৫.৯

371 1 0
                                    

– হাসুর মাকে কথা বললে মনে থাকেনা। বললাম তাড়াতাড়ি জানি চলে আসে।
ড্রইংরুমে বসে ঘড়ি দেখে বলেন শাতিরা বেগম। রাত প্রায় দশটা বেজে গেছে। বৌ-শ্বাশুড়ি খাওয়া দাওয়া করে বসেছে বিশ্রাম করতে। শাতিরা বেগমের বিশ্রাম হচ্ছেনা, চিন্তা হচ্ছে।
– বলছে নাকি ভুলে গেছে কে জানে!
তজবির গোটাগুলো জোরে জোরে টিপে ঘুরিয়ে চলেছেন।
– বাসা চিনবে?
সেতু জিজ্ঞেস করে। তার কোন মাথাব্যাথা নেই।
– হা, চিনবে। হাসপাতাল-টাসপাতাল যাওয়া লাগলে সে-ই আসে।
দশটা বাজবে-বাজবে এমন সময় দরজায় টোকা পড়ল।
– দেখ দেখ!
শাতিরা বেগমের গলায় চঞ্চলতা। সেতু দরজার সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কে এসেছে। রাত হয়েছে, ঘরে পুরুষমানুষ নেই। কে এল নিশ্চিত হয়ে নেয়া ভাল।
– জ্বে, চাচী, আমি আইনুদ্দি।
– কে?
শাতিরা বেগম উঠে দাঁড়িয়েছেন মাথায় কাপড় দিয়ে। কাচাপাকা চুলগুলো ঢেকেছেন গুরুত্ব দিয়ে।
– আইনুদ্দি বলল।
– হ্যাঁ, খোল।
সেতু দরজা খুলে দিল। প্রায় ছয়ফুটি শুকনোদেহী একটা লোক ঘরে ঢুকল।
– আসছ হাসুর বাপ? তোমার বৌয়েরে বইলাম দিলাম যে আগে আসতে কইবা..
শাতিরা বেগম হাসিহাসি মুখে সামনে এগোন।
– কি করুম, ভাড়া পাইছিলাম হেইদিকে একটা.. শইলটা ভালা চাচী?
সেতু মাথায় ওড়না দিয়ে চোখ তুলে দেখছে লোকটিকে আলোয়। লম্বা, শুকনো শরীর – যেমনটা মনে হয়েছিল। শার্ট আর লুঙ্গি পড়নে। চোয়ালের হাড় স্পষ্ট, তামাটে রোদেপোড়া চেহারা। চুলগুলো ছাঁটা, মোটাসোটা গোঁফ আছে।
মোটামোটি পরিচ্ছন্নই লাগল সেতুর। রিকশাওয়ালা বললে মাথায় যে ধরণের ছবি আসে তেমন নয়। চেহারা-ছবিতে পরিশ্রমী পরিচয় দেখা গেলেও, পরিপাটি হয়ে এসেছে।
– হইছে ভাবীসাব, আর না.. খাইয়া আইছি তো।
ফাঁকা ডাইনিং টেবিলে বসে খেতে খেতে সেতুর বাড়িয়ে ধরা ভাতের চামচ দেখে চকচকে দুপাটি দাঁত বের করে হাসে আইনুদ্দি।
– এইটুকু নেন।
আইনুদ্দি মুখ তুলে সেতুর সুচারু মুখটা দেখে আড়চোখে। আসার পর থেকেই বারবার দেখছে। সেতু চোখ নামিয়ে রাখে, চোখাচোখি হয়না।
হাসুর মা আগেও বলেছে, শাতিরা চাচীর ছেলের বৌটা দেখতে চোস্ত। সন্দেহ করেনি আইনুদ্দি, তবে এতটাও আশা করেনি। নিটোল ফর্সা মুখ, লম্বা গড়ন, পিঠ সমান চুল ওড়নার আড়ালে। চেহারাটা দেখেই মনে গেঁথে গেছে।
– বৌ লগে বস, আলাপ সালাপ কর, একা একা খাইতেছে।
দূরে সোফায় বসে বলে গৃহকর্ত্রী।
– ভাইজান বাসায় নাই, হ্যাঁ?
