সময় বিকেল ৫ঃ৩০
জাহিদের প্র্যাক্টিস আজ তাড়াতাড়ি শেষ হয় একটু। তাই তানিয়ারও কাজ শেষ হয় তাড়াতাড়ি। তানিয়া সব গোছ-গাছ করে বসে আছে জাহিদ একটু মোঃ শফিকের কেবিনে গিয়েছে। কিছু কাজের জন্য। ও আসলেই বের হয়ে যাবে।
কিছুক্ষনের মাঝেই জাহিদ আসে। তানিয়া উঠে দাঁড়ায়।
জাহিদ- আজকে আর প্র্যাক্টিস করা সম্ভব হচ্ছে না তাই আগেই শেষ। চলো কোথাও যাই ঘুরতে। একটু ভালো লাগবে। একাডেমিতে ভর্তির পর থেকে আমি শুধু বাসা-ভার্সিটি-একাডেমি করছি। একটু যে অন্য কোথাও যাবো তারো সুযোগ নাই। এমনকি তানভীর নতুন বাসাত শিফট হয়েছে ওর বাসায়ও যেতে পারলাম না। কি একটা অবস্থা!
তানিয়া- আচ্ছা। যাওয়া যায়। কিন্তু আমাকে একটু তাড়াতাড়ি বাসায় দিয়ে আসবা পরে।বেশিক্ষন ঘুরবো না।
জাহিদ- আচ্ছা ঠিকাছে। চলো।
গাড়ি নিয়ে ঘুরছে অনেক্ষনযাবত কিন্তু কোথায় যাবে বুঝতে পারছে না জাহিদ।
তানিয়া- আমরা কি গাড়িতে থেকেই ঘুরবো?
জাহিদ হাল্কা হেসে বলে- কোথায় যাওয়া যায় ভাবছি। একটু শান্তিপ্রিয় জায়গায় যেতে চাইলে দূরে যেতে হবে। তখন তোমার বাসায় যেতে লেইট হবে। তাই চিন্তা করছি কি করবো।
তানিয়া- আচ্ছা তাহলে গাড়ি থামাও। কোথাও দাঁড়িয়ে আইস-ক্রিম খাই।
জাহিদ- সেটা খাওয়া যায়। তবে তোমার একা খেতে হবে। আমি খেতে পারবো না।
তানিয়া- কেনো?
জাহিদ- গলা বসে গেলে সমস্যা।
তানিয়া- ওহ হ্যাঁ আসলেই তো। তাহলে ফুচকা খাই?
জাহিদ- আমি ফুচকা খাই না! -_-
তানিয়া- -_- তাহলে বসে থাকেন।
জাহিদ- তুমি খাবা? তুমি খেলে নাও। আমি সাথে দাঁড়ায় থাকবো নাহয়।
তানিয়া- সাথে কেউ থাকলে একা একা খেতে ভালো লাগে না। আচ্ছা গাড়িতেই বসে থাকি।
জাহিদ কিছু একটা ভেবে বলে- চা খাবা?
তানিয়া- সে তো বাসায়ই খেতে পারবো।