৩.২

535 1 0
                                    

সেতু ভাবীর পেছনে সোহানী-মুনীরা, সবশেষে চললাম আমি। ভেতরে গেলাম পর্দা সরিয়ে। ছোট্ট খাটে নববধূর ওপর লেপ্টে আছে হায়কুল ভাইয়ের মেদহীন দীর্ঘ শরীর, স্যান্ডো গেঞ্জি ভিজে গায়ের সঙ্গে লেগে গেছে। আপাতভাবে নিস্তেজ মনে হলেও একটু পরপর কোমর নড়াচ্ছে।
অর্ধনগ্ন কিশোরি চোখ বুজে পা ছড়িয়ে চিৎ হয়ে শোয়া। পিঠ খামছে ধরে মৃদু স্বরে কোঁ কোঁ করছে।
গলা খাকারি দেয় সেতু ভাবী,
– কি, ভালবাসা শেষ হলো?
হঠাৎ আওয়াজ শুনে চমকে ওঠে দুজনেই। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় হায়কুল ভাই।
– স্যরি, ডিসটার্ব করলাম। আমরা তো চলে যাব বাসায়, ভাবলাম দেখে যাই.. রাখো রাখো, কাপড় পরে পড়ো, চেকিংটা করে নিই।
লজ্জ্বা নিবারণে ব্যস্ত দুজনকে নিরস্ত করে ভাবী।
ভাবীর নির্দেশমত দুজনে পাশাপাশি খাটের কিনারে পা ঝুলিয়ে বসেছে।
– এগিয়ে আসেন, পা স্প্রেড করেন।
হায়কুল ভাই পাছা ঘষটে একেবারে কিনারে নিয়ে আসে, পা ছড়িয়ে দেয় অনেকখানি। শুকনো গড়নের রোমশ ফর্সা শরীরের ভঙ্গি ঝুলন্ত ব্যাঙের মত। পার্থক্য শুধু উর্ধ্বমুখী গোলাপী পুরুষাঙ্গ।
পায়ের ফাঁকে বাঁড়াটা চেপে রেখেছিল, পা ছড়িয়ে দিতে লাফিয়ে উৎরে গেছে। ভেজা উরুসন্ধি থেকে আসা আঁশটে গন্ধ নাকে লাগল।
– সোহানী, কি মনে হয় দেখে, ইউজ হয়েছে?
আঙুল তুলে বাঁড়া নির্দেশ করে জিজ্ঞেস করে ভাবী।
– হয়েছে।
– মুনীরা?
– হ্যাঁ।
ওদের জিজ্ঞেস করলেও আমাকে জিজ্ঞেস করলনা।
– ডিসচার্জ হয়েছে?
– মনে হচ্ছে হয়েছে।
সোহানী দাঁতে আঙুল কামড়ে তাকায় রঙচঙে ধোনের দিকে।
– মনে হচ্ছে বলে কিছু নেই, শিউর হতে হবে।
মুনীরাও বলল “মনে হচ্ছে”। আসলে রসস্খলনের পরিচিত গন্ধেই বোঝা যাচ্ছে, সেটা হয়তো লজ্জ্বায় বলছেনা ওরা।
– ভেরিফাই করা শেখো তোমরা। মুনীরা, ক্বাদীবটা দেখো।
সেতু ভাবী মুনীরাকে সামনে ঠেলে দেয়। গুপ্তকেশের ভিতে দৃপ্ত সিক্ত পুরুষাঙ্গ দ্রুত গুটিয়ে যাচ্ছে।
– মনী বের হয়েছে কিনা দেখো।
– বোঝা যাচ্ছেনা তো।
মুনীরা একটু ঝুঁকে খেয়াল করে বলে।
– ধরে দেখো, চেপে দেখ!
ভাবী ওর পিঠে চাপড় দেয়ার মত ঠেলে দেয়।। আমার দিকে একবার তাকিয়ে ঝুঁকে পড়ে মুনীরা।
আধনেতানো চকচকে পুরুষাঙ্গটি এক আঙুলে নেড়েচেড়ে দেখছে বৌ। চটচটে রসে আঙুল লেপ্টে যাচ্ছে।
স্ফীত মুন্ডি ধরে গোলাপজামের মত দুআঙুলে টিপে দিতে দুফোঁটা ঘন বীর্য বেরিয়ে এল। মুনীরার মুখ কুঁচকে গেল, তবে হাত ছাড়লনা।
– ভাবী?
