৪.২

485 2 0
                                    

– আমি পারবনা। অন্য কোনভাবে হয়না, প্লীজ?
বিব্রতভাবে জিজ্ঞেস করে। হাত দিয়ে ধরে দেখে, আধাআধি দৃঢ়তা এখন পুরুষাঙ্গে।
– এখন হবে তো.. ট্রাই করে দেখবেন?
ট্রাই করতে বলছে যেহেতু, কি আর করা। ওকে শুইয়ে কোমরের নিচে বালিশ দিয়ে দিলাম। আঙুল দিয়ে গুদের মুখটা ছড়িয়ে দেখলাম। খুব একটা ছড়াল না।
– রেডি?
জিজ্ঞেস করলাম।
– এক মিনিট!
বলে মধ্যাঙ্গুলির ডগা ভিজিয়ে হস্তমৈথুন শুরু করে দিল বিথী। চোখ বুজে হাত-পাছা নাড়িয়ে নাড়িয়ে ধ্যানমগ্নের মত এক আঙুলে খেলছে নববধূ নিজেকে নিয়ে।
ভগাঙ্কুরের আচ্ছাদন মাসাজ করছে সুন্দর ছন্দে। বেলকুনিটা বদ্ধ নয়, খোলা। তবু নারী যৌনাঙ্গের গন্ধ নাকে আসতে শুরু করেছে। হাত চালিয়ে অভ্যস্ত সে, সন্দেহ নেই। আমিও কচলে কচলে বাঁড়াটা মোটামোটি গাদন উপযোগি করে নিলাম এ সুযোগে।
– আসেন।
চোখ মেলে ডাকে বিথী। কাছে এগিয়ে পা পাটীতে ভেঙে ওর উরু আমার উরুয় ফেলে বাঁড়া দিয়ে কয়েকটা চাটি মারলাম গুদের চারপাশে। লম্বা চেরার নিচদিকে মুন্ডি চেপে কয়েকটা ঘষা দিলাম, পিচ্ছিল লাগল। ওটা ওখানে রেখে কোমর ধরে টেনে আনলাম আমার দিকে।
– উহহহ..
ধনুকের মত বাঁদিকে বেঁকে গেছে বাঁড়া। কচ্ছপের মত ধীরগতিতে তীরের অগ্রভাগ প্রবেশ করছে ফালি করা যোনিপথে। পিঠ টানটান করে কঁকিয়েছে বিথী, তারপরই শান্ত। আরেকটু টেনে তুললাম কোমরটা।
– ইহহ… ইশহহ… ওয়েট, ওয়েট!
বালিশ রেখে মাথা সামনে চলে এসেছে পাটীতে। ছড়িয়ে যাওয়া স্ট্রেইটেন করা চুলের নিচে হাতড়ে বালিশটা নিয়ে এল বিথী। কোমর আমার কোলে থাকায় শুয়ে শুয়ে ভালভাবে দেখতে পাচ্ছেনা।
– ইহহহ.. আপনি আরো ভিতরে নিচ্ছেন কেন? লাগছে!
বাঁড়াটা সোজা হয়ে এক তৃতীয়াংশ সেঁধিয়েছে, তাতেই ছটফট করছে বিথী।
– সেক্স করতে হলে যে পেনিস ঢোকাতে হয়, জানেন না?
একটু বিরক্তি দেখিয়েই বলি। মেয়েটির অসহযোগিতা আর তাড়াহুড়া পছন্দ হচ্ছেনা আমার।
– তাই বলে এত?
বলতে বলতে গুদের সঙ্গে বাঁড়ার সংযোগস্থলে হাত রেখে অনুধাবন করার চেষ্টা করে। বেশিরভাগটা বাইরে রয়ে গেছে বুঝতে পেরে দমে যায়।
বিথীর কোমর ধরে রেখে আমারটা আগুপিছু করে দেখলাম। খানিকটা লিঙ্গ চালনা করা যায়। বাঁড়া হাতে ধরে রেখেছে বৌ, অসুবিধা লাগলেই চেপে ধরছে।
– আরেকটু ঢোকাই, কেমন?
জবাবে মেকি কান্নার মত আওয়াজ করে বিথী। ডানদিকে কি যেন আওয়াজ হল। ঘুরে তাকালাম দুজনেই।
নিসার কাকার বাড়ির পাশেই দশফুটি রাস্তা। পাশের ওপাশের বিল্ডিংয়ে কনস্ট্রাকশনের কাজ চলছে দোতালায়। চার-পাচজন শ্রমিক কাজ করছে।
– ইয়াল্লা, এরা দেখছে তো!
