২.৩

581 3 0
                                    

– আপনার ফোনটোন ধরিনি, রাগ তো করারই কথা। সেদিন কিছু না বলে চলে গেলাম।
সোহানীর কথায় বর্তমানে ফিরে এলাম।
– সেদিন কথাটথা বলোনাই তোমরা, রাগ করেছিলাম এটা সত্য।
স্বীকার করলাম।
– স্যরি। তালাক পড়ানো হয়ে গিয়েছিল আপনি আসার আগে, তাই।
– আচ্ছা। দানিয়েল ভাই-বাবুল ভাইয়েরা ফেরার পরও নাকি তোমাদের আসতে দেরি হয়েছে? তোমরা কোথায় আটকা পড়লে কিনা ভেবে চিন্তা হচ্ছিল।
– হুম। সেদিন রাত্রে আমাদের কেরানীগঞ্জ মুভ করা হয়েছিল। মজার ব্যাপার, জেলখানার কাছেই। একজন ব্যবসায়ী আঙ্কেল আমাদের দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছিল।
– দুজনেরই?
– হ্যাঁ। সংগঠন থেকে ওভাবেই খোজ করছিল, দুজনের জন্য। অনেক জায়গা নিয়ে সুন্দর একটা বাড়ী। ফুটবল ফীল্ডের মত উঠান, ঢাকার জাস্ট বাইরে।
চাঁদনীকে নিয়ে তেমন কিছু বলছিনা কারণ সে আপাতত বাপের বাড়ি। ছেলের স্কুল বন্ধ, সঙ্গে নিয়ে ঘুরে আসতে গেছে। তার সঙ্গেও কথাবার্তা হয়নি এ পর্যন্ত।
– গুড। আমার ঘিঞ্জি বাসা থেকে বেরিয়ে একেবারে ফুটবল ফিল্ড পেয়ে গেলে!
সোহানী হাসে।
– কেরানীগঞ্জ তো বেশি দূরে না, দানিয়েল ভাইরা ফেরার পরই তো ব্যাক করতে পারতে? আমি দু’তিনদিন খবর নিয়েছি, ভাই বলছিল চলে আসবে..
এ কথার জবাব দিতে গিয়ে একটু ইতস্তত করল সোহানী।
– হয়েছে কি, আমাদের দায়িত্ব যিনি নিয়েছিলেন, উনি আমাদের সঙ্গেই গিয়েছিলেন, ওনার গাড়িতে করেই গেছি আমরা। উনি এক সপ্তাহ ছিলেন আমাদের সঙ্গে। সংগঠনের ধারণা ছিল এরমধ্যে দানিয়েলরা ফিরতে পারবে। এদিকে ওনার ঢাকা ব্যাক করতে হবে, আমাদের কি ব্যবস্থা হবে?
– আমার বাসায় ব্যাক করলেই পারতে।
মজার সুরে বলি।
– কোন গতি না হলে সেরকমই ভেবে রেখেছে তখন সংগঠন থেকে। আমাদের তখনকার হাজবেন্ড খোজটোজ করে ওনার এক ফ্রেন্ডের কাছে রাখার ব্যবস্থা করলেন। ওনারও এরকম একটা ছোট্ট বাড়ি। আমরা ওখানে উঠলাম রাতে, সকালেই দানিয়েলরা ব্যাক করেছে খবর পেলাম।
– আচ্ছা, খবর পেয়েছ তবে। তাহলে দেরি হল যে?
জবাব দিতে গিয়ে দম নিয়ে হাসে সোহানী।
– ব্যবসায়ীর জিম্মায় ছিলাম তো, ওনারা কন্ট্রাক্ট ছাড়া দায়িত্ব নেয়না। সাতদিনের চুক্তি ছিল।
– ওহ..
আমি মাথা নেড়ে শান্তনা দেবার মত ভঙ্গি করলাম।
– এ্যই, চাঁদনী আপা যে পিল নিয়ে এসেছিল আমাকে বলেননি কেন?
