অফিসটা ছেড়ে দেব দেব করছিলাম। দিনকে দিন কাজ বাড়ছে। মাঝে মাঝে অফিস থেকে জ্যাম ঠেলে বাংলাবাজার প্রেসে যেতে হয়। বাসায় ফিরতে রাত হয়।
ছেড়ে দিয়ে কি করব সে আশঙ্কায় আটকে ছিলাম। তবে ভাল একটা ইনক্রিমেন্ট আসায় থাকব ঠিক করেছি।
বস আগে আগে চলে গেছে আজ, আমাদের হাতেও কাজ একটু কম। অফিস থেকে আজ যে দুজন প্রেসে গেছে তদারকি করতে, তাদের কথা আলাদা।গল্পগুজব করে অনেকদিন বাদে কাঁটায় কাঁটায় ছ’টায় বেরোতে পারল সবাই।
– গিয়েছিলে অফিসে?
সময়মত বাসায় চলে আসায় অবাক-ই হয় মুনীরা। বেশ কিছুদিন হল সন্ধ্যায় বাসায় ফেরা সম্ভব হয়না।
– রান্না কম্পলিট হয়নি, সেমাই বানিয়েছিলাম, খাবে?
কদিন ধরে মিষ্টান্ন বানানো শিখছে বৌ। আমি রাতে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আর ওসব টেস্ট করে স্বাদ পাইনা। আমি ছাড়া কারও ওপর নিজের পরীক্ষামূলক রন্ধনের প্রয়োগ করার মত-ও নেই।
– দাও। ভাত পরে খাই, দুপুরে খাওয়াদাওয়া হয়েছে অফিসে।
খিদে লাগেনি তা না, তবে এখন হালকা নাস্তা করাই ভাল।
– যাবে কোনদিকে?
সেমাই খাচ্ছি, এরমধ্যে জিজ্ঞেস করে।
– মাগরিবের টাইম হয়ে গেছে না? তারপর, একটু বাজার থেকেও ঘুরে আসা দরকার। বেশি রাত করে গেলে ভাল কিছু পাওয়া যায়না।
– পরে যাও। হায়কুল ভাইয়ের বাসায় শালিস আছে।
মুনীরা বাসায় থাকার সুবাদে কলোনির নানা এক্টিভিটিজে যোগ দিচ্ছে, খবরাখবর রাখছে। নেতৃস্থানীয় আপা-ভাবীদের সঙ্গে সময় দিচ্ছে। বিশেষ করে সেতু ভাবীর সাগরেদে পরিণত হয়েছে সোহানী আর ও।
– কিসের সালিশ?
জিজ্ঞেস করি। হায়কুল ভাই তো ঝামেলা পাকানোর লোক না।
– একটা মেয়ে, ওনার বাসায়। চলো, গেলে দেখবা।
হায়কুল ভাইয়ের বাসায় মেয়ে? বুঝলামনা মুনীরার কথা। রহস্য করে রাখল।
কি ঝামেলা, দেখতে গেলাম। কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় চার-পাচজন নারী শালিসে বসেছেন। এখনো পুরুষরা অফিস করে বাড়ি ফেরেনি। পুরুষের মধ্যে আমি ছাড়া দুজন রিটায়ার্ড আঙ্কেলকে দেখলাম।
তো ঘটনা হচ্ছে, ভাইয়ের বাসায় ওনার এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়া থাকছে কয়েকদিন ধরে। সেটা নিয়েই নাকি দরবার।
হায়কুল ভাইয়ের ভাষ্যমতে মেয়েটি তার চাচাত বোনের কন্যা। এখানে থেকে পড়াশোনা করবে।
– বেড়াতে আসছে নাকি থাকবে, ডিসিশন নিছেন?
সেতু ভাবী চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে জিজ্ঞেস করে। ওনাকেই মাতবরনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা যাচ্ছে আজকাল।
– পড়ালেখা করবে… থাকবে।
হায়কুল ভাইয়ের বয়স আমার চেয়ে খুব বেশি নয়। শুকনোদেহী, লম্বা লোকটির মুখে দাঁড়ি-মুখের বালাই নেই। ছোট করে ছাঁটা চুল।
শুধু স্ত্রী নিয়ে আমাদের মত মিনিমাম সংসার। তাকে ঘিরে বাসায় জটলা, সালিশ – ভাই লুঙ্গি-শার্ট পড়ে কাঁচুমাচু হয়ে বসে আছে। হাত কচলে জবাব দিলেন।
– মেয়ের গার্জিয়ান?
