তানিয়া বাসায় ঢুকার সাথে সাথেই রাহি জড়িয়ে ধরে।
রাহি- ও আপ্পি!!!!
তানিয়াও রাহিকে জড়িয়ে ধরে।
তানিয়া- কেমন আছো?
রাহি- জোস! 👌
রাহির কথায় তানিয়া হাসে।
তানিয়া- খালামণি কোথায়?
তখন রাহির আম্মু রান্নাঘর থেকে হাত ওরনায় মুছতে মুছতে আসে।
রুহানি- এই যে আমি। কেমন আছিস তানি? *তানিয়াকে দুই হাতে ধরে*
তানিয়া- এইতো ভালো। তোমরা কেমন আছো?
রুহানি- এইতো ব্যাস্ততায় দিন কেটে যায়। ইস কি শুকিয়ে গিয়েছিস। যাহ তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আয়। খাবার বেরে দিয়েছি। যাহ যাহ। রাহি ওকে নিয়ে যাহ।
তানিয়া- খালামণি এতো ব্যস্ত হইও না। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। তুমি বসো।
এই বলে তানিয়া চলে যায়। রাহি সোফায় ফোন নিয়ে বসে পড়ে। মিসেস রুহানি রাহিকে এভাবে ফোন নিয়ে বসে পড়তে দেখে রাহির হাত থেকে ফোন নিয়ে নেয়।
রুহানি- তুই আবার ফোন নিচ্ছিস! খাবি না এখন? যাহ টেবিলে যাহ। আজকে তোর ফোন আমার কাছে থাকবে।
রাহি- কি!!!!!! *দাঁড়িয়ে*
রুহানি- হ্যাঁ। রাতে ফোন পাবি না আজ।
রাহি- আম্মু আমার কাজ আছে!!!
রুহানি- কোনো কাজ নাই আমি জানি। সারারাত ধরে চেট করা। সকালে ঘুম থেকে দেরি করে উঠা। এসব আর হচ্ছে না। তুই এখন থেকে ভোরে উঠবি।
রাহি- ভোরে উঠে আমি করবো টা কি!! -_-
রুহানি- হাটাহাটি করবি। নাহলে পড়তে বসবি। তাও না করলে ঘরের কাজ করবি। এই বলে রুহানি চলে যায়। রাহি ও মুখ ফুলিয়ে পিছু পিছু যায়।
.
.
.
আজ ঘুম থেকে উঠতে জান্নাতের দেরি হয়ে যায়। আজকে আবার কলেজও আছে। তাড়াতাড়ি করছে। ব্যাগ কাধে নিয়েই নিচে চলে যায়। জাহিদ আজকে যাবে না তাই ওকে ডাকাও হয়নি।জান্নাত নিচে গিয়ে দেখে জাহানারা বেগম সোফায় বসে আছেন। রেজাউল হক সম্ভবত অফিসে চলে গেছেন।