হঠাৎ আমার দিকে ঘুরে বলে সোহানী। গালে চওড়া হাসি।
– হাহা, সময় পেলাম কই?
– লুকিয়ে লুকিয়ে খেত। আমার হাতে ধরা পড়ে বেচারী লজ্জ্বায় পড়েছে। কি হয়েছে জানেন, সেকেন্ড বাসায় যাওয়ার পর আপার পিল শেষ। আমাদের তো বাইরে যাবার কোন উপায়ও নেই। এরমধ্যে এক ভাবী ফোন করে রিউমার ছড়িয়ে দিয়েছে, দানিয়েলদের ফিরতে নাকি আরো একমাস লাগবে!
– অন্য ভাবী বলেছে নাকি তুমি বলেছ? চাঁদনীকে জব্দ করতেই তো বিজি ছিলে দেখেছি আমার বাসায়।
– হিহিহ, না, অন্য ভাবী বলেছে, বাট আমি ট্রুথ জানার পরও আপাকে বলিনি। সেকেন্ড বাসায় উঠে আপা নিউ হাজবেন্ডকে বলল পিলের কথা। সমস্যা হল ওখানে আশেপাশে দোকানপাট নেই। ওই আঙ্কেল একদিন পরপর বেরোত বাজার করতে, প্রতিদিন ফিরেই বলত – মনে নেই!
– ইচ্ছে করে?
– আলসেমি করে আনতোনা হয়তো। আর লোকটাও আপাকেই লাইক করেছে। প্রতিদিন আপার ভেতরে, একদম সাতদিনই!
– আর তোমার? তুমি লুকিয়ে পিল নিতেনা?
– আমি? নাহ। আমিও ভয় পাচ্ছিলাম শেষদিকে, আর দুদিন থাকলে ক্রিটিকাল হতে পারতো।
– মানে?
– এ্যাই, চলেন, বসে আছে সবাই নিচে, দেখি কি হচ্ছে।
বলেই নামতে শুরু করে সোহানী। অগত্যা পেছন পেছন আমিও।
– আচ্ছা, চাঁদনীর কি হলো বলতো? একদিনও তো দেখলামনা বাসায় ওঠার পর। এতদিন থাকে কেউ বাপের বাড়ি?
ফেরার পর থেকে বাবুল ভাইয়ের সঙ্গেও খুব বেশি দেখা হয়নি। অফিস করে ব্যস্ত থাকায় সামাজিকতা কমই করা হচ্ছে, তবু ওনাদের অনুপস্থিতি চোখে লেগেছে আমার।
– আপার ফ্যামিলিতে ঝামেলা চলছে। ভাই হিজরত থেকে ফিরেই আরেকটা বিয়ে করেছে, শুনেছেন?
– নাতো! বৌ কই?
ভ্রু কুচকে বিস্ময় প্রকাশ করি।
– এখানে আনেনি, বাপের বাড়ি। আমরা ফেরার পর খবর শুনে আপাও রাগ করে বাপের বাড়ি। শুনেছি এখনো মনোমালিন্য চলছে। ভাই চাইছে ছোট বৌকেও এই বাসায় তুলবে, চাঁদনি আপা তাতে রাজি হচ্ছেনা।
এই ঘটনা আমি জানিনা, নিজেকে গাধা মনে হলো। বহুবিবাহ কলোনিতে খুব আনকমন নয়, তবে বাবুল ভাইয়েরও যে এই বাতিক হয়েছে জানতামনা।
নাদের ভাইয়ের বাসায় ফিরে শুনলাম এরমধ্যে কাজী এসে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে, জামাইকেও ভেতরের ঘরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
মুনীরা ভাবীদের সঙ্গে বসে গল্প করছে। ওকে আগের চেয়ে প্রাণবন্ত মনে হলো। পাশে গিয়ে বসলাম।
– তোমাদের ঝগড়াঝাটি হয়না? দেখে তো মনে হয় সোনায় সোহাগা!
এক ভাবী জিজ্ঞেস করে।
– হবেনা কেন? মাঝেমাঝে ঝগড়া হওয়া ভাল।
আমি হেসে বলি।
– ঝগড়াঝাটি খেয়াল করে করো, মুখে যা-তা আসে বলে ফেলোনা।
ভাবী বলেন।
– বললে বলুক, সমস্যা নেই। আমাদের মনিরার মত সুন্দরীর জন্য পাত্রের অভাব হবে নাকি?
আরেক ভাবী মুনীরার থুতনি ধরে মাথা ঝাঁকিয়ে দিল। ওকে লজ্জ্বা পেয়ে কুকড়ে যেতে দেখলাম।
– ছেলেটাকে পাঠিয়ে তো দিলেন ভেতরে, হারিয়ে যাবেনা বেচারা?
এক ভাবী মিষ্টিতে কামড় দিয়ে বলে।
– হারালে হারাক বৌ নিয়ে।
– বৌ নিয়ে হারাবে নাকি বৌয়ের মধ্যে হারাবে?
প্রতিক্রিয়ায় অনেকগুলো নারীকন্ঠের হাসি শোনা গেল।
– এত চিন্তা হলে যান, গিয়ে দেখেন বেচারা ডুবেটুবে যাচ্ছে কিনা!
দুই ভাবী ইঙ্গিতপূর্ণ বাক্য বানিয়ে চলেছে।
– পুরুষ মানুষকে শিখাতে হয় ভাবছেন? কুকুরের মত গন্ধ শুঁকে শুঁকে ঠিক গর্ত বের করে ফেলবে!
– হয়েছে হয়েছে, আর বলিয়েন না, ব্যাটাছেলেদের মাথা খারাপ হয়ে যাবে!
এঁটো পিরিচগুলো সংগ্রহ করতে করতে এক ভাবী সতর্ক করে।
আমাদের নিয়ে ভাবীদের আগ্রহ কমে গেলে মুনীরাকে নিয়ে বেরিয়ে এলাম। দুজনে চুপচাপ নেমে চলে এলাম বাসায়। ওপরতলার আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে কোন আলোচনা না করেই শুলাম।
রাতে তুলনামূলক তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ায় আগে আগে ঘুম ভেঙে গেল। নাহ আগে নয়, মোবাইলের স্ক্রীণ বলছে প্রায় ফজরের সময় হয়ে এসেছে। মুনীরা পাশে নেই।
– শরীর খারাপ?
কাৎ হয়ে বাথরুম থেকে বেরোনো বৌকে জিজ্ঞেস করি।
– নাহ, অনেক দেরি।
মুনীরা পাজামা ছাড়ছে। ফ্রেশ পাজামায় নামাজ পড়বে। চোখ জড়জড় করলেও ঘুম ভাঙার পর থেকেই চাঙ্গা লাগছে শরীরটা, বৌকে কাপড় বদলাতে দেখে মনে রঙ লাগল।
– এ্যাই, আসো না..
হাত বাড়িয়ে ডাকলাম।
– তোমার চোখমুখ জুড়ে ঘুম।
বৌ হাসে।
– ঘুম তাড়ানোর ওষুধ খাব, আসো!
হেসে বিছানায় উঠে পড়ে মুনীরা। ম্যাক্সি কোমরে তুলে শুয়ে পড়ে।
– ওপরে বসো।
আধোঘুমে বলি।
– আহা, তাহলেই হয়েছে। আমি করব সব পরিশ্রম, তুমি উল্টো ঘুমিয়ে পড়বে।
প্রতিবাদ করে বলে। বুঝিয়ে শুনিয়ে কোমরের ওপর বসালাম। লুঙ্গির গিঁট খুলে হাতে নিল বাঁড়াটা।
– এজন্যই ঘুম ভেঙে গেল?
আধশক্ত বাঁড়া হাতে নিয়ে টিপতে টিপতে জিজ্ঞেস করে।
– তোমার জন্যই তো।
– ইশ, আমার দোষ!
বুকের ওপর নেমে আসে মুনীরা।
– কিস দাও?
