়োজনীয় বিয়েটা।
– আপনার তো ঘুম এসে যাচ্ছে।
গল্প করতে করতে আমাকে মোটামোটি ঝিমাতে দেখে বলে সোহানী।
– হ্যাঁ। সন্ধ্যায় দৌড়াদৌড়ি গেল তো। আপনার আসছেনা ঘুম?
– শুলে আসবে ঘুম। আমি অনেকসময় একেবারে তাহাজ্জুদ-ফজর পড়েই ঘুমাই।
– তা-ই বলুন।
– ঘুমানোর আগে আপনার দায়িত্বটা পালন করে দিন, আর বিরক্ত করবোনা আপনাকে।
– দায়িত্ব তো হলোই… নাকি ডিভোর্সের কথা বলছেন? ওটা না আগামীকাল সকালে মওলানা সাহেব আসলে…
– না না, ডিভোর্সের আগের কাজটা। না হলে তো হালালা হবেনা।
– উমম.. আমি তো জানি সকালে কাজী সাহেব আসলে ডিভোর্স পড়িয়ে দেবেন। তারপর শুধু দানিয়েল ভাইয়ের সঙ্গে আবার বিয়েটা পড়িয়ে দিবে।
– এত তাড়াতাড়ি হবেনা তো। বিয়ে হতে তো আরো তিনমাস।
– কি, কেন?
– তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে না? এটা আমার ইদ্দা। মানে আপনার বেবী যদি আমার পেটে চলে আসে তাহলে তো বোঝা যাবেনা, কালই যদি আবার বিয়ে করে ফেলি।
– হাহা.. বেবী আসবে কিভাবে?
– আসা না আসা তো আল্লাহর হাতে।
আমি এই লাইনে আর কিছু জিজ্ঞেস করবনা ভাবলাম। কিন্ত সোহানী ছাড়লনা।
– আপনার দায়িত্ব যেটা, সেই কাজ তো আপনাকে করতেই হবে।
– কি?
– আমাদের বিয়েটা সহী-শুদ্ধ করার কথা বলছি। ফিজিক্যাল রিলেশন তো করতে হবে!
শুনে আমি কয়েক মুহুর্ত কাঠ হয়ে বসে রইলাম।
– এসব, এসব কি করতে হয়?
আমতা আমতা করে বলি। আর মনে মনে বলি মেয়েটির মানসিক অবস্থা বোধহয় বিগড়েছে।
– হ্যাঁ। বিয়ের সময় দেনমোহর দিলেন না আপনি, দশ হাজার টাকা?
– পাঁচ হাজার, ওটা তো দানিয়েল ভাই দিয়েছে আমাকে।
– সে যে-ই দিক। আপনি তো দেনমোহর দিয়েছেন আমার ইজ্জতের দাম হিসেবে।
– হোয়াট? না, জাস্ট ফর্মালিটি।
আমি বিরক্ত হয়ে বলি। মেয়েটির উদ্দেশ্য আমার কাছে এখনো পরিষ্কার নয়।
– ভয় পাওয়ার কিছু নেই। না বুঝলে আমি বুঝিয়ে দেব।
বলে চলেছে সে।
– আমি তো এখন খুব টায়ার্ড, দেখছেন তো। সকাল সকাল যদি ডিসকাস করি?
আপাতত কাটানোর জন্য বললাম। কাওকে ফোন দিয়ে এই মেয়ের কথাবার্তার অসংলগ্নতা জানাতে হবে।
– আচ্ছা, আমি সকাল সকাল ডেকে দেব।
মেকি হেসে বাথরুমে চলে গেল সোহানী। আমি বসে বসে আবার দুশ্চিন্তায় পড়লাম। এভাবে মেয়েমানুষ নিয়ে বাসায় আসা ঠিক হয়নি। কেন যেন ষষ্ঠেন্দ্রিয় বলছে, বিপদে পড়তে চলেছি!
সোহানী বাথরুমে ঢুকে আস্তে আস্তে কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলছিল। আমি টের পেয়ে দরজায় আঁড়ি পাতার চেষ্টা করি, কিছু বোঝা যায়না।
দুমিনিট পরই বাবুল ভাইয়ের ফোন। ভাইকেই ফোন করল কি মাত্র মেয়েটা?
– স্লামআলাইকুম, হামিদুল বলছ?
বাবুল ভাই নয়, একটা নারীকন্ঠ।
– ওয়ালাইকুম..
– আমি তোমার ভাবী হই, চিনেছ?
মহিলার গলা শুনে মাদ্রাসায় সোহানীর সঙ্গে থাকা নারীর আওয়াজ মনে পড়ল, বাবুল ভাইয়ের স্ত্রী। আমি বেলকুনিতে চলে গেলাম।
– জ্বি, জ্বি ভাবী। বলুন..
– তুমি কোথায়, বাসায়?
– জ্বি।
– বৌ পছন্দ হয়েছে?
– অবশ্যই ভাবী।
– আসলেই? সত্য কথা বলবে ভাবীর সঙ্গে!
মহিলা গলা দৃঢ় করে বলেন।
– মিথ্যা বলব কেন? সুন্দর খুব…
– আচ্ছা। কি করতেছ তোমরা এখন?
– এইতো গল্পসল্প করলাম একটু।
– ওহ, গল্পসল্প আর কতো করবে, রাত শেষ হয়ে যাচ্ছে তো।
– হাহহাা… হ্যাঁ, রাত হয়েছে।
– গল্পসল্প কর যতক্ষণ ইচ্ছা। তার আগে বলো তো, বিছানায় তুলেছ বৌ?
সন্দেহানভাবে প্রশ্ন করেন ভাবী।
– জ্বি, না.. না..
– বোকা ছেলে, আবার বলে কিনা খুব সুন্দরী!
তীক্ষ্মভাবে ধমক দেন মোটা গলায়। বাবুল ভাইয়ের মত মিষ্টিভাষী নয় ভাবী।
– হামিদুল, লাইনে আছো?
– জ্বি ভাবী।
– সময় বেশি নেই। সকালে ডিভোর্স হবার কথা, জান তো?
– হ্যাঁ।
– সোহা কোথায়?
– আছে, ঘরেই আছে।
পেছনে তাকিয়ে দেখলাম বিছানায় বসে আছে যুবতী, শুনছে আমার আলাপ।
– তাহলে বিছানায় তোল ওকে। ভালমতো দাম্পত্যের কাজটা শেষ করে ফেলো। এরপর গল্প করো, ঘুমাও যা করার করো। ..সোহা কোন কিছুতে মানা করলে আমাকে ফোন দিতে বলো।
ভাবী আদেশের মত বলে ফেললেন।
– জ্বি, এটুকু কি করতেই হবে? দরকার আছে?
– মাস্ট, মাস্ট! কি সমস্যা তোমার, এত কষ্ট করলে বিকেল থেকে। এখন ফুর্তি করতে ভয় পাও কেন?
মহিলা আমার ওপর বিরক্ত, বোঝাই যাচ্ছে। পুরুষ মানুষ হাতের মুঠোয় ‘বৌ’ পেয়েও বিছানায় যেতে ইতস্তত করতে পারে এটা তার সহ্য হচ্ছেনা।
– ভাবী, আমাকে তো এসব কিছু বলা হয়নি আগে। দানিয়েল ভাই, মওলানা সাহেব কেউই তো..
ভাবী থামিয়ে দেয় আমার প্রতিবাদ। পাল্টা জিজ্ঞেস করে,
– বিয়ের পরে যে সেক্স করতে হয় এইটা কেউ কাওকে বলে দেয়?