– জ্বি, কাজে গেছে।
কানের কাছে নরম গলায় আওয়াজ শুনেই পেট ভরে যাবে মনে হয় আইনুদ্দির। এমনিতেই রাতের খাবার খেয়ে এসেছে। চাচী নাকি বলেছে দিয়েছে এখানে খেতে। কি করা, খিদে পেয়েছে তাই বাসায়ই খেয়ে নিয়েছে। রিকশা সে আজ আটটায়ই গ্যারেজে রেখেছে, বাসায় গিয়েছিল।
শাতিরা বেগম চেয়ারের পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন। পুত্রবধূকে বললেন,
– হাত গুছাইয়া বসে আছ ক্যান? বাইড়া দেও খানা।
– চাচী, আর কিছু লমুনা।
দুধকলা মেখে খাওয়া শেষ করার পথে আইনুদ্দি।
– দিয়েছি তো।
এই লোকের আপ্যায়ন নিয়ে শ্বাশুড়ি এত ব্যস্ত হচ্ছে কেন? বিরক্ত হয় সেতু।
– খানা খাওয়ার পরে গরম লাগবে। ফ্যান বাড়াইয়া দিয়া রুমে গিয়া কাপড় ফালাইয়া জিরাইয়া নিবা। বুঝছ?
টোকা দেন সেতুর কাঁধে।
– জ্বি আম্মা।
আলাপ করতে করতে সেতুর ওড়নাটা হাতে নিলেন। বাঁধা চুল খুলে ছড়িয়ে দেন পিঠে।
– আইনুদ্দি, খাইয়া-টাইয়া রুমে যাও তোমরা। আমি শুইলাম।
ওড়নাটা সোফায় ফেলে রুমে চলে গেলেন।
শাতিরা বেগম সরে যাবার পর দ্রুত খাওয়া শেষ করে ওঠে আইনুদ্দি। বিনা ওড়নায় থাকা সেতুর দিকে তাকায়, বাহ বেশ! সেতু বুঝতে পারছে লোকটার চাহনি বাড়ছে।
আইনুদ্দিকে রুমে রেখে অযু করতে আসে সেতু। নতুন লোক, লজ্জ্বা লাগছে। গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, কিন্ত পানি খাওয়া যাবেনা। গতকাল পানি খেয়েই বিপদ হয়েছে।
আইনুদ্দি শার্ট খুলে ফ্যান ছেড়ে বিছানায় বসে রুমটা দেখছিল। ভাত খাওয়ার পর বিড়ি না গেলে কেমন লাগে। কিন্ত আজ বিড়িটিড়ি খাওয়া যাবেনা। এই খাসাা মালটাকে খালাস করে নিই, পরে বরং বাইরে গিয়ে খেয়ে আসব, ভাবে মনে মনে।
সেতু প্রবেশ করতে উঠে দাঁড়ায় আইনুদ্দি। রোদেপোড়া বপু, চেহারার চেয়ে কম তামাটে। পেশীবহুল বুক-বাহু নয়, তবে পেশীর অবয়ব দেখা যায়। বুক প্রায় নির্লোম।
– ভাবীসাব, বিছনায় উঠবেন?