শঙ্কিত হয় বিথী। বেলকুনির সামনেই একটা আমগাছের ঘন পাতাসমৃদ্ধ ডাল রয়েছে। দেয়ালে ইট বসানোয় ব্যস্ত শ্রমিকেরা কিছু খেয়াল করেছে বলে মনে হলোনা। বৌকে শান্তনা দিতে গ্রিলের সঙ্গে লেহেঙ্গার ওড়নাটা কোনমতে বেঁধে ঝুলিয়ে দিলাম। লাল ছাড়া পড়ল বিথীর ফর্সা গায়ে।
– আপনার গয়নাগাটি কই?
মাত্রই খেয়াল করলাম ওর গা পুরোপুরি অলঙ্কারশূণ্য।
– ছিল, এই বাড়ি থেকেই দিয়েছে। তালাক বলার পর আমি রাগ করে খুলে রেখেছি।
গাল ফুলিয়ে বলে বিথী। মুখটা ঘেমে যাচ্ছে, মেকআপ গলে যাবে নির্ঘাৎ।
বসে বসে জুত হচ্ছেনা, আরাম করে করব বলে এবার ধোন সেট করে ওপরে ঝুঁকে এলাম। সুন্দর মুখের ফ্রেম। ছোটখাট হলেও নজরকাড়া ঠোঁট। ঠোঁট এখনো লাল, নামকাওয়াস্তে মুখ লাগিয়েছিল ধোনে।
– ইশসসহহ.. নষ্ট হবে তো..
গাদন খেয়ে কঁকায় বিথী। কদবেলের মত বুক আলতো করে টিপতে গেলে হাত সরিয়ে দেয়।
– খুলে ফেলি? ব্রা পড়েছো তো।
– ছোট ছোট, মজা পাবেন না।
লজ্জ্বা নিয়ে বলে। বুক বাদ দিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরলাম না জিজ্ঞেস করে। কি যেন বলতে চাইল, শুনলাম না।
– খেয়ে ফেলেছি লিপস্টিক, পরে দিয়ে নিও।
বলে নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে গাদন শুরু করলাম। অর্ধেকটা পর্যন্ত ঠুসে দেয়া গেল। জিভ দিয়ে নড়াচড়া করতে করতে গোঙানি থামিয়ে সাড়া দিল বিথী। জিভ মিষ্টি, খেয়েছে সবে কোন মিষ্টান্ন।
– রাতে লাগিয়েছে হাজবেন্ড?
চুমুয় বিরতি দিয়ে জিজ্ঞেস করি।
– কাপড়-টাপড় খুলেছিল। আমি শেভ করে আসছিনা? দেখে বলে – ‘বাপ তো আপ্যায়ন করলনা, মেয়ে ন্যাড়া করে আসছে!’
খেদ নিয়ে বলে বিথী।
– এ নিয়েই ঝগড়া?
– হু। আন্দাজেই আমার বাবাকে নিয়ে বাজে বকছিল। আসার সময় আম্মু বলে দিয়েছে, শ্বশুরবাড়িতে সহ্য করে চলতে হয়, তাই কিছু বলিনি। ওপরে চড়ে ঢোকানোর সময় বলে – ‘বাপের মেয়াদ শেষ, এইযে চাবি দিয়ে ঘোরাব, আর আমার মেয়াদ শুরু হবে!’
ছেলেটির অদ্ভুত আচরণে হেসেই দেব, বিথী বলল,
– বাল, গিয়েছে মেজাজ চড়ে, লাথ মেরে ফেলে দিয়েছি!
শুনে চোখ বড়বড় হল আমার। কিছু গড়বড় হলে আমাকেও মারবেনা কোন গ্যারান্টি নেই।
– আপনাকে মারবনা!
মুচকি হেসে গালে হাত বুলিয়ে দেয়। মুখের শঙ্কা চোখে পড়েছে ওর।
– একটা কথা বলি, কাওকে বলবেন না।
আলতারাঙা এক পা বেলকুনির গ্রিলে চেপে ছড়িয়ে রেখেছে, অন্য পা পাটীতে। চুপচাপ হালকা চালে গাদন খেতে খেতে বলল।
– হুম, বলো।
– এতক্ষণ সেক্স করিনি কখনো আগে।
চোখে দুষ্টু হাসি, মুখ চেপে রেখেছে সলাজভাবে।
– কতক্ষণ হল?
