২.৪

573 3 0
                                    

– আজিজ নানা হলে এত কষ্ট করে বোঝানো লাগতোনা।
সিঁড়ি বেয়ে নামতে নামতে বলে সোহানী।
– মওলানা সাহেব যে কবে আসতে পারবে কলোনিতে.. তাও ভাল, বেচারা সাহস পাচ্ছে।
সেতু ভাবী মাথা নেড়ে আফসোস করে।
পুলিশি ঝামেলার পর থেকে মওলানা সাহেব অনেকটা চুপচাপ আছেন। মাদ্রাসায় কাজকর্ম করলেও কলোনির আনুষ্ঠানিকতাগুলোয় খুব কম আসেন।
– আজিজ নানার হালালর সিস্টেম অনেক প্রফেশনাল। তাই ওনার ডিমান্ড বেশি।
মতি ভাইয়ের ওয়াইফের হালালায় তো ছিলাম, তখন দেখেছি। বিয়ে পড়ানোর পর ভাবী আমাদের খাবার বেড়ে খাইয়েছে, গল্পটল্প করেছে। অন্য কেউ হলে তো বাইরে থাকতে দিতোনা। ভাবী সবাইকে খাইয়ে দাইয়ে সব গোছগাছ করার পর ধীরেসুস্থে গেল ঘরে, তারপর নানাজান।
সোহানী বলে। ওর কাছে সর্বদাই মওলানা সাহেবের গুণগান।
– ওনার কথা অনেক শুনেছি, একদিনও দেখলামনা।
মুনীরা বলে ওঠে। সোহানী একবার আড়চোখে তাকায় আমার দিকে,
– একটা ঝামেলা হয়েছে রিসেন্টলি… নানা ভাল আছে, সব ঠিকঠাক হলেই আসবেন।
– বাজার-টাজার কি করতে হবে বলো, ফ্রীজে মাংস আছে?
বাসায় ফিরে বললাম। শুক্রবার দিন, বাজার-টাজার আগে আগেই করে ফেলতে হবে।
– কি রান্না করব?
মুনীরা জিজ্ঞেস করে।
– ওদের খাওয়াতে হবেনা? পোলাও-মাংস কি কি করবে, কি কিনতে হবে…
– রাতে খাওয়াব না আমরা?
থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে।
– হ্যাঁ। ভাল-মন্দ কিছু খাওয়ানো দরকার না?
– রাতে ভারী খাবার খাওয়ানো ঠিক হবে? খেয়েদেয়ে আর নড়তে পারবেনা ওরা।
ভাল পয়েন্ট ধরেছে মুনীরা, আমার মাথায় আসেনি। গতকাল পুরো ব্যাপারটা নিয়ে অনেকটা ঝিম ধরে ছিল। আজ বেশ সহজভাবে নিচ্ছে।
– থাকগে, সঙ্গে এ্যাসিডিটির ওষুধ দিয়ে দেবো!
মজা করে বলি। হাসে মুনীরা, বলে –
– কি যে বলো.. সেতু ভাবী পরে আমাদেরই বকবে।
– বাহ, আমাদের কি দোষ? জামাইবাবু বৌয়ের শাড়ী খুলতে পারেনি সারারাতে।
– শুধু শুধু বেচারার দোষ দিওনা তো। বিশ-পচিশ বছর বড় মহিলার সঙ্গে এক রুমে দিয়ে দিলে তুমি কি করতে?
মুনীরা ছেলেটার পক্ষে বলছে।
– আমি হলে কিভাবে যে রাত পার করে দিতাম টেরও পেতোনা ভাবী!