সহজ প্রশ্ন কিন্ত আমি জবাব দিতে চাইছিনা। আমার নীরবতায় কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলেন,
– সোহাকে ফোনটা দাওতো।
– জ্বি।
রুমে এসে মোবাইলটা সোহানীর হাতে দিলাম। বললাম বাবুল ভাইয়ের ওয়াইফ। কানে নিয়ে “জ্বি ভাবী!” বলে নির্দেশ পেয়ে লাউডস্পীকার অন করে দিল।
– করেছ? হামিদুল শুনছ?
স্পীকারে মহিলার গলা ভেসে এল।
– শুনছি।
বললাম একসঙ্গে দুজনে।
– শোন, তোমাদের তো নরমাল বিয়ে না। গল্পগুজব ভবিষ্যতে করতে পারবে কমবেশি। শারীরিক কাজ করার সুযোগ শুধু আজকেই। এত কষ্ট করে সবকিছু হলো, এখন তীরে এসে নৌকা ডুবিয়ো না তোমরা।
রাখঢাক না করেই বলছেন। একটু চিন্তিত শোনায় পরের কথাটা বলার সময়।
– হামিদুল, তুমি এখুনি বিছানায় তোল সোহাকে। তাড়াহুড়া করোনা, আস্তে ধীরে কাজ করবে। বুঝেছ?
– জ্বি ভাবী।
বলতে হয় আমাকে।
– সোহা, তুমি ওকে সাহায্য করবে। ও ছেলেমানুষ, কিছু না বুঝলে বুঝিয়ে দেবে।
– হ্যাঁ।
সোহা নির্দ্ধিধায় বলে।
– হামিদুলের যেভাবে যা পছন্দ করতে দিও। লজ্জ্বা পেয়ে ভয় পাইয়ে দিওনা, ও ভয় পাচ্ছে।
– ভয় পাচ্ছিনা…
আমি বলি। ‘ভয়’ শব্দটা নিয়ে আপত্তি আছে আমার। আসলে এটি দ্বিধা আর ভাল-মন্দের বোধ হবার ব্যাপার।
– না পেলে ভাল। শোন সোহা, খেয়াল রেখো কাজটা যেন সুন্দরভাবে হয়। দুজনেই যেন মজা পাও। ওকে?
– জ্বি ভাবী। ভাবী, উনি ঘুমিয়ে উঠে করতে চাইছিলেন, সকালে।
সোহা একবার আমার দিকে তাকিয়ে জানায় ভাবীকে।
– সকালে? না না! সকালে সময় হবেনা। একটা নতুন শরীর বুঝতে সময় লাগে। হামিদুলকে তো তোমার দেখিয়ে দিতে হবে, বোঝাতে হবে। এগুলো সময়ের ব্যাপার।
ভাবী জোর গলায় এখন ঘুমানোকে নাকচ করে দিলেন। উনি বলতে থাকলেন,
– শুরু করো, কয়েকবার ট্রাই করা লাগতে পারে ঠিকমত কাজ হতে। সোহা শুনছ? কথা আছে তোমার সঙ্গে।
– জ্বি ভাবী।
বলে ফোনটা কানে নিয়ে নেয় সোহানী। ভাবী সিরিয়াস কিছু বলছে বোধহয়। মনযোগ দিয়ে শুনছে।
– জ্বী, জ্বী.. ভয় পাইনা ভাবী, আল্লাহ যা রেখেছেন তা-ই আসবে। জ্বী, আল্লাহ হাফেজ।
– ভাবী না ঘুমিয়ে বসে থাকবে বলেছে। একটু পর ফোন দেবে আবার। কি করবেন?
ফোন রেখে জিজ্ঞেস করে সোহানী।
– ওকে.. কি করব, বলুন।
আমি দম ফেলে পরাজিতের মত বলি। সোহার মুখজুড়ে হাসি ফুটে ওঠে।
– বসুন, আমি রেডি করি..
সোহা লাল ব্যাগ থেকে সাদা ধবধবে পাতলা-লম্বা একটা তোয়ালে বের করল। ওটা বিছানায় তিন ভাঁজ করে বিছিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করল,
– আরেক ভাঁজ করব?
আমি জিনিসটার প্রয়োজনীয়তা আঁচ করলাম। দুই স্কয়ার ফিট তোয়ালেটা দেখে বললাম,
– ছড়ানো থাকলে ভাল না?
– আচ্ছা। দিই, আরেকটু ছড়িয়ে দিই… তোয়ালে পাতলা তো, তাই ভাঁজ করেছিলাম বেশি করে। আমার আবার অভ্যাস আছে বিছানা ভিজিয়ে ফেলার!
চঞ্চলভাবে বলতে বলতে জিভ কেটে সলাজ হলো সোহা।
– লাইট নিভিয়ে দেব?
বিছানায় তোয়ালে পাতা হলে জিজ্ঞেস করি।
– দিন। ওহ না, থাক! আপনি যেভাবে কাঁপছেন, অন্ধকারে কোনকিছু খুজে পাবেন না!
খোচা দিয়ে বলে যুবতী।
– আপনি তো আমাকে একদম বেবী বানিয়ে ফেলছেন। আমার ঘরে কিন্ত অলরেডি বৌ আছে।
আমি না বলে পারলাম না।
– সত্যি? কই, শুনলাম না যে কারো কাছে?
অবাক মনে হলো সোহাকে।
– পারিবারিকভাবে, জাঁকজমক হয়নি। দানিয়েল ভাই জানে।
– বাচ্চাকাচ্চা?
– বেশিদিন হয়নি বিয়ের, দুমাস হয়েছে।
শুনে মাথা নাড়ে। আমার বিয়ের খবর না শুনতে পাওয়া এখন যুক্তিযুক্ত লাগছে নিশ্চই।
– ছবি আছেনা ফোনে? দেখান তো প্লীজ!
কাছে এসে আবদার করে বসল। আমি ফোন থেকে কয়েকটা ছবি দেখালাম।
– বিয়ের ছবি, না? ভাবী ভারী সুন্দরী। আচ্ছা, আল্লাওয়ালাদের বৌ এমন সুন্দরী হয় কেন বলুন তো? আল্লার নিয়ামত।
নিজে নিজেই জবাব দিল।
– তা জানিনা। আলেমদের বৌ-টৌ তো আর সচরাচর দেখা যায়না। তবে দানিয়েল নামের যে আলেমের বৌকে আজ দেখছি, সে একটা নিয়ামতই বলতে হবে।
আমি একটু তেলালাম।
– কথা একেবারে খারাপ জানেন না আপনি!
ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসে সোহা।
ওকে প্রস্তত মনে হলো। জগ থেকে গ্লাসে পানি নিয়ে ঢকঢকিয়ে পান করে নিল।
– টয়লেট করার থাকলে করে আসুন।
বলে বিছানায় বসে পড়ল। ঢোলাঢালা লাল সালোয়ারের কোমরের দিকটায় হাত দিয়ে ফিতের গিঁট খুলছে মনে হল।
– আমি নিচ থেকে আসি?
একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার খেয়াল হয়েছে। আগে মাথায় আসেনি কেন কে জানে।
– পালাচ্ছেন নাকি? এত রাতে কোথায় যাবেন, সাড়ে বারোটার বেশি বাজে।
ভ্রু কুঁচকালো সোহা।
– না না, কন্ডম আনতে হবেনা?