– দশ-পনেরো মিনিট হবেনা?
আন্দাজ করে বিথী। আমি হিসেব করছিনা, মাথা নড়ি। আরেকটু গভীরে যাওয়ার চেষ্টা করলাম।
– উমহহ.. ভাল লাগছে বললাম আর খোচা দিচ্ছেন?
নাক ফোলায় বৌ।
– আরো ভাল লাগবে, দেখো।
আশ্বস্ত করলাম। বিথী একহাতে ধীরে ধীরে কোট মর্দন করছে। ঠোঁট গোল করে ওপর দিকে চেয়ে আছে। লাল ঠোঁট গোল করা রিংয়ে ঈষৎ ফাঁক। বললাম,
– যত গাঁড়ব, তত ইজি হবে তোমার জামাইয়ের।
বিথী মনযোগ দিয়ে হাত চালাচ্ছে, কিছু বলল না।
হঠাৎ কট করে দরজাটা খুলে গেল। উঁকি দিল কাজের মেয়েটা। আমাদের দেখে একবার গ্রিলে বাঁধা ওড়নাটা দেখল। বন্ধ করে দিল দরজা আবার।
– কি হয়েছে?
চোখ বুজেই জিজ্ঞেস করে বৌ।
– কাজের মেয়েটা, কিছু বলেনি।
– সময় হয়ে গেছে তো অনেক।
চিন্তিতভাবে বলে বিথী।
– চিন্তা করোনা, আর বেশিক্ষণ না। কয়েকদিন কিছু করিনি, কুইকলি বেরোবে।
গতি বাদিয়ে দিয়ে জানাই। ভালই পিচ্ছিল গুদ। নিচ থেকে একটু কোমর নেড়ে এক্সট্রা ঘর্ষণ দিচ্ছে বৌ।
– বাইরে ডিসচার্জ করবেন, প্লীজ।
অনুনয় করে বিথী। যাচাই করতে কেউ এলে তো সমস্যা, বললাম ওকে। মজা করে বললাম,
– কোথায় ফেলব, বুকে?
– না না!
আঁতকে ওঠে বিথী। হেসে আবার ঠোঁট চেপে ধরলাম। এবার পিঠ জড়িয়ে ধরল। ক’দিনের বিরতিতে ধোনটা ভালই চিনচিন করছে। মানসিক চাপ না থাকলে আরো আগেই হয়ে যেত। ঠাস ঠাস শব্দ করে গদাম ভরছি।
– উহৎ.. ঊফৎ… আমাহহহ..
হাঁ করে কঁকায় বিথী। বীর্যধারায় সিক্ত গুদ বেজায় পিচ্ছিল হয়ে ওঠে আচমকা। ঘর্মাক্ত মুখে মুখ ডলে দিয়েছি। মেকআপ লেপ্টে গেছে, চোখের কাজল মাখামাখি হয়ে গেছে।
– কন্ডম ছাড়া প্রথম?
আধমিনিট পরও মাল বেরোচ্ছে টের পাচ্ছি, তাই মৃদু রমণ চালিয়ে যাচ্ছি।
– প্রথম।
জানায় বিথী।
– লাস্ট কবে করেছ?
– আপনি বলে দেবেন এসব।
সন্দিহান চোখে তাকায় বিথী।
– না বোকা, কেন বলব?
