সকাল সকাল অফিসে যাবার জন্য বেরিয়েছি। গেট ছেড়ে একটু এগোতেই মাদ্রাসার এক ছাত্র এসে বলল এখুনি মাদ্রাসায় যেতে হবে, আর্জেন্ট দরকার। বিরক্ত হয়ে বললাম, এখন অফিসে যাচ্ছি, কাজের চাপ আছে। সে বলল, আমাকে ডাকতেই সে দ্রুত এসেছে। অন্য কেউ গেলে হবেনা।
বিরক্তি নিয়েই ছেলেটির সঙ্গে গেলাম মাদ্রাসায়। রিকশা নিয়ে যেতে সময় লাগেনা, কিন্ত অফিস টাইমে রিকশা পাওয়া মুশকিল। হেঁটে গেলাম দ্রুত পায়ে।
মাদ্রাসার গেটের কাছাকাছি গিয়ে ভ্রু কুঁচকে গেল। গেটের বাইরে নীল রং করা একটা হাজতখানার মত ছোট্ট ঘর আছে। শিক দিয়ে ঘেরা রুমটায় আবাসিক ছাত্রদের সঙ্গে মায়েরা বসে কিছুটা সময় কাটাতে পারে। যেহেতু কমবয়সী ছাত্ররা পলায়নপ্রবণ, তাই এভাবে গারদ বানিয়ে বাইরে থেকে আটকে রাখা হয় সাক্ষাৎের সময়টাতে।
আজ কোন ছাত্রটাত্র নয় পরিচিত দুই কিশোরিকে গারদের বেঞ্চে বসে থাকতে দেখলাম। আমাকে দেখে দুজনে দাঁড়িয়ে পড়ল, “আঙ্কেল!” বলে ডাকল।
অফিসের মনি আপা ইদানিং কলোনিতে উঠেছেন। খোঁজ রাখতে রাখতে ওনার জন্য বাসা পেয়ে গিয়েছি। কদিন হবে, সপ্তাহ দুয়েক হল ফ্যামিলি নিয়ে উঠেছেন। এ-তো ওনারই দুই মেয়ে। ওদের বয়সী মেয়েদের এখানে পড়ানো হয়না, সেজন্য মহিলা মাদ্রাসা রয়েছে। তবে ওরা কি করছে এখানে?
দাড়োয়ান পরিচিত লোক, আমাকে চেনে। সে-ই বিস্তারিত জানাল।
মনি আপা পরহেজগার মহিলা। ওনার আগ্রহেই ফ্যামিলি কলোনিতে শিফট করেছে। তবে ওনার হাজবেন্ড অতটা না। তার আস্কারেই হয়তো মেয়েরা মায়ের মত হয়নি।
মাদ্রাসার ভেতর সাধারণত মহিলাদের চলাচল নিষিদ্ধ। সকালে গেট খোলা থাকে ছাত্রদের যাতায়তের জন্য। দুবোন হাঁটতে বেরিয়ে এই রাস্তা ধরে এসেছে। রাস্তা শেষে যে মাদ্রাসা শুরু, বা ওদের ঢোকা উচিত নয় তা বোঝেনি।
ভেতরে চলে গেছে সেটাও সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে ওদের পোশাক। একজন শর্টস-গেঞ্জি, আরেকজন থ্রীকোয়ার্টার-টিশার্ট পড়ে বেরিয়েছে হাঁটতে।
– সকাল সকাল তো, অনেক পোলাপান। পোলাপানে ওদের ক্যাপচার করছে। জিগাইছে, কই যাও তোমরা এমন বেহায়ার মত? এমন পোশাকে মাদ্রাসায় আহে কেউ?
দাড়োয়ান বলছে।
– ওরা ঠিকঠাক বলতে পারেনাই কিছু। সন্দেহ হওয়ায় হুজুর বলছে ওদের আটকাইয়া খবর নিতে। আপনার নাম বলতে পারছে, তাই খবর পাঠানো হইছে।
– ভাল করেছেন, আমি বেরিয়েই পড়েছিলাম।
বললাম।
আমার আসার খবরে ছোবহান হুজুর বাইরে আসলেন। ওদের পরিচয় আমিই দিলাম।
মাদ্রাসায় নানারকম স্পাইয়িংয়ের চেষ্টা চলছে। তাই ওনারা মেয়েদের বেশ সন্দেহ করছিলেন। নতুন হওয়ায় ওরাও নিজেদের পরিচয় ঠিকমত দিতে পারছিলনা। আর ভয় যে পেয়েছে তা চেহারার ফ্যাকাশে অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
– আপনার কথা কোনরকম বুঝিয়ে বলতে পেরেছে। তাই লোক পাঠিয়েছি। ইনফরমেশন ঠিক না হলে..
কিশোরিদের দিকে তাকিয়ে হাত কচলায় হুজুর।
– ষড়যন্ত্র হচ্ছে, জানেন তো। আঁড়িপাতার যন্ত্র পাওয়া গেছে আমাদের একটা প্রতিষ্ঠানে। এরপর থেকে বাইরের কেউ ঢুকলেই সন্দেহ করছে সবাই। ওদেরও সার্চ করা হয়েছে। ওস্তাযাকে দিয়ে টোটাল সার্চ করিয়েছি। কিছু পাওয়া যায়নি, তাই আপনার জন্য ওয়েট করা।
– ভাল করেছেন।
মাথা ঝাঁকিয়ে বলি।
জিজ্ঞেস করলেন, ওদের মা-কে ডাকা উচিত, নাকি আমার জিম্মায় দিয়ে দেবেন। মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই মা-কে ডাকাতে চায়না।
ওদের এভাবে ফেলে রাখা যায়না। সঙ্গে নিয়ে কলোনিতে ফিরলাম। পোশাক-শালীনতার বিষয়ে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে বললাম।
বড় মেয়েটা নবম শ্রেণীতে পড়ে, একটু বুঝদার মনে হল। অন্তত আমার কথা শুনে মুখে মুখে একমত হল।
– ছেলেপেলেরা তোমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে?
জিজ্ঞেস করি।
– না, ওইযে হুজুরটা এলো না, সে নিয়ে গিয়েছিল একটা অফিসরুমে।
– বাইরে কতক্ষণ ছিলে তোমরা?
– দশ-পনের মিনিট।
বলে বড় মেয়েটি।
– ভেতরে?
– পনের-বিশ, নারে?
– হুম।
ছোটজন আওয়াজ করে। ও একটু রেগে আছে মনে হল।
– হুজুর কি বলল?
– ওইতো, জিজ্ঞেস করছিল, কোথায় থাকি, কি করি, এসব।
– কলোনির কথা বলোনি?
– বলেছি তো। আম্মু-আব্বুকে তো চেনেনা, তেমন কিছু বলতেও পারছিলাম না। পরে একজন মহিলা আসল বোরকা পড়া। আমাদের কাপড় খুলে সার্চ করল।
– একটু মোটাসোটা?
– হ্যাঁ। চেনেন?
– হেড ম্যাডাম মাদ্রাসার।
– হুজুরটা আমাদের ধমক-টমক দেয়নি। কিন্ত মহিলাটার বিহেভ খুব বাজে। বারবার বলছিল সত্য কথা বলতে, নইলে ছেলেরা এসে নাকি নিয়ে যাবে।
ওরা বারবার বলছিল এই ঘটনা যেন আপাকে না বলি। কিন্ত বলতে তো হবে। সোসাইটির নিয়ম-কানুন আপারও জানা দরকার।
অফিসে যেতে দেরি হওয়ায় একটু কথা শুনতে হল। এমনিতে কিছু বলেনা কেউ, এখন কাজের চাপ থাকায় সময়মত আসার তাগাদা রয়েছে।
মনি আপাকে বিকেলের আগ পর্যন্ত কিছু বললাম না। বেরোবার সময় আপা ঘটনা শুনে বেশ লজ্জ্বিত।
– ওদের বোরকা-হেজাব সব বানানো আছে, জানো? বাপের আস্কারা পেয়ে ওগুলো ছুঁয়ে দেখেনা। কি লজ্জ্বা..