– উমম, বাসি মুখ।
মানা করে বৌ। বাঁড়ার ডগার দিকটা ধরে দুপায়ের মাঝে ঘষছে।
স্ত্রীঅঙ্গের বাইরেটা ঠান্ডা পানির ছিটায় ভেজা, আর ঠান্ডা। গরম করতে কোমর-নিতম্বে হাতড়াতে শুরু করলাম।
মুনীরা সময় ক্ষেপন করতে চাইছেনা। মুন্ডি বসিয়ে সোজা হয়ে বসে পড়ল। শুকনো যোনিতে তেমন এগোলনা বাঁড়া।
– এভাবে যাবেনা।
মুখ গোমড়া করে বলল।
– যাবে, সোনা, এদিকে এসো..
মুনীরাকে টেনে বুকে নামিয়ে আনলাম। ম্যাক্সির ওপর দিয়ে আলতো করে কামড়াতে শুরু করলাম। হালকা যোনিকেশে মোড়া স্ত্রীঅঙ্গ ঘষছে ও আমার উরুতে।
কাপড়ের ওপর দিয়ে শক্ত নিপল ঠোঁটে ঠেকছে। উরুসন্ধিও গরম হয়ে উঠল দ্রুত।
মুনীরা আবার সোজা হয়ে বসে বাঁড়া ঢোকাতে উদ্যত হল।
– এবার না হলে আমি আর পারবনা..
বলতে বলতে মুন্ডি বসিয়ে ডানে-বাঁয়ে কোমর মুচড়ে নেমে এল, চড়চড় করে চেপেচুপে ঢুকে গেল আধশুকনো গুদে।
মুনীরা আবার নেমে এল গায়ের ওপর। দুহাতে নিতম্ব ধরে রাখলাম জায়গামত। বাকিটা ও-ই সামলাবে।
– শেষ হওয়ার আগে বলো কিন্ত..
বৃত্তাকারে কয়েকবার কোমর ঘুরিয়ে সতর্ক করে।
– এখুনি কি বলছ শেষ হবার কথা?
আধবোজা চোখে কানের কাছে ঠোট নিয়ে বলি।
– আহা, আমি মনে হয় বুঝিনা!
মুনীরা ফিক করে হাসে জ্ঞানীর মত। আসলেই বাঁড়াটা আজ দ্রুত টনটনে হয়ে উঠেছে। গুদে রসস্বল্পতায় অতিরিক্ত ঘর্ষণেই কিনা, বারবার ফুলে উঠছে, কোমরটা আপাআপনি তলঠাপ দিচ্ছে। সেটাই ধরতে পারছে মুনীরা।
সহবাসের গুরুদায়িত্ব নিতে মুনীরার কোন আগ্রহ ছিলনা। কিন্ত অফিস করে আসার পর প্রতিদিনই ক্লান্ত হয়ে শোয়ার পর আর গা নাড়াতে ইচ্ছে হয়না। বাধ্য হয়েই ওপরে ওঠা শিখতে হয়েছে ওকে।
প্রথম প্রথম পাছা ওপর-নিচ করতে গিয়ে একটুতেই কাহিল হয়ে পড়ত। হাঁটু-কোমরের ওপর চাপ কমাতে চাইলে আমার পেটের ওপর বসে পড়তে হয়। পুরোটা বাঁড়া সোজাসোজি ভেতরে নেয়াও ওর জন্য অস্বস্তিকর।
সংসার করতে এসে দিন দিন মুনীরার ধৈর্য্য বাড়ছে। নিজে নিজেই বুঝে ফেলেছে কোন এঙ্গেলে বসলে পুরোটা গিলতে হয়না। বারবার ওপর-নিচ না করে বসে থেকেই যে ডানে-বাঁয়ে মুচড়ে কাজ হাসিল করা যায় তা-ও ধরতে পেরেছে।
গুদ সবে ভালমতো পিচ্ছিল হয়েছে, এমন সময় কোমর নাচানো থামিয়ে স্থির মুনীরা।
– কি হলো?