– থাক, এখন বিয়ে হয়ে গেছে।
দম ফেলে বলল বৌ। বোধহয় বয়ফ্রেন্ড ছিল। এখন নিষ্কর্মা বড়লোকের বৌ হয়েছে, ওই ছেলেটা হয়তো নিষ্কর্মা মধ্যবিত্তের ছেলে।
শুয়ে শুয়ে দরজায় টোকা দিল বিথী। মেয়েটা উঁকি দিল সঙ্গে সঙ্গে। টিস্যু চাইল ওর কাছে।
আস্তে আস্তে সোজা হয়ে বসলাম। বিথী বেগুনিরঙা ক্ষুদ্র ভগাঙ্কুর মাসাজ করে চলেছে। অপরাধবোধ হচ্ছে ওর তৃপ্তি না আসতে দেখে।
– আরেকটু টাইম পেলে তোমার ব্যবস্থা করে ফেলতাম।
বললাম। মুচকি হাসে বিথী। ওর হস্তমৈথুন দেখে ফেলায় সলাজ হয়ে উঠে বসে।
বীর্যত্যাগের পর বেশ কিছুক্ষণ রমণ চালিয়ে যাওয়ায় ধোনটা, গুদের বাইরেটা ফেনিল হয়ে আছে। গৃহকর্মীর দিয়ে যাওয়া টিস্যু দিয়ে মোছা হল সেগুলো। মেকআপ বিগড়ে গেছে জেনে মন খারাপ হল বৌয়ের।
পাটীতে জড়ো হয়েছে ঘন তরল। সেগুলোও মুছলাম। বিথীকে ধরে তুলতে হল। বলল পা কাঁপছে। একটু হাঁটাহাঁটি করে ঠিক হল।
যেহেতু বাথরুম নেই, কাপড় পড়ে ফেললাম। নোংরা শরীরে সবস্ত্র হতে কেমন লাগল। কাজের মেয়ে বিথীর পাজামা-লেহেঙ্গা এনে দিয়েছে। ওগুলো পড়ে নিচ্ছে বৌ। বলল,
– আমার বিয়ে বাঁচাতে কষ্ট করলেন, হ্যাপিও করতে পারলাম না।
– কি যে বলো, পুরুষের আবার কষ্ট কি? তুমিই তো ছটফট করলে। আসলে, এত কম সময়ে সেক্স হয়না।
বোঝালাম ওর মন খারাপ করার কিছু নেই।
– আগেই সমাধান হতে পারত। রাতের ঘটনার পর এগারোটা-বারোটার সময় আব্বাকে ফোন দিয়েছে শ্বশুড়। মুরুব্বিরা বলছিল, যা হয়ে গেছে গেছে – বাইরের লোকে জানলে সমস্যা, হালালা করিয়ে নাও রাতেই।
– তুমি রাজি ছিলেনা?
– শুরুতে হইনি। আব্বা ইমোশনাল হয়ে গেল ফোনে, পরে রাজি হয়েছি। তখনো এখানে আমাকে নিয়ে ডিসিশান ফাইনাল হয়নি। বাড়িতে দেখছেন না, অনেক লোক? কেউ বলে মেয়ে খারাপ, বের করে দাও। কেউ বলে রাখতে। যেটাকে লাথ মেরেছি ওটাও চাইছে আমি থাকি, তবে বলছেনা। এই রাতের বেলায়ই আব্বু এক চাচাতো ভাইকে পাঠাল। পুরো এক ঘন্টা লাগে মোটরসাইকেলে আসতে। যদি আমাকে না রাখে, ও সঙ্গে করে নিয়ে যাবে। রাখলে হালালা করে দেবে।
– কখন এটা?
– দুটা বাজে তখন। চাচাত ভাই আসার পর কথাবার্তা বলে ফাইনাল ডিসিশান, হালালা হবে। এত রাতে কাজী পাওয়া যাবেনা, তাই সকালে হবে। ওমা, সকালে উঠে নানা টালবাহানা শুরু করে দিল ওরা। আমার চাচাত ভাইটার বয়স একটু কম। হাজবেন্ডের এক বড় বোন আছে, বলে এই ছেলে পারবেনা। আচ্ছা, যে ছেলে মাঝরাতে মোটরসাইকেল নিয়ে চলে এসেছে বোনকে উদ্ধার করতে, সে ছোট হয় কেমন করে?
পাজামার ভেতর টিস্যু চেপে ধরে পায়চারি করতে করতে বলছে বিথী। মাথা নাড়লাম।
– বাজে মহিলা। হাত দিয়ে ধরে দেখেছে প্যান্টের ভেতর। জানে লাভ নেই, আমাদের ফ্যামিলিকে অপমান করার জন্যই করেছে। এটা গেল, তারপর সুর উঠেছে – লোক আমাদের বাড়ি থেকে দিলে হবেনা, ওদের বাড়ি থেকে দিবে। সব ভ্যাজাল ওই ননাস লাগাচ্ছে।
– সে এমন করছে কেন? তোমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি কিছু বলেনা?
– ওই মহিলা শুনেছি এমনই। বিয়েবাড়ি বলে শ্বশুড় কিছু বলছেনা। সকালে তো আব্বা আর চাচা চলে আসছে। যেভাবেই হোক বৌভাতটা যেন হয়ে যায়। আমিও তাই চাইছিলাম। লোকে জানলে সব দোষ তো মেয়ের পরিবারেরই হয়।
– বিয়ে?
