৫.৭

458 3 1
                                    

শাতিরা বেগম চুপচাপ তজবি জপছেন। খেয়াল করলেন ভাই সোফায় এসে বসেছে। এমনিতে বোনের সামনে জাহিন এরকম অবস্থায় আসার সাহস পেতনা। আজ ঘটনাক্রমে আধবুড়ো ভাইয়ের সশস্ত্র রুপ দেখতে হচ্ছে।
হাসুর মা বিছানার চাদরটা গুটিয়ে হাতে নিয়ে বেরিয়েছে। বালতিতে রেখে বলল,
– কত্ত বচ্ছর পরে হইতাছে এই বাড়িত, না চাচী? আপনের লাস্ট হেই কব্বে অইছিল..
শাতিরা বেগম চোখ ঘুরিয়ে তাকান।
– আমার খেদমত দেখেছিস তুই? জয়নালের আব্বার ইন্তেকালের পর তো বাদই দিয়েছি।
– হ, দেখছিনা একবার.. ইশ, বয়সকালে চাচী জানি কত সুন্দর আছিলেন। ব্যাডারা যে আপনেরে কাচা খাইয়া হালায় নাই ক্যামনে আমি চিন্তা করি!
হাসেন শাতিরা বেগম।
– হইছে, তুমি কাম করো গিয়া।
সেতুর হাত নিজের কোলে নিয়ে প্রায় নেতিয়ে পড়া পুরুষাঙ্গ উজ্জীবিত করার জন্যে তাগাদা দিচ্ছেন জাহিন সাহেব। দেখে শাতিরা বেগম বিরক্ত হলেন। ছেলেটার কি বয়স বাড়ছে না কমছে? চুল-দাঁড়িতে পাক ধরেছে অথচ লাজ-শরম যেন দিনদিন কমছে। বলেন,
– তোমরা বইসা আছ কেন? যাও, শেষ কর গিয়ে। তুই না দোকানে ফিরবি বিকালে?
– কই যাইব? চাদ্দর তোষক ভিজ্জা চুবচুবা।
হাসুর মা জানায়।
– সাদেকের রুমে যা। যা, বৌকে নিয়ে যা।
– সাদেক বাসায় নাই?
– না, ব্যাচ পড়তে গেছে। জলদি যা।
হাসুর মা কার্পেটের কোণ চিপে দেয়ালের সঙ্গে ঠেস দিয়ে রেখছে। দিগম্বরজোড়া ড্রইংরুম ছেড়েছে। শাতিরা বেগম জিজ্ঞেস করেন,
– হাসুর মা, শুকাইব কার্পেট?
– হ, শুকাইব। তোষক শুকাইবনা।
– না, ওটা কাল ধোও। রোদ উঠলে ধুইবা।
– চাচী, বৌয়ের ব্যারাম আছে নি? সব ভাসাইয়া দিল যে?
– আরে না, প্রথম প্রথম হইতেই পারে।
হাত নেড়ে হাসুর মায়ের শঙ্কা উড়িয়ে দেন।
– হেইবাড়ির মাইদুল সাব আছেনা? হের পোলারে তো বিয়া করাইছে, হুনছেন?
– শুনবনা কেন, বিয়েতে গিয়েছি তো। কি হয়েছে?
– হ, হের তো একটা নাতিও অইছে। আকীকা দিছে, হুনছেন?