বুকের ওপর মাথা রেখে চুপচাপ শুয়ে আছে। কোমরটা একটু উঁচিয়ে বাঁড়া বের করে দিল। হাতে ধরে শক্ত পুরুষাঙ্গ পেটের সঙ্গে মিশিয়ে রাখল উল্টো করে।
– আযান দিতেছে।
– ওহ।
বড় করে শ্বাস নিলাম।
– আচ্ছা, সেতু ভাবীর যে আরেকটা বিয়ে হয়ে গেল, এখন কি হবে?
– সকালে ডিভোর্স হয়ে যাবে তো।
– নাদের ভাইয়ের কি হবে?
– আবার বিয়ে হবে নাদের ভাইয়ের সঙ্গেই।
– কাল?
– উহু, দুই-তিনমাস পর।
– এতোদিন কেন?
– ভাবীর পিরিয়ড বন্ধ হচ্ছে কিনা দেখার জন্য।
কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকে মুনীরা।
– তখন যে আপারা বলছিল.. আসলেই কি সেতু ভাবীকে সেক্স করতে হবে?
– তখুনি তো করে ফেলেছে। এখনো করছে বোধহয়।
সেকথা ভেবে বৌয়ের পাছা জোরসে চেপে দিলাম।
– সবাই কেমন হাসাহসি করছিল। কি লজ্জ্বার ব্যাপার না?
– এজন্যই তো কথায় কথায় ডিভোর্স দেয়া ঠিকনা।
মুনীরার কানে জিভের ডগা ঠেকিয়ে বলি।
আযান শেষ, আবার শেষরাতের নীরবতা চারদিক আচ্ছন্ন করে ফেলেছে।
– ঢোকাও
বললাম বৌকে।
– নামাজে যাবানা?
– জামাত দাঁড়িয়ে যাবে তো, গোসল করতে করতে।
অজুহাত দিলাম। আসলে মুনীরার উষ্ণ শরীর ছেড়ে উঠতে ইচ্ছে করছেনা এখন। তারওপর ছুটির দিন বলে কথা।
– বের হয়নি তো, গোসল করা লাগবেনা। ওঠ, অযু করে ফেলো কুইক!
মুনীরা তড়িঘড়ি উঠে গেল। ইদানিং বেশ নামাজি হয়ে উঠেছে। আমাকেও তাগাদা দেয় বাসায় থাকলে।
কাচা গাদন ছেড়ে উঠতে মনে চাইছেনা, একবার ইচ্ছে হল ধরে এনে বিছানায় ফেলে… নাহ, উচিত হবেনা। কামনার আগুনে ছাইচাপা দিয়ে উঠে পড়লাম।
সকালে মুনীরা নিজ থেকেই বলল নাদের ভাইয়ের বাসায় গিয়ে দেখা দরকার কি অবস্থা। রাতে অনেক বাসনপত্র, ধোয়ামোছার বাকি ছিল। নাস্তা করে ওর সঙ্গে আমিও গেলাম।
নবদম্পতির দরজা আটকানো। দুই ভাবী কিচেনে সাময়িক সম্পতির জন্য নাস্তা বানাচ্ছে। মুনীরা সঙ্গে হাত লাগাল।
ভাবীদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পারলাম নাদের ভাই বিয়ে পড়ানো হলে মেয়ের বাড়িতে চলে গেছেন।
পাত্র সম্পর্কে জানা গেল, ছেলেটা ওনার মেয়ে-জামাইয়ের ছোটভাই। এবার আলিম পরীক্ষা দেবে। কোন একটা ভাল মাদ্রাসায় পড়ছে।
নাস্তা হলে দরজা ঠুকে ওদের বের করা হয়। জামাই গতরাতের পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি পড়ে বেরোল, কিছুক্ষণ বাদে বৌ।
ঢোলা মেক্সি পড়ে আধভেজা চুল পিঠে ছেড়ে রেখেছে। রাতের মেকআপ করা শাড়ী পড়া পরিপাটি ভাবটা নেই বলে মুখে বয়সের ছাপ কিছুটা দেখা যাচ্ছে।
ড্রইংরুমে বসিয়ে ওদের জন্য নাস্তা নিয়ে এল ভাবীরা। সোহানীকেও দেখলাম যোগ দিতে।
– রাতে ঘুম হয়েছে তোমাদের?