– মুরুব্বিরা বলছিল এবাড়ি-ওবাড়ি না, মাদ্রাসা থেকে ছেলে এনে করাতে। কিন্ত ওই ননাসই গোঁ ধরেছে, যে বাড়ির বৌ সে বাড়ির লোকেই নাকি করতে হয়।
– এমন নিয়ম আছে নাকি, শুনিনি তো।
অবাক হয়ে বলি।
– নাহ, আন্দাজে। ননাস ঠিক করে দিল, আমার ভাসুর করবে। কেন করেছে এই ফন্দি, জানেন?
– কেন?
– যদি বাচ্চা আসে, তবে যেন ঝামেলা হয়। দুই ভাই ঝগড়া করবে, উনি মজা করবেন। লাভ কি, ভাসুরের বৌ এসব বোঝে। সে-ও বলে, ভাই কেন করবে, বোন-জামাই করুক!
বাচ্চার কথা শুনে ভয় পেলাম। বারবার এই ভয়েই মজা মাটি হয়।
– বোকা মহিলা, আমার হিসেব তো জানেনা, আমি বলিওনি!
ক্রুর হাসি বিথীর চোখে। কাপড় পড়ে ওড়নাটা মাথায় দিয়ে মুখ ঢেকেছে মেকআপের ধ্বংসাবশেষ লুকোতে।
– এসব ঝামেলা দেখে শ্বশুড় বলল, অনুষ্ঠানটা হয়ে যাক, রাতে দেখা যাবে যা করার। নইলে হয়ে যেত সকালেই।
– আঙ্কেল চেষ্টা করেছে। কিন্ত হুজুররা মানেনি।
– তাদের দোষ দেইনি.. শ্বশুড় আব্বারই বা দোষ কই..
দীর্ঘশ্বাস ফেলে টোকা দেয় দরজায়। কাজের মেয়েটি নয়, মোটাসোটা ফর্সা চল্লিশোর্ধ এক মহিলা ঢুকে পড়ে বেলকুনিতে। চেহারায় বদরাগাী ভাব।
– আক্কেল ছাড়া মেয়ে। চেনা নাই, জানা নাই, কার না কার সঙ্গে.. ছি ছি..
আমাকে চোখ বুলিয়ে দেখে। বুঝলাম এ-ই জামাইয়ের বড় বোন।
– এহহ.. এহহহেহহ..
হঠাৎ মুখ বিকৃত করে পায়ের দিকে তাকায় মহিলা। পাটীতে পড়ে থাকা মাল লেগেছে বোধহয়।
– চিপাচাপায় বসে বসে নাগরের সঙ্গে গপ্পো করে পাটিতে ফালাইয়া হালাল, না? দাঁড়াও, দেখতেছি তোমাগোরে..
বিড়বিড় করে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে বেরিয়ে গেল মহিলা। কাজের মেয়েটি ঢুকল হাসতে হাসতে। আমরাও হেসে ফেললাম।
– বেটী কি করে দেখছেন? মনে হয় যানি গুয়ে পাড়া দিছে!
ওর মন্তব্যে পেট চেপে হাসে বিথী।
– ভাবী, সাজ ঠিক করেন গিয়া। আপনেগো বাড়ির লোকজন আইসা পড়ছে।
বিথী হাত ধরে হ্যান্ডশেক করে। বলল,
– দোয়া করবেন ভাই, যেন সংসারটা করতে পারি। হাজবেন্ড আজ সারাদিন ভাল বিহেভ করেছে, স্যরি বলেছে। আমিও বলেছি।
– ইনশাল্লাহ, দোয়া করি।
গাল টিপে দিলাম। হেসে দ্রুতপায়ে বেরিয়ে গেল। কাজের মেয়েটি পাটী সাফ করছে টিস্যু দিয়ে। ব্যবহৃত টিস্যু জড়ো করছে। বলল,
– ভাইজানের কষ্ট হইছে খুব, না?
– কি যে বলো তোমরা, তোমরা না করতেছ কষ্ট। তুমিও তো করতেছ।
– আমার কাম কেমন লাগছে, কামুড় পাইছেন?
চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করে।
– না। মানে, দাঁত লেগেছে কিন্ত কামড় লাগেনি।
দুপাটি ঝকঝকে দাঁত ভাসিয়ে হাসে মেয়েটি। পাটীর ভেতর টিস্যুগুলো রেখে গুটিয়ে বগলের নিচে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
– বকশিস টকশিস লাগবে?
ওর ভঙ্গিমায় মনে হলো, তাই জিজ্ঞেস করলাম। লাজুক হেসে বলল,
– যা দেন..


















কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)Where stories live. Discover now