– শুনেছি, আকীকার মাংসও তো দিয়ে গেছে ভাবী।
শাতিরা বেগম হাসুর মায়ের বলার ভঙ্গিতে বিরক্ত হচ্ছেন। মহিলা মূল কথা বলতে বড্ড দেরি করে।
– হ, আকীকার অনুষ্ঠান করছে। হুজুরগোরে দাওয়াত করছে। মাইদুল সাব কইছে, নাতির দুই বছর অইল, আবার আকীকা। এই কিস্তি বৌয়ের লাংছেঁচা করাইব।
কাজের লোকেদের কাছে “খেদমত” শব্দটির চাঁছাছোলা পরিভাষা “লাংছেঁচা”।
নব্বইয়ের মাঝামাঝি এসে পয়সাঅলা পরিবারগুলোতে খেদমতের রেয়াজ চালু হয়। ব্যবসায়ীরা বরাবরই কমবেশি কুসংস্কারচ্ছন্ন। চাকুরির মত আয়ের গ্যারান্টি না থাকা, অসীম লোকসানের আশঙ্কায় থাকতে হয় তাদের।
ব্যক্তিজীবনে ব্যবসায়িরা ধার্মিক হোক না হোক, দোকানে নানা তাবিজ-টোটকা ঝোলে। হুজুরদের দোয়া থাকলে ব্যবসায় বরকত আসে, এই ধারণা থেকে মসজিদ-মাদ্রাসায় মোটা ডোনেশন দেয়। তারই নতুন সংযোজন খেদমতগারি।
মাদ্রাসার মুহতামিম সাহেব এবছর আফগানিস্তানে গেছেন। আগেও গিয়েছিলেন, তখন নাস্তিক রাশিয়ান কমুনিস্টদের সঙ্গে জিহাদ চলছিল। বর্তমানে বছরখানেকের জন্যে গেছেন সরকারের আমন্ত্রণে। মুহতামিম সাহেব থাকতে নির্দেশ ছিল খেদমত মুসাফিরেরই যেন হয়। কেননা খেদমতের ফতোয়াটি ওভাবেই করা।
ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম নিয়মটি শিথিল করেছেন। শতিরা বেগমের মত বেশকিছু পরিবার নিজেদের প্রয়োজনে খেদমত করাতে আগ্রহী, সেকথা বারবার হুজুরকে বলাও হচ্ছিল। কিন্ত সংগঠনের উপকারের নিমিত্তে আসা মুসাফিরের সংখ্যা নগন্য বলে সুযোগ হচ্ছিলনা।
বর্তমান মুহতামিম নিয়ম শিথিল করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশের পর মাদ্রাসায় প্রচুর ডোনেশন আসে। বিশেষ ক্ষমতাবলে ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম ফতোয়ার সাময়িক সংশোধনি আনেন। সে মোতাবেক মুসাফির না হলেও বিশেষ প্রয়োজনে ওলামাদের খেদমতের ভাগীদার করা যাবে।
বলা বাহুল্য এতে খেদমতের হুল্লোড় পড়ে গেছে। সবাই জানে হুজুর দেশে প্রত্যাবর্তন করলেই আগের নিয়ম ফিরবে। প্রয়োজন অনুসারে সবাই করিয়ে নিচ্ছে। পরে আবার লম্বা সিরিয়ালে পড়তে হবে। বিয়ে-আকীকা-খতনা-ইদ নানা উপলক্ষে হুজুরদের দাওয়াত পড়ছে। ওনারাও নরমাংসের স্বাদ পেয়ে আমন্ত্রণ গ্রহণ করছেন।
কদিন ধরে চল হয়েছে, বৌভাতের অনুষ্ঠানে নতুন বৌয়ের খেদমত করানো। যারা কার্ড করে দাওয়াত দিচ্ছে, তারা লিখে দিচ্ছেঃ “বাদ যোহর খেদমত গ্রহণ করিবেন ক্বারী মোহাম্মাদ অমুক”। যে যত ওপরের টাইটেল ধরতে পারে। প্রতিযোগিতা হয়ে গেছে।
সেতুর জানা নেই, ওর বৌভাতের দাওয়াত দিতে গিয়েও শাতিরা বেগম চাপের মুখে পড়েছিলেন। কার্ড না করে মুখে মুখে দাওয়াত দিয়েছেন। কলোনির ভাবীরা সবাই জিজ্ঞাস করেছে, কোন হুজুর দিয়ে করাবেন?