সেতু হাসি টেনে কনফিডেন্স যোগার করার চেষ্টা করে। লোকটিও হেসে মাথা নাড়ে। কত হবে বয়স? চল্লিশ হতে পারে। কমও হতে পারে, ঠিক বোঝা যায়না। তবে ফোলা গোঁফের কাঁচাপাকা ভাব দেখে মনে হয় বয়স বেশির দিকে। হাসুর মায়ের বয়সও তো কম না।
সেতু শুরু করার কথা বলেই লোকটা লুঙ্গি খুলে ফেলেছে। জাহিন মামার শরীরের সঙ্গে সেতুর পরিচয় হয়েছে অনেক পরে। এই লোক তো শুরুতেই দিগম্বর।
সরু পেশীবহুল পা আর ঝুলন্ত একটা ফ্যাকাশে জিনিস চোখে পড়ল। মুখ ঘুরিয়ে ফেলল সেতু।
নগ্ন পুরুষদেহ দেখলেই গা রি-রি করে ওর। স্বামীকেও নগ্ন দেখতে অপছন্দ। এটা কোন অসুখ কিনা ভাবে সেতু। অন্তরঙ্গ হতে সমস্যা হয়না, ভালই লাগে। পরপুরুষের সঙ্গেও তো জমিয়ে রসলীলা হলো।
আইনুদ্দির মনে উত্তেজনা পুরোপুরি থাকলেও বাইরে শান্ত। ভদ্র ঘরের মেয়ে, সেভাবে মেপে মেপে চলতে হবে।
এই কাজ আগে একবার করেছে হাসুর বাপ। একই রকম ঘটনা। স্ত্রী-ই খবর নিয়ে এসেছিল। তার বৌ সমঝদার মহিলা। স্বামীর সঙ্গে অন্য মেয়েকে শুতে দেয় কে? তার বৌ যেচে সম্বদ্ধ নিয়ে আসে। সেবার ভাল বকশিস পাওয়া গিয়েছিল। হাসুর মা-র আশা এবারও তাই হবে। আইনুদ্দি অবশ্য রাতেই বকশিস অর্জন করতে আগ্রহী।
লুঙ্গি খুলতে সেতুর চোখ সরিয়ে নেয়ায় নিজেকে দেখে নেয় আইনুদ্দি। না, ওটা ঝুলে আছে। দেখে ভয়টয় পাওয়ার মত অবস্থায় আসেনি। আগেরবার লুঙ্গি খোলার সময় এমন লাফিয়ে বেরিয়েছিল, সঙ্গিনী ভয় পেয়েছিল।
সেতু ভাবী তাহলে লজ্জ্বা পেয়েছে। হাসুর মা বলেছে, নতুন বৌ, শরম পাবে। অতিরিক্ত লজ্জ্বা পেলে আবার ঝামেলা। ভদ্রলোকের মেয়েবৌরা দেমাগী হয়। আগ বাড়িয়ে কাপড় খুললে, গায়ে হাত দিলে, একটু আস্তে-জোরে হলেই রেগে যায়।
আইনুদ্দি সেতুর দিকে পিঠ দিয়ে বসে। হয়তো কাপড় ছাড়বে, সামনে দাঁড়িয়ে থাকায় লজ্জ্বা পাছে। মেয়েমানুষ অদ্ভুত, নেংটো হয়ে শুতে সমস্যা না থাকলেও সামনে কাপড় খুলতে দ্বিধা।
– ভাই, একটু ওঠেন।
আইনুদ্দি হাত দিয়ে নিজেকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছিল, উঠে দাঁড়ায়। সেতুর হাতে ভাঁজ করা স্বচ্ছ প্লাস্টিকের কাগজটা। আইনুদ্দি অবাক হয় ওটা চাদরের ওপর বিছাতে দেখে। এই জিনিস কেন? ভাবে। হাসুর মা গতদিনের ঘটনা বলেনি, তার জানার কথা না।
চট করে মাথায় একটা সম্ভাবনা খেলে যায়। যত ভাবে ততই মনে হয় তার ধারণা সঠিক।
– পেলাস্টিক দিয়া কি অইব ভাবীসাব? আমি বাসা থাইকা গোছল দিয়া আইছি।
আইনুদ্দি ধরে নিয়েছে তার শরীর যেন বিছানায় না লাগে সেজন্যে পলিথিন বিছানো হচ্ছে, মনোক্ষুণ্ণ হয়। হাসুর মা তো বলে এরা খুব ভাল মানুষ, ভেদাভেদ করেনা। একান্তে আসতেই এই অবস্থা?
