গাড়ি এসে থামে একটা ব্রিজের ওপর। জান্নাত গাড়ি থামায় চোখ মেলে তাকায়। এতোক্ষন চোখ বন্ধ করে রাখলেও ঘুমায়নি সে। শুধু নীরবে বাতাসটা উপভোগ করছিলো। তানভীর-জান্নাত দু'জনেই নেমে ব্রিজের রেলিং ধরে দাঁড়ায়। ব্রিজের নিচ দিয়ে পানি যাচ্ছে প্রবল ধারায়। মোটামুটি অনেকটাই অন্ধকার। তবে একটু সামনেই ব্রিজের মাথায় অনেকগুলো দোকান একসাথে তাই আলো আছে।
তানভীর- তো এখন কেমন লাগছে? উলটোদিকে ফিরে অর্থাৎ রেলিং এ পিঠ ঠেকিয়ে বলে তানভীর।
জান্নাত রেলিং এ দুই হাত রেখে দাঁড়িয়ে আছে।
জান্নাত- খুব ভালো। সত্যি অনেক ভালো লাগছে। *হাল্কা হেসে বলে জান্নাত*
তানভীরও হাসে।
তানভীর- যাক তাহলে আমার প্লেন সাকসেস।
জান্নাত- কি প্লেন?
তানভীর- এইযে। তোমাকে একটু ফ্রেশ ফিল করানো।
জান্নাত- আচ্ছা তুমি বুঝলা কিভাবে যে আমার একটু বাহিরের হাওয়া দরকার?
তানভীর হেসে বলে- বুঝবো না! আমার একটা মাত্র বউ। তার ভালো লাগা খারাপ লাগাটা তো বুঝা উচিত। মহা উচিত বলে মনে হয় আমার।
জান্নাত- তাই না!
তানভীর- একদমই।
জান্নাত-তানভীর দু'জনই হাসে।
জান্নাত- কাল যে আমাদের বিয়ে আমার এখনো বিশ্বাসই হচ্ছে না!
তানভীর- কাল আসলেই বিশ্বাস হবে। আর তাও যদি বিশ্বাস না হয়। তার জন্য তো আমি আছিই। *চোখ টিপ দিয়ে*
জান্নাত দুই পাশে মাথা নাড়ে। বাতাসের তীব্রতা বাড়ে। জান্নাতের চুলগুলো খোলা থাকায় উড়তে থাকে। জান্নাত তাকিয়ে আছে সামনে। আর তানভীর তাকিয়ে আছে জান্নাতের দিকে।এভাবেই থাকে কিছুক্ষন দু'জনে।
জান্নাত- এখন আমাদের যাওয়া উচিত।বাসায় সবাই চিন্তা করবে।
তানভীর- হুম। চলো। কাল থেকে আমরা যত ইচ্ছা বাহিরে থাকলেও কেউ চিন্তা করবে না। কারণ তখন তুমি তোমার একমাত্র বরের সাথে থাকবা।