আটাত্তরে সংগঠনের শুরুর দিকের কথা। সাগরপাড়ের এলাকা থেকে হাকিম চৌধুরির একজন দোস্ত আসবে। আগে তাবলীগি জামাতে এসে পরিচয় হয়েছিল। তারপর খুব খাতির। চিঠি লিখে বলেছে আসবে। চিঠি পৌছাতে পৌছাতে মেহমান আসবার দিন চলে এল।
তখনকার দিনে হোটেল-মোটেল অত ছিলনা। থাকলেও সজহলভ্য নয়, বেশ দূরে। সংগঠনের প্রভাবে তাবলীগ ছেড়ে দিয়েছে লোকটি, তাই থাকতে হবে নিজ উদ্যোগে। দ্বিনী ভাইয়ের বাড়িতে থাকবেন, সমস্যা নেই। কিন্ত হাকিম চৌধুরি সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করার লোক।
সাথীদের জানালেন ঘটনা। লোকটি একটা কাজে আসবে। থাকবে সপ্তাদুয়েক। শুনে সবাই জানালেন এটা ঠিক হবেনা। চৌধুরি সাহেব থাকবেন ব্যবসায়ের কাজে বাইরে। বাড়িতে শুধু স্ত্রী আর ছোট্ট জয়নাল। লোকটা এসে থাকবে দিনরাত, শরীয়তসম্মত হবেনা।
কয়েকটা সল্যুশন বের হল দলের আলোচনায়। চৌধুরি সাহেব বন্ধুকে বাসায় রাখবেনই – না রেখেও উপায় নেই, বেচারা থাকবে কই? এক্ষেত্রে শাতিরা বেগমের সঙ্গে মেহমানের মাহরামের সম্পর্ক থাকা বাধ্যতামূলক। যেহেতু লোকটি তার বাপ-ভাই কেউ নয়, স্বাভাবিকভাবে তা হচ্ছেনা।
হালালা তখন দেশে পুরোদমে প্রচলিত। সেই অপশনটি তো থাকছেই। কিন্ত তাতে সমাধান হচ্ছে কই। তখন চৌধুরি সাহেব বেগানা হয়ে যাবেন, তাকেই বাইরে ঘুমাতে হবে!
বৃত্তের বাইরে বেরিয়ে বাস্তববাদী কিন্ত সৎভাবে জীবনযাপনের নিমিত্তে গড়া সংগঠনটিতে নতুন নতুন যুক্তিতে ফতোয়া উদ্ভাবন হয় অহরহ। এরমধ্যে কোনটি বেদাত, কোনটি যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে তর্কের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মুসাফিরের খেদমতের ফতোয়ার উদ্ভাবক সংগঠনের কেউ নয়। সংগঠনের প্রতি আগ্রহী একজন মুফতিকে সিলেট থেকে আমন্ত্রণ করে আনা হয়েছিল ক’মাস আগে। উদ্দেশ্য, তিনি সদস্যদের স্বপ্নের কলোনির জন্য একখন্ড জমির ব্যবস্থা করবেন কয়েকজন ভক্তকে কাজে লাগিয়ে। পয়সা সদস্যরাই জমা করেছে। কিন্ত এমন জায়গায় নিষ্কন্টক জমি পাওয়া, কেনা, আর ধরে রাখা কঠিন।
তখনও চৌধুরি সাহেবের মত সমস্যায় পড়েছিল সংগঠন। তাবলিগী না হওয়ায় মসজিদে অবস্থানের সুযোগ নেই, এটা একটা বড় সমস্যা। নিমন্ত্রণ করে মেহমানকে হোটেলে রাখলেও সম্মান থাকেনা। সংগঠনের সকলে হয় চাকুরিজীবি নয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি। ভাড়া বাসায় বা ছোট্ট বাড়িতে থাকেন। টাকা-পয়সা জমান কলোনির জমি-মসজিদ-মাদ্রাসার জন্যে।
সবারই রুম সংকট। তাদের মধ্যে বাহালুল হকের ভাড়া বাসায় গেস্টরুম আছে। মুফতি সাহেবের আগমন উপলক্ষ্যে একটা বেডরুম পরিষ্কার করে রাখা হয়েছে। ছোট চৌকির গেস্টরুম তো হুজুরকে দেয়া যায়না।
বাহালুল হকের বাসায় স্ত্রী-কন্যা আছে। মুফতি সাহেব এসে জমি বায়না করতে করতে সপ্তাখানেক অন্তত লাগবেই। চৌধুরি সাহেবের মতই সমস্যাটা ধরা পড়েছিল তখন।
হুজুর চলে এসেছেন, ব্যাগপত্র রেখে বিশ্রাম করে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। আছরের সময় সমস্যাটা মসজিদের বাইরে মাঠে হুজুরকে নিয়ে গোল হয়ে বসে কুশলাদি বিনিময়ের সময় কেউ একজন তোলে।
অনেকেরই মনে হয় এটা তেমন কোন সমস্যা না। শুধু শুধু ঝামেলা তৈরি করা হচ্ছে। কিন্ত, আলোচনা যেহেতু শুরু হয়েছে, সমাধান আবশ্যই।
প্রথম সমাধান, মুফতি সাহেবকে স্থান বদল করতে হবে। কিন্ত বাহালুল হক মোটেও রাজি নন। হুজুর এসে আবার থাকার জায়গার জন্যে সন্ধ্যাবেলা দৌড়াদৌড়ি করবেন, এ-তো নিজের জন্যে বটে সংগঠনের জন্যেও লজ্জ্বার।
হালালার কথাই প্রথম ওঠে। বাহালুল হল স্ত্রীপ্রেমী মানুষ, তালাক-ফালাক বলতে পারবেন না। হাত নেড়ে মাথা ঝাঁকিয়ে মানা করে দিলেন। আরেক সমাধান হলো হুজুর যদি মেয়েটিকে বিয়ে করে নেন। তাতে সুবিধা হল, বৌ-শ্বাশুড়ি এক বাড়িতে থাকতেই পারে। এর আবার দুই সমস্যা। একেতো হালালা জিনিসটিই প্রশ্নবিদ্ধ, নেহাৎ প্রয়োজন হলে মেনে নেয়া হয়। তারওপর একেবারে শুধুশুধু সাময়িক বিয়ে কি জায়েয হবে?
কেউ কেউ বলেন শুধুশুধু তো নয়, দ্বীনি কাজের জন্যেই হবে। তা-ও নাহয় হতো, কিন্ত হুজুরের অলরেডি বিবি রয়েছে চারখানা!
ŞİMDİ OKUDUĞUN
কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)
Fantastik🔥🔥বোম্ব🔥🔥 তৈরি হয়ে যান এক অন্যরকম যৌন জগতে ভ্রমনের জন্য। যতই ভেতরে প্রবেশ করবেন ততই আশ্চর্য হয়ে যাবেন, একদম নিশ্চিত।