তানভীর ভাইয়ার আওয়াজ শুনে সবাই ওই দিকে তাকাই। দুই পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভ্রু কুচকে।
রাহি তানভীর ভাইয়াকে দেখেই টেবিল থেকে লাফ দিয়ে নেমে যায়।
সবাই হঠাৎ করেই চুপ হয়ে যায়। একদম নীরব পরিবেশ।
তানভীর ভাইয়া সবাইকে এভাবে চুপ হয়ে যেতে দেখে একটু কেশে বলে
তানভীর- জান্নাত এদিকে আসো তো। কথা আছে। বলেই ক্লাস থেকে বের হয়ে যায়।
আমিও একবার চারপাশে তাকিয়ে বাহিরে চলে যাই। সবাই আমার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো।
লামিয়া- জান্নাত ওর বোন হলে তুমি করে কেনো বললো? *ভাবার ভঙ্গিতে*
লামিয়ার কথা শুনে সবাই লামিয়ার দিকে তাকায়।
[লামিয়া জান্নাতের ক্লাসমেট]
বাহিরে//
তানভীর- আজকে কলেজ শেষে আমার সাথে তোমাকে যেতে হবে।
জান্নাত- আচ্ছা।
তানভীর আর কিছু না বলে চলে যায়।
জান্নাত তানভীরের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলে- সেটা তো আমি আগে থেকেই জানি।🙄
............._______.............
তানিয়া জাহিদের কিছু কাগজ জমা দিয়ে আসছে জাহিদের কেবিনে। কিন্তু কেবিনে ঢুকার আগেই একজন ওর পথ আটকে দাঁড়ায়।
তানিয়া- কিছু বলবেন?
রিমঝিম- হ্যাঁ। জাহিদের কেবিনে যাচ্ছো?
তানিয়া- জি।
রিমঝিম- কেন?
তানিয়া- কেন মানে? আমি উনার এসিস্ট্যান্ট। আমার দরকার আছে।
রিমঝিম- তেমন কোনো কাজ আছে বলে আমার মনে হয় না। কারণ আজকে প্রথম দিন। আর যদি থাকে আমি আছি। তুমি চলে যাও। আমি জাহিদের কাছে আছি।
তানিয়া কিছুটা বিরক্ত হয়। ওর কাজ থেকে ওকে চলে যেতে বলছে। ওর দরকার আছে তাও বলে নাই। আশ্চর্য!
তানিয়া- দেখুন। আমার উনার সাথে দরকার আছে তাই আমিই থাকি। আপনাকে কষ্ট করতে হবে নাম। *হেসে রিমঝিমকে পাশ কাটিয়ে জাহিদের কেবিনে ঢুকে যায়*