দৃষ্টি আকর্ষণ করল। সেতু ভাবী দেখে স্মিত হাসে।
– হুম, ঠিক আছে।
মুনীরা দ্রুত দু’পা পিছিয়ে এল। আমার দিকে তাকাল অপরাধীর মত।
– এভাবে চেকিং করতে হয়।
ফিসফিস করে কৈফিয়ত দিল মুনীরা।
আমি উসখুস ভাবটা আড়াল করার চেষ্টা করছি।
– ওকে..
মৃদুভাবে মাথা নাড়লাম।
নববধূ পাশেই বসা, কামিজের ঝুল উরু পর্যন্ত ঢেকে রেখেছে।
– ছোট মানুষ, লজ্জ্বা কিসের? দেখি.. শুয়ে পড়ো।
কামিজটা তুলে দেয় ভাবী। অল্প যোনিকেশ কাঁচা কামাদ্রির ওপর। ছিমছাম অন্তর্মূখী স্ত্রীঅঙ্গ, গুদের পাতা বা ভগাঙ্কুর বাইরে বেরিয়ে নেই।
নাতিদীর্ঘ গুদের চেরা বাঁকা চাঁদের ন্যায়। উপর প্রান্তে টোল পড়েছে, যেন হাসছে আমাদের দিকে চেয়ে।
ভাবী আনাড়ি গুদের ঢিবির ওপর হাতের তালু ছড়িয়ে চাপ দিতে গলগল করে তরল নেমে আসতে শুরু করল উরুসন্ধি বেয়ে। আঙুলে মেখে দেখল, নাকের কাছে নিয়ে শুঁকল।
– কি মনে হয়?
সোহানীর নাকের সামনে আঙুল রেখে জিজ্ঞেস করে।
– ঠিক আছে।
নাক কুঁচকে বলে সোহানী।
কিশোরির নব্য যোনি বেয়ে যেভাবে গলগল করে পৌরষরস বেরোচ্ছে, মুনীরাকে লিঙ্গ টিপিয়ে দেখতে বলার কোন দরকার ছিলনা, আমি মনে মনে বিরক্ত হই।
– শিওর হলে কিভাবে? একদম লিকুইড হয়ে গেছেনা?
হায়কুল ভাইয়ের বাঁড়ার ডগা থেকে বেরোনো বীর্য ঘন দুধসাদা। সে তুলনায় এটি কয়েকমিনিট পুরনো তরল, গুদ থেকে বেরিয়েছে।
সোহানী ঠোঁট উল্টায়।
– টেস্ট করে দেখো!
ভাবী ইশারা করে গুদের দিকে। সোহানী জিভে কামড় দেয় মুচকি হেসে। আটা দলানোর মত হাতের তালুর প্রান্ত দিয়ে কিশোরির গুদের ওপর চাপ দেয়। বেরিয়ে আসা তরল আঙুলে নিয়ে জিভের ডগায় ছোঁয়ায়।
– মুনীরা, আসো, তুমিও নাও..
দ্বিধাগ্রস্থ মুনীরা আমার দিকে তাকায়।
– চাপ দাও.. অনেক আছে, ভেতরে এত জায়গা নেই, সব বেরিয়ে যাবে।
আমাকে বোকার মত ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে থাকতে দেখে তাগাদা পেয়ে সোহানীর মত একই কাজ করে। সোপ ডিসপেন্সারের মত প্রায় টেকো ভোদার ঢিবি চাপে। ফচ! শব্দে হাতের তালুয় নেমে আসে খানিকটা প্রায় তরল বস্ত।
– দেখ টেস্ট ঠিক আছে কিনা..
তালু নাকের কাছে এনে কুঁচকে ফেলে মুনীরা। চোখ বুজে জিভ বের করে ছোঁয়ায়। নিমের তেতো খাবার মত বিটকেলে হয়ে যায় মুখ। খেয়াল করে ভাবী বলে,
– জ্ঞান শেয়ার করলে কমেনা, তাই শেখাচ্ছি তোমাদের। অনেক সময় যাচাই করতে হয় সন্দেহ থাকলে।
মাথা নাড়ে মুনীরা।
– কি বুঝলে?