হায়কুল ভাই-ভাবীর দিকে তাকায় সেতু ভাবী।
– আমরাই।
ভাই জবাব দেয়।
– হোস্টেলে রেখে পড়ান, তাহলেই তো হয়।
সল্যুশন দেয়ার চেষ্টা করে সেতু ভাবী।
– দূর থেকে আসছে, হোস্টেলে মানিয়ে নিতে পারবেনা, তাই ওর বাসা থেকে এখানে পাঠিয়েছে। ঢাকায় আর কোন ব্যবস্থা নেই।
সেতু ভাবী মাথা নাড়লেন, ভাবছেন সিচুয়েশনটা।
অনেক ভাড়া বাসায় স্থায়ী বাসিন্দাদের বাইরে অতিথি আসা ভাল চোখে দেখেনা বাড়ীওয়ালা। এলেও দ্রুত চলে যাওয়ার তাগিদ থাকে।
কলোনিতে একটা সমাজবাদী পরিবেশ থাকায় সেই সমস্যা নেই। আমার সম্বন্ধীও এক সপ্তাহ থেকে গিয়েছে গত মাসে, কেউ কিছু বলেনি।
তবে কে এসে কয়দিন থাকতে পারবে তার নিয়ম-কানুন আছে। যেমন, আমার সম্বন্ধী-শ্বাশুড়ি এক সপ্তাহ নয়, একমাস থাকলেও কেউ কিছু বলতোনা। কিন্ত চাচাতো বোন-ভাতিজি এসপ্তা রাখলেই কথা উঠবে।
– এক ছাদের নিচে বাড়ন্ত মেয়েলোক নিয়ে থাকবেন, শয়তান ওয়াসওয়াসা দিবে।
সেতু ভাবী বলে।
হায়কুল ভাইয়ের স্ত্রী এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি। এক কোণে দাঁড়িয়ে ওড়না দিয়ে মুখ ঢেকে ফ্যালফ্যাল করে সবার কথা বলা দেখেছে। এবার সে মুখ খুলল,
– ভাতিজি হয় তো আপা, থাকতে পারবেনা?
– দূরের রিলেশন। ওর মা-ও হালাল আপনার হাজবেন্ডের জন্য।
শুনে দমে যায় ভাবী।
– ছোট মেয়ে তো, থাকলে সমস্যা হবে?
– কোন ক্লাসে পড়ে যেন?
সেতু আপা ভ্রু কুঁচকায়।
– নাইনে উঠেছে।
– ক্লাস নাইনে পড়া মেয়ে ছোট হয় নাকি!
সেতু ভাবীর গলায় বিরক্তি লক্ষ্য করে হায়কুলে ভাইয়ের স্ত্রী নিরস্ত হয়।
– ওর আলাদা রুম আছে, তাছাড়া আমি তো বাসায়ই থাকি।
– আপনি বাসার কাজে বিজি থাকবেন, ওইদিকে কি হচ্ছে টেরও পাবেন না!
সেতু ভাবীর মন্তব্যে হায়কুল ভাইও চুপসে গেলো।
– অবৈধ সম্পর্ক হওয়ার চাইতে শরীয়তসম্মত সমাধান করে নেয়া উত্তম হবে।
ভাবী রায় দেয়। হায়কুল ভাই স্ত্রীর সঙ্গে চোখাচোখি করেন। লাল ওড়নায় ঢাকা মুখ, চোখে সিদ্ধান্তহীণতা।
– মেয়েকে ডাকেন, আলাপ করি।
নীরবতা অনুধাবন করে ভাবী চায়ের কাপ রেখে সোজা হয়ে বসেন।
– এই মেয়ে, আসো। আলাপ করি, বসো।
দরজার আড়া্লে দাঁড়িয়ে আলাপ শুনছিল মেয়েটি। মাথায় ওড়না দিয়ে ভয়েভয়ে এসে বসল সেতু ভাবীর পাশে।
– কেমন আছ তুমি, নাম কি তোমার?
মেয়েটি বিড়বিড় করে নাম বলে।
– তুমি তো ছোট না দেখা যায়, সবই তো শুনেছ, শুনেছ না?
সেতু ভাবী এক নজরে মেয়েটিকে দেখছে। গায়ের রঙ ফর্সা, বর্তমান সিচুয়েশনে সন্তস্ত্র না হলে মুখটা সুন্দর দেখাত। শুকনোমত, গড়নটা এ বয়সী কিশোরিদের মতই।
ভাবী ওর মাথা থেকে ওড়না সরিয়ে দেখছে। পিঠ সমান চুল বিনুনী করে বাঁধা।
– সুন্দর চুল তোমার, কে বেঁধে দিয়েছে?