অপ্রয়োজনে ঘরের বৌকে পরপুরুষের হাতে তুলে দেয়াটা শাতিরা বেগমের একদমই অপছন্দ। তিনি বলে দিয়েছেন, ওসব হচ্ছেনা। ধরতে গেলে বৌভাত করাটাই তো বেদাত।
বড়লোকের ট্রেন্ড সবাই ফলো করতে চায়। কলোনির সাধারণ পরিবারগুলোও এখন হুজুগে পড়েছে। ঘরে বৌ তুললে হুজুর ডেকে শোয়াতে হবে, এ কেমন কথা? যিনাকে রীতিমত আবশ্যক বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এতে খেদমতের কোন ফায়দা তো হাসিল হবেইনা, কোন গযব আসে সংগঠনে কে জানে।
সমাজের বিরুদ্ধে চলাও কঠিন। শাতিরা বেগম সবাইকে মিষ্টি হেসে বলেছেন,
– বৌ তো কলোনির না, বাইরের। কয়দিন যাক, মানিয়ে নিক, তারপর।
শাতিরা বেগম মনে মনে বলেন, হুজুর ফিরুক, এসব অতিরঞ্জিত খেয়াল বন্ধ হোক। এভাবে খেদমতের পবিত্রতা নষ্ট করার মানে হয়না। তার বয়সে পুরো সংগঠনে কয়টা খেদমত হয়েছে? মাসে-দুমাসে একটা বড়জোর।
দুই যুগে স্বামী বিনা কারো সঙ্গে বিছানায় গেছেন হাতেগোণা কয়েকবার। গুণি লোকজনের সঙ্গে কেটেছে রাতগুলো। নতুন মাসআলা শিখেছেন, ভুল সংশোধন করেছেন, রাতভর সুমিষ্ট যৌনসুধাও পান করেছেন। সিলেটের মুফতি সাহেবের লোমশ বুকে মাথা রেখে আউলিয়াদের গল্প শুনতে শুনতে ঘুমিয়েছেন। বিবসনেও নিজেকে নগ্ন মনে হয়নি। মনে হতো রহমতের চাদরে দেহজোড়া ঢাকা।
পুরনো কথা মনে হলে আপনা আপনি মুখে হাসি ফুটে ওঠে শাতিরা বেগমের। চিটাগাংয়ের একজন কন্ট্রাক্টর এসেছিল মসজিদের কাজের সময়। স্থানীয় তাবলীগিরা লা-মাযহাবী বলে মসজিদ নির্মাণে বাধা দিতে চাইছিল। দাপুটে কন্ট্রাক্টরের কারণে পারেনি।
কি যেন নাম.. হ্যাঁ, রুস্তম। গোলগাল মুখ, পেট বড়, বড় মোচ। হাজেফ-মুফতি কিছু না, কিন্ত সংগঠনের অকৃত্তিম বন্ধু ছিলেন। মসজিদের গাঁথুনি থেকে চাল তোলা পর্যন্ত দুই সপ্তা ছিলেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করিয়েছেন।
হাকিম সাহেব তখন ব্যবসায়ের কাজে ঢাকার বাইরে। উনিই একদিন বাজার করেছেন। চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলতেন, বুঝতে সমস্যা হতো। দুজনের মধ্যে আলাপ কম হলেও প্রচুর খুনসুটি চলত।
আর আজকাল? সংগঠনের বড়লোকেরা বৌভাতে স্টেজ করে সেখানে বৌকে বসিয়ে রাখে। সব লোকজন এসে দেখছে, পর্দা নেই। নিজের ছেলের বিয়েতেই তো, আত্মীয়দের যন্ত্রণায় স্টেজ করতে হয়েছে। লম্বা করে ঘোমটা দিয়ে দিয়েছেন বৌয়ের মুখে। তাতে লাভ কি? কে এসে ঘোমটা খুলে দিল। পুরুষ লোকের সামনে বেরোন না শাতিরা বেগম। পরে শুনেছেন বৌ দেখতে গিয়ে কে যেন আঁচলটাই ফেল দিয়েছে। নতুন বৌ, সাহস করে আর তোলেনি। আজকাল চোখ ধাঁধানো ক্যামেরা অনেকের হাতে। ছবিও নাকি উঠেছে।
কয়েকটা বৌভাত খেয়াল করেছেন শাতিরা বেগম। দাওয়াতে না গেলে খারাপ দেখায়, তাই যেতে হয়। ওদিনই তো দেখলেন, খাওয়াদাওয়ার মাঝেই হুজুর আসে। মেয়েরা বৌকে নিয়ে যায় ভেতরে।
পনেরো মিনিট পরে বৌ ফেরে স্টেজে। কোনমতে কাপড় ঠিক করে আলুথালুভাবে আসন করে বসে পুনরায়। কোথায় রাতভর গল্পগুজব, প্রেম সহবাস, আর কোথায় এই লোক দেখানো লাংছেঁচা!