– আল্লার ওপর ভরসা ছাড়বেন না। উনি চাইলে কোন কিছু দিয়ে আটকাতে পারবেন না।
কাটা কাটা ভাবে জবাব দিল সোহা। আমি মোটেও এমন কিছু প্রত্যাশা করিনি।
– আপনার কথা শুনে যেমন মনে হচ্ছে তাতে তো আপনাদের বাচ্চাকাচ্চা থাকার কথা এক হালি। জন্মনিয়ন্ত্রণ যদি একদম নিষেধই হয়।
একটু রাগ নিয়েই বললাম।
– নিষেধ না তো। নিষেধ হলে কি আর কমিউনিটিতে এভারেজ ফ্যামিলিতে দু-একটা করে বাচ্চা থাকত?
– তাহলে?
– এটা নিয়্যতের পার্থক্যের ব্যাপার। আপনার ভাই আর আমার বিয়েতে জন্মনিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্য খারাপ কিছু না, বর্তমান অর্থনৈতিক সিচুয়েশনে এটা না করলে ভুগবো সবাই। আজ নাহয় কাল আমরা বাচ্চা নেবো। এজন্যেই অপারেশ করে আটকানো হারাম। কিন্ত আপনার-আমার বিয়েতে বার্থ কন্ট্রোলের উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহকে ধোকা দেওয়া।
– কেন, তা হবে কেন?
আমি বুঝতে পারিনা এমন অভিযোগের কারণ।
– বলুন দেখি, আমাদের এই বিয়ের কারণটা কি? যাতে আমি আগের হাজবেন্ডের কাছে ফিরে যেতে পারি। আপনার-আমার বিয়েটা হচ্ছে আগের ডিভোর্সের শাস্তি। যদি দুজনকে সাক্ষী বানিয়ে কবুল পড়ে, তালাক বলে এত সহজেই ফিরে যেতে পারি, তাহলে শাস্তিটা কোথায়?
– আমার সঙ্গে বিয়ে হলো, এট শাস্তি না?
– কই, আপনার মনে হচ্ছে আমি শাস্তিতে আছি?
জবাব দিতে পারলাম না প্রশ্নের।
– আজিজ নানা মসজিদে বসিয়ে আজ আমাকে সব খোলাখোলি বুঝিয়ে বলেছেন। হালালা বিয়েটা হচ্ছে পেনাল্টি। আপনারা ফুটবল খেলা দেখেন যে, সেই পেনাল্টি। আপনি কিক করবেন। আল্লাহ চাইলে গোল হবে, না চাইলে হবেনা। আপনি পেনাল্টি শট না নিয়ে সরে গেলে আল্লাহর সঙ্গে ধোকাবাজি করার শামিল হলোনা?
– ফুটবলের উদাহরণ যদি দেন, কিক না করে সরে গেলে অন্যায় হবে বলতে পারেন.. কিন্ত আমি তো কিক করতে রাজি আছি। জাস্ট সেইফলি শট নেবো। এতেও কি অন্যায় হবে?
আমি নাছোড়বান্দার মতো উপমার খুঁত ধরি।
– আপনি যদি সৎভাবে কিক না মেরে আমার হাতে বল তুলে দেন তাহলে অন্যায় হলোনা?
– আপনার সঙ্গে কথায় পারা অসম্ভব। স্কুলে ডিবেট করতেন বোধহয়?
আটকে গিয়ে হাল ছেড়ে দিতে হলো।
– হিহিহহ… ওসব কিছুনা। আজিজ নানার কাছে শরীয়তি জ্ঞান পেলে আপনিও বোঝাতে পারবেন মানুষকে।
সোহা সালোয়ারের সামনের দিকটা চেপে ধরে বিছানায় উঠে গেল। ফিতা খুলে ফেলেছে। শুয়ে পড়ল বিছানো তোয়ালেটার ওপর কোমর রেখে।
দুরুদুরু বুক নিয়ে এগোলাম বিছানার দিকে। মেয়েটি মাথার নিচে বিছানায় রাখা একমাত্র বালিশটা দিচ্ছে। আমাকে কাছে আসতে দেখে সালোয়ারটা একটু নামিয়ে দিল।
– দাঁড়িয়ে আছেন কেন? উঠুন।
সোহা সোজা শুয়ে পড়ে সব সিদ্ধান্ত আমার ওপর ছেড়ে দিয়েছে মনে হচ্ছে।
– পাঞ্জাবি খুলে নেন, ঘেমে তো শেষ হয়ে যাচ্ছেন।
হাসি চেপে বলে সোহা। বিছানায় উঠে বসে আছি ওর পায়ের দিকে, কি করব বুঝতে না পেরে ঘামছি। শরীরে আটকে থাকা ভাপটা সরিয়ে দিতে পাঞ্জাবি খুলে ফেললাম।
– পায়জামা খুলবেন না?
আমি না চিন্তা করে মাথা ঝাঁকালাম। হেসে ফেলল শয়নরত যুবতী।
– না খুলে কাজ করবেন কিভাবে?
ওহ, তাই তো! সোহানীর একে একে দেয়া সাজেশান ফলো করে এবার পাজামা খুলে ফেলি।
– খুলুন, আমি দেখলে সমস্যা নেই।
বলে কালো মোজায় মোড়া সরু একটা পা সরিয়ে এনে রাখল আমার জাঙ্গিয়ার সামনের দিকে। চোখে চোখ রেখে পায়ের পাতা বোলাল সংবেদনশীল জায়গায়। হঠাৎই গায়ে একটু উত্তেজনার প্রবাহ শুরু হল। খুলে নিলাম বস্ত্রের শেষ আবরণটুকু।
সোহার চোখ আমার লম্বাকলা হয়ে মরাটে ঝুলে থাকা কালশিটে পুরুষাঙ্গে।
– দেখলেন, এজন্যেই ভাবী বলছিল সময় লাগবে।
– হুম?
– রেডি হতে কতক্ষণ সময় লাগবে আপনার?
লিঙ্গের অবস্থার কথা বলছে।
– কিভাবে বলব.. চেষ্টা করলে এখনি হতে পারে, সারা রাতও লাগতে পারে।
– সারা রাত! চেষ্টা করুন না প্লীজ!
মুখ শুকিয়ে যায় সোহার। আমি নার্ভাস হাসি।
– আরে না, এমনি বললাম।
সোহাকে একটু ভড়কে দিয়ে মনযোগ দিলাম ওর দিকে।
– তাড়াতাড়ি রেডি করতে হলে কিন্ত টাচ করার অনুমতি দিতে হবে।
কোমরের দিকে ইঙ্গিত করে বলি।
– হ্যাঁ, অনুমতির কি আছে…
একটু নড়ল সোহা। পা ছড়িয়ে দিল খানিকটা। আমি কামিজটা সন্তর্পণে তুলে দিলাম তলপেট পর্যন্ত।
সালোয়ারটা কিঞ্চিৎ নামানো ছিল। আরো খানিকটা নামিয়ে আনলাম। মেদহীন ফর্সা তলপেট আর উরু। কালো সাটিনের ত্রিকোণ প্যান্টি লজ্জ্বা লুকিয়ে রেখেছে।
এটুকু দর্শন পেয়ে শরীরে উষ্ণতা আসতে শুরু করেছে আবার। তবে এবার নার্ভাসনেসের গরম নয়, উত্তেজনার গরম। উরুর ওপর আলতো করে হাত বুলালাম। মসৃণ, অনেকটা তেলতেলে।
– আন্ডারওয়্যার খুলতে চাইলে খুলতে পারেন।
আমি শরম পেয়ে প্যান্টি খুলছিনা, ভাবছে সোহা। উরুর নরম মাংসপেশী আলতো করে চাপতে চাপতে ছোট্ট নাভীটা খেয়াল করি। কিউট দেখতে, গোলগাল চীনাবাদামের মত গর্ত।
খুব বেশি সময় বোধহয় লাগবেনা, উরুসন্ধিতে উষ্ণ অনুভূতি শুরু হয়ে গেছে।
– এইযে, দেখুন..