রাতে দুঘন্টা ভাড়া না মেরে রিকশা গ্যারেজে রেখে সেলুনে গেছে। পয়সা বাড়িয়ে দিয়ে চুল ছাঁটিয়েছে সুন্দর করে। সাইজ করেছে গোঁফ। গোঁফটা ফেলে দেবে কিনা ভাবছিল।
বন্ধুরা বলে গোঁফ ফেললে তাকে দেখতে হাভাতের মত লাগে, গোঁফে একটা ভাব বজায় থাকে। তাই না ফেলা স্থির করে। চুলে কলপ দেয়ার ইচ্ছে ছিল। সময় স্বল্পতায় পারেনি। বাসায় গিয়ে ভালমত সাবান ডলে গোসল করে ধোয়া পরিষ্কার শার্ট-লুঙ্গি পড়ে এসেছে। তবু চাদরের ওপর শুতে দেবেনা ভদ্রলোকেরা। না দিক, বিছানা ময়লা না করে বরং ভদ্রলোকের পুতুল বৌটিকেই ময়লা করা যাক।
সেতু আইনুদ্দির সন্দেহ ধরতে পারেনি। ব্যাখ্যা করে গতকালের কথা বলতে চায়না। এই লোকও ভয় পাবে। ভয় নিয়ে সহবাস জুত হয়না।
বালিশে মাথা রেখে শুয়ে আছে রিকশাওয়ালা। লোভনীয় যুবতীর গাল বুকের ওপর। শ্বাস-প্রশ্বাসের বাতাস বুকে পড়ছে। চুলে দেয়া তেলের গন্ধ নাকে আসছে। এই মেয়েকে রাস্তায় দেখলে যে ধরণের দিবাস্বপ্ন দেখে লোকে, তাই সত্যি হয়েছে।
সেতুর হাত নিস্তেজ পুরুষাঙ্গ ছুঁয়েছে। দৃষ্টিতে-অনুভবে গা শিউরে ওঠে আইনুদ্দির। ইচ্ছে করেই হাতে নিচ্ছে? অবাক ব্যাপার।
উত্তেজনাটির ফলাফল উরুসন্ধিতে প্রতিফলিত হওয়া উচিত, দ্রুত হচ্ছেনা। পিঠের নিচে কাগজটা কচকচ করে মনে করিয়েছে দিচ্ছে এক বন্ধুর কথা – “মাগীবেটী নিয়ে লাফাস না, ওরা শরীলে চুদবে, মনে চুদবেনা!”
আইনুদ্দির মনে হয় মেয়েটা বুকের ওপর আলতো করে চুমু দিচ্ছে। মন থেকে খারাপ লাগাটা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করতে হবে। কাপড় খোলেনি, খুলে দেয়া যাবে? নাহ, জিজ্ঞেস না করলে রাগতে পারে। ইতস্তত করে কাৎ হয়ে শোয়া যুবতির পিঠে হাত রেখে বুলাতে শুরু করে। কামিজের ঝুল তুলে পাজামার ওপর দিয়ে সাইজ দেখে, মারহাবা!
জাহিন সাহেবের বাহুডোরে গিয়ে সুমিষ্ট আতরের ঘ্রাণ পাওয়া যায়, রিকশাঅলার থাকে ঘামের গন্ধ। সাবান ডলে গোসল করেও তা যায়না। পরিশ্রমের ছাপ লেগেই রয়। তবে খুব বেশি নয়। সহ্য করা যাচ্ছে।
শক্ত বুকে ছোট ছোট চুমু খাচ্ছে সেতু। চোখ হাতের দিকে। হাতের মুঠোয় দ্রুত বর্ধনশীল শিশ্ম।
তামাটে পেশী চকচকে হাড়ওঠা শরীরে মাংসল, ফ্যাকাশে পুরুষাঙ্গটি একটু আলাদা রকম। শুরুরে অতটা খেয়াল করেনি। যত বেড়ে উঠছে তত দৃশ্যমান হচ্ছে স্বামী-মামাশ্বশুরের সঙ্গে পার্থক্য।
দন্ডখানি গালের মধ্যে স্বাভবিক প্রস্থেই বেড়ে উঠেছে, তবে লম্বায় শরীরের উচ্চতার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে। লুঙ্গি খোলার পরপরই দেখেছে বরবটির মত ঝুলে রয়েছে, এখন আরো বেড়েছে। নারীহস্তে আছে যাদুকরী দ্রুতবর্ধক। অন্ডকোষগুলোও বড়, ভারী। হাতে নিয়ে ওজন করেছে সেতু।
সব ছাড়িয়ে মনযোগ আকর্ষণ করে নিয়েছে ব্যাঙের ছাতার মত চওড়া-ছড়ানো মুন্ডি। জাহিন মামারটা মনযোগ দিয়ে দেখেছে গতকাল। ওটা রকেটের মত চোখা, দন্ডের মতই বেড়। জয়নালেরটা খানিকটা ভোঁতা। এই লোকেরটা একদমই অন্যরকম। হাতে মুঠ করে মেপে দেখে, বেশ চওড়া।
আসলেই ব্যাঙের ছাতার আকৃতি। আস্তে আস্তে ওটা গোল হতে শুরু করেছে। দেখে মনে হয় মৌমাছির কামড়ে ফুলেছে। পুরুষাঙ্গ এরকম হয় বলে শোনেনি সেতু। কলেজে বিবাহিতা বান্ধবীদের চাপ দিয়ে অন্তরঙ্গতার গল্প শুনত মেয়েরা। একজন বলেছিল ওর স্বামীরটা কলার মত বাঁকা। মেয়েরা তো বিশ্বাসই করেনি। ওরকম হয় নাকি? আজ সেতু যা দেখছে তা বললেও ওরা বিশ্বাস করবেনা।
– এমন কেন আপনার?
