একদম নীরব পরিবেশ। গাড়ির ভেতর সবাই একদম চুপ হয়ে আছে। মনে হচ্ছে শুধু শ্বাস নিচ্ছে এই যাহ। ফাহিমের মুখটা ছোট হয়ে আছে। রাহি তেমন খুশিও না আবার তেমন মন খারাপও না। আজকে জান্নাতের সাথে কথা বলার পর থেকে মনটা অনেক ভালো হয়ে গিয়েছে। এখন অনেক হাল্কা হাল্কা লাগছে। তাই জানালার দিকে তাকিয়ে আছে একমনে। ফাহিম ড্রাইভ করছে মুখটা ছোট করে। আর বারবার মিররে দেখছে।
আর পেছনে জান্নাত আর তানভীর দুই দিকে মুখ করে দুইজন বসে আছে। হঠাৎ তানভীরের ফোন আসায় সবাই ওর দিকে তাকায়। তানভীর ফোনটা রিসিভ করে।
তানভীর- হ্যাঁ বল!
জাহিদ- তুই নাকি খালামণির বাসায় যাচ্ছিস জান্নাতদের সাথে?
তানভীর- হ্যাঁ যাচ্ছি।
জাহিদ- কেনো?
তানভীর- কেনো মানে কি? তুই-ই তো ওইদিন বললি আমিও ইনভাইটেড। তাই আজই চলে যাচ্ছি। তুই তো ভার্সিটি যাস না আমার একা একা ভালো লাগবে না।
জাহিদ- তো এতোদিনও তো যাই নাই।
তানভীর- তোর কি ইচ্ছা আমি না যাই?
জাহিদ- সেটা কখন বললাম। যাই হোক যাচ্ছিস যখন ভালোই হয়েছে। বিয়ে বাড়ি হাতে হাতে কাজ করে দিস।
তানভীর- সে নাহয় করবো। আমার নিজেরো কাজের লোক আছে সাথে।
তানভীরের কথায় জান্নাত তাকায় ওর দিকে।
জান্নাত- ইয়াহ!!
তানভীর হাসে। ওইপাশ থেকে জাহিদও হাসে। ফাহিম আর রাহি ওদের দিকে তাকায় বোকা হয়ে। কারণ ওদের কথা কিছুই বুঝতে পারে না।
জাহিদ- আচ্ছা। খেয়াল রাখিস ওদের। রাখছি।
তানভীর- হুম। ফোন কেটে তানভীর জান্নাতের দিকে তাকায়।
তানভীর- আমি কি মিথ্যা বললাম?
জান্নাত- -_- কিছু না বলে অন্যপাশে তাকায়।
তানভীর- ওইপাশে এতো কি দেখো! *উকি দিয়ে*
জান্নাত- তো কি তোমাকে দেখবো?
তানভীর- দেখলে দেখতেই পারো। টাকা নিবো না। যতই হোক তুমি আমার একমাত্র স্পেশাল কাজের-