সোহাকে ডাক দিই। মেয়েটি ঘাড় একটু উঁচু করে তাকায়। আমি লিঙ্গের গোড়া ধরে ওটা দেখাচ্ছি। এখন আর মরাটে নেই এটি। একেবারে মাথা হেঁট করে নেই, কয়েক ডিগ্রি আগে বেড়েছে। সোহা কিছুক্ষণ দেখল, ওর সামনেই আরো একটু ফুলে উঠল।
– হচ্ছে!
চোখে স্বস্তির হাসি ঝিলিক দেয় ওর। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই সিদ্ধান্তটা নিতে চাইছিলাম, পুরুষাঙ্গ বাড়তে দেখে যুবতীর আনন্দিত হওয়া প্রত্যক্ষ করে আর না ছুঁই পানি ভাবটা চালিয়ে নিতে পারলামনা। দুপাশে দুই পা রেখে সোহার গায়ের ওপর গা মিশিয়ে ঝুঁকে এলাম। চোখে চোখ রেখে, শরীরের ওপর অনেকটা ভর দিয়ে দেহবন্দী করে ফেলেছি। নাকে-নাক কপালে-কপাল ঠেকিয়ে বোঝাচ্ছি আমি এখন খুব কাছে আসব। কাল আবার দানিয়েল ভাইয়ের বিবি হয়ে যাবে বলে হাত সামলে থাকবনা।
বাঁ স্তনটা চেপে ধরলাম কামিজের ওপর দিয়ে। ব্রেসিয়ারের কারণে খুব একটা নরম লাগছেনা। কয়েকবার মুঠো করে চেপে দিলাম, সোহা কোনরূপ নড়াচড়া বা আওয়াজ করলনা। বুক ধরবার সঙ্গে খোলা পুরুষাঙ্গ রগড়াচ্ছি ওর উরুতে। পুরোটা মনযোগ শরীরের প্রতি থাকায় পুরুষাঙ্গ যথেষ্ট টানটান হয়ে এসেছে। কোমর নেড়ে খোচা দিয়ে দেখলাম উরুতে জোরে চাপ দিলেও শক্ত থাকছে।
লিঙ্গ যতটুকু বেড়েছে, চাইলে এখুনি ঢুকিয়ে দেয়া যায়। কিন্ত তাড়াহুড়ো করার ইচ্ছে নেই। কামিজের ওপর থেকে বড় এক খাবলা সাইজের বুক চেপে সুবিধা করতে না পেরে নিচ দিয়ে হাত ঢুকিয়ে দিলাম। ব্রেসিয়ারের কাপ আঁটোভাবে চেপে আছে, তার ভেতর হাত ঢোকানো গেলনা।
নাহ, ব্যর্থ্য হয়ে হাল ছেড়ে দিতে চাইছিনা। ওকে ছেড়ে হাঁটুয় ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমি হঠাৎ উঠে পড়ায় সোহার চোখে প্রশ্ন দেখা দিল।
– কামিজটা খুলব।
– প্রয়োজন হলে খুলবেন।
হাসার চেষ্টা করে বলে যুবতী। আমি বলতে চেয়েছি কামিজ খুলব, ও যেন উঠে বসে। সে ভেবেছে অনুমতি চেয়েছি। আমি যে আর অনুমতি চাইছিনা কিছু করতে, তা বুঝিয়ে দিতে হবে।
যাহোক, আর কিছু বলতে হলোনা। সোহা উঠে বসল। নিজেই কামিজটা খুলে নিল।
– খুলতে হবে?
ব্রায়ের ওপর হাত রেখে জিজ্ঞেস করে। আমি মাথা নাড়তে পেছনের হুক খুলে দিল। স্তনদুটো ঠিক ছোটও নয়, বড়ও নয়। মাঝারি, তবে গোলাকৃতি বা ডিম্বাকৃতি নয় ওগুলো। ব্রেসিয়ারের সাপোর্ট ছাড়াই খাড়া হয়ে মধ্যাকর্ষণকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। গম্বুজের মত চোখা বুকদুটোর সৃষ্টিশৈলি। গাঢ় বাদামী এরোলার মাঝে প্রায় মসৃণ নিপল।
– আন্ডারওয়্যার খুলি এখন?
সোহা লজ্জ্বাস্থান উন্মুক্ত করতে চাইছে। মানে, তাড়াতাড়ি শেষ করতে চাইছে। ওকে ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে বলতে হবে, আমি এখন পুরোপুরি ওর স্বামীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চাই।
– আমি যখন ঠিক মনে করব তখন খুলব।
যুবতীর মুখ দেখে বুঝলাম এরকম জবাব আশা করেনি। বলল,
– হার্ড হয়ে গেছে তো, ঢুকবে এখন!
বুঝলাম আমার পায়ের মাঝে আধাআধি বেড়ে ওঠা অঙ্গের দৈর্ঘ্য লক্ষ্য করছে সোহা।
– কোথায়? নাহ, আরো অনেক বাড়বে। নিন, শুয়ে পড়ুন। ডাবল হবে…
সোহানীর গায়ের ওপর আবার নেমে আসি। শরীরের ভারেই শুয়ে পড়তে হয় ওকে। মেয়েটি আরো অনেক বাড়ার কথা শুনে গোমড়ামতো মুখ করে রেখেছে। হ্যাঁ, ও ভুল বলেনি। যতটুকু বেড়েছে তাতে নারীত্বের গহ্বর পূর্ণ করা খুব সম্ভব। তাই বলে কি আমি নিজের পুরোটা প্রচেষ্টা দেবনা!
সোহা মন খারাপ করছে দেখে প্যান্টিখানি নামিয়ে নিলাম সালোয়ারের মতো। ক্লিন এন্ড ক্লিয়ার শুকনো যোনিদেশ। রুপ দেখার মতো কিছুই নেই। পিউবিক বোনের নিচ থেকে যোনির চেরা নেমে গেছে। দুপাশর ঠোঁট আলাদা করে চেনার উপায় নেই, নেই কোন ফোলাভাব।
– আপনার সবকিছুর মতো পুসিটাও সুন্দর।
মুখ বুজে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা যুবতীকে চাঙ্গা করতে বলি। আসলে নিজেকেই বলি, যেন কামনা বাড়ে।
– থ্যাংক ইউ। এমন প্রশংসা কেউ করেনি আগে.. হহিহহিহহ…
দাঁত বের করে হেসে ফেলে।
– কেন, আপনার মত বিউটিকে কেউ সুন্দরী বলে ডাকেনি আগে? বিশ্বাস হবে কারো?
– আমাকে তো বলে, আপনার ভাই-ই তো রেগুলার বলে। কিন্ত, ঐযে কি বললেন? পুসি সুন্দর.. হিহিহিহহ… এমন করে কেউ বলেনি।
হাসি আটকাতে পারছেনা সোহা।
– তাই? ভেরি স্যাড। এইযে, আপনার এটা সুন্দর..