মুন্ডিটা টিপে দেখছে সেতু। না, ফাঁপা নয়। চাপলে ঠিকই স্পঞ্জ মিষ্টির মত বাউন্স করে। বলের মত গোলাকায় হয়ে উঠছে মুন্ডি, মূত্রছিদ্রের দিকটা একটু চোখা।
– আমার তো আপ্পা জন্মের পরের থুনেই এইরহম। ডর পাইয়েন না, সমিস্যা নাই।
আইনুদ্দি আলতো করে পিঠে হাত বুলাচ্ছে। হাতের কাছে হলেও বুক ধরছেনা। জিজ্ঞেস না করে কিছু করা যাবেনা। রাগ করতে পারে, শিক্ষিত মেয়ে। মাঝেমাঝে পাজামার ওপর দিয়ে হাত বুলাচ্ছে, কিঞ্চিৎভাবে চেপে দিচ্ছে।
বুকের ওপর থেকে ছোট ছোট চুমু দিতে দিতে কোমরের নিচে নামে সেতু। বাতিঘরের কাছাকাছি আসতেই নাকে খোচা দেয় লম্বা লম্বা গুপ্তলোম। চুল-দাঁড়ি-মোচ ছেঁটে এলেও এদিকে নজর দেয়নি আইনুদ্দি। সে কেমন করে জানবে যে ভদ্র ঘরের বৌ শুরুতেই ধোনের গোড়ায় মুখ নিয়ে যাবে?
– ইশ, পরিষ্কার করেন না?
বিরক্তি নিয়ে বলে সেতু। জঙ্গলের মত বেড়ে ওঠা কালো ঝোপটা হাতে মুড়ে চুমু খায় গোড়ায়।
– হ.. হ.. টাইম পাইনাই যে ভাবীসাব.. খালি তড়াতড়ি চুল-দাড়ি ছাঁটাইয়া আইছি।
আইনুদ্দি অবশ্য ছাঁটাছাঁটিতে নেই। একবার এমনি চেঁছে নিয়েছিল। হাসুর মা পছন্দ করেনি। “এহ হে, পোলাপাইনের মতোন লাগে। ব্যাটামানুষ হইয়া পোলাপাইন সাজবার চাও ক্যান? রং লাগছে?” তির্যক মন্তব্য শুনে আর ব্লেড-কাঁচি ছোঁয়ায় না।
বাঁড়াটা শুঁকে দেখেছে সেতু, ফ্রেশ। যাক, একেবারে নোংরা নয়। গতকাল মামার বাঁড়া থেকে ঝাঁঝালো একটা গন্ধ আসছিল, তেমন নয়। ভাগ্যিস সাবান ডলে গোসল করেছে আইনুদ্দি। নইলে গন্ধ নেয়া সম্ভব হতোনা।
অন্ডথলির দিকে তাকালে শজারুর মত কন্টকাকীর্ণ লাগে, নাকে একশটা নরম সুচের খোঁচা, ঘ্রাণও কড়া। সরে এসে চুমু খায় মুন্ডিতে। আন্দাজ করার চেষ্টা করছে, কত বড় হাঁ করতে হবে এ জিনিস গিলতে।
– ভাবীসাব, আপনের নামটা জানি কি?
