পর্বঃ৩১

214 14 5
                                    

রাহির পাশে হা করে বসে আছে জান্নাত। রাহিদের বাসায় ওএর রুমেই আছে ও। পাশেই শাড়ি পড়ে বসে আছে রাহি। ওরো চেহারায় অনেক রকমের মিশ্র অনুভূতির প্রকাশ। খুশি,আনন্দ,নার্ভাসনেস আর লজ্জা ভাব। 

জান্নাত- লাইক সিরিয়াসলি রাহি! তুই আমাকেও বললি না!!! একবারো তো বলতে পারতি!

রাহি- ধুরু! এক কথাই বলে যাচ্ছিস। আমি কি তোর মতো নাকি ধরা পরেও মিথ্যা কথা বলি। আর আমি নিজে জানতাম নাকি! তোর ভাই তো আজকে আমাকে বলেছে।  আমি সেই শক কাটাতে কাটাতেই আবার বাসায় চলে আসছে দেখতে। তো এর মাঝে আমি তোকে বলবো কখন বল! নাহলে তো তোকেই সবার আগে জানাতাম। আমি কি সবার মতো নাকি! হুহ। বলে ভেংচি কাটে রাহি।

জান্নাত মুখটা ছোট করে বলে- মানছি মিথ্যে কথা বলেছিলাম তাই বলে সবসময় এভাবে খুচানো লাগে! হুহ!

রাহি- ইহ তুই জীবনেও স্বীকার করতি না যদি না আমরা হাতে নাতে ধরতাম। এর জন্য অবশ্য ফাহিম ভাইয়াকে থ্যাংক ইউ বলা উচিত।

জান্নাত- এখনো ভাই ডাকোস কেন! কয়েকদিন পর তো তারই বউ হবি। 

রাহি কিছু বলতে নিয়েই বলে না। মুখে লাজুক ভাব ফুটে উঠে। জান্নাত রাহিকে লজ্জা পেতে দেখে বলে

জান্নাত- ওহো! তুইও লজ্জা পাস! এটা তো জানতামই না আমি।

রাহি জান্নাতকে ধাক্কা মারে হাল্কা করে। জান্নাত বিছানায় হাত ধরে পড়া থেকে বাঁচে।

জান্নাত- আমারে মারোস কেন!

তখনই আসে তানিয়া হাতে মিষ্টির বক্স নিয়ে।

তানিয়া- কই কই! বউ কোথায়! মিষ্টি মুখ করো। বলেই রাহির মুখে আর জান্নাতের মুখে পরপর দুটো মিষ্টি ঢুকিয়ে দেয়।

মিষ্টি খেয়ে জান্নাত বলে- কথাবার্তা কদ্দুর গো ভাবি?

তানিয়া- কথা তো পাকাপাকি হয়েই গিয়েছে। এখন তো শুধু বিয়ের সানাই বাজা বাকি।

তখন আসে তানভীর আর জাহিদ।

তানভীর- সানাই বেজেও গিয়েছে। শুনতে পাচ্ছো না? *কান খাড়া করে*

সবার কথায় রাহি নাথা নুয়িয়ে নেয়। আজ খুব লজ্জা লাগছে তার।

তানিয়া- আমাদের রাহিও লজ্জা পায়!! *অবাক হওয়ার ভান করে*

সবটাতে তুমি | K.TH FF| ✔Where stories live. Discover now