বলে যোনির ওপর হাত রাখি।
– তারপর নাভীটা কিউট, বুবস দুটো সেক্সি, সুন্দর চোখ, সুন্দর নাক.. আর ঠোঁটদুটো জুসি…
বলে নুয়ে আসি, গোলাপী ওষ্ঠদুটোয় আমার রুক্ষ ঠোঁট চেপে ধরি। সোহা ঠোঁট চেপে রেখেছে, চুক করে চুমু খেয়ে সরে গলাম। এই প্রথম ওর ফর্সা মুখ লাল হয়ে উঠতে দেখলাম। বিড়বিড় করে বলল,
– থ্যাংক ইউ।
মুখে বললেও চুমু খাওয়াটি পছন্দ করেনি, বুঝতে অসুবিধা হয়না আমার।
শৃঙ্গারে সোহানীর অনাগ্রহ দেখে শরীর নিয়ে খেলার প্ল্যানটা বাদ দেব ভাবলাম। ওর পা দুটো ভাঁজ করে পেটের সঙ্গে চেপে দিলাম। এবার যুবতীর চোখেমুখে চঞ্চলতা ফুটে উঠল আবার। কোমর নেড়ে যেন প্রস্তত করে নিল নিজেকে।
সালোয়ার-প্যান্টি হাঁটু পর্যন্ত তুলে দিলাম। হাঁটুর ভাঁজে চাপ দিয়ে পা দুটো ছড়িয়ে দিলাম। ভালমতো ছড়িয়ে দেয়ায় যোনিমুখ কিঞ্চিৎ ফাঁকা হলো।
দুপায়ের মাঝে শরীর ঝুঁকিয়ে মুখ নামিয়ে আনলাম বুকের ওপর। ফ্ল্যাট নিপলের ওপর মুখ বসিয়ে জিভ ঠেকাতে খুব হালকা উমমম… আওয়াজ করে উঠল সোহা। আধমিনিট চাটাচাটনির পর মুখে শক্ত স্তনবৃন্ত ঠেকতে শুরু করল। সেইসঙ্গে আমার যৌনদন্ড পূর্ণ রক্তপ্রবাহে টানটান হয়ে অবগাহনে অনুপ্রেরণা দিচ্ছে।
– বসেছে? ঠিকমত সেট হয়েছে?
না দেখে হাতে ধরে ধরে আন্দাজে যোনিমুখে চেরার খুব নরম অংশে নিচদিকে মুন্ডি বসিয়ে জিজ্ঞেস করি সোহাকে। সে হাত দিয়ে লিঙ্গ স্থাপনের জায়গাটা স্পর্শ করে দেখল।
– মনে হয় হয়েছে। একটু পুশ করুনতো… ইয়েস ইয়েস!
কয়েক সেন্টিমিটার চাপ দিতে কাঁধে হাত রেখে চেঁচায় সোহা। মুন্ডির ডগায় একটু ভেজা ভেজা লাগে। আঙুল দিয়ে চেপে আঠালো তরল অনুভব করলাম।
– ঢুকাবেন এখন? বিসমিল্লাহ বলে শুরু করুন।
তাগাদা দিয়ে বলে সোহা। আস্তে আস্তে কয়েকটা চাপ দিলাম। বুঝলাম রস কমবেশি এলেও সহজে গাড়ি চলবেনা।
ধীরে ধীরে চেপে এগোনো যাচ্ছেনা তেমন। বুঝলাম এভাবে সময় লাগবে।
– বিসমিল্লাহ!
সিদ্ধান্ত নিয়ে জোরেসোরে চেঁচিয়ে কোমরের চাপে পুরুষাঙ্গ ঠেলে দিলাম গায়ের জোরে।
হোৎ! শব্দে সোহার গলা চিরে আওয়াজ বেরিয়ে এল। বৈদ্যুতিক শক খাবার মত কেঁপে উঠল শরীর। গোলাপী হিজাবে মোড়া মুখটি আচমকা ধাক্কা খাবার ছবি ফুটিয়ে তুলেছে।
খুব শক্তি দিয়ে ঠেলে দিলেও অল্প অংশই ভেতরে ঢুকতে পেরেছে স্বাচ্ছন্দ্যে। না দেখে যা মনে হলো, ইঞ্চি পাঁচেক বিনাবাধায় ঢুকে যোনির দেয়ালে চেপে আছে লিঙ্গ। আমি চাপ বজায় রাখলাম, তবে কোমর পিছিয়ে নিয়ে ঠাপ দিলাম না। সোহানীর মুখ ক্রমে যন্ত্রণাকাতর হয়ে উঠছে। যেন যোনির গভীরে পুরুষাঙ্গ নয়, গলায় ছুরি ধরে চাপ দিচ্ছি।
আর এগোচ্ছেনা বলে খুঁটি গাঁড়বার মতো কোমর পিছিয়ে গাদন দিলাম একটি। এতটুকু এগোল বোঝা গেলনা, তবে সোহা আর অস্বস্তি চেপে রাখতে পারলনা।
– আল্লাহ!
কাতরভাবে চেঁচিয়ে উঠল প্রায়। পিঠ বেঁকে ধনুকের মত উঁচিয়ে উঠল এক সেকেন্ডের জন্য।
– আর নিতে পারবেন না?
একটা দৈর্ঘ্যের পর আর যেতে চাইছেনা বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করি। কষ্ট হচ্ছে বোঝা গেলেও স্বীকার করতে চাইলনা।
– উমমফফ.. অনেকদিন পরে সেক্স করছি তো। আপনি পুশ করুন, ইনশাল্লাহ পারব।
আমাকে নয়, নিজেকে কনফিডেন্স দেয়ার জন্য বলল সোহা।
এই রিএ্যাকশানটা আমার কাছে একেবারে নতুন নয়। আমার স্ত্রী এখন পর্যন্ত অর্ধেকটার বেশি নিতে পারেনা।
ওদের দোষ নেই, আমি এই ডিপার্টমেন্টে একটু বেশিই সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদপুষ্ট। কিশোর বয়সে যখন বুঝতে পারি জাতিগত তুলনা করলে কুচকুচে এনাকোন্ডাখানির দৈর্ঘ্য-বেধ ঈর্ষণীয় রকমের বাড়ন্ত, বেশ খুশি হয়েছিলাম। রুলার দিয়ে একদিনই মেপে দেখেছিলাম, ইঞ্চি স্কেলে সাতের চাইতে কতটুকু যেন বেশি।
পর্নোগ্রাফি দেখে আর বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করে ধারণা হয়েছিল আমাকে পেলে যেকোন মেয়েমানুষ বর্তে যাবে। বাস্তবতা অনুধাবন করতে অনেক সময় লেগেছে। বিয়ের পর যখন আবিষ্কার করলাম আমার বেগুনের মতো মোটা দীর্ঘ যন্ত্রে বৌয়ের প্রবল অরুচি, অবাক-ই হয়েছিলাম। ‘বড়’ বাঁড়া পেলে বৌ আমাকে মাথায় তুলে নাচবে বলে ওভারকনফিডেন্স ছিল। থিউরেট্যিকাল ম্যাথে বড্ড কাঁচা আমি।
আজ আবার আশাহত হতে হল। ধারণা ছিল – আমার নতুন বৌ না পারুক, অলরেডি বিবাহিতা এই বৌটি হয়তো ঠিকই নিতে পারবে। কিন্ত এখন সন্দেহ হচ্ছে।
– আহ খোদা!
ধচাৎ শব্দে খুব জোরে একটা ঠাপ দিলাম। গলা চড়িয়ে চেঁচাল সোহা। জোরে জোরে দম পড়ছে, বুকদুটো ওঠানামা করছে। পুরুষাঙ্গ একদমই জ্যাম হয়ে আছে, আর একচুল নড়ানো সম্ভব নয় পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া। হাত দিয়ে পুরুষাঙ্গের গোড়ায় ধরে দেখলাম ইঞ্চিখানেক বাইরে আছে।
– আরো ঢুকবে?
