পর্বঃ১৩

255 18 3
                                    

জাহিদ গিয়ে বসে তানভীরের পাশে। বসে ওর কাধে হাত রাখে।

জাহিদ- কি ব্যাপার তোরা এভাবে বসে আছিস কেন? আর ফাহিম ভাইয়া কখন আসলা?

তানভীর আর ফাহিমের দৃষ্টি সরে যায়। দু'জনই জাহিদের দিকে তাকায়।

ফাহিম- এইতো অনেক্ষন। কেমন আছিস?

জাহিদ- ভালো। তুমি কেমন আছো? আমাদের সাথে তো যোগাযোগই রাখো না!

ফাহিম হাল্কা হেসে বলে- ব্যস্ত থাকি খুব। আমিও তো চাই যোগাযোগ রাখার।

জাহিদ- আচ্ছা। তা তুই এখানে এখনো আজকে? তুই তো বলেছিলি কাল আসবি- *তানভীরের দিকে তাকিয়ে*

তানভীর- আরে তুই-ই তো থাকতে বললি। তুই বললি না তখন জান্নাতদের নিয়ে আসতে আর আজ বাসায় থাকতে। *তাড়াতাড়ি বলে ফেলে তানভীর জাহিদকে*

জাহিদ কিছুক্ষন ভেবেও মনে করতে পারে না সে কখন এ কথা বলেছে। জাহিদ তানভীরকে কিছু বলতে নিচ্ছিলো কিন্তু তানভীর তাকে বলতে না দিয়ে নিজেই বলে- আচ্ছা এসব এখন রাখ। যাহ তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয়। আমরা ওয়েট করছি অনেক্ষন যাবত। সবাই একসাথে ডিনার করবো।

জাহিদ আর কিছু না বলে চলে যায়। এদিকে ফাহিম আর জান্নাত তানভীরের দিকে তাকিয়ে আছে চোখ ছোট ছোট করে।

তানভীর- জান্নাত! যাও ভালো আম্মু আর আংকেলকে ডেকে আনো। জান্নাত কিছু না বলে চলে যায় ডাকতে।

তানভীর ফাহিমের দিকে তাকিয়ে দেখে ফাহিম এখনো তাকিয়ে আছে ওর দিকে।

ফাহিম- জাহিদ তোমাকে আজ থাকতে বলেনি রাইট?

তানভীর একটু ইতস্তত করে বলে- বলেছে। ওর হয়তো মনে নাই এখন। যাই হোক আপনি বসুন।আমি আসছি একটু। এই বলে তানভীরও চলে যায়। তানভীর জাহিদের রুমে যায়।

জাহিদ ফ্রেশ হয়ে এসে ফোনটা নিচ্ছিলো। তখনই তানভীর আসে। তানভীরকে দেখে জাহিদ জিগেস করে ওকে কখন সে থাকার কথা বলেছিলো।

তানভীর- আচ্ছা এটা নিয়ে এতো কথা বলার কি আছে বল তো! আমার থাকতে ইচ্ছে হয়েছে তাই থাকছি। তোর সমস্যা হচ্ছে এতে?

সবটাতে তুমি | K.TH FF| ✔Where stories live. Discover now