হিদায়া পাবলিকেশন্সে আমার কাজের সঙ্গে এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ডের উল্লেখযোগ্য কোন মিল নেই।
অফিসটা একটা পুরনো শপিংমলের পেছনের বিল্ডিংয়ের দোতলায়। এই বিল্ডিংটা আরো পুরনো। ভবনে ছোট ছোট অনেকগুলো অফিস।
চাকরিটা প্রয়োজনের সময় সুপারিশক্রমে মিলেছে। সে হিসেবে খারাপ না হলেও আরো ভাল কিছু খোজা বন্ধ করিনি।
তবে একসময় যেমন ভেবেছিলাম, আগে কোনমতে একটা যোগার করি পরে ভাল দেখে খুজে নেবো – অতটা সহজ নয়। অফিস থেকে বাসা খুব দূরে না হলেও পড়ালেখা আর চাকরি খোজার সময় মেলেনা খুব একটা।
অফিসের সবাই বন্ধুবৎসল, সেটা একটা স্বস্তির জায়গা। কলোনির কেউ না থাকলেও ভাবধারা বজায় থাকে। সময়মত বেতন, ইনক্রিমেন্ট, সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়।
– কি আপা, এত সুগন্ধ কিসের?
অফিসে যোহর পড়ে টেবিলে এসে বসেছি, পাশের টেবিলে মনি আপার বাটি থেকে আসা খাবারের গন্ধ নাকে লাগল।
অনেক অফিসে লাঞ্চ টাইমে তড়িঘড়ি নামাজ পড়ে কোনমতে খাবার খেতে হয়। এখানে দুপুরে যথেষ্ট সময় দেয়া হয় এবাদত আর পেটপুজো দুটোর জন্যই।
– হাঁস রান্না করেছি। আর চালের রুটি, নাও..
মনি আপা অমায়িক মহিলা। অনেকসময় মহিলা কর্মীরা ফাঁকিবাজির তালে থাকে, কলিগদের ঘাড়ে চাপে এক্সট্রা কাজ। আপা মোটেই সেরকম না। ওনার আগে বেরোতে হলে আমি সামলে নেই, আবার আমি না আসতে পারলেও আপা নিজ থেকে বাড়তি কাজ করেন।
– হামিদ, বাসাটাসা খালি হয়নি?
– আমি বলে রেখেছি আপা, হলে জানাবো।
আপার বর্তমান বাসা থেকে অফিস বেশ দূরে। অনেকদিন থেকেই চেষ্টা করছেন আমাদের কলোনিতে উঠার। আমিও বলে রেখেছি, তবে আরো অনেকের সিরিয়াল লেগে থাকায় সময় লাগছে।
ইদানিং আপার হাজবেন্ডও চাকরি বদলে এদিকে চলে আসায় তাগাদা দিচ্ছেন। অফিসে কলোনির বাসিন্দা আমি একা বলে ওনার জন্য তদবির আমাকেই করতে হচ্ছে।
বিকেলে বাসায় এসে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে বসেছি, মুনীরা বলল,
– কোথাও যাবে?
– না, পাশের বিল্ডিংয়ে যাব একটু। অফিসের ঐ আপার কথা বলেছিলাম না, উঠতে চাচ্ছে?
– ইমাম সাহেব এসেছিল। বলেছে তুমি ফিরলেই মাদ্রাসায় চলে যেতে। কাজ আছে কি যেন।
– মাগরিবের পরে যাই তাহলে।
– বললো অফিস থেকে ফিরেই চলে যেতে।
– এখনি যাবো?