ভয়ে ভয়ে চোখ কুঁচকে জিজ্ঞেস করে সোহা।
– আপনি চাইলে ঢুকবে।
দাঁত ভাসিয়ে বলি। সোহা চোখে চোখ রেখে আমার আচরণের পরিবর্তনটা খেয়াল করছে। আমার কথাবার্তায় সন্দিহান হতে শুরু করেছে। জিজ্ঞেস করল,
– আর কতটুকু?
– যতটকুকুই থাকুক। কেন, আরো পাঁচ ইঞ্চি হলে কি মানা করবেন?
আমার মশকরাতে ওর চোখে দুশ্চিন্তা ফুটে উঠছে।
– দিন..
প্রায় বিড়বিড় করে বলে।
– রাজি থাকলে কবুল বলুন!
আমি আজ সন্ধ্যায় কাজী সাহেবের মতো গলা করে বলি। ঠোঁট চেপে হাসি আটকায় সোহা।
– যান, বললাম কবুল। ভাবী যে কিভাবে সামলায়!
গলার পাশে একটা চুমু দিলাম কবুল শুনে। পরের কথাটা আমলে নিলাম না। ভাবী তো সামলাতে পারেনা, আমাকেই সামলে চলতে হয়।
কোমর পিছিয়ে নিলাম কিছুটা। সোহার চোখ আরামে বুজে গেল। পায়ের পাতায় ফোটা কাঁটা তুললে এরকম মুখভঙ্গী হয় মানুষের।
অর্ধেক বাঁড়া বের করে কম দৃরত্বে আগুপিছু করাচ্ছি। উদ্দেশ্য পুরুষাঙ্গের সর্বোচ্চ কাঠিন্য নিশ্চিত করা। মাঝগুদে সব স্বাভাবিকই লাগছে। ভোদার রস ঠেলে ঠেলে আরো সামনে এগিয়ে দিলাম। গভীরে হামলে পড়ার আগে হালকা করে মিনিটখানেক লিঙ্গ চালনা করলাম। একটা ব্যাপর ভাল, বাঁড়ার প্রস্থ নিয়ে গুদ বা গুদের মালকিনের কোন অপত্তি নেই।
– এই যাহ, দোয়া পড়েছিলেন?
হঠাৎ সচকিত হয়ে চেঁচায় সোহা। কি বলছে বুঝতে পারিনা ঠিকমতো।
– কিসের দোয়া, কখন?
– ঢোকানোর সময়।
– পড়লাম না জোরে জোরে?
আমি বিরক্ত হয়ে বললাম।
– বিসমিল্লাহ না, যৌনকাজের দোয়াটা জানেন না?
– উমম.. নাতো।
সন্দেহের সুরে বললাম। ভয় পেয়ে আবাল তাবোল অজুহাত খুঁজছেনা তো আবার।
– দোয়া পড়তে হয় তো, মুস্তাহাব। নাহলে শয়তান সহবাস করে। এইযে এখন আপনার পেনিসে প্যাঁচিয়ে আছে শয়তান, ফাক করছে! বের করুন ,বের করুন!
উঁচু করে ধরে রাখা পা ঝাড়তে শুরু করে সোহা। বের করে ফেললে পুনরায় ঢোকাতে না দেয়ার অজুহাতের আশঙ্কায় মুন্ডিটুকু ভেতরে রেখে পেছাই। হঠাৎ হিস্টরিয়াগ্রস্থ নারীর মত চঞ্চল হয়ে ওঠা দেখে সতর্ক হলাম। জিজ্ঞেস করি,
– আবার শুরু করতে হবে?
– হ্যাঁ, দোয়া পড়ে শুরু করবেন।
আবার শুরু করার কথায় লিঙ্গ বের করে নিলাম। প্রায় পুরোটাই পিচ্ছিল যোনিরসের পুরু স্বচ্ছ আবরণে মোড়া। নিজের পুরুষাঙ্গর দিকে তাকিয়ে নিজেরই নতুন লাগল। মূল স্ত্রীর সঙ্গে এখন পর্যন্ত এক তৃতীয়াংশের বেশি ভেজানো সম্ভব হয়নি।
– আপনি পড়ুন না, আমি তো জানিনা।
সোহাকে বলি।
– শুধু আমি পড়লে তো হবেনা। আপনি পড়ুন, আমি বলছি। বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা…
গোটা গোটা করে বলতে শুরু করে যুবতী।
– বাংলায় বলুন, আরবি মনে থাকবেনা।
– আরবিতে বললে সমস্যা কোথায়? আমার সঙ্গে সঙ্গে পড়ুন!
– বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা…
– বিসমিল্লা আল্লাহুম্মা..
পড়তে পড়তে যোনিমুখে বাঁড়া বসিয়ে দিই। থামিয়ে দেয় সোহা,
– ওয়েট ওয়েট!
– কি হলো আবার?
– পুরোটা পড়া শেষ হলে ঢোকাবেন। হ্যাঁ, আবার – বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা…
– জান্নিবনাশ শায়ত্বানা…
দুই শব্দ করে দোয়া পড়ে শেষ করি। এখন একটা ফুল ফোর্সে শট নেব। মেয়ে নিজেই তো বলেছিল, শট নিতে হবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টায়। ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করলে নাকি ধোঁকাবাজি হবে। ঠিক আছে, সর্বশক্তিতেই সর্বশক্তিমানকে সন্তষ্ট করার চেষ্টা করি!
মনে মনে এসব ভেবে রেডি হচ্ছি। গুদের মুখে মুন্ডি দিয়ে ঘষা দিয়ে ভেতরকার ছোট ঠোঁটদুটো দেখলাম। বাইরেটা শুরুতে ম্যাড়ম্যাড়ে ছিল দেখতে, এখন কিছুটা ছড়িয়ে গেছে। স্ত্রীঅঙ্গের ছোট ছোট বৈশিষ্ট্যগুলো ফুটে উঠেছে।
মুন্ডি বসিয়ে রেখে ঝুঁকে এলাম পুরোপুরি সোহার ওপর। ওর হাঁটুয় আটকে থাকা সালোয়ার-প্যান্টির কারণে শরীরের নিচদিকটা মিশিয়ে দিতে পারছিনা। জিজ্ঞেস করলাম,
– সালোয়ারটা খুলে ফেলি? অসুবিধা হচ্ছে।
সায় দিল যুবতী, খুলে দিলাম। পায়ের লম্বা কালো মোজাজোড়া এখনো পড়নে। খুলতে গেলে পা সরিয়ে নিল।
– মোজা থাকুক না..
খুলতে দিতে চাচ্ছেনা। কি কারণ কে জানে। আমার স্ত্রীর পায়ে একদিন শৃঙ্গারের মধ্যে চুম্বন করেছিলাম, সে পছন্দ করেনি। ওর চুল থেকে গোড়ালি পর্যন্ত মুখ পড়েছে আমার। এর নিচে গেলেই নাকি ঘা ঘিনঘিন করে। পা নিয়ে ইসিকিউরিটি মেয়েদের মধ্যে কমন কিনা কে জানে।
এবার ভাল সুবিধা হয়েছে। সোহা নিজে থেকে পা যতটা সম্ভব ছড়িয়ে দিয়েছে বিছানায়। আমিও সুবিধামতো হাঁটুয় পায়ের ভর রেখে নেমে পড়েছি ওর ওপর। আধমিনিট সতর্কভাবে মাঝারি গতিতে ঠাপ দিলাম। আগের চাইতে প্রশস্ত হয়েছে যোনি। পচ পচ পচচ.. আওয়াজ শুরু হয়ে গেছে, বোঝা যাচ্ছে যোনিরসের পর্যাপ্ততা।
সোহার ভাল লাগছে বলে মনে হলো। আমার পিঠে হাত নিয়ে এসেছে। একটু চুষলাম নিচের ঠোঁট। সাড়া না দিলেও কোন বাজে অভিব্যক্তি করলনা।
তালের মধ্যে বেতাল করে থেমে গেলাম। পিছিয়ে এসে এক-দু ইঞ্চি পরিমাণ ভেতরে রেখে হালকা করে নড়ছি। সোহা বুঝতে পারল বড়সড় কিছুর প্রস্ততি নিচ্ছি। পিঠে ফেলে রাখা হাতদুটো দিয়ে চেপে ধরল আমাকে। ঠোঁট নেড়ে চোখ বুজে মনে মনে কোন দোয়া-দুরুদ জপতে শুরু করেছে।
থপাৎ!..