জিজ্ঞেস করে এক ভাবী।
ছেলেটা সেমাইয়ের পিরিচ তুলে নিয়ে মুচকি হাসে। ভাবীকে দেখে মনে হচ্ছেনা তেমন ঘুম হয়েছে।
– কাজী সাহেবের দেরি হবে আসতে?
ভাবীর প্রথম প্রশ্ন।
– আজ ছুটির দিন তো, জরুরি বিয়ে-টিয়ে পড়াতে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। আজকে বিকালে পারলে তো আসবে, নইলে আগামীকাল সকাল সকাল।
আরেকজন সিনিয়র ভাবী জানাল। শুনে মুখ গোমড়া করে ফেলল নতুন ‘বৌ’।
– ডিভোর্সের জন্য কি আমার থাকতে হবে?
ছেলেটা খেতে খেতে জিজ্ঞেস করে।
– কোন কাজ আছে তোমার?
পাল্টা জিজ্ঞেস করে সেতু ভাবী। উনি একটু লীডার গোছের, মাথার ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারেন। সবসময় মাথায় লাল স্কার্ফ বাঁধা থাকে।
– না, মানে একটু নিউমার্কেট যাওয়া দরকার ছিল।
– কালকে যাও। নতুন বৌ রেখে বাইরে যাওয়া উচিত না। নাস্তা করে ভাবীকে ঘুমাতে দাও, তুমিও বিশ্রাম করো। রাত্রে ঘুমিয়েছ কখন?
ভাবী খাবার বেড়ে জিজ্ঞেস করে।
– এগারোটা-সাড়ে এগারোটা বোধহয়।
ছেলেটা একটু ভেবে জবাব দেয়।
– কি বলো, এত তাড়াতাড়ি?
ভাবীটি সন্দেহের চোখে তাকায়।
– সত্যি করে বলো তো, ফরয কাজ হয়েছে? ভাবী?
নাদের ভাইয়ের বৌকেও জেরা করা হয়। সে নিচু গলায় হ্যাঁবোধক জবাব দেয়।
– সত্য? ঠিক ঠিক বলবা, নাকি ভাবী শিখিয়ে দিয়েছে? বয়সে বড় হলেও এখন কিন্ত সে গুরুজন না, তোমার স্ত্রী!
তরুণ জামাইকে কড়াভাবে জেরা করছে সন্দিঘ্ন সেতু ভাবী।
– না, আসলেই হয়েছে।
ছেলেটা ঢোক গিলে নিশ্চিত করে।
– রাত্রে কোনরকম দু-চারমিনিট, না?
– আ, না, মানে..
ছেলেটা আমতা আমতা করছে।
– ভোরবেলায়?
ডানে বাঁয়ে মাথা নাড়ে ছেলে। সেতু ভাবীর সঙ্গে চোখাচোখি হতে নাদের ভাইয়ের বৌ অপরাধীর মত চোখ নামিয়ে নেয়।
– ও কিছু বলেনি তো আর..
কৈফিয়ত দেয়ার মত বলে নিচু গলায়।
– ছেলের বয়সী, ওর দোষ দিলে হবে, বলেন? কি লাগেন আপনি ওর?
– মাওই।
ভাইয়ের শ্বাশুড়িকে মাওই বলে।
– ও কি করবে, হাতে ধরে মাওইয়ের পায়জামা খুলবে, নাকি মুখে বলতে পারবে?
ভাবী জবাব দেয়না। কিছুক্ষণ নীরবতার পর পানি খেয়ে জিজ্ঞেস করে,
– আজ কি কাজী সাহেব আসবে?
– সম্ভাবনা কম।
কর্কশ গলায় জানায় সেতু ভাবী। বরের দিকে ফিরে বলে,
– খাওয়া হলে রেস্ট নাও। রাত যেহেতু আরেকটা পেয়েছে, রেস্ট নিয়ে রেডি থাকতে হবে তো।
– ভাবী, আজকেও এক রুমে থাকা লাগবে?
বৌ জানতে চায়।
– হ্যাঁ।
শুনে তার মুখটা একটু গোমড়া হল।
– খারাপভাবে নিবেন না ভাবী, একটা কথা বলি – সেক্স হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর জন্য খোদায় নিয়ামত।
সেতু ভাবী ওনার পাশে বসে গলা নামিয়ে হাত ধরে বলে। তবে আমরাও শুনতে পাচ্ছি।
– না না, খারাপ ভাবব কেন?
বৌ মেকি হাসে।
– হুম। আল্লাহ আপনার কপালে রেখেছে বলেই জোয়ান ছেলের সঙ্গ মিলেছে। মহিলাদের জন্য কিন্ত এই বয়সে তাগড়া শরীরের তেজ গায়ে লাগাতে পারা ভাগ্যের ব্যাপার। আমার চিনাজানা মহিলা আছে, ছেলের বয়সী যুবকের সঙ্গে রিলেশন। পাপ করে, হোটেলে গিয়ে শরীর জুড়াচ্ছে। সেইখানে আপনার এইটা পবিত্র সম্পর্ক।
– জ্বি।
– তাহলে আর অত লজ্জ্বা করবেন না। আল্লাহ ভাগ্যে একদিন বেশি যেহেতু রেখেছে, সেটা ইউজ করেন। এই নয়া জামাই, শরীরে জোর বাকি আছে তো? খেয়েছ পেটভরে?
– জ্বি।
বর লাজুক হাসে।
– ইশ, কি শরম.. কিছু বললেই মোচড়ামোচড়ি করে! পুরুষ লোকের এত শরম থাকলে চলে?
সেতু ভাবী একটু বকে। ছেলেটা ঠোঁট চাপে।
– এইদিকে তাকাও, বলো দেখি এই মহিলা কি হয় তোমার?
বর চোখ তুলে নম্রভাবে বলে,
– মাওই।
– ভুল, এখন এই মুহুর্তে কি হয়?
– স্ত্রী?
জড়তা নিয়ে বলে বর।
– রাইট। এইটা মনে রাখবা। আজকে তো জুম্মাবার। এখন বিশ্রাম নাও। আমরা দুপুর-রাতের রান্নাবান্না করে দিয়ে যাবো।
– আমার একটা জরুরি কাজ আছে বিকেলে।
ছেলেটা সাহস সঞ্চয় করে বলে।
– আচ্ছা, কখন ফিরবা?
– মাগরিবের পরেই।
– সত্য?
– জ্বি, জ্বি..
ছেলেটা আশ্বস্ত করে।
– ওকে। তাহলে ভাবী, ও মাগরিবের পরে আসবে।
নখ খুটতে থাকা বৌয়ের দিকে ঘোরে সেতু ভাবী।
– আমরা খাবার দিয়ে যাব, দুপুরেরটা আমি রান্না করি, হামিদুলের বৌ রাতেরটা। কি?
মুনীরা মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।
– খেয়েদেয়ে এশা পড়ে পায়জামা খুলবেন, ফজরের ওয়াক্তে গোসল দিয়ে আবার পায়জামা পড়বেন। ঠিক আছে?
নাদের ভাইয়ের বৌ হাঁ করে এক মুহুর্ত তাকিয়ে থেকে নিচু গলায় বলে,
– জ্বি।
– দুপুর পর্যন্ত ঘুমান দুইজনে। কি-কি করতে মনে চায় ঠিক করে রাখেন, আগামীকাল সকাল পর্যন্ত টাইম আছে।
সেতু ভাবী আবার গলা নিচু করে,
– শরম কইরেন না, মনের কি কি খায়েশ আছে ওকে বলবেন। এইযুগের ছেলেরা অনেককিছু জানে, আমরা বুড়িরা ভাবতেও পারবনা!