– আন্টি।
বুকের ওপর থেকে ওড়নাটা সরিয়ে চোখ বুলাচ্ছে ভাবী। মেয়েটির শারীরিক গঠন দেখছে বলে মনে হলো। ভাপা পিঠার মত বুকে আলতো করে টিপে দিতে মেয়েটি একটু কুঁকড়ে গেল।
– আন্টি কেমন, ভাল?
– জ্বি।
আলাপের ছলে জামার ঝুল পেটের ওপর তুলে দেয়। কিউট ছোট্ট নাভীর নিচে টাইট করে গেরো দেয়া সালোয়ারের ফিতে। শুকনো পেটে জিরো ফিগার।
– সুন্দর কালার তো সালোয়ারটার, হুমম, খোলো তো একটু, দেখি..
মেয়েটি কিছু না বলে গিঁট খুলে দেয়। ভাবী খানিকটা সরিয়ে দেখে। কালো গুপ্তকেশের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
কোমরের দুপাশ থেকে সালোয়ারটা ধরে টেনে নামাতে শুরু করেছে ভাবী।
– পাছা তোলো!
বিনাবাক্যে পেছনটা উঁচু করে দেয় কিশোরি। নামানোর সময় চেপে রাখা উরুর মাঝে আটকে যাচ্ছে সালোয়ারটা।
– পা ফাঁকা করো!
সারা গায়ের মধ্যে উরুতেই খানিকটা ব্যাস আছে মেয়েটির। সালোয়ার হাঁটুর নিচে নামিয়ে মেয়েটির পা ভাঁজ করে গায়ের দিকে ঠেলে দেয় ভাবী।
– ধর, ধরে রাখ.. চেপে রেখোনা!
হাঁটুর ভাঁজে দুই হাত, পা উর্ধ্বপানে তাক করে বুকের সঙ্গে মিশিয়ে ধরেছে কিশোরি।
হাত ধরে নিতম্ব আরো একটু উঁচু করে দেয়, এদিকে পিঠ দিয়ে পর্যবেক্ষণ শুরু করে ভাবী। যেন আমার দৃষ্টি আড়াল করাই উদ্দেশ্য।
– দেখেন, ঘন হয়ে গেছে.. দেখেছেন?
হায়কুল ভাই আড়চোখে দেখছে একদৃষ্টে। ওনার বৌ মুখ গোমড়া করে মাথা নাড়ে।
দেখিয়ে-টেখিয়ে সোজা হয়ে বসে ভাবী। কিশোরি পা নামিয়ে দ্রুত সালোয়ার তুলে গিঁট মেরে কাপড় ঠিক করে ফেলে।
– বলো, কি করবা, পড়ালেখা করবা?
সরজমিনে দেখে সন্তষ্ট মনে হচ্ছে ভাবীকে।
– জ্বি।
কিশোরি দৃঢ়ভাবে জবাব দেয়। মেয়েটির মুখের দিকে তাকিয়ে প্রত্যয়ী ভাব লক্ষ্য করছে ভাবী।
– এটা তোমার রুম?
– জ্বি।
– এখন আর তোমার একার রুম থাকবেনা, বুঝলে?
মাথা নিচু করে শুনছে কিশোরি।
– আঙ্কেলের বাসায় থাকতে হলে তার সঙ্গে বিছানা শেয়ার করতে হবে। পারবে?
মেয়েটি বিড়বিড় করে কিছু বলে।
– পারলে বল ইনশাল্লা। .. জোরে?
– ইনশাল্লা!
কাঁপা গলায় বলে কিশোরি।
– কি করব, রাখবেন ওকে?
হায়কুল ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রশ্ন করে ভাবী। মহিলার চোখে দুশ্চিন্তা। দুসেকেন্ড চেয়ে থেকে ঘাড় ছেড়ে দেন।
– আপনারা যেটা ভাল বোঝেন।
– আলহামদুলিল্লাহ!
হাসি ফোটে সেতু ভাবীর মুখে।
– যাও, ভিতরে যাও, ব্যবস্থা করি।
ভেতরে পাঠিয়ে দেয় মেয়েটিকে।
![](https://img.wattpad.com/cover/302333767-288-k351293.jpg)
YOU ARE READING
কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)
Fantasy🔥🔥বোম্ব🔥🔥 তৈরি হয়ে যান এক অন্যরকম যৌন জগতে ভ্রমনের জন্য। যতই ভেতরে প্রবেশ করবেন ততই আশ্চর্য হয়ে যাবেন, একদম নিশ্চিত।