পর্বঃ৩২

205 18 8
                                    

জাহিদ তানিয়াকে নিয়ে যায় ওপরে গেস্ট রুমে। যেখানে ওদের ব্যাগপত্র। এখন এখানে কেউ নেই। না থাকারি কথা। সবাই বিয়ের তোরজোরে ব্যস্ত।

জাহিদ- দাঁড়াও এক মিনিট আসছি।

তানিয়া বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। জাহিদ ততক্ষনে ওর ব্যাগ থেকে একটা প্যাকেট বার করে। সেটা এনে একদম তানিয়ার সামনে দাঁড়ায়। তারপর প্যাকেট থেকে একটা হলুদ শাড়ি বার করে। সেটা তানিয়ার কাধে দিয়ে বলে-

জাহিদ- বাহ সুন্দর! আমার পছন্দ তো বেশ।

কথাটা জাহিদ শাড়িটাকে বলেছে নাকি তানিয়াকে বলেছে বুঝতে পারেনি তানিয়া। সে তো অবাক হয়ে শাড়ির দিকে তাকাচ্ছে একবার তো জাহিদের দিকে তাকাচ্ছে একবার।

জাহিদ- এটা একটু পরে পরবা। এটাই যেনো তোমায় পড়তে দেখি। অন্য শাড়ি পড়লে সেটা খুলে আমি পড়িয়ে দিবো বলে দিলাম। 

বলে হাসতে হাসতে জাহিদ চলে যায়। তানিয়া শাড়ি হাতে নিয়া ড্যাবড্যাব করে জাহিদের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।

জাহিদ বের হয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ থেমে যায় কিছু একটা দেখে।

◑◑◑◑◑◑◑

রাহি রেডি হচ্ছে এই সুযোগে জান্নাত একটু বাহিরেই ঘুরছিলো। অর্থাৎ ঘরের বাহিরেই। বেশি দূরে না। কারণ কিছুক্ষনের মাঝেই যেতে হবে পার্লারে। রাহিও রেডি হয়ে আসবে। দেয়ালের দিকে তাকিয়ে ছিলো জান্নাত। দেয়ালগুলোতে লম্বা লম্বা মোটা মোটা সুতার কাজ। সেখানে কাচও দেয়া হয়েছে।  সুন্দরই লাগছে। দেখতে দেখতে হঠাৎ কাচের মাঝে কারো চেহারা ভেসে উঠে।  ওর ঠিক পিছনেই। পিছনে ফিরে দেখে তানভীর ঝুকে ওর মতো দেয়ালের ডিসাইনটা দেখার চেষ্টা করছে।

জান্নাত- তুমি? হাল্কা পিছিয়ে  যায় যেহেতু তানভীর ঝুকে দেখছিলো।

তানভীর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে- হ্যাঁ আমি। কেনো অন্য কাউকে আশা করেছিলে বুঝি!

জান্নাত- আর কাকে আশা করবো। আজব।  হঠাৎ করে চলে আসছো তাই চমকে গিয়েছি। একটু শব্দ করেও তো আসতে পারো নাকি! এভাবে তো যেকোনো দিন হার্ট এটাক করে মরে যাবো।

সবটাতে তুমি | K.TH FF| ✔Where stories live. Discover now