– খেয়ে যাও কিছু।
হালকা নাস্তা করে পাঞ্জাবি গায়ে দিয়ে হেঁটে চলে গেলাম মাদ্রাসার গলি ধরে। এমনিতে খোলা গেট দিয়ে ঢুকে পড়া যায়। আজ দেখলাম দাড়োয়ান সক্রিয়।
পরিচয় দিতে হল। ফোন করে কনফার্ম হয়ে তবে ভেতরে যাবার অনুমতি পাওয়া গেল।
সন্দেহ করলাম গুরুত্বপূর্ণ কিছু হচ্ছে, গোপনীয়। এরমধ্যে আমাকে ডাকার কারণ কি? আগেরবার হুজুরদের পলিটিকসে পড়ে বহুত মাথাব্যাথার উদ্রেক হয়েছে।
ভেতরে ঢুকে পরিচিত একজনের সঙ্গে দেখা হল। তার কথামত চলে গেলাম সহকারী পরিচালক ছোবহান হুজুরের অফিসে।
ভেতরে নিচু স্বরে আলাপ শোনা যাচ্ছে। ভেজানো দরজায় টোকা দিলাম, সবাই চুপ। অপরিচিত এক যুবক দরজা খুলে দিল। ছোবহান হুজুর বাদে ভেতরে তিনজন। বসে থাকা দুজন তুলনামূলক বয়স্ক। ঘুরে তাকিয়েছে সবাই।
সবার শঙ্কিত মুখের দিকে চেয়ে সালাম দিলাম। ধীরে ধীরে সালামের জবাব দিয়ে সবাই স্বাভাবিক হল।
– আসেন, বসেন। ওনারা গেস্ট, মিটিং আছে আগামীকাল, সেজন্য আসছেন।
হুজুর বললেন। হাত মেলালাম সবার সঙ্গে। জানা গেল খুলনা থেকে আগত তিনজন।
– আশেপাশে ঘুরে দেখান ওনাদের একটু কষ্ট করে। কাল অফিস আছে?
আগামীকাল শুক্রবার। জানালাম, কাল ছুটি আছে। আমি আছি শুনে খুশি হলেন।
– তাহলে ওনাদের নিয়ে একটু বের হন। এশার সময় চলে আইসেন।
ছোবহান হুজুরের ঝাড়ুর মত দাঁড়ি, বেশ লম্বা। হাত মিলিয়ে ভেতরে চলে গেলেন। যাবার আগে চেঁচিয়ে এক ছাত্রকে বললেন চা পাঠাতে। লোকটা সারাদিনই চা খায়। চিনি ছাড়া কনডেন্স মিল্কের চা। তার জন্য দুধ বেশি দিয়ে চা বানানো হয়।
পুলিশি ঝামেলার পর থেকে মাদ্রাসার পরিচালক-টীচারেরা ভয়ে ভয়ে আছে। নতুন লোক সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ঘোরাঘোরি করতে চাচ্ছেনা বলে আমার সঙ্গে গছিয়ে দিয়েছে।
প্রথমেই ওনারা নতুন মহিলা মাদ্রাসার জায়গা দেখতে চাইলেন। কাছেই হাঁটাপথের দূরত্ব, নিয়ে গেলাম।
সাইনবোর্ড টানানো হয়েছে, তবে এখনো জায়গাটা পচা ডোবা। যেকোনদিন কাজ শুরু হবে।
সেখান থেকে আলাপ করতে করতে আবার মাদ্রাসার কাছে চলে এলাম। আশেপাশের পার্কটার্ক ঘুরব বলে প্ল্যান করেছি।
স্বভাবতই যুবকের সঙ্গে আলাপ ভাল জমছে বয়ষ্ক দুজনের তুলনায়। জানলাম তারা এসেছে দর্শনা থেকে।
– দর্শনা.. সুগারমিল আছেনা ওখানে?
লোকাল পার্কে ঢুকতে ঢুকতে উল্লেখ করলাম মাথায় আসায়।
– চিনিকল? কি দুঃখের ব্যাপার বলেন তো, মদের ফ্যাক্টরিটাই পড়ল আমাদের এলাকায়!
মাাথা ঝাঁকিয়ে বলে যুবক। চাপদাঁড়ি আবৃত মুখে আফসোস।
– বানাইতে দেও, খাইতে দেও.. টাইম আহুক!