– সামিতুন্নেছা।
ধোনের নিচের লাইন বরাবর চাটা দিয়েছে সেতু। আইনুদ্দির পা শক্ত হয়ে আসে।
– বাইত্তে কি ডাকে, সামিয়া?
– আমার ডাকনাম সেতু, সেতু ডাকতে পারেন।
– সেতু মানে, বীরিজ?
সেতু মনযোগ সরিয়ে আইনুদ্দির দিকে তাকায়, হাসে।
– হুম। ব্রীজ মানে জানেন আপনি?
– হয়, দুই চাইটা ইংরাজি তো জানি-ই। ইট অর্থ খাওন, গো মানে যাওন..
সেতু বাঁড়া সামলানো বাদ দিয়ে আলাপ করতে আগ্রহী হয়। লোকটাকে খারাপ মনে হচ্ছেনা, মজার মানুষ মনে হচ্ছে। এমনিতেও বাসায় আলাপ করার মানুষ নেই বুড়ি শ্বাশুড়ি ছাড়া।
– আপনি পড়ালেখা করেছেন?
– দুই-তিন কেলাস গেছিলাম। মাস্টর বহুত পাজী আছিলো। পোলাপাইন কত পাজী, মাস্টর তারচে পাজী। পিডাইয়া তক্তা বানাইয়া দিত। পড়ালেহা অয়নাই আমারে দিয়া। পোলাপাইন গুলারে ইশকুলে দিছি, কই পড়ালেহা করতে।
– আপনাদের বাচ্চা কয়টা, হাসু-ই?
আলাপ করার চেষ্টা করে সেতু। এই লোক জাহিন মামার মত নয়। ওকে জাগ্রত করতে কোন উদ্যোগ নেবে বলে মনে হয়না।
– হেহেহ.. না আপা, তিন মাইয়া। হাসু হইল বড় মাইয়া।
– ওও…
নব্বইয়ের দশকে রিকশাওয়ালা তো পরে, শিক্ষিত লোকজনই মেয়েদের শিক্ষাকে গুরুত্ব দেয়নি। সেতুর মনে হয় আইনুদ্দি এক্ষেত্রে প্রশংসা পাবার যোগ্য।
আলাপ করতে করতে আবার বুকে মাথা রেখে কাৎ হয় সেতু। বাঁড়াটা কচলাচ্ছে মুঠো শক্ত করে। টের পাচ্ছে হৎপিন্ডে ধকধকের গতিবৃদ্ধি। খানিকক্ষণ চুপ থেকে বলে,
– আচ্ছা, আপনারা কি মেয়েমানুষ উঠলে জোরে চালান রিকশা?
– হেহেহ.. আপা, মাইয়ামানুষ উঠলে শইল্লে একটা জোশ আহে, মিছা কমুনা।
সৎ জবাব পছন্দ হয় সেতুর।
– আপনার স্ত্রী কয়টা, হাসুর মা ছাড়া?
– আমার ওই একটাই।
কেন যেন বিশ্বাস হয়না সেতুর।
– আর করবেন না বিয়ে?
– আমার হাসুর মা-ই সব। এতবছরের বিয়া, আর কাউরে ওইভাবে মনে ধরেনা।
সেতু বেশ অবাক হয়েছে। রিকশাওয়ালা গোছের লোকেরা তো বিয়েপাগল মেয়েপাগল হয় বলেই জানে। এমনকি শ্বাশুড়ি তাকেও বিয়ের পরপর বলে দিয়েছে, তার ছেলে চাইলে আরো বিয়ে করবে। এ বিষয়ে আপত্তি করা যাবেনা। বড় ধাক্কা লেগেছিল শুনে। মা-কে বলেছে শ্বাশুড়ির কথা। এরমধ্যে সেতুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বাবা দাঁড়ি-টুপি রেখে ধর্মকর্ম করাতে মন দিয়েছেন। স্ত্রীর কাছে মেয়ের শ্বশুরবাড়ির পরিস্থিতি শুনে চিন্তিত হলেও বিরোধতা করার কারণ খুঁজে পান না।
সেতু অবশ্য চিন্তিত নয় এখন। জয়নাল মেয়েপাগল নয়। আইনুদ্দিকে বাজিয়ে দেখতে চায়। বলে,
– আমাকে?