আমি ওনাকে অভয় দিয়ে বললাম, নতুন জায়গা তাই একটু বিব্রতিকর, সমস্যা নেই।
দেরি হওয়ায় কিছুক্ষণ বেশি অফিসে কাটিয়ে বেরোলাম। বাসায় ফিরে দেখি মুনীরা গল্প করছে সোহানীর সঙ্গে।
– এইযে সাহেব, ঘরে বসে চুপিচপি বৌকে তো খুব ট্রেইন করছেন!
ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সোহানী অভিযোগ করে।
– কিসের ট্রেনিং? ওর চাকরি-বাকরির প্ল্যান নেই তো।
ব্যাগ রেখে বলি।
– চাকরি করে কি হবে, কলোনির চাকরি তো হয়েই গেল।
আমি জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম।
– যাচাইয়ের কথা বলছি!
বলে বুড়ো আঙুল চুষে দেখায় সোহানী। বুঝতে পারলাম এবার।
– ও, তোমাদের নতুন চাকরি। কি হলো?
বিরস গলায় জিজ্ঞেস করি।
– আমার দ্বারা কি কিছু হবে? বলছি তো আপনার বেগমের কথা। আপনিই তো দিচ্ছেন ট্রেনিং বৌকে।
– হাহাহহ.. ট্রেইন করবো কখন, ঘুমানোরও তো সময় পাইনা।
কাপড় ছাড়তে ছাড়তে বলি।
– পাবেন কিভাবে, সারারাত সাকিং প্র্যাকটিস করলে?
সোহানী কেটে কেটে বলছে।
– আপনারও কথা.. ঘরের হিসেব বাইরের হিসেব এক হয়? মুখও নিতে চায়না আশেপাশে।
একটু ক্ষোভ দেখিয়েই বলি।
– কি যে বলো, সেদিনও না কতক্ষণ ধরে দিলাম আদর করে?
মুনীরা প্রতিবাদ করে।
– দাও তো, মাসে-দুমাসে।
কথা ঝগড়ায় রুপ নেয়ার আগেই সোহানী বলল –
– এরকমই হয়। বাপ মাস্টার হলেও দেখবেন ছেলেমেয়েকে কোচিংয়ে দিয়েছে। বাসায় পড়া হয়না।
– ঠিক বুঝেছেন ম্যাডাম।
লুঙ্গি পড়ে বসলাম ওদের সঙ্গে।
– সেতু ভাবী কিন্ত আমার ওপর নাখোশ। মুনীরা আপা এসে প্যাচ লাগিয়ে দিয়েছে।
সোহানী মন্দা সুরে বলে।
– কেন, ঘরে প্র্যাকটিস হয়না?
জিজ্ঞেস করি।
– উমম, কচু হয়। অন ফিল্ডে গেলে মুখ চলতে চায়না।
ঠোঁট উল্টে মাথা নাড়ে সোহানী।
– এ্যাই, সেতু ভাবী কিছু বলেছে তোমাকে?
মুনীরা জিজ্ঞেস করে।
– না তো।
– আমাদের প্র্যাকটিসে জোর দিতে বলেছে।
– ভালই তো, দাঁড়াও, গোসলটা করেই..
বাঘের থাবার মত ভঙ্গি করলাম বৌয়ের দিকে।
– হিহিহহ.. না, এভাবে না। আপা যেটা বলল এখন, নিজের ঘরে শেখা হয়না।
– তবে?
– আগে আমাদের বের করতে হবে কোথায় দুর্বলতা আছে। সেভাবে এগোতে হবে।
সোহানী বলে।
– আমার ছেলেদেরটা যাচাইয়ে কোন ইস্যু নেই। মেয়েদেরটাই কেমন যেন লাগে।
মুনীরা বলল ওর দুর্বলতার কথা।
– কই, ওদিন না ঠিকঠাক সব করলে?
আমি বলি।
– ওদিন করেছি কোনরকম। আজ নাজমা আপা ডেকে নিয়েছিল আমাদের। সেদিন তো মেয়েরটা ইজিলি যাচাই হয়ে গেছে। আজ আপা বললেন, “তুমি নাকি ডিরেক্টলি টেস্ট করো, দেখি কেমন পারো!”
– আর কে ছিল?
জিজ্ঞেস করি।
– পুরুষ ছিলনা তো, মেয়েদেরটা। সেতু ভাবী, নাজমা আপা আমাদের এক্সাম নিয়েছে। সোহানী আপা কি সুন্দর উৎরে গেল। আমি সেতু ভাবীরটা কোনরকমে পার করেছি, নাজমা আপারটায় আটকে গেছি।
মাথা নেড়ে বলে মুনীরা।
– মন খারাপ করার কিছু নেই। বয়স হলে স্বাদ গন্ধ একটু খারাপ হয়।
সোহানী স্বান্তনা দেয়।
– ছেলেদেরটা তো বাইরে থাকে, একবার চাটা দিলেই পরিষ্কার। কিন্ত মেয়েদেরটায় তো নাকমুখ ডুবিয়ে রাখতে হয়।
বলছে মুনীরা।
– আমি ভাবতাম তোমাদের মুখের কাজ খুব সোজা, খালি মুখ লাগিয়ে বসে থাকো। আমাদের ডান্ডা মুখে নিয়ে কাহিল হতে হয়। আজ বুঝলাম, এত সোজা না হিসেব। চাটতে চাটতে রস কাটে, তারপর জিভ দিতে হয়। সেতু ভাবীরটা যেমন তেমন, নাজমা আপারটায় জিভ দিয়েছি, লবণে মুখ ভরে গেছে!
চেহারা বিকৃত হয় মুনীরার। মুচকি হাসছে সোহানী।
– আধামিনিটও টিকতে পারলাম না।
আফসোস বৌয়ের গলায়। সোহানী বলে –
– আপনার বেগমের দায়িত্ব আপা দিয়েছে আমাকে।
– ভালই তো, দুজনেরই প্র্যাকটিস হয়ে যাবে।
বললাম।
– বৌয়ের প্র্যাকটিস নিয়ে তো খুব খুশি। আমার কি হবে? আমি তো ছেলেদেরটায় গোলমাল করে ফেলি।
– আপনার আর কি গোলমাল, আপনি তো প্রো..
বলতে গিয়ে থেমে যাই। সোহানীর মুখের কসরৎ নিয়ে আমার জ্ঞান ঝাড়া উচিত হবেনা মুনীরার সামনে। সোহানী বুঝতে পেরে হাসে। মুনীরার সঙ্গে সারাদিন থাকলেও সে আমাদের অতীত সম্পর্কের কথা ফাঁস করেনি। সম্ভবত কলোনির অন্য কেউও বলেনি। ওটা বাইরের ঘটনা বলে অন্য কেউ জানেনা সম্ভবত।
– পারতাম তো সবই। অনেকদিন প্র্যাকটিস নেই। আপনার ভাই তো ব্যস্ত প্রচন্ড। অত সময়ও পায়না।
দানিয়েল ভাইয়েরও পাবলিকেশন্সের কাজ। তার ব্যস্ততা আমার চেয়েও বেশি। এমনিতেও ভাই যৌনতা নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখায় না। সময় নিয়ে কিছু করার সুযোগ পায়না হয়তো সোহানী।
– আপাতত আমরা এভাবে ডীল করি, আপা আমার সঙ্গে প্র্যাকটিস করবে, আমি আপনার সঙ্গে। ওকে?
মুনীরার দিকে তাকালাম, ও আগ্রহী। ফাইনাল করল ‘ডীল’। সোহানী খুশিমনে বেরোল। আমিও মনে মনে একটু উত্তেজিত বোধ করলাম।

VOCÊ ESTÁ LENDO
কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)
Fantasia🔥🔥বোম্ব🔥🔥 তৈরি হয়ে যান এক অন্যরকম যৌন জগতে ভ্রমনের জন্য। যতই ভেতরে প্রবেশ করবেন ততই আশ্চর্য হয়ে যাবেন, একদম নিশ্চিত।