রাহি ১১টার দিকেই বাসায় চলে যায়। আন্টি ফোন করেছিলো। ওর কোনো কাজিন বাসায় আসছে নাকি। তাই বাধ্য হয়েই অনেকটা রাহি বাসায় ফিরে যায়। এই পাগল মেয়েকে নিয়ে যে কি করা! তানভীর ভাইয়া তানভীর ভাইয়া করে এখন থেকে আমাকে পাগল করে দিবে। তানভীর ভাইয়া দেশে ছিলো না এতোদিন এটাই মনে হয় ভালো ছিলো। অন্তত এই সারাদিন এক পেচাল শুনতে হতো না। রাকিব ভাইয়ারাও সবাই চলে গিয়েছে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর। যদিও সবার আরো কিছুক্ষন থাকার কথা ছিলো কিন্তু ভাইয়া আর তানভীর ভাইয়া বের হবে নাকি তাই আর থাকেনি আজ। এসবই বসে বসে ভাবছিলাম। তখন ভাইয়ার কথায় হুস আসে।
জাহিদ- কি এতো গভীর চিন্তা করিস রে? প্রেম টেম করোস নাকি আবার? *সন্দেহের দৃষ্টিতে*
আমি একটা আজব লুক দিয়ে বলি-
---মানে এটা কোন ধরনের কথা ভাইয়া! মানুষ কি একটু একা একা চিন্তা করতে পারে না! কতো রকমের চিন্তা করার বিষয় আছে দুনিয়াতে। সবসময় কি সবাই শুধু প্রেম নিয়াই ভাবে! আর প্রেমই করতে হবে! তুমি ভালো করেই জানো এসব আজাইরা কাজ আমার এমনিতেই পছন্দ না। আমি এসব রিলেশানে একদমই বিশ্বাস করি না। -_-
জাহিদ- বুঝছি বুঝছি থাম। আর বলা লাগবে না। আমারি ভুল হইছে তোকে জিগেস করে।
---হুহ!
জাহিদ- তো যেই কারণে আসা। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে।
--- কেনো?
জাহিদ- বের হবি তুই।
--- মানে? কোথায় বের হবো?
জাহিদ- আরে তানভীরের সাথে যাবি। ওর বাসার জন্য জিনিসপত্র কিনবে। ওইসব কিনে বাসায় যাবি একটু গোছ গাছে সাহায্য করবি আরকি। ও একা করতে পারবে না এতো। আমিই যেতাম কিন্তু আমার একটা কাজ আছে। আমি যেই গানের লিরিক্সটা জমা দিয়েছিলাম না একাডেমিতে? ওইটার জন্য ডেকেছে। যেতে হবে। একটু যা ওর সাথে ঠিকাছে?
--- আমি পারবো না।
জাহিদ- কেন যাবি না? তোর এখন কোনো কাজ নাই। আজাইরা চিন্তা না কইরা রেডি হো। তানভীর বাসার সামনে অপেক্ষা করছে। আর আসার সময় তানভীরের সাথেই এসে পড়িস। আমার কতক্ষন লাগে ঠিক নাই। তাহলে টেনশান ফ্রি থাকা যাবে। বাই। এই বলেই ভাইয়া দৌড়ে চলে যায় আমার কোনো কথা না শুনেই।