বড়াই করে বলি। মানতে রাজি নয় মুনীরা।
– ইশ, কি করতে আমার জানা আছে।
কথা মিথ্যে নয়। মুনীরার সঙ্গে সহজ হতে আমার বেশ কিছুদিন লেগেছে। তাছাড়া সোহানী-চাঁদনীর সঙ্গে তো… নাহ, সেকথা ওকে কেউ না বললেই ভাল।
– ভাবীর কথাও ভাবো, হঠাৎ করে একটা ছেলের বয়সীর সঙ্গে.. ওনাকেও দোষ দেয়া যায়না। আমি বলব ভাবীর সাহস আছে, আমি হলে তো লজ্জ্বায় মরে যেতাম।
শিউরে ওঠে মুনীরা।
– ভাল দেখে মাছ আনো তো দুই জাতের। পারলে কেটে আনবে। তাড়াতাড়ি রান্না করে ফেলি, বিকেলে আবার গ্যাস থাকেনা আজকাল।
রান্নার কথায় ফেরে মুনীরা। যথা আজ্ঞা করে টাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি।
“বেশি কিছু করবনা” বলতে বলতে বেশ কয়েক পদ রেঁধে ফেলেছে মুনীরা। বোয়ালের ঝোল, কষানো মুরগি, মাছভাজা, ডাল, ভাত আর শাকটাক।
আমি বলেছিলাম সন্ধ্যার আগেই খাবার দিয়ে আসি, মুনীরা বলল আগে আগে দিলে ঠান্ডা হয়ে যাবে।
লাভের লাভ হয়নি, গ্যাস নেই। নাদের ভাইয়ের বাসায় ওভেন আছে, গরম করা যাবে। দুজনে ট্রে সাজিয়ে চললাম ওপরতলায়।
হাত খালি নেই, কনুই দিয়ে কোনমতে বেল চাপলাম।
দরজা খুলে গেল। নতুন জামাই উঁকি দিয়েছে।
– আপনাদের ডিনার..
মুনীরা বলে।
– জ্বি, আসেন, আসেন।
দরজা আরো আলগা করে ঢুকতে দিল আমাদের। ছেলেটি স্যান্ডো গেঞ্জি আর লুঙ্গি পড়ে রয়েছে।
মুনীরা আগে ঢুকল, পেছন পেছন আমি।
– কে আসছে, আহা, বলবানা!
ভাবীর গলার আওয়াজ। কয়েক পা এগিয়ে থমকে গেলাম আমরা। ড্রইংরুমের সোফায় আধশোয়া থেকে তড়িঘড়ি উঠে বসছে ভাবী।
– আমরা পরে আসব?
মুনীরা দ্বিধাগ্রস্থ হয়ে জিজ্ঞেস করে।
– না না, আসাো আসো.. রাখ, টেবিলে রাখ..
ভাবীর উর্দ্ধাঙ্গ উন্মুক্ত, কোনমতে একটা ওড়না দিয়ে বুক ঢেকেছে। কোলের ওপর সোফার কুশন রেখে পা চেপে বসেছে। হাঁটু থেকে খোলা চামড়া দেখে বোঝা যাচ্ছে ভাবীসাহেবা একদমই নিবস্ত্র।
– স্যরি, কাপড়-চোপড় যে কোথায় রাখলাম..
নিচে তাকিয়ে খোজার চেষ্টা করছে বিব্রত মহিলা। চুলগুলো খোলা, কিছুটা অপ্রকৃতস্থ মনে হচ্ছে হাবভাবে।
– ভাই, বসেন..
ছেলেটা সোফায় বসতে বলছে।
– তুমি খাবারগুলো রাখ, আমরা বসবোনা।
ছেলেটা ড্রইং টেবিল থেকে খাবারের বাটি-বোল কিচেনে নিয়ে যাচ্ছে। মুনীরা কিচেনে, গ্লাস-প্লেট বের করছে মনে হল আওয়াজ শুনে।
– একটু ওয়েট করো তোমরা, সেতু ভাবীর দেওয়া দুপুরের তরকারিটাও গরম করে দিচ্ছি।
মুনীরা কিচেন থেকে ঘোষণা করে।
– হামিদ, বসো। তোমরা ডিনার করেছ?
ভাবী বলায় পাশে গিয়ে একটু দূরত্ব রেখে বসলাম।
– না, আমরা পরে খাব। আমাদের অভ্যাস নয়টা-দশটায় খেয়ে।
– হ্যাঁ, তোমার তো অফিস থাকে..
বলতে বলতে ভাবী হাত তুলে চুলগুলো কোনরকম বেঁধে ফেলে। উচিত নয়, তবু নির্লোম বগলে চোখ চলে যায়।
আমরা ঘরে ঢোকার পরপর ভাবী নিজেকে আড়াল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেও এখন আর গা করছেনা। নীল ওড়নাটা বুক ঢাকলেও ভাঁজপড়া মাঝবয়সী ফোলা পেট কোলে রাখা কুশনের ওপর দৃশ্যত বিশ্রাম নিচ্ছে। নরম সোফায় পেছনটা দেবে যাওয়ায় কোমরের নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত আড়ালে চলে গেছে।
– তোমার না কোথায় যাবার কথা ছিল?
ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলাম।
– মাদ্রাসায়, গিয়েছি বিকেলে। হোস্টেল সুপারের কাছ থেকে আজকের ছাড়পত্র নিয়ে এলাম। আজ তো হোস্টেলে থাকবার কথা ছিল রাতে।
শুনে মাথা নাড়লাম।
ছেলেটার বোকামি দেখে হাসব না রাগ করব বোঝা দায়। বৌকে দিগম্বর অবস্থায় রেখে দরজা খুলে দিল তো দিল, এখনো কাপড় এনে দেয়ার নাম নেই।
মুনীরা আরেকটা ধোঁয়া ওঠা বাটি নিয়ে এল কিচেন থেকে। ছেলেটা ওর সঙ্গে প্লেট-গ্লাস ছড়িয়ে খাবার বন্দোবস্ত করছে।
– থ্যাংকইউ আপু, বেশ খিদে পেয়েছিল।
– এত তাড়াতাড়ি খিদে পেয়ে গেল? দুপুরে খাওনি পেটভরে?
মুনীরা হেসে জিজ্ঞেস করে।
– খেয়েছি তো, একটু আগেও পেট ভরাই ছিল।
– তবে?
ঘাড় ঘুরিয়ে তাকায় মুনীরা।
– পরিশ্রমের কাজ করতে দিয়েছেন, কি করব? দশ মিনিটেই সব নাই হয়ে গেল। মাওই বলল ব্রেক নিতে, তখনই এলেন আপনারা।
মুনীরা বুঝতে পেরে কোন জবাব দিলনা।
– দশ মিনিটেই পেট খালি হয়ে যাচ্ছে তোমার? সারারাত কি করবে?
আমি খোচা দিলাম।
– আমার দশ-বিশ মিনিটে কিছু হবেনা, মাওই ব্রেক নিতে বলায় নিলাম।
জামাই আত্মপক্ষ সমর্থনে পিছপা হয়না।
– আমি বুড়ি মানুষ, ওর সঙ্গে পারব, বলো?
ভাবী গাল লাল করে পিঠ ঢিলে করে বলে।
– রাত তো পড়েই আছে, ভাবী। বয়সের সঙ্গে জ্ঞান বাড়ে, আনাড়িকে ঠিক শায়েস্তা করে ফেলবেন!
আমি মজা করে বলি। ভাবী হাসে নিঃশব্দে। ঠেলে বেরোনো ফর্সা পেট দুলে ওঠে। ভাঁজের ফলে নাভীটা চেষ্টা করেও দৃশ্যমান হলোনা।
– কি জানি ভাই, দশ মিনিটেই শুনলেনা আমার হাঁসফাঁস শুরু হয়ে গেছে?
ভাবী পরাজিতের মত আমার দিকে ফিরে বলে। গোলগাল মুখে বেশ মায়াবী একটা ছাপ।
– ওকে ওর মত বাড়তে দেন, কোমর দুর্বল হয়ে যাবে এখুনি। তারপর শিকার আপনার।
নিচু গলায় বলি। ভাবী আমার সাপোর্ট পেয়ে খুশি হয়েছে।
– ছেলে অধৈর্য্য খুব, বুঝলে।
মাথা নাড়লাম। ভাবীও ফিসফিস করে বলছে আমার দিকে ঝুকে।
– মাগরিবের পরে এসেই বলে, এইটা খোলেন, ওইটা খোলেন! মানে, রুমে যাওয়ারও সময় নাই তার, সোফার মধ্যে আরাম আছে, বলো?
ভাবী আফসোস করছে। ছেলেটা তো আসলে সেতু ভাবীর স্ক্রিপ্ট অনুসরণ করছে, দোষ দেয়া যায়কি? যদিও বেশ রোবটিক চালচলন।
– ইয়াং ছেলে, রক্ত গরম। আপনার হাতে কন্ট্রোল নিয়ে নেন।
– পুরাপুরি অধৈর্য্য, বলতে লজ্জ্বা, তবু বলি – পায়জামাটা খুলেই চাপাচাপি শুরু করেছে, বললাম পাচমিনিট টাইম দাও, না – সে তক্ষুণি ঢোকাবে! এই হচ্ছে সিচুয়েশন।
ভাবী হতাশ সুরে বলে।
– তাইতো বললাম আপনার হাতে কন্ট্রোল নিয়ে নেন..
– ওহ, তারপরে শোন, করতেছিস কর, হঠাৎ বের করে মুখের মধ্যে ভরে দিল, আজব!
ভাবীর চোখ বিস্ময়ে বড়বড় হয়ে গেল।
– এই সুযোগটাই তো দেবেন না। বলবেন, তুমি শোও, আমি চুষে দিচ্ছি!