হঠাৎ করেই ইদানিং শুরু হয়েছে এই নতুন কালচার। বড়লোকেরটা দেখে অন্যদের ব্যরাম হয়েছে। তিনমাস যাবৎ বিবাহিত যুবতিদের ত্রাস হয়ে উঠেছে পারিবারিক-সামাজিক চাপ। শাতিরা বেগম তালিমে সতর্কতা নিয়ে কথা বলছেন। বোঝানোর চেষ্টা করছেন সবকিছুরই ভুল-শুদ্ধ তরীকা আছে। শুদ্ধটাই বেছে নিতে হবে।
খেদমতে উপকার নেই তা নয়। শাতিরা বেগমও তো সেই আশাতেই এগোচ্ছেন। কিন্ত যাকে-তাকে দিয়ে যখন-তখন করালেই কি ফায়দা হবে? অথচ হাদিয়া-ডোনেশনের লোভে মাদ্রাসার উর্ধ্বতনরা আমন্ত্রণ পেলেই ছুটছে। আর নারীদেহের প্রতি পুরুষের অমোঘ টান তো আছেই। এদের দিয়ে কি উপকারটা আশা করা যায়? ব্যবসায়ীদের লোভেই খাবে, বাকিদের খাবে অনুকরণপ্রিয়তা।
মুহতামিম সাহেবের অনুপস্থিতিতে সংগঠন যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ভুগছে। হুজুর ফিরবেন শিঘ্রী। তখন আবার শৃঙ্খলা ফিরবে।
হাসুর মা বলছে,
– হুজুরেরা আইছে, খানাপিনা হইছে। হেরপরে বৌ বেঁইক্কা বইছে, করবনা। শরমের ব্যাপার না? হেই হিসাবে আপনেগো বৌ ভালাই আছে আল্লার রহমতে।
শাতিরা বেগম মাথা নড়েন। মনে মনে শঙ্কা কাজ করে। জাহিন এই কদিনে মেয়েটাকে গড়ে তুলতে পারলে বাঁচেন।
বাড়ির ছোট ছেলে সাদেক। স্কুলে পড়ে, ভাল ছাত্র। ছোট্ট রুমটায় বড় টেবিল, বইপত্রে ঠাসা। সিঙ্গেল বেডে সেতুকে বসিয়ে পর্দা টেনে দেন জাহিন সাহেব। এরুমে দরজা নেই।
– মামা, স্যরি মামা। কখন যে এমন হল বুঝতেই পারিনি, কখনো তো হয়না এমন..
বসেই অনুতপ্ত হয়ে মাফ চাইতে শুরু করেছে সেতু। জাহিন সাহেব হেসে বোঝানোর চেষ্টা করছেন এত চিন্তিত হবার কিছু নেই।
– শোন, শেখার কোন শেষ নাই। আজকে তো মাত্র শুরু। খেদমতের রাস্তায় যেহেতু আল্লাহ তোমাকে এনেছে, শেখার সুযোগ পাবে। অনেক মজা, অনেক কঠিনও। যখনই কোন সমস্যায় পড়বে, সেখান থেকে শিখতে হবে। বুঝলে?
মাথা নাড়ে সেতু। কাছে এসে নেতিয়ে পড়া পুরুষাঙ্গ বাড়িয়ে দেয়। বলতে হয়না, নিজেই মুখে পুরে নেয় নববধূ। ধোয়ার পরও প্রস্রবণের গন্ধ নাকে আসছে। নিজের বলেই হয়তো অতটা লাগেনা। লাগলেও এখন আর গাঁইগুঁই করলে চলবেনা।
তাল কেটে গেল সুর আর জমেনা। বাঁড়া শক্ত হলেও আগের মত চাঞ্চল্যকর আবহ নেই। ভাগ্নের খাটের প্রান্তে কোমর টেনে এনে দাঁড়িয়েই শুরু করলেন। রসহীনতায় চামড়া ছড়ার অনুভূতি হল সেতুর। তবে প্রকাশ করলনা। গাদনের গতি বাড়তে বাড়তে স্বাভাবিক হয়ে এক পরিস্থিতি। এবার আর পেছনপথে কিছু করছেনা মামা। শান্তভাবে গল্প করছে দেয়ালে পিঠ দিয়ে থাকা ভাগ্নেবৌয়ের সঙ্গে। স্বামীর সঙ্গে ক’দিন পরপর হয়, কি কি করা হয়, মাসিকের তারিখ – এসব।
– কয়টা বাজে রে?
গাদন থামিয়ে রুমে ঘাড় ঘুরিয়ে ঘড়ি খোঁজেন।
– চারটা হবে।
আন্দাজে বলে সেতু। বলতে বলতে আছরের আযান ভেসে আসতে শুরু করে মসজিদের মাইকে।
– চারটাই বাজে রে, জলদি করতে হবে। কাছে আয়।
সেতু কোমর ঘষটে পাছা চৌকির বাইরে ঠেলে দেয়। হাতে ভর দিয়ে ঝুঁকে আসে মামা। হুঁক হুঁক করে সবেগে ঠাস ঠাস শব্দে গাদনের গতি বাড়িয়ে দেয়। সেতু চোখ আধবোজা করে কবুতরের মত কোঁ কোঁ করে। মজাটা উপভোগ করার চেষ্টা করছে। মামার গায়ে বর্জ্য ছেড়ে যে লজ্জ্বাট পেয়েছে, তা থেকে উদ্ধারের প্রয়াস।
আবার কিছু হয় কিনা, এই ভয়ে মামা আর পেছন পথে আঙুল দেয়না। এত সতর্কভাবে মুয়াশিরা মজা হয়না। বারবার হাত দিয়ে গুদের চারপাশটা ধরে দেখছেন আবার কিছু হল কিনা। হওয়ার কথা না, তবু দেখছেন।
খাড়া হয়ে থাকা নিপলজোড়ায় মাঝে মাঝে চুমু খাচ্ছেন জাহিন সাহেব। একঘেয়ে গাদনের রেশ থামছেনা। ক্রমাগত ঘর্ষণে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে স্ত্রীঅঙ্গে। সেতু চুপচাপ কোমর তুলে তাল মেলাচ্ছে ঠাপের সঙ্গে। মুখ চেপে রেখছে, আওয়াজ করছেনা। মামা দু-তিনবার বলেছেন – “টয়লেট আসলে বলিস কিন্ত!” তাতে আড়ষ্টতা বেড়েছে। এছাড়া মোটামোটি চুপচাপ তিনিও।
এই বয়সে এমন গতিতে কোমর নাড়াতে পারা দেখে অবিশ্বাস্য লাগে সেতুর। থামার কোন লক্ষণ নেই।
হেঁ হেঁ হেঁক.. হাঁপানি রোগীর মত সশব্দে দম ফেলতে ফেলতে সেতুর গায়ের ওপর ঢলে পড়েন। গোলাপী ঠোঁটজোড়া মুখে নিয়ে দীর্ঘকায় দুটো ঠাপ দিয়ে থেমে যান।
– আহহহ.. আহহহ… গুড গার্ল.. গুউউড গার্ল!
গা ঝাঁকুনি দিয়ে খালি হতে শুরু করেছে। চরকির মত কোমর ঘুরিয়ে গালে-ঠোঁটে-চোখে চুমুয় ভরিয়ে দিচ্ছে ভাগ্নেবৌকে।
সেতু চুপচাপ মামার পিঠ জাপটে ধরে চোখ বুজে রইল। কানপেতে পাখির কলরব শোনে লোকে, কামাতুর যুবতী মনযোগ দিয়ে গুরুজনের দেহরস দফায় দফায় সবেগে নিজের মাঝে আপন করে নেয়ার শব্দ শুনতে পাওয়া যায় কিনা তা বোঝার চেষ্টা করে। চরমপুলকের অভাব বীর্যধারণের মাধ্যমে পূরণের চেষ্টা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মত হতে পারে, কিন্ত এমন একটা দুর্ঘটনার পর মামাজান যে রিস্ক নিয়ে ওকে বীর্যদান পর্যন্ত হ্যাপা পোহাতে রাজি হয়েছেন, তাতেই শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে সেতুর।
দুজনে যখন বেরোয়, শাতিরা বেগম ড্রইংরুমেই বসা। চোখ তুলে তাকালেন। ভাইয়ের পুরুষাঙ্গে লেগে থাকা ঘন তরলের গড়িয়ে পড়া দেখেই বুঝেছেন কাজ হয়েছে।
সময় নেই, দুজনেই বাথরুমে ঢুকে পড়েছে গোসলে। এরা তো আবার বেরিয়ে নেংটো ঘোরাফেরা করবে, খেয়াল হতে হাসুর মাকে ডাকেন গৃহকর্ত্রী।
– গামছা আর কাপড় দেও তো ওগোরে, বাথরুমে।
– আমি আছি বিকাল বেলা মুতের চাদ্দর ধোওন লইয়া, এরমধ্যে আবার..
ঘ্যানঘ্যান করতে করতে বেডরুম থেকে গামছা, পেটিকোট আর একটা লুঙ্গি নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে দিয়ে আসে মহিলা। শাতিরা বেগম কিছু বলেন না হাসুর মাকে। সে বকবক যাই করুক, কথা শোনে, কাজ করে।
কোনমতে পানি ঢেলে গোসল সেরে গা মুছে বেরোয় দুজনে। হাসুর মা ব্লাউজ দেয়নি। হাতে বুক ঢেকে দ্রুতপায়ে রুমে ফেরে সেতু। খাট থেকে তোষক উঠিয়ে ফেলেছে হাসুর মা, সকালে ধোবে।
জাহিন সাহেব তড়িঘড়ি আছর পড়ে নিচ্ছেন ঘরে। শাড়ী পড়ে শ্বাশুড়ির ডাকে বেরোয় সেতু। কমলা ছিলে, কাপেল কেটে, দেশি গাইয়ের দুধের গ্লাস ট্রেতে করে ড্রইংরুমে নিয়ে রাখে।
– মামা, নাস্তা করেন।
জাহিন সাহেব নামাজ পড়ে বেরোতেই দাঁড়িয়ে পড়ে সেতু। মেয়েটা সুন্দর ঘোমটা দিয়েছে।
– আহা, এসবের টাইম কই? চালান আসার কথা মালের। এসেই পড়ল কিনা..
মুখে এরকম বললেও বসলেন। দুটো কমলার কোয়া মুখে দিলেন। সেতু দাঁড়িয়ে আছে চোখ নামিয়ে। খুশি হলেন জাহিন সাহেব। একবারের সংসর্গে বেলাজ হয়ে যায়নি। তার বোনের চয়েজ ভাল, ভাল ফ্যামিলির মেয়েই এনেছে। অনেক সময় দেখা যায় একবার খেদমত হলেই মেয়েরা ঢলে ঢলে আলাপ করে, বুকের কাপড়ের কোন খেয়াল থাকেনা। এই মেয়ে দশ মিনিটেই আমূল বদলে গেছে। এখন শাড়ী ছাড়াতে গেলে নির্ঘাৎ নখড়ামি করবে, যেন মামাজানের সঙ্গে কখনো কিছু হয়-ই-নি। অথচ শাড়ী তুললে দেখা যাচ্ছে তরল উপহার এখনো উরু বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে!
– মামা, দুধ..
দুধের গ্লাসটা দেখায় সেতু।
– না, আর কিচ্ছু না।
– দুধটা খা, বয়স হইতেছে, এত লাফাইস না।
শাতিরা বেগম ভাইকে বলেন। জাহিন সাহেব গ্লাসের অর্ধেক দুধ খেয়ে ডাকেন সেতুকে।
– খাও, বাকিটা খাও।
– আমি পরে খাব।
সেতু হেসে হাত নাড়ে।
– খাও বৌ, তোমার খাওয়া-দাওয়া করা দরকার এখন। শরীলে একটু তেল জমুক।
শ্বাশুড়ির কথায় এগিয়ে আসে সেতু। দাঁড়িয়ে ওর মুখে গ্লাস ধরে গিলিয়ে দেয় মামা।
হাসুর মা খালি বাসনগুলো নিতে এসেছে। সে মন্তব্য করে,
– শরীর মাশাল্লা ঠিক আছে চাচী। দুধ-পাছা যেরহম দেখলাম আজকে, জব্বর। বেশি হইলে পরে পেট ফুইল্লা থাকব, চামড়া ফাডা ধরব।
একমত নন জাহিন সাহেব। বলেন,
– তুমি শুটকি বেটী, তুমি শরীরের কি বোঝ?
– আমি কি জানবেন শুটকি না ভুটকি.. আমার জামাইরে জিগাইয়েন!
দেমাগ দেখিয়ে বলে হাসুর মা।
বোনের কাছে বিদায় নিয়ে দরজার দিকে হাঁটা দেন জাহিন সাহেব। পিছন পিছন বিদেয় দিতে আসে সেতু।
– আবার কবে আসবেন, মামা? আজ এই এলেন, এই গেলেন, কোন আপ্যায়ন করতে পারলামনা..
অতিথি বিদেয় দেবার গৎবাঁধা স্ক্রিপ্ট বলে বৌ।
– বাব্বাহ, আর কত আপ্যায়ন হবে, হুম?
জুতো পড়তে পড়তে হেসে ঠোঁটে লেগে থাকা দুধ বুড়ো আঙুলে মুছে দেন। লাজুক হাসে সেতু।
– আসলেন উপকার করতে, আমি উল্টো অপমান করে দিলাম ইয়ে করে।
গোমড়া মুখ করে বলে সেতু। মেয়েটির ভক্তি দেখে দাঁত বের করে হাসেন জাহিন সাহেব। গাল টিপে দিয়ে বলেন,
– ছোটরা ভুল করে, সেটা বড়রা মনে রাখে ভেবেছিস? যা, রেস্ট নে। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। কাল রেডি থাকিস, ওকে?
– ইনশাল্লাহ!
গলায় দৃঢ়তা নিয়ে বলে সেতু। লম্বা পেটানো শরীরের প্রৌঢ়ের বেরিয়ে যাওয়া দেখে দাঁড়িয়ে। পেছন থেকে শাতিরা বেগম চেঁচান,
– তুই একটু টাইম হাতে আসার চেষ্টা করিস, রাইতে হোক বা দিনে।


















কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)Where stories live. Discover now