পঞ্চাশোর্ধ মুরুব্বি দাঁত কিড়মিড় করে।
দিনের আলো প্রায় নিভছে। পার্কে ঘন গাছের ছায়ায় আগেই সন্ধ্যা নামছে। লোকজন হাঁটাহাঁটি করছে, জগিং করছে।
আঁটো পোশাকে পায়চারিরত নারীদের দিকে তিনজনকেই বেহায়ার মত তাকিয়ে থাকতে দেখে বিব্রত হলাম। বিশেষ করে আমার সঙ্গে থাকা যুবকটির চোখ টেলিস্কোপের মত ফলো করছে জগিংরত মেয়েদের।
– মাইয়ালোকে দৌড়াইলে খালি লাফ পাড়ে!
বেঞ্চে বসেছি আমরা। যুবক মন্তব্য করল।
– দেহেন দেহেন!
প্রায় চেঁচিয়ে ওঠে। কমবয়সী একটা মেয়ে থ্রী কোয়ার্টার-টি শার্ট পড়ে হাঁটছে একটা ছেলের সঙ্গে। সেটাই দেখাচ্ছে।
– এইগুলা জন্মের দোষ। দেখো গিয়া বাপে একদিকে, মায়ে আরেকদিকে..
বুড়ো সখেদে বলে।
নাহ, এদের নিয়ে এখানে বসলে সমস্যা। কিছুক্ষণ বাদে কপোত-কপোতিরা জড়াজড়ি করে হাঁটতে-বসতে শুরু করবে।
জিজ্ঞেস করলাম কারো কিছু কেনাকাটা করতে হবে কিনা। কমদামে ভাল কাপড়চোপড় কিনতে চাইলে কাছেই ভাল মার্কেট আছে।
সবাই রাজি হল। মাগরিবের আযান পড়ল পার্কে থেকে বেরোনোর পর। নামাজ পড়ে মার্কেট ঘুরে মাদ্রাসায় ফিরলাম এশার আগে আগে। তিনজনই কমবেশি কেনাকাটা করেছে।
ওনাদের ব্যাগট্যাগ ছোবহান হুজুরের রুমেই আছে। এশা পড়ে সেখানে হাজির হলাম। হুজুর দুই ছাত্রকে ডেকে বললেন,
– মেহমানদের জিনিসপত্রগুলা কোয়ার্টারে দিয়ে আসো তো।
ছেলেরা হাতে-মাথায় ব্যাগ নিয়ে হাঁটা শুরু করল। হুজুর বললেন,
– যান, কোনমতে থাকতে পারবেন ইনশাল্লাহ। হামিদ ভাই, আপনিও যান। খাওয়াদাওয়া করে ফেলেন।
– আপনি যাবেন না?
– বাসা থেকে খেয়ে আসছি। আমি আগে আগে খেয়ে ফেলি।
ছেলেরা কয়েক কদম এগিয়ে পেছন ফিরে তাকিয়েছে। দ্রুত ওদের পিছন পিছন হাঁটতে শুরু করলাম।
মাদ্রাসায়ই থাকার ব্যবস্থা হয়েছে মেহমানদের, এটা জানি। কিন্ত মসজিদে বা আবাসিক ছাত্রদের কক্ষগুলোর দিকে না গিয়ে ছেলেরা চলেছে একেবারে শেষে, কোণার দিকে।
একটা নীল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে পেছন তাকাল ওরা। টোকা দিল উচু গেটে।
হুজুরের সঙ্গে আলাপ করে আসতে আসতে আমি সবার পিছে পড়ে গিয়েছি। আধখোলা গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকতে সালাম কানে এল।
কানে এল বলতে সালামকারীকেও দেখা গেল।
– ওয়ালাইকুম সালাম.. ভাল তো, আপা?
– আলহামদুলিল্লাহ।
মাদ্রাসার মেয়েদের সেকশনের হেড ম্যাডাম স্মিত হেসে জবাব দিলেন।
অল্প জায়গা, বারান্দাসহ তিন-চারটা রুম আছে মনে হচ্ছে। গেটের সামনে পাকা জায়গার খানিকটা ফাঁকা। রয়েছে গ্যাসের চুলা আর বাথরুম।
মাদ্রাসার এদিকটায় দু-তিনজন ম্যাডাম থাকে বলে শুনেছি। এখনো এদিকে আসা হয়নি। কাপড় নাড়ার তারে মেয়েলি কাপড়-চোপড় নাড়া দেখে বোঝা যাচ্ছে মানুষজন থাকে।
হেড ম্যাডাম ছাড়া আরো দুজন নারীকে রান্নায় ব্যস্ত। ম্যাডামের বয়স চল্লিশের কোঠায়। লাইটের আলোয় অন্য দুজনকে তুলনামূলক যুবতী মনে হচ্ছে।
ছেলেরা জিজ্ঞেস করছে ব্যাগ কই রাখবে।
– আমারটা এই মেডামের ঘরে!
বয়োজ্যাষ্ঠ আঙ্কেল সিনিয়র ম্যাডামকে দেখিয়ে বলে। লোকটা ঢুকেই ওনার পিছে ঘুরঘুর শুরু করেছে।
‘মেজো’ আঙ্কেল বাইরে পেতে রাখা বেঞ্চে বসেছে রেস্ট নিতে। কনিষ্ঠজন চুলার পাড়ে বসে দুজনের সঙ্গে খেজুরে আলাপ করছে।
সালোয়ার-কামিজ পড়া তিনজনের কারোই ওড়না নেই। আমাদের আগমনের পরও ওড়না গায়ে চড়ানোর উৎসাহ দেখা গেলনা। এমনকি সিনিয়র ম্যাডাম কামিজের তলে কিছু পড়েনি সেটাও বোঝা যাচ্ছে নড়ন-চড়নে।
– দুই নৌকায় পা দিলে হবেনা, চয়েজ করেন।
দুজনের সঙ্গে মাখামাখি করত দেখে যুবকটিকে বলে ম্যাডাম। কনিষ্ঠকে বেছে নেয় যুবক।
খাবার রেডি হবার সময় আমাদের ইমাম সাহেব চলে আসলেন। খাবার বলতে তাবলিগী স্টাইলে খিচুরি। বেশ ভাল ফ্লেভার, অভিজ্ঞতা বলে স্বাদও ভাল হবে।
বাসায় ফোন করে এরমধ্যে বলে দিয়েছি, রাতে খেয়ে আসব।
– হামিদুল ভাই, ওস্তাযাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তো?
শিক্ষিকাদের কথা বলছেন। জানলাম, সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে।
– ম্যাডামরা খুব ভাল রান্না করেছে।
যুবকটি বলল।
– খাওয়াদাওয়ার আইটেম কম। তবে মেহমানদারিতে ত্রুটি পাবেন না ইনশাল্লাহ। ওস্তাাযাদের হাতের গরম খিচুরি যেহেতু ভাল লেগেছে, বিছানায়ও গরম পাবেন!
ইমাম সাহেব গর্বিতভাবে বলেন।
– হামিদ ভাই খেদমতে আসেন নাই তো আগে?
– না।
– মেহমানদারির একটা প্রয়াস। আমাদের উস্তাযারা আপ্যায়ন করে মাশাল্লাহ।
এটুকুই বলে হুজুর।
– ওস্তাযাদের শরীর-স্বাস্থ্য ভাল তো?
ম্যাডামদের জিজ্ঞেস করেন।
– আমার কিন্ত এনি টাইম খারাপ হবে।
সতর্ক করে সিনিয়র ম্যাডাম। মাথা নাড়েন ইমাম সাহেব।
– আগামীকাল থাকতে পারবেন না?
– আরো মেহমান আসবে?
– হ্যাঁ। কাল মীটিং তো, খুলনা থেকে আরেকটা গ্রুপ আসার কথা।
– খাওয়াতীনের ব্যবস্থা করেন আরো, তিন-চারজনে হবেনা।
– আসুক আগে, দেখি কয়জন হয়।
চিন্তিভাবে বলে হুজুর।
– এই রুম কি বন্ধ?