ভাবী টেবিলের দিকে তাকিয়ে আমার সাজেশন বিবেচনা করছে।
– ওকে চান্স না দিয়ে আপনার মনমতো কিসিং-সাকিং করবেন। ওপর ওপরে উঠে বসলে আপনাকে সরাতে পারবেনা।
– হাহাহহ.. যা বলেছ।
ভাবী ওনার ওজন নিয়ে মশকরা করায় আহত না হয়ে হাসল বরং।
– এমনিতে যদি বলতে হয়, কেমন পারফর্ম করে?
কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করি।
– গায়ে জোর আছে, এটা মানি।
ভাবী স্বীকার করে।
– গতরাত্রে, কতক্ষণ হবে, উমম, আধঘন্টা তো হবেই!
ভাবী আমার চোখে চোখ রেখে বলে। চাহনিতে লোভ স্পষ্ট।
– বড়?
– কিজানি ভাই..
এবার গাল লাল হয়।
– আপনার কাছে কি মনে হয়?
– মাশাল্লাহ!
খুশি চোখে হাসে।
– তাহলে চান্সটা ছাড়বেন কেন? সুযোগ যখন আসছে, খায়েশ মিটিয়ে নেন।
সেতু ভাবীর মত বলি। লাজুক বুড়ি-বৌ আমার কথায় সাহস পাচ্ছে।
– কথা শুনবে? যদি বলি?
দাঁতে নখ কামড়ে জিজ্ঞেস করে। ভাবীর ইচ্ছে আছে কামকেলী করবার। নাদের ভাই পুরনো দিনের মানুষ, এত বছরের সংসারে নতুন করে রঙচঙ যে মাখছেন না তা বোঝাই যায়। তাছাড়া ওনাদের মনোমালিন্যের কারণটাও শুনেছি ভাবীর প্রতি নাদের ভাইয়ের সন্দেহ থেকে, সত্য-মিথ্যা জানিনা।
– শুনবেনা কেন? লজ্জ্বা করলেই মিস করবেন।
– ভাবী, খেতে আসেন।
মুনীরা ডাকে। ভাবী আবার আশেপাশে চোখ বোলাতে শুরু করে কাপড়ের খোজে।
– পায়জামা এনে দেই ভেতর থেকে?
বললাম।
– নাহ, থাক, বসো তুমি।
বলে টেবিলটা ঠেলে উঠে পড়ল ভাবী। অবলীলায় আমার দিকে পেছন ফিরে চলে গেল বেডরুমে।
পেছন থেকে চওড়া খোলা পিঠ আর ভারী নিতম্ব দুলিয়ে চলল নিঃসংকোচে। ঢাউস দাবনাদুটো বয়স আর ওজনের তুলনায় আকার ধরে রেখেছে বলতে হয়। পারিপার্শ্বিক সবকিছুর প্রভাবে মহিলার লজ্জ্বাবোধ হ্রাস পেয়েছে।
একটা কামিজ পড়ে বেরিয়ে এলো। হাঁটুর নিচ থেকে অনাবৃতই আছে। হাঁটার ছন্দে বুকের নুজ্যতা আর দুটির দুরকম তাল দেখে বোঝা গেল বক্ষবন্ধনিও নেই।
মুনীরা কিচেনে দুপুরের এঁটো বাসনগুলো সাফ করছে। ভাবী মানসিকভাবে চাপে থাকায় কোন ধোয়ামোছা করেনি আজ।
দুজনকে টেবিলে বসিয়ে খাবার বেড়ে দিলাম।
– ভাই, আপনারাও বসেন না।
ছেলেটা ভদ্রতা করে বলে।
– দুজনের হিসেব করে খাবার এনেছি। আমরা পরে খাব।
বললাম।
– হামিদ, বসো তো, না খাও, বসো।
ভাবী বলাতে বসলাম।
– স্যরি ভাবী, পোলাও-টোলাও করিনি। মুনীরা বলল, ভারী খাবার খেয়ে আপনাদের রাতের এ্যাডভেঞ্চারে ব্যাঘাত ঘটবে।
– হাহাহহ… তোমরা আসলেই বুদ্ধিমান তো..
ভাবী হাসে।
– জামাই, ভাল করে খাও। ভালমতো রিচার্জ করে আমাদের ভাবীকে হ্যাপী করো।
ছেলেটার পাতে বোয়ালের টুকরো তুলে দিয়ে বললাম। সে মুচকি হাসে।
– শোন, বড়ভাই হিসেবে সাজেশন দিই, মাইন্ড করোনা।
ছেলেটাকে বলি।
– না ভাই, কি যে বলেন..
– খালি কোমরের জোর দেখালেই কিন্ত পুরুষ হয়না, আরো অনেক দায়িত্ব আছে।
ছেলেটা মনযোগ দিয়ে শোনে।
– ভাত খেয়ে রেস্ট নিয়ে আবার শুরু করবা বুক খেয়ে, ওকে?
ছেলেটা প্লেটের দিকে তাকিয়ে মাথা নাড়ে। ভাবী মুখ চেপে লাজুক হাসছে।
– বাদ দাও, হামিদ, আবার কামড়াবে!
ভাবীর অভিযোগে অপরাধীর মত মুখ করে তরুণ খাওয়া থামিয়ে।
– না, এবার মাথা ঠান্ডা রাখবে। আর শোন, তোমার লুঙ্গির তলারটা যেমন খাওয়াচ্ছ, পাজামার তলারটাও খেয়ে দেবে কিন্ত!
– জ্বি।
মৃদুস্বরে বলে জামাই।
– হামিদ, থাক, আর লাগবেনা।
ভাবী বেশ লজ্জ্বা পেয়েছে, হাত তুলে থামতে বলল।
– বাদ দিবেন কেন, ওরটা চুষে দেবেন, ও চুষবেনা? বিছানায় আরাম করে শুয়ে পা ছড়িয়ে ঠেলে দিবেন ওর মুখে, নে এবার খা!
– এ্যাই, চলো, কাজ শেষ।
মুনীরা চলে এসেছে। আমি আর ওদের বিব্রত না করে উঠে পড়লাম।
ভাবী এঁটো হাতে পেছন পেছন এলো দরজা আটকাতে।
– থ্যাংকস ভাই, এবার যদি একটু সোজা হয়।
কৃতজ্ঞ সুরে বলে।
– নো প্রব্লেম, ভাবী। ও কথা না শুনলে ফোন দিয়েন, ঠেলা দিয়ে দেবো!
– হাহাহ.. ঠিকআছে। মুনীরা, কষ্ট করে এতকিছু করলে, অনেক ধন্যবাদ।
– না ভাবী, এ আর কি..
মুনীরা হসে।
– কি বোকা ছেলে, দরজা খোলার আগে কিছু খেয়াল করেনা।
নামতে নামতে বলে বৌ।
– হ্যাঁ, ছেলেমানুষ বোকাই হয়..
শনিবার অফিস থেকে ফিরে শুনলাম তালাক হয়ে গেছে। ফ্রেশ হয়ে বসেছি, মুনীরা বলল থালাবাটিগুলো নিয়ে আসতে।
দরজা খুলে দিল নাদের ভাইয়ের মেয়ে। বয়স আমার চেয়ে কিছু কম হবে, একটাই সন্তান নাদের ভাইয়ের।
আমি এসেছি শুনে ভাবী ড্রইংরুমে এলো। জানাল ব্যাগ গুছিয়ে রেডি হচ্ছে, কিছুদিন মেয়ের বাসায় থাকবে। রাতে নাদের ভাই বাসায় চলে আসবে।
– ঝামেলা-টামেলা শেষ হল তবে?
জিজ্ঞেস করলাম। মেয়ে আমাদের বাসনগুলো গুছিয়ে দিচ্ছে, ভাবী বসেছে আমার সঙ্গে।
– হ্যাঁ, হলো শেষমেষ। এইতো, ঘন্টাখানেক আগেই এলো কাজী।
ভাবীর মুখে আজ আবার জেল্লা ফিরেছে। ফ্রেশ লাগছে দেখতে।
– তারপর, রাত কেমন কাটল?
ভাবীর চোখ চকচক করে ওঠে, হাসি চওড়া হয়।
– ভাল, রাত তো ভালই গেল, আজকের দিনটাও.. তুমি আসার আগেই গোসল করলাম।
ভাবীকে খুব খুশি লাগছে।
– জামাই বিহেভ ঠিক করেছে তবে?
– হুম, তোমার বোঝানোতেই কাজ হয়েছে। লজ্জ্বার কথা, কাওকে বলোনা, এখন মনে হচ্ছে ব্যাটা কাজী আরো দুদিন লেট করলে কি দোষ হতো! হাহাহহহ…
– যাক, ভালয় ভালয় শেষ হলো।
– হ্যাঁ, এখন জাস্ট দোয়া করো বাসায় যেন কুইকলি ফিরতে পারি। অনেক ধকল গেল।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বর্তমানে ফিরে আসে ভাবী।


কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang