পর্বঃ০২

593 27 42
                                    

জাহিদ তানভীরের জন্য অপেক্ষা করছে এয়ারপোর্টে। বিমান বাংলাদেশে লেন্ড করেছে ঘোষণা করেছে। মানে কিছুক্ষনের মাঝেই তানভীরের সাথে দেখা হবে। সত্যিই কিছুক্ষনের মাঝেই তানভীরকে দেখা যায়। তানভীর এসেই জাহিদকে জড়িয়ে ধরে। দুই বন্ধুর আজকে অনেকদিন পর দেখা হয়েছে।

তানভীর- কেমন আছিস? *জড়িয়ে ধরেই*

জাহিদ- ভালো। তুই কেমন আছিস? আর আমাকে ছাড় আগে। চুলে লাগছে ইয়ার!

তানভীর হেসে ছেড়ে দেয় জাহিদকে।
তানভীর-আমি আসলাম এতোদিন পর কোথায় আমাকে জড়িতে ধরে বসে থাকবি তা না তুই চুল নিয়ে আছিস!

জাহিদ- মেয়েদের মতো সেন্টি মার্কা কথা একদম বলবি না। আর আমার চুল নিয়ে তো একদমই না। এমনিতেই বাসায় ২৪ ঘন্টা আমার চুলকে সবাই অভিশাপ দেয়।

তানভীর হাসে জোরেই।

জাহিদ- চল যাওয়া যাক। আম্মু অপেক্ষা করছে তোর জন্য।

তানভীর- চল। ভালো আম্মুকে আজ কতোদিন পর দেখবো।

এরপরই জাহিদ-তানভীর এয়ারপোর্টে থেকে বের হয়ে গাড়িয়ে উঠে।

[তানভীর! পুরো নাম তানভীর হুসেইন। বাবা-মা সেপারেটেড। এতোদিন জার্মানিতে ছিলো দাদুর সাথে। এক বোন আছে ছোট। জান্নাত এর সমবয়সী। উচ্চতা ৫'৯। গায়ের রং হলদে ফরসা। বড় বড় চুল কপালে পড়ে থাকে। তবে জাহিদের মতো বড় চুল নয়।]

বাসায়//
জান্নাত কখন থেকেই এক রুম থেকে অন্য রুমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোনো কারণ ছাড়াই। এই কাজটা জান্নাত মাঝে মাঝেই করে। এর কারন বাসার কেউই বের করতে পারলো না। মাঝে মাঝে জাহানারা বেগম অর্থাৎ জান্নাত তার মায়ের পিছু পিছু এক রুম থেকে অন্য রুমে ঘুরে। এর জন্য ওকে অনেক বকা শুনতে হলেও তার কিছু যায় আসেনি। সে এখনো এই কাজ করে। আর এখন একা একাই এক রুম থেকে অন্য রুমে যাচ্ছে। রেজাউল হক সোফায় বসে ছিলেন। জান্নাতকে এভাবে ঘুরতে দেখছে অনেক্ষন যাবত।

সবটাতে তুমি | K.TH FF| ✔Where stories live. Discover now