সোহার সরু গলার চিৎকার ছাপিয়ে ওর নিম্নাঙ্গে আমার আছড়ে পড়ার আওয়াজটা খুব জোরে লাগল কানে। পাশের ইউনিটের বাসিন্দারাও শুনতে পেয়েছে হয়তো। আমার নাক দিয়ে জোরে শ্বাস বেরোনোয় বাতাসের ঝড়ো আওয়াজ বেরিয়ে এল। সোহার দিকে তাকিয়ে আছি চোখের পলক না ফেলে। একটা চিৎকার দিলেও খুব একটা অভিব্যক্তির পরিবর্তন নেই শরীরে। বরং ধীরে ধীরে ঠোঁট চওড়া করে বিজয়ীনির হাসি ফুটে উঠছে।
খুব অবাক হলাম আমি। যে গতিতে শট নিয়েছি, তুলনা করলে তা বন্দুক থেকে ছোঁড়া গুলির গতি থেকে কমে হবেনা। গাদনের ধাক্কায় ওর শরীর বিছানায় কয়েক ইঞ্চি পিছিয়েও গেছে। অথচ এতটা নির্বিকার কেন?
আসলেই কি যেমন ভেবেছিলাম তেমন গভীরতায় পৌঁছাতে পেরেছি নাকি হিসেবে ভুল হয়েছে? বের করতে হাত দিয়ে গোড়াটা ধরে দেখার চেষ্টা করলাম। কি অবাক ব্যাপার, দুজনের পিউবিক এরিয়া চামড়ায় চামড়ায় লেপ্টে আছে, একচুল জায়গা ফাঁকা নেই!
সোহা চোখ খুলে প্রথমেই আমার ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া মুখটা দেখল। হাসি চওড়া হল ওর।
– ওগো, আর কতো ইঞ্চি গো?
বাংলা ছবির পতিব্রতা বৌয়ের মত সুর করে টিটকিরি করল সোহানী। ওই চোখের দৃষ্টি বলছে, তুমি পারনি – আমি ঠিকই পেনাল্টি শট আটকে দিয়েছি!
আমার বিস্ময় কমতে শুরু করলে গা বিষিয়ে দেয়া একটা যন্ত্রণায় যৌনাঙ্গ ছেয়ে গেল। হাতড়ে হাতড়ে বুঝলাম এমনভাবে ঠাপ মেরেছি, ঝুলন্ত অন্ডথলি সোহার পাছার খাঁজে সবেগে আছড়ে পড়েছে।
– হাঁ করে আছেন কেন? বিশ্বাস হচ্ছেনা?
আমি জবাব দেয়ায় আগে কোমরটা একটু আগুপিছু করলাম। সামনে যাওয়ার কোন রাস্তা বাকি নেই। ওহ না, ভুল বললাম। রাস্তা হয়তো আছে, এগোনোর অবলম্বন নেই আমার।
– রাগ শেষ হয়েছে আমার ওপর? শেষ হলে এখন ছেলেমানুষি রেখে প্রপারলি সেক্স করুন। আদরও করতে পারেন নাকি শুধু এসবই পারেন?
বিদ্রুপ আর সন্দেহপূর্ণ সোহার শব্দচয়ন।
– কই, শুনছেন না?
ডাকে আবার সোহা। এবার কথা বলার সময় কোমরটা নিচেই উচিয়ে ধরে। আর তখন যোনির গভীরে নিজের মাংসপেশী ব্যবহার করে চারপাশ থেকে কামড়ে ধরে বাঁড়াটা।
– কিভাবে করলে এটা?
মুগ্ধতা আর নতুন করে পাওয়া এক শিহরণে প্রশ্ন করে ফেলি। অন্ডকোষের চিনচিনে ভাবটা কমে যাচ্ছে, ভয় পেয়েছিলাম বাড়বে। বোধহয় খুব একটা লাগেনি।
– আপনাকে বললে বুঝবেন কিভাবে? ভাবীর সঙ্গে, আই মীন সতীনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েন, শিখিয়ে দেব।
ত্যাড়া করে বলে সোহা। বুঝলাম আমার পতি হওয়ার প্রচেষ্টায় গুড়েবালি। এই বাকপটু মেয়েটা এখন নিজেই আমাকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করবে। নাহ, হেরে গেলে চলবেনা। এক রাতের জন্য জীবনে এসে আমার পৌরষত্বের অহমিকা গুড়িয়ে দিয়ে হাতের বাইরে চলে যাবে, তা হতে পারেনা।
আস্তে আস্তে বাঁড়াটা বের করলাম। কোমর পিছিয়ে অনেক দূরে সরতে হলো বিচ্ছিন্ন হতে। তাকিয়ে দেখি সত্যিই পুরোটা, অষ্টেঞ্চি যুধিষ্ঠির বৃষ্টিস্নাত।
– আবার দোয়া পড়তে হবে?
এখন কি করব ভাবতে ভাবতে জিজ্ঞেস করলাম। জোরাজোরি করে লাভ নেই। যে গুলি মিস হয়ে গেছে তা আর ফিরবেনা।
– ওই দোয়াটা? না, একবার পড়লেই চলে। বিসমিল্লাহ বলে নিতে পারেন পুশ করার সময়।
আমি তা-ই করলাম। সোহাও আস্তে আস্তে পড়ল বিসমিল্লাহ। অনায়াসে ভেতরে আনাগোনা করা যাচ্ছে। এতটা সহজে স্ত্রী সহবাস আমার কাছে নতুন।
– বলোতো, ওই দোয়ার অর্থটা কি?
আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সোহার সনশীলতার মধ্যে দোয়াটার কোন গায়েবী প্রভাব হয়েছে। সায়েন্টিফিকভাবে দেখতে গেলে হয়তো মনোবল বাড়িয়েছে এসব দোয়া-দুরুদ।
– মানে হচ্ছে, আল্লাহর নামে শুরু করলাম। শয়তান থেকে যেন আমরা হেফাজতে থাকি, আমাদের সন্তান যেন হেফাজতে থাকে।
– আচ্ছা।
সোহা একবার আঙুল দিয়ে বুক নির্দেশ করল। বৃন্তে মুখ নামিয়ে আনতে চুল মুঠো করে ধরে উমম.. আওয়াজ করে বোঝাল কি করতে হবে।
– দোয়ার কথা মনে পড়ায় ভাল হয়েছে। জানেন আগে পেইন হচ্ছিল কেন? আপনার বদলে ইবলিশ ফাক করছিল!