– হেহেহ.. আপনে সুন্দর, শিক্ষিতো.. আপনেরে পাইছি মানে আসমানের চাঁন পাইছি, এইটা মানি।
হাসি ফোটে আইনুদ্দির মুখে।
– তাহলে?
– আপা, কিছু মনে কইরেন না। আপনে হইলেন ঢাকাইয়া নল্লি-নিহারির মতোন। লাইন ধইরা লোকে খাইতে চায়। পয়সা জমাইয়া পোলাপানে খায়। টানাটানি ব্যাপার। চাইট্টা চাইট্টা নল্লি চুইষ্ষা সব বাইর কইরা খায়। মাসে কয়দিন? দুইদিন-একদিন বেতন হইলে। হারাবছর কিন্ত ঘরে আলুভর্তা ডাইলই খায়।
আইনুদ্দি জানে এই মেয়ে এমনি জিজ্ঞেস করছে। জবাবটা তবু সিরিয়াসভাবেই দেয়। গরীবের এমন পুতুলপ্রতীম বৌ থাকতে নেই। এই মেয়ে কি থাকবে ঝুপড়ি-টিনের ঘরে? থাকলেই কি, স্নো-আলতার খরচ দিতেই তো রিকশা বেচতে হবে। বখাটেরা উত্যক্ত করবে, নেতারা হাত বাড়াবে। এমন নধর শরীর ডেকে এনে চুদতে দিচ্ছে তাতেই হাজার শুকরিয়া, ঘরে তুললে বিপদ।
– খাননি, দেখেনও নি, বুঝে ফেলেছেন?
সেতু কি তবে অতি মসলাদার সুস্বাদু, কিন্ত অনুপাদেয়? প্রশংসা নাকি তিরষ্কার, ঠাহর করতে পারেনা গৃহিনী।
কিসের কথা বলছে বোঝেনা আইনুদ্দি। বলে,
– নিহারি? ওইটা তো কতই খাইছি। আর আপনেরে? দেহা লাগবোনা, এইযে.. এইযে ধইরাই বুঝি।
হাত দিয়ে সেতুর কোমরের ওপরের চাপড়া চিপে পুরুত্ব মাপে আইনুদ্দি।
– বিয়ার আগে কসাইগিরি করছি। হাসুর নানায় মাইয়া দিবনা কসাইয়ের কাছে, হেরপরে রিশকা লইছি। এইযে রান..
কামিজের ঝুল আরো তুলে দিয়ে নিতম্বসহ উরুর কয়েক জায়গা খামছে ধরে আইনুদ্দি। উরুসন্ধিতে খাবলা দিয়ে তালুর শক্ত অংশ দিয়ে ডলে দিল একবার। ছড়ে যাবার মত লাগল সেতুর।
– পেট.. সিনা..
পেটের ওপর হাত রেখে বাড়তি চর্বিটুকু হাতে নিয়ে কচলে দিল। বড় খাবলা বসিয়ে দিল বুকের মাঝ বরাবর। তারপর আটা বেলার মত বেশ চাপ দিয়ে কয়েকবার ঘোরাল, চিপল। নিচে কিছু নেই পড়নে, থলথল করছে হাতের মধ্যে।
দেখতে ভয়ানক লাগলেও ব্যাথা পায়না সেতু। কৌতূহল নিয়ে লোকটার চোখমুখ দেখছে। ওকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মনে হল।
– উপুত হইবেন?
– উল্টো?
– হুম। ভালা হয় যদি আঁট্টা দিবার পারেন।
– ওটা কিভাবে?
– হাতে-পাউয়ে.. পোলাপানে খেলে, দেখছেন?
– হামাগুড়ি দেব?
– হ, ওমনে।
– হাহাহহ.. কেন?
সেতু ঘুরে উল্টো হয়। কি করবে? কৌতূহল হয়। জবাবের অপেক্ষা না করেই পিঠ সোজা করে হাত-পায়ে ভর দেয়।
– হ.. ঠিক আছে।



















কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang