পর্বঃ২৯

209 15 12
                                    

দেখতে দেখতে কেটে যায় বেশ কিছু দিন। তিন তিনটে মাস যেনো চোখের সামনেই দেখতে দেখতে চলে যায়। ফিমার বিয়ে থেকে আসার পর যেনো সময়টা দ্রুত কাটে। জাহিদের একাডেমিতে ট্রেনিং শেষ হয়। পার্মানেন্টলি জয়েন করে এখন। তানিয়ারও জাহিদের এসিস্ট্যান্ট পদে জার্নি শেষ হয়। মূলত যারা এসিস্ট্যান্ট থাকে তারা নতুন ট্রেনি দের এসিস্ট্যান্ট পদে যোগ হয়। কেউ কেউ চাকরি ছেড়ে দেয়। সেটা যার যার নিজের ইচ্ছার উপর-ই অনেকটা নির্ভর করে। তবে একজন ট্রেনির সাথে চুক্তিবদ্ধ হলে তিন মাসে সে চাকরি ছাড়তে পারে না। জাহিদের এখন এসিস্ট্যান্ট দরকার নেই তবে তার ম্যানেজার থাকবে একজন। মোঃ শফিকের সাথে কথা বলে তানিয়াকেই সেই পদ দেওয়া হয়েছে। সাধারণত এরকম হয় না।  জাহিদের জন্যই মেনে নিয়েছেন মোঃ শফিক। নতুন পথচলা।

তানিয়াও তার মাকে নিয়ে এসেছে আরো আড়াই মাস আগেই। তানিয়া এখনো জানে না সে জাহিদদে বাসায় ভাড়া থাকে। জাহিদ এখনো বলেনি। এদিকে তানভীরও ফাইনাল দিয়ে এখন মাস্টার্স করছে। জান্নাতের সেমিস্টার গত মাসেই শেষ হয়েছে। এখন ৩য় বর্ষের ছাত্রী। রাহিও একাডেমিতে ট্রেনিং করছে। ২য় মাস চলছে। পাশাপাশি কলেজে পরীক্ষা দিয়েছে।

এই ৩ মাসে সময়ের পাশাপাশি অনেক কিছুই বদলেছে। বদলেছে কারো কারো অনুভূতিও। নতুন ভালোলাগার রঙে সেই অনুভূতিতে এসেছে ভালোবাসার ছোয়া।

বেলা ১২টা//
রাহি একাডেমিতে যাচ্ছে। আজ বেশিকাজ নেই। তাড়াতাড়ি চলে আসবে। তাই একটু লেট করেই যাচ্ছে। একাডেমিতে পৌছানোর পর অর্থাৎ যখন লিফট এ তখন ওর ফোন আসে। আননোন নাম্বার দেখে একটু অবাক হয়। জান্নাত আর ওর বাসার কেউ ছাড়া সাধারণত ওকে কেউ ফোনই দেয় না। ও নিজেও কাউকে দেয় না। তাও ফোন রিসিভ করে।

রাহি- হ্যালো।

অপরপাশ থেকে পুরুষকন্ঠ হাল্কা কেশে বলে- আমি ফাহিম বলছি।

রাহি যেনো এবার আরো বেশি চমকায়। ফাহিম ওকে ফোন দিয়েছে এটা যেনো অবিশ্বাস্য কিছু। তাই ও বোকা বোকা হয়ে প্রশ্ন করে- কোন ফাহিম?

ফাহিম কিছুটা বিরক্ত হয়ে বলে- কতজন ফাহিমকে চেনো তুমি?

রাহি- আমি *একটু ভেবে* একজন ফাহিম কে চিনি। ওই তোন জানু- আই মিন জান্নাতের বড় ভাই। 

সবটাতে তুমি | K.TH FF| ✔Where stories live. Discover now