জ্ঞানি জ্ঞানি ভাব সোহানীর কথায়।
পালা করে বুকদুটো নিয়ে বেশ খেলছি। একটা নিপল কিসমিসের মত ঠেলে উঠেছে, অন্যটায় চেষ্টা চালাচ্ছি। মাঝেমাঝে গালে-ঠোঁটের কোণে চুমু খচ্ছি। এখনো চুম্বন ফেরৎ পাইনি। চাইতে সাহস হচ্ছেনা।
রোমান্সের পাশাপাশি একই ছন্দে ঠাপ চলছে। একঘেয়েমি কাটাতে মাঝেমাঝে থামছি, মাঝেমাঝে সর্বোচ্চ গভীরতায় কয়েকটা শট মেরে পিছিয়ে যাচ্ছি। সোহা মাঝে মাঝে কবুতরের মত কোঁ কোঁ করছে। কারণটা বোধহয় আমার অতিগর্বের পুরুষাঙ্গ নয়, বরং অধমের মুখের খেলা।
– ডিসচার্জ হবার আগে বলতে পারবেন?
– চেষ্টা করব। কেন?
– খুব দরকার নেই। পারলে একটু প্রস্ততি নেব।
দরকার নেই বললেও জানতে চাওয়ার কারণ তো আছে। আমার মনে হলো শেষ মুহুর্তে নবাবজাদী আবদার করে বসবেন বাইরে ফেলতে। যদি তেমন হয় তবে উল্টোটা করবো।
কিসমিসি স্তনটা মুখে পুরে অন্যটিতে আঙুল দিয়ে চিমটি কাটলাম। সুড়সুড়ি লেগে হেসে উঠল সোহা জোরে জোরে। মুখের ভেতর বুকটা কাঁপল ভূকম্পের মত।
এবার বুকের নিচের দিকটায় মনযোগ দিলাম। তুলনামূলক কম নরম নিচের দিকটা। খুব ভাল সাপোর্ট দিয়ে রাখে ওলানগুলোকে।
– বের হয়ে গিয়েছে!
কাঁধে টোকা দিয়ে বলে সোহা। বুক খেতে খেতে নিচের দিকে নেমে আসায় বাঁড়াটা পেছাতে পেছাতে খুলেই গিয়েছে।
– হুমম..
আমি জবাব না দিয়ে বুকের নিচের ভাঁজে জিভের ডগা দিয়ে নড়াচড়া করতে ব্যস্ত। আমাকে এত মনযোগি হতে দেখে সোহা জিজ্ঞেস করে,
– বুক পছন্দ বেশি আপনার?
– তোমার সবই পছন্দ আমার। ভাল লাগছেনা?
– না না, ভাল লাগছে। আই মীন, আমারগুলো তো অত বড়টড় না..
– পার্ফেক্ট!
বলে দাঁতে হালকা করে কাটি নিপল। উফ! করে আওয়াজ করে সোহা। আপাতত স্তন অবসেশন কমিয়ে গাদন শুরু করি আবার।
একেক মেয়েলোকের কমনীয়তার ঘ্রাণ একেক রকম। তবে সবগুলোই পুরুষের উত্তেজনা বাড়ানোয় যাকে বলে তুলা রাশি।
মশা তাড়ানোর কয়েল জ্বালালে কয়েক মিনিটে যেমন নাকমুখে ধোঁয়া ধেয়ে আসে, তেমনি যত ঠোকর দিচ্ছি গুপ্তাঙ্গ থেকে আসা সোঁদা গন্ধে নাক ভরে যাচ্ছে। কয়েল জ্বললে মশার মত আমারও পালানোর ইচ্ছে হয়, কিন্ত এই নারীত্বের সুবাসে লেপ্টে থাকবার আকাঙ্খা আরো বাড়ে।
ফ্যান বন্ধ, ঘরের গুমোট আবহে সংক্রামকের মত মাথায় জেঁকে বসেছে সোহানীর আদ্র যোনির খুশবু। ফ্যানটা মরাটের মত চলতে চলতে কোন কারণে বন্ধ হয়ে যেতে সুবাসটা বইতে শুরু করেছে।
স্ত্রী সহবাসের সময় প্রথমবার যখন এরুপ আনকোরা কাঁচা সুবাস নাকে লেগেছিল, অদ্ভুত লাগলেও দ্রুত মস্তিষ্ক বুঝে নিয়েছিল। একটা মেয়েলোকের গোপনাঙ্গে রসস্রোত আর ঘ্রাণবায়ুর প্রবাহ তৈরি করতে পারার আনন্দে গর্ব হয়।
একই রকম হলেও সোহানীর সবকিছু আমার পার্মানেন্ট বৌকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। হয়তো কাল হাতছাড়া হয়ে যাবে বলেই এমন লাগছে। এক্সক্লুসিভ আইটেম বলে কথা, ক্ষণিকের লাড্ডু।
নিজেকে এরকম বললেও আমি বুঝতে পারছি ক্ষণিকের লাড্ডু থিওরি আদতে অসার। ঠাপের তালে তালে দু-তিনবার গ্যাপ দিয়ে দিয়ে গুদটা লৌহকঠিন পুরুষাঙ্গে কয়েক মুহুর্তের জন্য স্রেফ কামড়ে ধরছে কোমর পেছনে সরিয়ে নেবার সময়। বারবার হচ্ছে, তবু প্রতিবার চমকে যাই। মনে হয় অচেনা গলিতে কেউ আটকে ধরে রাখতে চাইছে।
– এইযে.. এইযে, শুনছেন?
সোহানী ডাকল কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর।
– হু, হু.. বলো।
– একটু মুছে নেবেন?
– স্যরি, তুমি এলে আর ফ্যনটা গেল।
ওড়নাটা হাতে নিয়ে মুখ মুছলাম। গাল বেয়ে থুতনি থেকে দুফোঁটা ঘাম সোহার বুকের ওপর পড়েছে খেয়াল করেছি।
– ঠিক আছে। কিন্ত, বলছিলাম আমাদের জয়েন্টের কথা।
– জয়েন্ট?
বুঝতে না পেরে জিজ্ঞেস করি।
– আপনার আমার জয়েন্ট.. ফাকিং হচ্ছে যেখানে!
ভালমতো বুঝতে পিঠ কিছুটা সোজা করে তাকাই তলপেটের দিকে। সোহার কথা বুঝতে পারলাম। বাঁড়া খুলে নিয়ে পিছালাম।
স্যাঁস্যাঁতে লাগছিল বটে, কিন্ত এ-তো ফেনার সাগর হয়ে আছে। মনে হচ্ছে ডিটারজেন্টে গুলে ঘুটনি দেয়া হয়েছে গুদের মুখে। বাঁড়ার গোড়ার কাছটায়ও ফেনা জমেছে। বড় ফেনাগুলো বাইরের আবহাওয়ায় ফুটে বিলীন হচ্ছে। আমার আন্ডারওয়্যার দিয়ে যোনিমুখ মুছে দিলাম।
– আপনারটাও পরিষ্কার করে নেন।
চোখ রাখছিল সোহা। কথামত মুছে নিলাম।
– আমি একটু উঠব?
– হ্যাঁ, ওঠো ওঠো। খারাপ লাগছে?
হাত ধরে বসালাম।
– না। একটু ব্রেক নেবো। স্ন্যাকস আছে বাসায়, চানাচুর বিস্কিট?
YOU ARE READING
কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)
Fantasy🔥🔥বোম্ব🔥🔥 তৈরি হয়ে যান এক অন্যরকম যৌন জগতে ভ্রমনের জন্য। যতই ভেতরে প্রবেশ করবেন ততই আশ্চর্য হয়ে যাবেন, একদম নিশ্চিত।