ফিমার রিসিপশনের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য সবাই তৈরি হয়ে বসে আছে। জান্নাত-রাহি ওদের গাউন পড়ে একদম মেক-আপসহ সম্পূর্ণ রেডি হয়ে বসে আছে। (আগের পার্টে লেহেঙ্গার কথা বলেছিলাম এটা গাউন হবে)
রাহি একটু পর পর হাত দিয়ে বাতাস করছে। জান্নাত ওর চুলগুলো ঠিক করছে শুধু। বারবার মুখে এসে পড়ছে। ওর চুলে মেসি বান করেছে। ওরা দু'জনই বসে আছে ড্রয়িং রুমে। বাকিদের জন্য অপেক্ষা করছে। কিছুক্ষনের মাঝেই আস্তে আস্তে সবাই আসে। তানভীর,ফাহিম আর জাহিদ একসাথে আসে। ৩ জনেরি সুট পরা চুল জেল দিয়ে ঠিক করা। তানভীরকে দেখে জান্নাত ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। তানভীর সামনে এসে দাঁড়ায় জান্নাতের। জান্নাতকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে হাসে। তানভীরের হাসিতে জান্নাত অন্যদিকে চোখ ফিরায়। এভাবে তাকিয়ে থাকায় লজ্জা পায়। অন্যদিকে ফাহিমকে দেখার পর থেকেই রাহি মুখ হা করে তাকিয়ে আছে। রাহিকে এভাবে সবার সামনে তাকিয়ে থাকতে থেকে একটু অপ্রস্তুত হয় ফাহিম। অন্যদিকে তাকায়। কিছুক্ষন পর আবার রাহির দিকে তাকিয়ে দেখে এখনো এভাবেই তাকিয়ে আছে। এটা দেখে ফাহিম যায় ওর কাছে। গিয়ে হাল্কা কাশে। রাহির হুস আসলেও সে ফাহিমের দিকে তাকিয়ে থাকে।
ফাহিম ভ্রু কুচকে বলে- এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
রাহি- তোমাকে সুন্দর লাগছে। হেহে।
রাহির কথা শুনে ফাহিম কেশে উঠে আবারো হাল্কা। কি বলবে বুঝে পায় না। চারপাশে তাকিয়ে দেখে বড়রা কেউ আছে কিনা।
এদিকে রাহির কথা শুনে জান্নাত তানভীর ও হেসে দেয়।
জান্নাত- এই মেয়ের লজ্জা শরম নাই! *মাথায় হাত দিয়ে*
তখনই পাশ থেকে তানভীর আস্তে আস্তে বলে- তোমারো তো নেই।
জান্নাত গোল গোল চোখ করে তাকায় তানভীরের দিকে।
তানভীর- একটু আগে তুমিও তো আমায় এভাবে দেখছিলে। বলো দেখছিলে না?
জান্নাত- কে বলেছে আমি তোমাকে দেখছিলাম। আমি ফাহিম ভাইয়া আর ভাইয়াকে দেখছিলাম। হুহ। আর আমাকে বলছো লজ্জা শরম নাই! তুমি নিজে কি! কালকে রাতে- বলেই থেমে যায় জান্নাত। ও বুঝতে পারে কি বলতে যাচ্ছিলো।