আমরা বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছেলেটা এল দরজা আটকাতে। সেতু ভাবী ওকে কাছে ডেকে বলে,
– আমি কিন্ত বলে দিয়েছি আমার যা বলার, বাকিটা তোমার আদায় করে নেয়া লাগবে। পরে কিন্ত আমাকে গাল দিওনা!
– না না, কি যে বলেন।
তরুণ হাসে।
– যত যাই বলি, মেয়েমানুষ কিন্ত নিজ থেকে তোমাকে কিছু দিবেনা, নিয়ে নিতে হবে, বুঝলে?
মাথা নাড়ে বর।
– মুখে না বললে কি হবে, চাহিদা কিন্ত অনেক।
তরুণকে লেলিয়ে দিচ্ছে ভাবী।
– রাত্রে কাপড় খুলতে পারছিলা?
– না, উনি ওইযে, শাড়ী তুলে.. মানে, বললেন..
আমতা আমতা করে বোঝায় তরুণ।
– আহারে.. না দেখেই?
চুকচুক করে সেতু ভাবী। বর অসহায়ের মত তাকায়।
– আজকে এসব গায়ে মাখবানা। মনে রাখবা, তুমি হচ্ছ হাজবেন্ড।
– জ্বি।
ছেলেটিকে এবার অনেকটা ধাতস্থ শোনায়।
– কি বলবা, বল দেখি?
– বলব, বলব.. খোলেন!
কতৃত্ব ছেলেটির গলায়। সেতু ভাবী মুচকি হাসে।
– পায়জামা খোলেন! তারপর, এইযে..
বলে নিজের পাঞ্জাবি নির্দেশ করে।
– কামিজ-ম্যাক্সি?
– হু, সব!
ছেলেটা এবার সত্যিই বেশ কনফিডেন্ট।
– এইতো জামাই পেকেছে!
সেতু ভাবী দাঁত ভাসিয়ে হাসে।
– এভাবে কমান্ডিং মুডে থাকবা।
বেরোনোর সময় সোহানিও সাজেশন দিচ্ছে,
– খালি নিজেরটাই ভাববেন না, উনি কি পছন্দ করে সেটাও জানতে চাইবেন।
বর মাথা নাড়ে।
– রাত লম্বা আছে, সবকিছু কাভার হয়ে যাবে। তোমার খায়েশ মিটায়ে যতভাবে যা করার.. বুঝলা?
সেতু ভাবী বাইরে বেরিয়ে বলছে।
– জ্বি।
– হাতে-মুখে, সোজা করে, উল্টা করে যেভাবে পারো.. জাস্ট একটা কাজ বাদ। বলতো কোনটা?
তরুণ ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।
– পিছন দিয়ে কাজ করবেন না, সেইটা বলছে।
সোহানী বলে।
– পিছন মানে কিন্ত উল্টা পজিশন না..
সেতু ভাবী বলে। সোহানী দ্রুত নিজের বক্তব্য স্পষ্ট করে,
– মানে পায়খানার রাস্তা বাদে আর সব..
– ওহ, এটা জানি..
ছেলেটা হাসে।
– আচ্ছা, মুখে দিতে পারবো?
ছেলেটা সাহসী হয়ে উঠছে, উৎফুল্ল হয় সেতু ভাবী।
– পারবেনা কেন? বলবা হাতে নেন, ধরেন, মুখে নেন, চাটেন!
ভাবী বলার ভঙ্গিতে ছেলেটির সঙ্গে সোহানী আর আমি তো বটে, মুনীরাও হেসে ফেলে।
– কোন প্রশ্ন থাকলে আমাকে জিজ্ঞেস করবা, রাত যয়টাই বাজুক। আমার নাম্বার আছে?
– না।
– নেও, নাম্বার নেও।
তরুণ বেশ আগ্রহ নিয়ে ভেতর থেকে ফোন এনে নাম্বার সেভ করে নিচ্ছে। ভেতর থেকে কনফিউজড বৌ আড়চোখে তাকিয়ে ভাবছে কি এত তথ্য আদান-প্রদান চলছে!


















কমিউনিটি সার্ভিস (১৮+)Where stories live. Discover now