– ঠিক আছে।
মুনীরা বলে।
– কি?
মুনীরা বুঝিয়ে বলতে পারেনা। হাসে সেতু ভাবী।
– কিছু বোঝা যায়না এটুকুতে, অর্ধেক টেস্ট হয়েছে। এবার ক্রস ম্যাচ করতে হবে। বলে আঙুল তুলে হায়কুল ভাইয়ের প্রায় চুপসে যাওয়া পুরুষাঙ্গ নির্দেশ করে।
সোহানী দ্রুত সেদিকে গিয়ে বাঁড়ার ডগা বেয়ে পড়তে থাকা ঘন বীর্যধারা আঙুলে স্কুপ করে নেয়।
মুনীরা দুআঙুলে মুন্ডি ধরে টিপে দেয় আগের মত, কিন্ত এবার কিছু বেরোয়না।
– পুরোটা স্কুইজ করো!
সেতু ভাবী কতৃত্বপূর্ণভাবে বলে। মুনীরা বাঁড়ার মাঝ বরাবর টিপে চেষ্টা করে। কাজ না হওয়ায় গোড়া চেপে ধরে। খালি টুথপেস্ট টিউবের মত স্কুইজ করতে শুরু করে। আধ নেতানো বাঁড়া রবারের মত লম্বা হয়ে ওঠে।
এবার কাজ হয়েছে। আটকে থাকা বেশ খানিকটা গাঢ় পৌরষরস বেরিয়ে এসেছে। তবে হাত পেতে ধরতে পারার আগেই ফোঁটাগুলো পড়ে গেছে লোমশ অন্ডথলিতে।
মুনীরা বিড়বিড় করে নিজেকে গাল দিয়ে সেগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। কিন্ত নরম অন্ডথলি থেকে নখ দিয়ে তুলতে গেলে অন্ডকোষ একদিকে সরে গিয়ে লেপ্টে গেল তরল, আর তোলা সম্ভব না।
– ধ্যাত!
ফোঁস করে ওঠে মুনীরা। ব্যর্থতায় নিজের প্রতি হতাশ।
– এখান থেকে নিয়ে নেন।
সোহানীর আঙুলের ডগায় ক্রীমের মত থকথকে বীর্য জমে আছে, সেটা দেখায়।
– উহু, ওরটা ওকে শিখতে দাও। মুনীরা, আরো বেরোবে?
ডানে-বাঁয়ে মাথা নাড়ে বৌ, আর নেই।
– কোথায় পড়েছে, তোলা যাবে?
– উহু, মিশে গেছে।
মুনীরা বলল।
– মনী পাওয়া না গেলেও চেক করতে হবে, ডিরেক্টলি টেস্ট করো।
ভাবীর সঙ্গে চোখাচোখি হয় মুনীরার। কি বলছে বুঝতে পারছেনা।
– বসো, বসলে সহজ হবে।
ভাবী বেশ লম্বা, প্রায় আমার সমান। মুনীরার পেছনে এসে কাঁধে হাত রাখে।
– হুম, নামো..
হাতের ঘষায় শাড়ীর আঁচল পড়ে গেছে। ঘাড়ে চাপ পেয়ে পা ভেঙে সোজা নেমে পড়ছে বৌ, ফ্লোরে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ার পর ভাবী সরে যায়।
আঁচল ঠিক করে চোখের সামনে নেতিয়ে পড়া লিঙ্গখানা ধরে আগেরবারের মত টিপে দেখে, কিছু বেরোয় না। মাথা নেড়ে চোখ ঘোরায় ভাবীর পানে।
– হয় এরকম, সমস্যা নেই, মুখে নাও!
মুনীরা চোখ বড়বড় করে আমার দিকে তাকায়। এবার আমিও বেশ বিরক্তি হয়েছি, চেপে যাওয়া যায়না আর। কিছু বলার আগেই ভাবী বলতে শুরু করল,
– তুমি কাজ করো, হামিদ দেখুক।
গমগমে গলায় নির্দেশের সুরে বলে।
– আ.. মানে, ভাবী, দরকার আছে কি?
কিভাবে বলা যায় গুছিয়ে তুলতে পারছিনা।
– তোমাকে দেখিয়ে দিচ্ছি যাচাই পদ্ধতি। নিজেই তো দেখলে। পরে জানতে পারলে আমার ওপর রাগ হতে। নাও মুনীরা, জাস্ট টেস্ট-টা বুঝতে হবে।
আমার নির্বাক ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া চেহারা থেকে চোখ সরিয়ে নেতিয়ে যাওয়া পুরুষাঙ্গের মুন্ডির কলার ধরে লক্ষ্য স্থির করছে মুনীরা। জিভ সাপের মত সরু করে সরাসরি নামিয়ে আনল ডগায়। গায়ে কাঁটা দিল আমার।
মনে হল টেস্ট পয়নি। এবার ওর চোখে দ্বিধা নয়, বরং প্রত্যয়।
ঠোঁট ঈষৎ হাঁ করে জর্দার মিষ্টির সাইজের ক্ষুদ্র মুন্ডিটা নিয়ে নিল। কয়েকবার জিভ নেড়ে হতাশভাবে দম ফেলে নুডলস টানার মত তিন ইঞ্চি নেতানো নুনুটা গিলে ফেলল।
শুরুতে ওর শুচিবাই দেখে হাসব না সহমর্মী হব ঠিক করতে পারছিলাম না। আচমকা ওর অতিপ্রত্যয়ী ভঙ্গি দেখে গা শিউরে উঠল।
নিহারীর মজ্জা টেনে নেবার মত প্যাচপ্যাচ আওয়াজে চুষছে মুনীরা। সেতু ভাবী বেশ অবাক হয়েছে বলা চলে।
সোহানী ওর দিকে তাকিয়ে আছে আমার মতই বিস্ময়ে। পানের সঙ্গে চুন খাবার মত আনমনে আঙুলের ডগা থেকে একটু একটু করে বীর্য জিভের ডগায় রাখছে বারবার। আঙুলটা মুখে নিয়ে সশব্দে লেগে থাকা বাকিটাও টেনে নেয় মুখে।
যদিও বীর্য লেহনে ওর এহেন ‘পারদর্শীতা’ আমাকে অবাক করেনা, তবু খেয়াল করলাম – গুদ থেকে বেরোনো তরলের তুলনায় ফ্রেশ ঘন পৌরষরসে স্বাদ বেশি পাচ্ছে।
অন্তত আধমিনিট পর পুরুষাঙ্গ চাটা বাদ দিয়ে দাঁড়ায় মুনীরা। চোখেমুখে স্মিত হাসি।
– পেয়েছি, সেইম টেস্ট! আপনার?
সোহানীর মতামত জানতে চায়। সোহানী হেসে একমত হয়।
এদিকে হায়কুল ভাইয়ের পুংদন্ড উজ্জীবিত হতে শুরু করেছে পুনরায়। সে-ও এরকম ‘যাচাই’ আশা করেনি।
লিপস্টিকের লাল বাঁড়ার গোড়ায়, মুন্ডির ডগায়, আরো কয়েক জায়গায় লেগে আছে। মুনীরার ঠোঁটের আশেপাশেও লেপ্টে আছে লালীমা। বিয়ের পর প্রথম যখন ওকে চুমু খেয়েছিলাম তখন এমনটা হয়েছিল। আমি লিপস্টিকের স্বাদ নিয়েছিলাম মুখে, বাঁড়াও যে এই স্বাদ পেতে পারে ভাবিনি।
সেতু ভাবী আমার দিকে তাকিয়েছে। প্রমাদ গুণলাম, না বাবা, আমি এরকম ‘যাচাই’ করতে পারবনা মোটেও।
– দেখলে, কত সোজা? মুনীরা ট্যালেন্টেড মেয়ে।
ভাবী ওর গাল টিপে দিয়ে আমার দিকে ফিরল।
– ও তো আপনারই সাগরেদ।
নার্ভাসভাবে বললাম।
– সোহানীর পর আরেকজন পেলাম। আমরা বুড়ি হয়ে যাচ্ছি, এখন ওদেরই লীডারশীপ নিতে হবে।
ভাবী আমার অনুমিত সাপোর্ট পেয়ে খুশি হয়।
– বাইরে পুরুষ বাদশা, ঘরে নারী রাজরানী। মনে বল নিয়ে চলবে, ভয় পাবেনা।
মুনীরাকে নসীহত করে বলছে।
এদিকে হায়কুল ভাইয়ের জননাঙ্গ পুরোদমে বেড়ে উঠেছে। আমাদের অস্তিত্বে বিব্রত হয়ে বাঁড়া চেপে বসে আছে। নতুন বৌ রেখে চোরাচোখে মুনীরাকে দেখছে।
– আরেক রাউন্ড দেন তাহলে। দিয়ে ফ্রেশ হন। হয়ে আসেন, আমরা ওয়েট করতেছি।
সেতু ভাবী বেচারার অবস্থা খেয়াল করে বলে।
আমরা বেরোনোর আগেই কিশোরির ওপর চড়াও হয়েছে হায়কুল ভাই। সরু পা কাঁধে নিয়ে সশব্দে গদাম শুরু হয়ে গেছে।
পর্দা টেনে দিয়ে সোহানী ফিসফিস করে মুনীরাকে বলল,
– আপনি তো আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন!
মুনীরা অবশেষে সম্বিত ফিরে পেয়েছে, মুখ চেপে হাসল।
বাইরে বেরিয়ে আবার বসলাম আমরা। নাজমা আপা চোখ তুলে তাকায়।
– ঠিক আছে। ওরা দুইজনই আজ করেছে যাচাই। আমাদের ছুটি হল বলে।
হেসে সেতু ভাবী জানায়। শুনে নাজমা আপার ঠোঁট চওড়া হয়।
– কি, নতুন মেয়ে, কেমন বুঝলে?
জিজ্ঞেস করে মুনীরাকে।
– জ্বি আপা, ভাল।
মুনীরাও হাসার চেষ্টা করে।
– ও ভাল করেছে। ক্বাদীব থেকে চেকিং করেছে, সরাসরি।
‘সরাসরি’ শব্দটার ওপর জোর দেয় ভাবী। আগ্রহ নিয়ে মাথা ঝাঁকায় আপা।
– ভাল করেছে তবে, প্রথম দিন হিসেবে। আজকালকার মেয়েদের তো ভাল করারই কথা, কত কিছু জানে ওরা। …তোমার ওয়াইফ?
আমাকে জিজ্ঞেস করে।
– জ্বি আপা।
– কোথায় জব কর তুমি?
– জ্বি, একটা প্রকাশনীতে..
– হিয়াদায়ায়?
কথা শেষ করার আগেই বুঝে ফেলেছে আপা।
– জ্বি।
– হ্যাঁ, শুনলাম নতুন একটা ছেলে এসেছে, ভাল কাজ করে। .. কি অবস্থা তোমাদের অফিসের?
– ভাল। কয়েক মাদ্রাসার বইয়ের অর্ডার এবার আমরা পেয়েছি।
বললাম।
– গুড, গুড। খুব বিজি যাচ্ছে, না?
– হ্যাঁ, তা যাচ্ছে।
হাত কচলে বলি। আপা সব খবর রাখে। সেতু ভাবীর চেয়েও বড় গোয়েন্দা।
– হাজবেন্ড বাইরে বিজি, ওয়াইফ বাসায় বিজি.. ভাল হবেনা? দুটোই সোসাইটির কাজ।
আমি জবাব না দিয়ে নার্ভাস হাসি।
– আমি আর সেতু যাচাইয়ে এসেছি কতো বছর হয়ে গেল। আমি যখন এসেছি, প্রপার যাচাই হতোনা। একজন ছিল, কিছুই করতোনা। আমি নিজ গরজে শিখেছি। তারপর সেতু আসলো। সেই সময় যাচাইয়ের কাজগুলো আমাদের কাছে একদম নতুন। মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। আজকাল মেয়েরা বিয়ের আগেই সব শিখে ফেলে, তবু ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক করার জন্য কাওকে পাওয়া মুশকিল।
শেষদিকে আফসোস করে আপা।
– আমাদের চেয়ে ভালই করবে। ওরা অনেক স্মার্ট।
সেতু ভাবী আশাবাদী মনোভাব নিয়ে বলে।
– ইনশাল্লাহ!
হাসে আপা।
– আপনারা ভাগ করে নিবেন। আজকে রাত ওরা থাকুক, কাল আপনি থাকবেন। একদিন-একদিন করে।
সেতু ভাবী বড় সতীনকে বলছে।
– ভাবী, সতীন এইটা ঘরেই রেখে দেন। ফেটেছে দেখলাম, সতী মেয়ে। আজকাল পাওয়া কঠিন।
ভেতর থেকে বেশ জোরেসোরে চিৎকার-শীৎকার আসছে। হায়কুল ভাইয়ের স্ত্রী যারপরনাই বিব্রত।
– পুরুষ মানুষের গায়ে জোশ আসলে আর চেনা যায়না, ঠিক না?
সেতু ভাবী পিঠ এলিয়ে দিয়েছে।
– কয়দিন ধরে আছে ও আপনাদের বাসায়?
– বিশ-বাইশ দিন।
– প্রায় এক মাসের জমা খায়েশ.. দেখলেন কিভাবে মিটাচ্ছে?
আগেরবারের মত এবারো কয়েক মিনিট পর আচমকা সব শান্ত হয়ে গেল। আরো মিনিট দশেক পর কাপড় পড়ে নবদম্পতি বেরিয়ে এল। ভাবী শেষ নসীহত দিতে শুরু করেছে।
– দুই সতীনে মিলেমিশে থাকবা, কোন ঝগড়াঝাটি যেন না শুনি। সে তোমার বড়, তার কথামত চলবা। তাই বলে কিন্ত স্বামীর হক তার কথায় ছেড়ে দিলে চলবেনা। একদিন তোমার ঘরে, একদিন সতীনের ঘরে থাকবে স্বামী। বুঝেছ?
কিশোরিকে বোঝাচ্ছেন।
– জ্বি।
– নয়া জামাই, বেশি পাগল হয়েন না, ক্যালকুলেট করে ছহবত করবেন। যেহেতু পড়ালেখা করছে, এখন বাচ্চা নেয়ার দরকার নেই। ..নাকি নিতে চাও বাচ্চা?
প্রশ্ন শুনে মেয়ে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে।
– আপাতত নেওয়ার দরকার নেই। ফাইনাল পরীক্ষার আগ দিয়ে চেষ্টা শুরু করে দিবেন, কেমন?
– আমাদেরই তো এখনো কিছু হলোনা..
ইঙ্গিতে প্রতিবাদ করে বড় সতীন। হায়কুল ভাইয়ের বিয়ের বছর তিনেক হয়ে গেছে অন্তত।
– সবর করেন। হয়তো এটা আল্লারই ইশারা। ওর অছিলায়ই হয়তো ঘরে আলো আসবে.. কি বলেন?
– জ্বি।
কোনমতে বলে বড় সতীন।
– আপা, আপনি কিন্ত সবসময় সাপোর্ট দিবেন বড় বোনের মত। লজ্জ্বা খুব মেয়ের, কাটাতে হবে। ভাই অফিস থেকে ফিরে কখন রাতে?
– নয়টা বাজে। তারপর ফ্রেশ হয়ে খাওয়া-দাওয়া..
– আচ্ছা, আগামী এক সপ্তাহ রাতে ছোট বৌয়ের ঘরে থাকবেন। এই কয়দিন ডেইলি মুশাওয়ারা করেন। তাহলে হবে কি, ঢিলা হবে অনেকটা। রেগুলার ছহবত না করলে ভয় কাটবেনা।
এবার মেয়ের দিকে ফিরেছে ভাবী,
– ভালমতো পড়াশোনা করতে হবে কিন্ত। আর পর্দা করা লাগবে। ভাবী, ওকে বোরকা বানিয়ে দিবেন শীঘ্রি।
বড়বৌ মাথা নাড়ে।
– কালকে ক্লাস আছে তোমার?
– জ্বি।
– যাও, পড়তে বসো গিয়ে তাহলে।
অবশেষে ঘটনাবহুল বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বেরোতে পারলাম।

কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