জাহিদ তানিয়াকে একা যেতে দেখে ওর কাছে যায়। তানিয়া মাত্রই বাহির থেকে এসেছে। সবাই এখনো বাহিরে। আসছে আস্তে আস্তে। অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে কিছুক্ষন আগেই। ফিমা এখনো আসেনি। তানিয়া একটু আগেই চলে আসছিলো। জাহিদ আরো কিছুক্ষন আগে আসে তানভীরকে খুঁজে। জাহিদ তানিয়ার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। তানিয়া থেমে যায়। জাহিদকে দেখে ভ্রু কুচকে বলে-
তানিয়া- কি?
জাহিদ- কোথায় কি?
তানিয়া- তাহলে সামনে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?
জাহিদ- এমনি। *হাল্কা হেসে চুলগুলো একটু ঠিক করে*
তানিয়া দুই ভ্রু কুচকে চলে যেতে নেয়। জাহিদ আবারো পথ আটকে দাঁড়ায়।
তানিয়া- আচ্ছা কিছু না হলে, কোনো দরকার না থাকলে পথ আটকে দাঁড়াচ্ছো কেনো?
জাহিদ- বিরক্ত হচ্ছো? *বাকা হেসে অনেকটা*
তানিয়া- হ্যাঁ হচ্ছি।
জাহিদ মুখটা ছোট করে বলে- এভাবে মুখের উপর বলে দিবা ভাবি নাই।
তানিয়া- কারণ সত্যি সত্যি বিরক্ত হচ্ছি।
জাহিদ- -_-
তানিয়া- আসছি?
জাহিদ- না ওয়েট।
তানিয়া হাঁটতে নিয়েছিলো আবার থেমে যায়। কিছুটা বিরক্ত হয়েই বলে- কি?
জাহিদ- চলো ছাদে যাই। *হেসে*
তানিয়া- ছাদে কেনো? তাও আবার এখন এই অন্ধকারে।
জাহিদ- আরে পুরো বাড়ি লাইট দিয়ে সাজানো। অন্ধকার কোথায়? আর ছাদে চাঁদের আলোও আছে। তাও তোমার আলো লাগলে এই যে *মোবাইল দেখিয়ে* ফ্লেশলাইট আছে।
তানিয়া- আচ্ছা এখন ছাদে কেন যাওয়া লাগে?
জাহিদ- কারণ আমি চাই। এখন চলো। বলে তানিয়ার হাত ধরে নিয়ে যায়। আসলে তানিয়া আজ ক্লান্ত ছিলো একটু তাই মূলত যেতে চাচ্ছিলো না। কিন্তু জাহিদ ঠিকই টেনে নিয়ে যায়।
.
.
.
-আমি তানভীর।
তানভীরের কথা শুনেই জান্নাত এক লাফে উঠে দাঁড়ায়। রাহিও হাসি মুখে উঠে দাঁড়ায়।