– ও বাসায় গেছে, এসে পড়ার কথা এতক্ষণে।
খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ গল্প করে ইমাম সাহেব বেরিয়ে পড়লেন। আমিও সঙ্গে বেরিয়েছিলাম। বললেন আজ এখানে থেকে যেতে,
– মেহমানরা দূর থেকে আসছে, লোকাল কেউ কাছেপিছে থাকলে ভাল হয়।
ম্যাডামদের প্লেট-বাসন ধুতে সাহায্য করলাম।
– আপনারা একটু বসেন, রুমগুলো ঝাড়ুটাড়ু দিতে হবে।
বাইরের কাজ শেষ করে হেড ম্যাডাম আমাদের বসিয়ে রেখে গেল। মেহমানদের নিয়ে বাইরের বেঞ্চে বসে গল্প করলাম আরো কিছুক্ষণ।
উস্তাযার ডাক পড়তে তিনজনই প্রায় দৌড়ে চলে গেল ভেতরে। শব্দ করে বন্ধ হল দরজা তিনটি।
হঠাৎ একা হয়ে পড়লাম, রাতের স্তব্ধতা কানে শঁ শঁ করে বাজছে।
কিছুক্ষণ বসে থেকে বিরক্তি এসে গেল। আরেকটা রুম তো আছে, খুলে দিলেই পারত। ম্যাডামদের মধ্যে দায়সারা একটা ভাব আছে, নিজেদের মধ্যে খুব একটা সখ্যতা আছে বলে মনে হয়না।
মুনীরা ফোন দিয়েছে, বললাম আজ মাদ্রাসায় থাকতে হবে। সকাল সকাল চলে আসব।
কোয়ার্টার থেকে বের হয়ে হাঁটতে হাঁটতে প্রশাসনিক সেকশনের দিকে গেলাম। বাইরে কোন ছাত্র নেই। সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। ঘুম না ধরলেও এখন আর বাতি জ্বালিয়ে বসে থাকার নিয়ম নেই। খুব ভোরে উঠতে হয় ওদের।
ছোবহান হুজুরের রুম বাইরে থেকে আটকানো, অন্য কাউকেও পেলামনা। কি আর করা, আবার শিক্ষিকা নিবাসের দিকে হাঁটা দিলাম।
সরু ইট বিছানো রাস্তা ধরে একটা মূর্তি দ্রুত হেঁটে আসছে এদিকেই। জুতোর ঠুকঠুক আওয়াজ রাতের নীরবতা চিরে ছড়িয়ে পড়ছে। আশান্বিত হয়ে ঘুরে দাঁড়ালাম।
কাছাকাছি আসতে বাতির আলোয় দেখা গেল আপাদমস্তক খয়েরি বোরকায় ঢাকা। কোনদিকে না তাকিয়ে আমার পাশ ঘেষে চলে গেল ম্যাডামদের কোয়ার্টারের দিকে।
চার নম্বর রুমের মালকিন এল বোধহয়। যাক, মাথা গোঁজার ঠাঁই হল। খুশি হয়ে কয়েক কদম হেঁটে আবার মনে হল মেয়েমানুষের রুমে থাকাটা কি ঠিক হবে? মুনীরা বাসায় একা শুয়ে আছে। ভেবেচিন্তে যাওয়াই ঠিক করলাম।
বারান্দার লাল লাইট ছাড়া আর কোন পরিবর্তন নেই। উঁকি দিয়ে দেখলাম রুম চারটির দরজাই বন্ধ।
কাউকে ডাক দেব কি দেবনা ঠিক করতে না পেরে দেয়ালে পিঠ এলিয়ে দিয়ে বসলাম বেঞ্চে।

YOU ARE READING
কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)
Fantasy🔥🔥বোম্ব🔥🔥 তৈরি হয়ে যান এক অন্যরকম যৌন জগতে ভ্রমনের জন্য। যতই ভেতরে প্রবেশ করবেন ততই আশ্চর্য হয়ে যাবেন, একদম নিশ্চিত।